জেনারেল ডায়েরী লিখার প্রয়োজনীয়তা কি ? জেনারেল ডায়েরী লেখার দায়িত্ব কার ? জেনারেল ডায়েরীর আইনগত মূল্য কি? আলোচনা
১ নং প্রশ্নের উত্তর
*জেনারেল ডায়েরী লিখার প্রয়োজনীয়তা: ১৮৬১ সালে প্রণীত পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা অনুসারে প্রত্যেক থানা বা ফাড়িতে পুলিশ কর্মচারীদের উপস্থিতি, প্রস্থান, কোনো অপরাধজনক সংবাদ, আসামি গ্রেফতার ও জামিন, ফোর্সদের ডিউটি বন্টনসহ থানায় দৈনন্দিন যে কোনো ধরণের সংবাদ তা জেনারেল ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং জেনারেল ডায়েরী সাক্ষ্য আইনের ৯, ৩৫ ধারায় আদালতে গ্রহণযোগ্য বা প্রাসঙ্গিক বিধায় ইহার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। [ফৌ: কা: ১৫৪, ১৫৫, পুলিশ আইন ৪৪ ধারা ও পিআরবি ৩৭৭ বিধি]
*জেনারেল ডায়েরী লেখার দায়িত্ব: পিআরবি ৩৭৭(ক) বিধি অনুসারে জেনারেল ডায়েরী লেখা ও সংরক্ষণের দায়িত্ব একমাত্র থানা অফিসার ইনচার্জের। প্রত্যেক থানা ও ফাঁড়িতে জেনারেল ডায়েরী বিপি ফরম নং ৬৫-এ যথা সময়ে এবং যথাযথভাবে লেখা হয়েছে কি না তা দেখার দায়িত্ব থানার অফিসার ইনচার্জের। [পুলিশ আইন ৪৪ ধারা, ফৌ: কা: ১৫৪, ১৫৫ ধারা]
*জেনারেল ডায়েরীর আইনগত মূল্য:
১। পুলিশ আইন ৪৪ ধারা অনুযায়ী জেনারেল ডায়েরী হল বিপি ফরম নং ৬৫, বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৬৫ মোতাবেক ২০০ পাতার একটি রেজিস্টার।
২। সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা কোনো বিচার্য ঘটনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আচরণ হিসাবে সাধারন ডায়েরী আদালতে গ্রহনযোগ্য।
৩। ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনা মূলক বিষয় হিসাবে সাধারন ডায়েরী আদালতে গ্রহনযোগ্য।[সাক্ষ্য আইনের ৯ ধারা]৪। সরকারি দলিল হিসাবে সাধারন ডায়েরী আদালতে গ্রহনযোগ্য।[সাক্ষ্য আইনের ৩৫ ধারা]৫। সাক্ষীর পূর্ববর্তী লিখিত বিবৃতি প্রদর্শন করার জন্য সাধারণ ডাযেরী আদালতে গ্রহণযোগ্য [সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারা]৬। সমর্থনমূলক সাক্ষ্য হিসেবে সাধারণ ডায়েরী আদালতে প্রাসঙ্গিক [সাক্ষ্য আইনের ১৫৭ ধারা]যেহেতু সাধারণ ডায়েরীর আইন ও বিধি আছে তাই এর সাক্ষ্যগত মূল্য আছে