অনুসরণকারী

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

জেনারেল ডায়েরী লিখার প্রয়োজনীয়তা কি ? জেনারেল ডায়েরী লেখার দায়িত্ব কার ? জেনারেল ডায়েরীর আইনগত মূল্য কি? আলোচনা




জেনারেল ডায়েরী লিখার প্রয়োজনীয়তা কি ? জেনারেল ডায়েরী লেখার দায়িত্ব কার ? জেনারেল ডায়েরীর আইনগত মূল্য কি? আলোচনা

১ নং প্রশ্নের উত্তর
*জেনারেল ডায়েরী লিখার প্রয়োজনীয়তা: ১৮৬১ সালে প্রণীত পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা অনুসারে প্রত্যেক থানা বা ফাড়িতে পুলিশ কর্মচারীদের উপস্থিতি, প্রস্থান, কোনো অপরাধজনক সংবাদ, আসামি গ্রেফতার ও জামিন, ফোর্সদের ডিউটি বন্টনসহ থানায় দৈনন্দিন যে কোনো ধরণের সংবাদ তা জেনারেল ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং জেনারেল ডায়েরী সাক্ষ্য আইনের ৯, ৩৫ ধারায় আদালতে গ্রহণযোগ্য বা প্রাসঙ্গিক বিধায় ইহার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। [ফৌ: কা: ১৫৪, ১৫৫,  পুলিশ আইন ৪৪ ধারা ও পিআরবি ৩৭৭ বিধি]

*জেনারেল ডায়েরী লেখার দায়িত্ব: পিআরবি ৩৭৭(ক) বিধি অনুসারে জেনারেল ডায়েরী লেখা ও সংরক্ষণের দায়িত্ব একমাত্র থানা অফিসার ইনচার্জের। প্রত্যেক থানা ও ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরী বিপি ফরম নং ৬৫-এ যথা সময়ে এবং যথাযথভাবে লেখা হয়েছে কি না তা দেখার দায়িত্ব থানার অফিসার ইনচার্জের। [পুলিশ আইন ৪৪ ধারা, ফৌ: কা: ১৫৪, ১৫৫ ধারা]
*জেনারেল ডায়েরীর আইনগত মূল্য: 

১। পুলিশ  আইন ৪৪ ধারা অনুযায়ী জেনারেল ডায়েরী হল বিপি ফরম নং ৬৫, বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৬৫ মোতাবেক ২০০ পাতার একটি রেজিস্টার।

২। সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা কোনো বিচার্য ঘটনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আচরণ হিসাবে সাধারন ডায়েরী আদালতে গ্রহনযোগ্য।

৩। ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনা মূলক বিষয় হিসাবে সাধারন ডায়েরী আদালতে গ্রহনযোগ্য।[সাক্ষ্য আইনের ৯ ধারা]৪। সরকারি দলিল হিসাবে সাধারন ডায়েরী আদালতে গ্রহনযোগ্য।[সাক্ষ্য আইনের ৩৫ ধারা]৫। সাক্ষীর পূর্ববর্তী লিখিত বিবৃতি প্রদর্শন করার জন্য সাধারণ ডাযেরী আদালতে গ্রহণযোগ্য [সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারা]৬। সমর্থনমূলক সাক্ষ্য হিসেবে সাধারণ ডায়েরী আদালতে প্রাসঙ্গিক [সাক্ষ্য আইনের ১৫৭ ধারা]যেহেতু সাধারণ ডায়েরীর আইন ও বিধি আছে তাই এর সাক্ষ্যগত মূল্য আছে 

বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮

পুলিশের সহায়তা পাবেন ফেইজবুক হ্যাক হলে ________




প্রযুক্তির এই যুগে সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। পরিবার, বন্ধুবান্ধবসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য, বিশেষ করে যারা দেশের বাইরে অবস্থান করেন, তাদের জন্য ফেসবুকে যোগাযোগের বিকল্প নেই।
কিন্তু অনেকের কাছে এই ফেসবুক কখনো কখনো হয়ে ওঠে আতঙ্কের নাম। পুরুষদের পাশাপাশি নিয়মিত ফেবসুক ব্যবহার করেন অনেক নারী। পুরুষদের চেয়ে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হয়। সামান্য অসাবধানতার কারণে যে কোনো মুহূর্তে হ্যাক হতে পারে আপনার ফেসবুক। ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা। তাই সাবধান থাকতে হবে আপনাকে।
তবে যদি ফেসবুক হ্যাক হয়েই যায় তবে তা উদ্ধার ও নিরাপত্তার জন্য আপনাকে সহায়তা করবে পুলিশ। ফেসবুক হ্যাক বিষয়ে নাগরিকসেবা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। নারী-পুরুষ উভয়ের ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন জটিল সমস্যা, মামলা করা, মামলার তদন্ত, পরামর্শ, হ্যাকার চিহ্নিত করা, গ্রেফতার করা ও হ্যাক হওয়া ফেসবুক উদ্ধারসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
সাইবার ক্রাইম বিভাগে প্রাথমিক অবস্থায় ফোনে যোগাযোগ করে আপনি সহায়তা পেয়ে থাকেন। এছাড়া সাইবার ক্রাইম বিভাগের রয়েছে ফেসবুক পেইজ ও ই-মেইল। আপনার ফেসবুক হ্যাক হলে আপনি পাবেন সিসিটিসির সহায়তা।
সিসিটিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) আলীমুজ্জামন বলেন, একটি বিভাগ হচ্ছে সাইবার ক্রাইম। পুলিশ সদর দফতরে আমাদের অফিস। সম্প্রতি সাইবার অপরাধ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে মেয়েদের ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হাওয়া জরুরি। প্রতিদিন আমরা ১০টিরও বেশি অভিযোগ পেয়ে থাকি। একটু অসাবধানতার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার সুন্দর ভবিষ্যৎ , সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হতে পারে কান্না।
ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমে সমস্যায় যেভাবে সহায়তা দেবে পুলিশ :
হেল্প ডেস্ক
ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো সমস্যায় আপনি সিসিটিসির ক্রাইম বিভাগের হেল্প ডেস্কের সহায়তা নিতে পারেন। হেল্প ডেস্কের রয়েছে দুটি মোবাইল নম্বর। পরামর্শ বা সহযোগিতার জন্য আপনি ফোন করতে পারেন-০১৭৬৯৬৯১৫০৯ অথবা ০১৭৬৯৬৯১৫০৯ নম্বরে। সিসিটিসির এই হেল্প ডেস্ক আপনাকে সহায়তা দেবে সপ্তাহে সাত দিন।
পরামর্শ
আপনার অভিযোগটি শোনার পর পুলিশ আপনাকে পরামর্শ দেবে আপনি কী করবেন। যদি মামলা করতে হয়, তবে আপনাকে সহযোগিতা করবে পুলিশ।
ফেসবুক উদ্ধার ও হ্যাকার চিহ্নিত
সিসিটিসির এই বিভাগটি আপনাকে ফেসবুকসহ যেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রয়েছে তা যদি হ্যাক হয়, তবে তা উদ্ধারে সহযোগিতা করবে। এছাড়া হ্যাকার চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
মামলা ও মামলা তদন্ত
হ্যাকার ধরাই শেষ নয়, আপনাকে আইনি সহায়তা দেবে পুলিশ। যেমন আপনার ফেসবুক উদ্ধারে হ্যাকারের বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্ত করবে পুলিশ।
গোপনীয়তা রক্ষা
পুলিশ আপনাকে সহায়তা দেবে এবং মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে আপনার সব ধরনের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।
সশরীরে যোগাযোগ
সমস্যা জটিল হলে আপনি সশরীরে সিসিটিসির সাইবার ক্রাইম বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। যোগাযোগ করার জন্য প্রথমে ওপরে উল্লিখিত নম্বরে ফোন দেয়ার পর পুলিশ সদর দফতরে সশরীরে যোগাযোগ করতে হবে।
নারী পুলিশের সহায়তা
সিসিটিসির সাইবার ক্রাইম বিভাগে নারীদের পরামর্শ দেয়া, মামলা তদন্ত ও সব প্রকার আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য নারী পুলিশ রয়েছেন।
ফোন : ০১৭৬৯৬৯১৫২২
ইমেল : Cyberhelp@dmp.job.bd
ফেসবুক আইডি : Cyber Security & Crime Division, CTTC, DMP


  www.facebook.com/Nisadvin


শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

১০০ টাকার বি‌নিম‌য়ে কনস্টেবল নিয়োগের ঘোষণা নেত্রকোণা পুলিশ সুপারের



বিনা টাকায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেত্রকোণা পুলিশ সুপার জনাব জয়দেব চৌধুরী। নিয়োগ প্রার্থীদের প্রতারক ও দালাল চক্রের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ সংক্রান্ত বার্তা দেন পুলিশ সুপার নেত্রকোণা।
https://web.facebook.com/Spnetrokona/
ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়,

আগামী ইং ০৬/০৩/২০১৮ তারিখে নেত্র‌কোণা পুলিশ লাইন্স মাঠে অত্র জেলার যোগ্য প্রার্থীদেরকে বাছাইয়ের মাধ্যমে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীরাই নিয়োগ পাবে। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুসারে সব কিছু সঠিক থাকলে বিনা টাকায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই নিয়োগ পাবে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারক ও দালালচক্র টাকার বিনিময়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সাধারণ দরিদ্র প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকের নিকট থেকে অর্থ আদায় করার পাঁয়তারা করছে। উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত (১০০/-) ট্রেজারী চালানের অতিরিক্ত কোন টাকা কাউকে দেয়ার প্রয়োজন নেই। কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কেউ যেন টাকা কিংবা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে চাকুরী পাওয়ার নামে প্রতারিত না হন সেই লক্ষ্যে জনাব জয়‌দেব চৌধুরী, পুলিশ সুপার, নেত্র‌কোণা মহোদয় প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তাদেরকে শারীরিক মাপ, লিখিত, মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...