অনুসরণকারী

রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

১ মিনিটে জেনে নিন বাংলাদেশের ইতিহাস

বাংলাদেশের ইতিহাস:




                             ১৯৪৭ সাল

১৪ই আগষ্ট ব্রিটিশ শাসনের কাছ থেকে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ১৫ই আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ব্রিটিশ শাসনের কাছ থেকে।

                             ১৯৪৮ সাল

২৩শে ফেব্রুয়ারী: গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
২১শে মার্চ: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
২৪শে মার্চ: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।

                                                   ১৯৪৯

২৩শে জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এসময় মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

                            ১৯৫২

২৬শে জানুয়ারী: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
৩০শে জানুয়ারী: সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
২১শে ফেব্রুয়ারী মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রভাষার দাবীতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী ছাত্রজনতার উপর নৃশংসভাবে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হয় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ নাম না জানা অনেকে।

                           ১৯৫৩

আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক প্রজা পার্টি, নিজামে ইসলাম, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খিলাফত ইত্যাদি দল মিলে ৪ই ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।

                               ১৯৫৪

৮-১২ মার্চ: এসময় পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন অর্জন করে। যুক্তফ্রন্ট বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে জয়লাভ করে।
৩১শে মে: পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করে দিয়ে শাসনতন্ত্রের ৯২ (ক) ধারা জারীর মাধ্যমে প্রদেশে গভর্ণরের শাসন প্রবর্তন করেন।
                           ১৯৫৮
৭ই অক্টোবর: ইস্কান্দার মির্জা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে।
২৭শে অক্টোবর: ইস্কান্দর মির্জাকে বিনা রক্তপাতে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন আইয়ুব খান।
                          ১৯৬৬
৫-৬ই ফেব্রুয়ারী: বিরোধী দলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা উত্থাপন করেন যা পরবর্তীতে বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সনদ হিসেবে পরিচিত হয়।
                     ১৯৬৯  গণঅভ্যুত্থান
৫ই জানুয়ারী: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
২২শে ফেব্রুয়ারী: শেখ মুজিব সহ ৩৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
             ১৯৭০ : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন
৭ই ডিসেম্বর: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে জয়লাভ করে।
                     ১৯৭১ : মহান মুক্তিযুদ্ধ
২রা মার্চ: প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের কলাভবনে উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করেন আ স ম আব্দুর রব, তৎকালীন ডাকসুর সহ সভাপতি।
৭ই মার্চ: তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। এবং যুদ্ধের আহ্বান।
২৬শে মার্চ: স্বাধীনতার ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার থেকে এই ঘোষণা দেন।
১০ই এপ্রিল: মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।
১৭ই এপ্রিল: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। এইদিন অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
৬ই ডিসেম্বর: ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৪ই ডিসেম্বর: বাংলাদেশের প্রায় সকল বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার একটি অপচেষ্টা চালানো হয়। বর্তমান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
                           ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১/ বিজয় দিবস
বিকেল ৪টা বেজে ৩১ মিনিটে ৯১ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ দলিলে সই করা হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণপত্রে সই করেন জেনারেল নিয়াজি। আর ভারত এবং বাংলাদেশের মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণপত্র গ্রহণ করেন জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।।
শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা










বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭

চিকুনগুনিয়া কি?

চিকুনগুনিয়া কি?

চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। এ রোগটি আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রোগ হলেও আমাদের দেশের কিছু কিছু এলাকায় এ রোগ দেখা যাচ্ছে। আমাদের অতিপরিচিত ডেঙ্গুর সঙ্গে এর অনেকটাই মিল রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের মতোই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
What is Chikungunya?
Chikungunya is a viral disease. Although it is a disease in Africa and South-East Asia, in some areas of our country, this disease is seen. There is a lot of similarity with our well-known dengue. Like the Dengue fever, Chikungunya Virus spreads through the AIDS mosquito.
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ:
চিকুনগুনিয়ার মূল উপসর্গ হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। জ্বর অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই দেহের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়, প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, তবে কাঁপুনি বা ঘাম দেয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা করা, গায়ে লাল লাল দানার মতো রেশ, অবসাদ, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়—এমনকি ফুলেও যেতে পারে। জ্বর সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিন থাকে এবং এর পর নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে কেউ মারা যায় না, শুধু দীর্ঘদিনের জন্য অনেকেই স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে চারবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু চিকুনগুনিয়া একবার হলে সাধারণত আর হয় না।
চিকিৎসা:
চিকুনগুনিয়া সন্দেহ হলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দেখা হয়। এতে দুই থেকে ১২ দিন লাগতে পারে। চিকুনগুনিয়া জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। এর চিকিৎসা মূলত রোগের উপসর্গগুলোকে নিরাময় করা। রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি বা অন্যান্য তরল খেতে দিতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধই যথেষ্ট এবং এর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। তীব্র ব্যথার জন্য এনএসএআইডি-জাতীয় ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে, তবে অ্যাসপিরিন না দেওয়াই ভালো। আবার যেন মশা না কামড়ায় এ জন্য রোগীকে মশারির ভেতরে রাখাই ভালো। কারণ, আক্রান্ত রোগীকে মশায় কামড় দিয়ে কোনো সুস্থ লোককে সেই মশা কামড় দিলে ওই ব্যক্তিও এ রোগে আক্রান্ত হবেন।
প্রতিরোধের উপায়:
চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো ভ্যাকসিন বা টিকাও নেই। তাই প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এডিস মশা প্রতিরোধ। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা এবং মশাকে নির্মূল করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশে যেখানে পানি জমে থাকতে পারে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ডাবের খোসা, কোমল পানীয়ের ক্যান, ফুলের টব—এসব স্থানে যাতে পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মজা পুকুর বা ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের বেলায় স্বচ্ছ, পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে, কিন্তু চিকুনগুনিয়ায় মশা নোংরা-অপরিষ্কার পানিতেও ডিম পাড়তে পারে। তাই পানি জমে থাকে এমন সব জায়গাই পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে মশা কাছে না আসতে পারে। বাইরে যাওয়ার সময় শরীর ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে মশা কামড়াতে না পারে। রোগটি নতুন হলেও এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এতে কেউ মারা যায় না। হয়তো বা কিছুদিন একটু ভোগান্তি বাড়ায়। একটু সচেতন হলেই এ রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।









কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...