অনুসরণকারী

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

পুলিশ কনস্টেবল! তাতে কি হয়েছে ?





পুলিশ কনস্টেবল! তাতে কি হয়েছে ?


আসুন জেনে নেই বাংলদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়গুলোঃ→পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর মূল হাতিয়ার বা মেরুদণ্ড


★ বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালো রাত্রীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমনের সংবাদ ওয়ার্লেস এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম দেশের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৎকালীণ রাজারবাগ বেইজে কর্মরত কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া। পরবর্তীতে তিনি বীরপ্রতীক পদক প্রাপ্ত হয়েছিলেন।


★ পুলিশ প্রবিধান অনুসারে কনস্টেবলও একজন অফিসার। কোন কোন ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশী ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও সমান ক্ষমতাবান।


★ একজন কনস্টেবল পুলিশের সকল পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে থেকে দুর্ধর্ষ ও ফেরারি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, মামলা তদন্তসহ নানা কাজে সহযাত্রী হিসেবে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


★ পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারী বিধিমালা অনুসারে VIP ব্যক্তিব্যক্তিদের বডিগার্ড / গানম্যান এবং প্রটেকশন ডিউটিতে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কনস্টেবলগনদের।


★ সকল প্রকার অপরাধ ও অপরাধীদের গোপন সংবাদ এবং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি গোয়েন্দাগিরিতে কনস্টেবল এর ভূমিকা শীর্ষে।


★ ফুটপাত থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, সকল পবিত্র উপসনালয়, দেশের গুরুত্তপূর্ণ স্থাপনাসমূহসহ ইত্যাদি জায়গায় কনস্টেবল ডিউটি পালন করে থাকে, তাই একজন কনস্টেবল বিচিত্র অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ।


★ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কনস্টেবলগন অংশ গ্রহণ করে।


★ এ যুগের কনস্টেবলগন শিক্ষিত, মার্জিত, দক্ষ, অনেক বেশী স্মার্ট ও কাজে কর্মে ক্ষীপ্র গতিমনা।


★ একজন কনস্টেবল এর রয়েছে স্বপ্নিল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। প্রত্যেকের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক পদোন্নতির মাধ্যমে ওসি ও সার্কেল এএসপির মতো গুরুত্তপূর্ণ পদে পদায়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের উদাহরণ ভুরিভুরি।


বি:দ্রঃ বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টবল পদে  শতকরা ৯৮% পুলিশ সদস্য এইচএসসি, ড্রিগী, অর্নাস পাশ (২০০৭-২০১৮)এসএসসি পাশ মাএ ২% (১৯৯০-২০০৬)


বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সকল পুরুষ ও নারী কনস্টেবল ভাইবোনেরা ২৪ ঘন্টাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাদের কর্মক্লান্ত মনকে একটু চাংগা ও অনুপ্রাণীত করার জন্যই আমার এ লেখা। চাইলে আপনি শেয়ার অথবা কপি করতে পারেন লেখাটি।

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে কাঁদলেন আফিফ






খেলা শেষে যখন বিজয়ের আবেগে উড়ছে সবাই, তখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এগিয়ে আসেন তার দিকে। ফোন এগিয়ে কথা বলতে বলেন। ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনে আফিফের যেন অবিশ্বাস্য মনে হলো। প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন দিচ্ছেন! মুখে তার কথা সরছিল না।
আবেগের চাপ সামলাতে না পেরে কেঁদেই ফেললেন আফিফ। শুধু মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামই নয়, সে কান্নার সাক্ষী হয়ে রইলো গোটা বিশ্বই।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

চালু হলো বাংলাদেশ পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (সিবিবিএল)।


চালু হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীনকমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (সিবিবিএল)’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যাংকটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
ব্যাংকটি পুলিশের অর্থায়নে গঠিত। তাই সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সহজ শর্তে গৃহঋণসহ অন্য ঋণ দেয়া হবে। এছাড়া বিশেষ ধরনের আমানত ঋণ পণ্য চালু করবে। থাকবে আকর্ষণীয় সব অফার। কমিউনিটি ব্যাংকের এমডি বলেন, ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট। ব্যাংকের যে মুনাফা হবে তার বেশিরভাগ ব্যয় করা হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। অর্থাৎ তাদের চিকিৎসা, সন্তানদের শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে।
তিনি বলেন, এখানে ব্যাংকিং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাদের সহজ শর্তে গৃহঋণ দেয়া হবে। সদস্যদের সক্ষমতা অনুযায়ী ঋণ পাবেন। এছাড়া অন্য ঋণও সহজ শর্তে দেয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশেষ ধরনের আমানত ঋণ পণ্য চালু করা হবে। যেখানে অন্য ব্যাংকের চেয়ে তারা বেশি সুবিধা পাবেন।
এমডি মশিউহুল হক চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগসহ টেকনিক্যাল সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বুধবার সকাল ৯টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকটির উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকেই ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে তার হিসাব খোলার (অ্যাকাউন্ট) মাধ্যমে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

নতুন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, যেহেতু কমিউনিটি ব্যাংক একটি তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক। তাই এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সবাইকে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেয়া হবে। এখানে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। কমিউনিটি ব্যাংক গ্রহককে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় হবে রাজধানীর গুলশান- নম্বরে হাতিরঝিল সংলগ্ন পুলিশ প্লাজায়। ছাড়া প্রিন্সিপাল শাখাসহ মোট ছয়টি শাখা দিয়ে প্রথমে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে শাখা বাড়ানো হবে।
জানা গেছে, বিদ্যমান ব্যাংকগুলোকে পুলিশ, সাংবাদিক অ্যাডভোকেটদের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে নিচের পদের পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক ঋণ নিতে চাইলেও পান না। তবে এখন পুলিশের ঋণের চাহিদা সহজ শর্তে পূরণ করবে কমিউনিটি ব্যাংক।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকেকমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশদেয়া হয়। ওই বছর নভেম্বরে ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯টিতে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে ১৩টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশি প্রবাসী উদ্যোক্তারা ১১টি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি ব্যাংক (সীমান্ত ব্যাংক) পেয়েছে। সর্বশেষ পেল পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ।
গত বছরের মার্চে ব্যাংকটির অনুমোদন চেয়ে পুলিশ সদর দফতরের কল্যাণ ট্রাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। পরে ২৮ আগস্টকমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশনামে পুলিশকে ব্যাংকের অনুমোদন দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় কমিউনিটি ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এর আগে, বাংলাদেশ পুলিশ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ২০১৭ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মূলধনের ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ শুরু করে। পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূলধন সংগ্রহ শেষ হয়। গুলশানে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে করা হয়েছে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়। মিডল্যান্ড ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মশিউহুল হক চৌধুরীকে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের বেতন দেয়া হবে। আপাতত পুলিশ সদস্যরাই হবেন ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। এর লভ্যাংশ যাবে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে। ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা ব্যয় হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। ব্যাংক লাভজনক হলে তিন বছর পর মূলধন জোগানের ওপর প্রত্যেকে নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পাবেন। ছাড়া পুলিশ সদস্যদের জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্যাংকের মাধ্যমে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আয় বাড়লে সদস্য তাদের পরিবারের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা বর্তমানের চেয়ে বাড়ানো হবে। সদস্যরা অবসর সুবিধা, সন্তানের শিক্ষাবৃত্তি, কারিগরি শিক্ষাবৃত্তি, ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন ব্যাংকের মাধ্যমে। অন্য অনেক সংস্থার মতো পুলিশের নিজস্ব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর সঠিক স্বচ্ছ লেনদেনের কারণে জনগণের মধ্যে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ, পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাবনা দেন পুলিশের তৎকালীন আইজি একেএম শহীদুল হক। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, মূলধনের টাকা জোগাড় করতে পারলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপরই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য মূলধন সরবরাহের কাজ শুরু করে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৬৬ হাজার পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়।













কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...