অনুসরণকারী
শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা........................
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা........................
ফরাসী বিপ্লবের পর ফ্রান্সের রাজা হেনরি দেশের শাসন কায়েম রাখার জন্য সরকারের অনুগত কয়েকটি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ। এসব বাহিনীর সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রকারীদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করতো। এমনই একটি সংস্থার প্রধান ছিল গ্যাবরিয়েল মন্টগোমারি। রাজার স্কটগার্ডের প্রধান মন্টগোমারির অন্যতম প্রধান কাজ ছিল দৃস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং তা রাজা হেনরিকে নিজে জানানো। রাজা হেনরীর বিরোধী পক্ষ হিসেবে খ্যাত প্রটেস্টান্ট ও ক্যালভিনিস্ট গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল যে, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করার জন্যই সরকার এসব বাহিনীর সৃষ্টি করেছিলেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশবাহিনীর সৃষ্টি হয়। উদ্দেশ্য জনগণের যানমালের নিরাপত্তা দেয়া। বিংশ শতাব্দীতে এসে পুলিশ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৬২ সালে ইংরেজ শাসনামলে পাক-ভারত উপমহাদেশে পুশিল বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মধ্যযুগীয় সময়ে পুলিশি কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়না। তবে ভারত বর্ষের সুলতানী শাসনামলেএকটি সরকারি পুলিশি স্থর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যায়। মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত হয় যা সম্রাট আকবরের সময়কালে আরও সংগঠিত হয়েছিল। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন। (১) মীর আদাল অর্থাৎ সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি, (২) কাজী অর্থাৎ প্রধান বিচারক এবং (৩) কোতোয়াল অর্থাৎ বড় বড় শহরের প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা। এই কোতয়ালী পুলিশ ব্যবস্থার নামানুসারে বর্তমান রাজধানী ঢাকায় কোতয়ালী থানা আছে এবং দেশের অনেক জেলা শহরের সদর পুলিশ ষ্টেশনকে ‘কোতয়ালী’ থানা বলা হয়। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেম প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্টিত ছিল মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়েএখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশবাহিনীর সৃষ্টি হয়। উদ্দেশ্য জনগণের যানমালের নিরাপত্তা দেয়া। বিংশ শতাব্দীতে এসে পুলিশ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৬২ সালে ইংরেজ শাসনামলে পাক-ভারত উপমহাদেশে পুশিল বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মধ্যযুগীয় সময়ে পুলিশি কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়না। তবে ভারত বর্ষের সুলতানী শাসনামলেএকটি সরকারি পুলিশি স্থর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যায়। মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত হয় যা সম্রাট আকবরের সময়কালে আরও সংগঠিত হয়েছিল। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন। (১) মীর আদাল অর্থাৎ সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি, (২) কাজী অর্থাৎ প্রধান বিচারক এবং (৩) কোতোয়াল অর্থাৎ বড় বড় শহরের প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা। এই কোতয়ালী পুলিশ ব্যবস্থার নামানুসারে বর্তমান রাজধানী ঢাকায় কোতয়ালী থানা আছে এবং দেশের অনেক জেলা শহরের সদর পুলিশ ষ্টেশনকে ‘কোতয়ালী’ থানা বলা হয়। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেম প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্টিত ছিল মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়েএখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল।
শিল্প বিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ১৮২৯ সালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল উত্থাপন করেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় ‘লন্ডন মেট্রো পুলিশ’। অপরাধ দমনে এই পুলিশ বাহিনীর সাফল্য ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরণে আমেরিকা গঠন করে ‘নিয়ইয়র্ক সিটি নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ’।
১৮৫৬ সালে বৃটিশ সরকার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নিকট হতে ভারত বর্ষের পূর্ণ শাসনভার গ্রহণ করে। এ সময় লন্ডন মেট্রো পুলিশের সাফল্যে অনুপ্রানিত হয়ে বৃটিশ সরকার ভারতে স্বতন্ত্র একটি পুলিশ ফোর্স গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৮৬১ সালে ঃযব পড়সসরংংরড়হ ড়ভ ঃযব চড়ষরপব অপঃ (অপঃ ঠ ড়ভ ১৮৬১) বৃটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। বৃটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশ বাহিনীর নাম প্রথমে ‘ইষ্ট বেঙ্গল পুলিশ’ এবং পরবর্তীতে ‘ইষ্ট পাকিস্তান পুলিশ’ রাখা হয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই নামে পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা:
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ২৫ মার্চের কালো রাত্রে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর উপর বর্বর হামলা শুরু করে। এ সময় তাদের প্রথম আক্রমনটি পরিচালনা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যদের উপর। অকুতোভয় পুলিশ সদস্যরা দেশমাতৃকার টানে পাকিস্তানী বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ২য়বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। রুখে দাড়ান অন্যায়ের বিরুদ্ধে নি:শঙ্ক চিত্তে। হানাদারদের ভারী অস্ত্রের গোলায় সেদিন ঝাঝরা হয়ে গিয়েছিল সবকটি পুলিশ ব্যারাক। অসংখ্য পুলিশ সদস্য শহীদের অমিয় সুধা পান করেছিলেন দেশের জন্য। কাপুরুষের ন্যায় এক পুলিশ সদস্যও সেদিন মাথা নত করেনি।
২৫ মার্চের দুপুরের পর থেকেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কট্রোল রুমে নানা ধরণের খবর আসতে থাকে। গোট ঢাকা শহর তখন ছিল থমথমে। পাকিস্তানী বাহিনীর সাজোয়া যানের খবর পাওয়া পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সদস্যরা নিজেদের করণীয় নিয়ে শলাপরামর্শ করে। পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ ঢাকা শহরে যে কয়টি পুলিশ পেট্রল পার্টি ছিল প্রত্যেকেই নিজেদের মত করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ২৫ মার্চের কালো রাত্রে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর উপর বর্বর হামলা শুরু করে। এ সময় তাদের প্রথম আক্রমনটি পরিচালনা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যদের উপর। অকুতোভয় পুলিশ সদস্যরা দেশমাতৃকার টানে পাকিস্তানী বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ২য়বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। রুখে দাড়ান অন্যায়ের বিরুদ্ধে নি:শঙ্ক চিত্তে। হানাদারদের ভারী অস্ত্রের গোলায় সেদিন ঝাঝরা হয়ে গিয়েছিল সবকটি পুলিশ ব্যারাক। অসংখ্য পুলিশ সদস্য শহীদের অমিয় সুধা পান করেছিলেন দেশের জন্য। কাপুরুষের ন্যায় এক পুলিশ সদস্যও সেদিন মাথা নত করেনি।
২৫ মার্চের দুপুরের পর থেকেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কট্রোল রুমে নানা ধরণের খবর আসতে থাকে। গোট ঢাকা শহর তখন ছিল থমথমে। পাকিস্তানী বাহিনীর সাজোয়া যানের খবর পাওয়া পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সদস্যরা নিজেদের করণীয় নিয়ে শলাপরামর্শ করে। পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ ঢাকা শহরে যে কয়টি পুলিশ পেট্রল পার্টি ছিল প্রত্যেকেই নিজেদের মত করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
রাত এগারটার পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানসমুহ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের চারিদিকে অবস্থান নিতে থাকে। পাকবাহিনীর এই আক্রমনের সংবাদ তাৎক্ষনিকভাবে সারাদেশের জেলা ও সাব ডিভিশনসমুহে পুলিশ বেতার মারফত প্রেরণ করা হয় । বেতারের ভাষাটি ছিল এরূপ: “base for all station of east Pakistan police, keep listening, watch, we are already attacked by the pak army. Try to save yourself, over”
রাত ১১.৩৫ মিনিটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা অস্ত্রাগারের ঘন্টা পিটিয়ে সবাইকে সতর্ক ও একত্রিত করেন। অস্ত্রাগারে কর্তব্যরত সেন্ট্রির রাইফেল থেকে গুলি করে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিতরণ করা হয়। পুলিশ সদস্যরা তখন প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের চারিদিকে, ব্যারাক এবং বিভিন্ন দালানের ছাদে অবস্থান নেয়।
প্রায় ৮০০ পাকিস্তানী সেনা সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সাজোয়া যান রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্রধান গেটে এসে পৌঁছে রাত ১১.৪০ মিনিটে। এসময় বাঙালী পুলিশ সদস্যরাও কৌশলগত স্থানে পজিশন নেয়। এর মিনিট পাঁচেক পর পাকিস্তানী বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনের দক্ষিন -পুর্ব দিক (পুলিশ হাসপাতাল কোয়ার্টার সংলগ্ন) থেকে প্রথম গুলি বর্ষন করে। প্রায় সাথে সাথেই প্যারেড গ্রাউন্ডের উত্তর-পুর্ব দিক (শাহজাহানপুর ক্রসিং) থেকে আক্রমন শুরু করে। ব্যারাকের ছাদে অবস্থানরত বাঙালী পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানী সেনাদের লক্ষ করে গুলিবর্ষনের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেয়। শুরু হয় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। বাঙালী পুলিশ সদস্যদের মরনপণ প্রতিরোধে পাকিস্তানী ট্যাংক ও কামান সজ্জিত বাহিনীর গতি থমকে যায়। পরবর্তীতে হানাদার বাহিনী মর্টার ও হেভি মেশিনগান দিয়ে গুলিবর্ষন শুরু করে। এতে পিআরএফ এর ৪টি ব্যারাকে আগুন ধরে যায়। পাক বাহিনী ট্যাংক বহরসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করে। এসময় বাঙালী পুলিশ সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে গেরিলা হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানী বাহিনীর অনেক সদস্যকে হতাহত করেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাকিস্তানী বাহিনী রাজারবাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প্রায় দেড়শ বাঙালী পুলিশ সদস্য বন্দি হন পাকিস্তানীদের হাতে। তার আগে পুলিশ বাহিনীর একটি বড় গ্রুপ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মালিবাগ ও চামেলীবাগ দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত হয় মুজিব নগর সরকার। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান শেষে ঝিনাইদহের তৎকালীন সাব- ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
মূলত ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ১৩ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য পাকিস্তান সরকারের আনুগত্য অস্বীকার করে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। এসময় তাঁর সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়ারও ব্যবস্থা করেন। ৯ মাস জুড়ে চলা দেশব্যাপী সম্মুখ সমর তথা গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এবং পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন প্রবল প্রতিরোধ।
মুক্তিযুদ্ধের দলিল অনুযায়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপিসহ ১২৬২ জন পুলিশ সদস্য দেশের জন্য, দেশের পতাকার জন্য শহীদ হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের দলিল অনুযায়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপিসহ ১২৬২ জন পুলিশ সদস্য দেশের জন্য, দেশের পতাকার জন্য শহীদ হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয়দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয়দিয়েছে। পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদারিত্ব দিয়েঅপরাধ মোকাবিলায়প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয়দিচ্ছেন। ঘুষ দুর্নীতির কারণে একসময়েঅভিযুক্ত এই বাহিনী তার পেশাদারিত্ব আর জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয়দিয়েজনগণের গর্বের বাহিনীতে পরিণত হয়েছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বীরত্বগাঁথা অংশগ্রহণ স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁদের সেই স্মৃতি রক্ষার্থে রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনের একটি কক্ষে ২০১৩ সালের ২৪ শে মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর’। এতে যুদ্ধকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের অমিয় সাহসিকতার চিত্র ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। যাদুঘরটিতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন অজানা তথ্য ও দুর্লভ দলিল যা মূহুর্তেই মনে করিয়ে দেয় যুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা। এতে স্থান পেয়েছেগৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন ও বিভিন্ন স্মারক। রণাঙ্গনে পুলিশের ব্যবহৃত জিনিষপত্র ইতিহাসের সাথে নতুন প্রজন্মের একটি যোগসূত্র স্থাপনে সক্ষম হয়েছে।
১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুশিল বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে অত্যন্ত সুনামের সাথে। নামিবিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে আইভরি কোষ্ট, সুদান, দারফুর, পূর্ব তিমুর, ডি আর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতি, লাইবেরিয়া, কসাবোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বয়ে এনেছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী-মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেঞ্জ বা জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), রেলওয়ে পুলিশ ( জিআরপি), হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই), স্পেশাল সিকিউরিটি অব প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসএসপিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এএপি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব),সোয়াদ,কাউন্টার টরিজম ইউনিট, নৌপুলিশ, পর্যটন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ইমিগ্রেশন পুলিশ এর মাধ্যমে দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সর্ব প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। দেশের ক্রান্তিকালে তাঁদের বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও বীরত্বগাঁথা অবদান জাতি সম্মানের সাথে স্মরণ করবে গভীর শ্রদ্ধাভরে। আমরাও স্মরণ করছি। সেই সাথে হৃদয় নি:সৃত বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাসহ সকলের প্রতি যাঁরা দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছেন।
বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭
চালক ছেলে, আরোহী রাষ্ট্রপতি
এলাকায় রাষ্ট্রপতি যতবারই যান, সবসময় রিকশা অথবা
ইজিবাইকই থাকে তার বাহন।
এবারই প্রথম অষ্টগ্রামে গাড়িতে চড়লেন স্বাধীনতার পর অংশ নেওয়া
প্রতিটি সংসদে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধিত্বকারী আবদুল
হামিদ।
সাদা রঙের টয়োটা এসইউভিতে
রাষ্ট্রপতির চালক হিসেবে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক।
আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার
পর বড় ছেলে তৌফিক এখন সংসদে ওই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান
সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...
-
https://www.facebook.com/Nisadvin বাংলাদেশ পুলিশ ↓ রেঞ্জ পুলিশ মেট্রোপলিটন পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্জ (এসবি) ক্রিমিনাল ইনভেষ্টি...
-
পুলিশ কনস্টেবল! তাতে কি হয়েছে ? আসুন জেনে নেই বাংলদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়গুলোঃ →পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছে পুলিশ বাহ...