অনুসরণকারী

বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯

এএসআই (নিঃ) পদে পদোন্নতির জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর-২০১৯









কনস্টেবল/নায়েক হইতে এএসআই(নিঃ)/এসআই(নিঃ) পদে 

পদোন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর।

২০১৯ সালে আমার সকল পরিক্ষার্থী পুলিশ ভাই-বোনদের পদোন্নতির জন্য তৈরি করা হলঃ-
 গুরুত্বপূর্ণ ৩০(ত্রিশ) টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ-

         (১)বৈধ জনতা কাবে বলে ? বৈধ জনতা কি অবৈধ হতে পারে ?
         (২)আসামীর অজুহাত (এলিবাই) এবং সাক্ষের প্রাসঙ্গিকতা বলতে কি বুঝ ? আসামীর অজুহাত কখন আদালতে প্রাসঙ্গিক হয় ?
         (৩) সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকারের আরম্ভ ও স্থিতিকাল আলোচনা কররুন।
         (৪) একটি ত্রুাটিমুক্ত এজাহারের বৈশিষ্ট্য কিকি ?
         (৫)পুলিশের প্রধান কর্তব্য কি কি ?
         (৬) সমাবেশ করার জন্য আরোপিত শর্ত ভঙ্গ করিলে উক্ত সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার জন্য থানার এএসআই কি নির্দেশ দিতে পারে ?
         (৭) একজন পুলিশ অফিসার কোন ধারার ক্ষমতা বলে যানবাহনের কাগজ পত্র পরিদর্শণ ও আটক করতে পারে?
         (৮)নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হবার সম্ভবনার ক্ষেত্রে মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার সমূহ বর্ণনা করুন।
         (৯) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তল্লাশী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি ?
         (১০) স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে কিকি ধরণের কলহ,বিবাদ দেখা দেয় ?
         (১১) গৃহ তল্লাশীর বিধান কি ?
         (১২) বিনা পরোয়ানায় তল্লাশীর নিয়ম কি ?
        (১৩) গ্রেফতার ব্যতীত একজন ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করা যায় কি ?
         (১৪)  পুলিশ অফিসারের সাক্ষী তলব করার ক্ষমতা বর্ণনা কর।  
         (১৫) পুলিশেল নিকট স্বীকারোক্তি আদালতে প্রমান করা যায় কি ?
         (১৬)  মৃতুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর সে যদি প্রাণে বেচে যায়, তাহলে উক্ত মৃতুকালীণ জবানবন্দির আইনগত মূল্য কতটুকু ?
         (১৭) পুলিশ কি বৈধলাইন্সেসধারী ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে পারে?
         (১৮) কোন ব্যক্তি লাইসেন্স  ব্যতীত মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালনা করলে কোন ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ?
         (১৯) আমলের অযোগ্য মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারের  করনীয় কি ? এরূপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কি পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে?     
         (২০) এএসআই কি আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারে? যদি পারে কোন কোন ক্ষেত্রে ?

         (২১) থানার মুল্যবান রেজিস্টার গুলো কিকি ? এই গুলোর প্রয়োজনীয়তা কি?

         (২২) চুড়ান্ত প্রতিবেদন কি? উহা কত প্রকার ও কিকি?

         (২৩) একজন এএসআই কি ধর্তব্য অপরাধ তদন্ত করতে পারে ?
         (২৪) একটি নুমনা জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে দেখাও ?   
         (২৫)পুলিশ রিমান্ড বলতে কি বুঝ ?
         (২৬) জেনারেল ডায়েরী কাকে বলে?
         (২৭)হঠাৎ তল্লশীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসার কি তল্লশী পরোয়ানা ইস্যূ করতে পারে ?
         (২৮) ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? কেন ড্রাইভিং লাইন্সের প্রয়োজন হয়? ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কি অপরাধ?
         (২৯) জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি কি সংক্ষেপে আলোচনা করুন ?
         (৩০) জনসাধারণ একজন  ব্যক্তিকে কোন কোন পর্যায়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে?

       
রচনামূলক প্রশ্নোত্তরঃ-
প্রশ্নঃ ১।  (ক) আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলতে কি বুঝেন ?
            (খ) দেহ ও সম্পতি রক্ষা করার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পযর্ন্ত ঘটানো যায় কি?
            (গ) কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করা যায় না বর্ননা করুন।
প্রশ্নঃ ২। এএসআই পদ মযর্দার পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলোচনা করুন। একজন এএসআই দায়িত্বে ও কর্তব্য অবহেলা করলে কি শাস্তির বিধান রয়েছে ? প্রশ্নঃ ৩। খুন বলতে কি বুঝ? আত্মসংযম হারিয়ে ফেলে কাউকে খুন করলে অপরাধ হয় কি? একটি খুন মামলার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করুন?
প্রশ্নঃ ৪। এজাহার কাকে বলে ? একটি পূর্ণাঙ্গ এজাহারে কিকি কিষয় উল্লেখ থাকে ? মামালা রুজুকারী অফিসার কিকি বিষয়ে যত্নবান হতে হয়।
প্রশ্নঃ ৫। সদাচারণ মুচলিকা কি আলোচনা করুন?
প্রশ্নঃ ৬। বেআইনী সমাবেশ কাকে বলে ? বেআইনী সমাবেশ দাঙ্গাহাঙ্গামা মোকাবেলার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে পুলিশ অফিসারদের কিকি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
প্রশ্নঃ ৭। থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্ত একটি হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে আপনাকে দ্রুত ঘটনা স্থলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করেন।থানার এএসআই হিসাবে আপানার করনীয় কি এবং কিকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রশ্নঃ ৮। কোন আসামীকে গ্রেফতারের পর থানা হাজতে রাখার পূর্বে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি ?
প্রশ্নঃ ৯। গ্রেফতার কিভাবে করা হয় ? গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দেহ কিভাবে তল্লাশী করিতে হয়? মহিলার দেহ তল্লাশীর পদ্ধতি কি ?
প্রশ্নঃ ১০।কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার পর পুলিশ অফিসারের করনীয় কি?
প্রশ্নঃ ১১।এজাহার (F.I.RR) বলতে কি বঝ? আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ  থানায় আসিলে পুলিশ কি তা রেকর্ড করিতে বাধ্য আলোচনা করুন? 
প্রশ্নঃ১২। মোটরযান আইনের কোন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার বিনাপরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন?
প্রশ্নঃ ১৩।জব্দ তালিকা কাকে বলে? একটি পূনাঙ্গ জব্দ তালিকায় কিকি বিষয় উল্লেখ থাকা আবশ্যক?  
প্রশ্নঃ ১৪। কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে আদালতে আত্মসমার্পনে বাধ্য করতে কি কি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় আলোচনা করুন।
প্রশ্নঃ ১৫।রাত্রীকালীন টহল ডিউটি করার সময় পরিত্যাক্ত অবস্থায় কোন অস্ত্র পাওয়া গেলে এবং রাস্তার পার্শ্বে একটি অসনাক্তকৃত লাশ পাওয়া গেলে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি বর্ননা করুন।
প্রশ্নঃ ১৬। কারা অস্ত্র বহন করতে পারে ? কি কি পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা আদেশ দিতে পারেন। কোন কোন ক্ষেত্রে অস্ত্র-শস্ত্র থানায় অথবা লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের নিকট জমা করতে হয় ?
প্রশ্নঃ ১৭। পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক বলিতে কি বুঝ ? ইহার প্রয়োজনীয়তা কি ? ক্রোককৃত সম্পত্তির নিস্পতির নিয়ম গুলি লিখুন।
প্রশ্নঃ ১৮। সুরতহাল কি ? সুরতহাল রিপোর্টে কী কী বিষয় উল্লেখ করা আবশ্যক আলোচনা করুন ?
প্রশ্নঃ ১৯। একজন পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় কাহারো গৃহ তল্লাশী করিতে পারেন কি? গৃহ তল্লাশী করার পূর্বে , সময় এবং পরে কিকি নিয়ম পালন করিতে হয় ?
প্রশ্নঃ ২০। তল্লাশী কি? ডিউটিরত থাকা অবস্থায় সন্দেভাজন কোন স্থানে তল্লাশী করিয়া আপনি কিছু অবৈধ মালামাল উদ্ধার করলেন, আপনার করনীয় কি? 
প্রশ্নঃ ২১। সুরতহাল কি ? থানা হাজতে কোন আসামী মারা গেলে কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে করনীয় কি ?
প্রশ্নঃ ২২। (ক)পুলিশ আইন অনুযায়ী কাউকে গ্রেফতারের পূর্ব শর্ত গুলো কিকি ?
            (খ) হুলিয়া কাকে বলে ? হুলিয়া জারির পদ্ধতি আলোচনা করুণ?
            (গ)সমন কাকে বলে ? সমন জারির পদ্ধতি আলোচনা করুণ ?
প্রশ্নঃ ২৩। আমলযোগ্য অপরাধের মামলা আপনি  কিভাবে তদন্ত করবেন বর্ণনা করুন ?
প্রশ্নঃ ২৪। বেওয়ারিশ সম্পত্তি ও সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি এবং চোরাই সম্পত্তি কি ? আইনে কোন কোন ধারা বলে পুলিশে এইসব সম্পত্তি আটক করতে পারে ? কিভাবে এইরূপ সম্পত্তি নিষ্পত্তি করতে হয় আলোচনা কর?
প্রশ্নঃ ২৫। আইন সঙ্গত হেফাজত হতে আসামী পলায়ণ করলে পুলিশ অফিসারের করণীয় কি?
প্রশ্নঃ ২৬। পুলিশ কর্তৃক একজন গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির আইনগত অধিকারগুলো কিকি আলোচনা করুন ?
প্রশ্নঃ ২৭। থানায় আমল যোগ্য অপরাধের সংবাদ আসলে করনীয় কি? আমলযোগ্য অপরাধের সন্দেহের ক্ষেত্রে কী কার্যবিধি অনুসরণ করতে হয়?
প্রশ্নঃ ২৮। বেআইনী সমাবেশ বলতে কি বুঝ ? বৈধ সমাবেশ কি কখনো অবৈধ হতে পারে ? বৈধ সমাবেশ অবৈধ সমাবেশে পরিনত হলে ছত্র ভঙ্গ করার পূর্বে কর্বত্যরত পুলিশ অফিসারে দায়িত্ব কি ? অবৈধ সমাবেশে ছত্রভঙ্গ করার ক্ষেত্রে কিকি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।
প্রশ্নঃ ২৯। ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলতে কি বুঝ ? এর বিভিন্ন অংশ গুলো কিকি আলোচনা করুন ?
প্রশ্নঃ ৩০।
কমান্ড সার্টিফিকেট বলতে কি বুঝ? কোন কোন পদের অফিসারদের নামে ইস্যূ করা হয়ে থাকে?কোন কোন ক্ষেত্রে ইস্যূ করতে হয়? উহাতে কিকি বিষয় উল্লেখ থাকে ?

গুরুত্বপূর্ণ ১৫(পনের) টি পার্থক্য লিখুন।

            (১) অতিরিক্ত পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশ।
            (২) তদন্ত ও অনুসন্ধান।
(৩) সমন ও ওয়ারেন্ট।
(৪) ৩ বি.সি.এল এ্যাক্ট ও ৪ বি.সি.এল এ্যাক্ট।
(৫) দুশ্চরিত্র রোল এ এবং দুশ্চরিত্র রোল-বি।
           (৬) স্বীকৃতি ও স্বীকারোক্তি মধ্যে পাথক্য গুলো কিকি ?
           (৭) ধর্তব্য অপরাধ ও অধর্তব্য অপরাধ এর মধ্যে পার্থক্য লিখুন?           
           (৮) এজাহার ও সাধারণ ডায়রীর মধ্যে পার্থক্য গুলো কিকি ?
           (৯) মালখানা রেজিষ্টার ও সম্পত্তি রেজিষ্টার এর মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি?
           (১০) মৌখিক সাক্ষ্য ও দলিলী সাক্ষ্যর মধ্যে পার্খক্য লিখুন?

 টীকা লিখুনঃ

(১) সরকারী কর্মচারী (২) অস্থাবর সম্পত্তি (৩) অন্যায় লাভ
(৪) মৃত্যুকালীন জবানবন্দি (৫) মূল্যবান জামানত (৬) অপরাধ
(৭) হলফ (৮) সদবিশ্বাস ও সরলবিশ্বাস (৯) আশ্রয়দান
(১০) প্ররোচনা (১১) বন্ড বা মুচলেকা (১২) ক্রাইমসিন
(১৩) গণ-উপদ্রব (১৪) গুরুতর আঘাত (১৫) আক্রমন
(১৬) অন্যায় আটক বা অবৈধ অবরোধ (১৭) দাঙ্গা (১৮) তদন্ত 
(১৯) আলামত (২০) উঠান বৈঠক (২১) ডাকাতি
(২২)ধর্ষণ ২৩) চোরাইমাল বা উদ্ধারকৃত চোরাইমাল (২৪) বিশেষজ্ঞদের অভিমত
(২৫) ব্যভিচার (২৬) অধর্তব্য অপরাধ (২৭) মফস্বল ডায়েরী
(২৮) নালিশ (২৯) কমান্ড সার্টিফিকেট (৩০) কেস ডায়রী
(৩১) চার্জশিট (৩২) অনুসন্ধান (৩৩) চুড়ান্ত রিপোর্ট
(৩৪) অর্ধতব্য অপরাধ (৩৫) অনুসন্ধানপত্র (৩৬) হত্যামূলক ফাঁসি
(৩৭) মাদকদ্রব্য (৩৮) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (৩৯) অনিষ্ট
(৪০) ভিকটিম (৪১) ইভটিজিং (৪২) রাজসাক্ষী
(৪৩) ময়না তদন্ত রির্পোট (৪৪) মেনস্ রিয়া (৪৫)শ্রুতসাক্ষ্য
(৪৬) যৌতুক (৪৭)CDMS & CIMS
(৪৮) আগষ্ট লিস্ট
(৪৯) অতিরিক্ত পুলিশঃ (৫০) স্পেশাল পুলিশঃ



গুরুত্বপূর্ণ ৩০ (ত্রিশ) টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
================

প্রশ্নঃ ১: বৈধ জনতা কাবে বলে ? বৈধ জনতা কি অবৈধ হতে পারে ?


১ নং প্রশ্নের উত্তর

উত্তরঃ পুলিশ আইনের ৩০(৩) ধারা মতে লাইসেন্সের দরখাস্ত পেলে আবেদনকারীদের নাম উল্লেখ করে শর্তাবলী আরোপপূর্বক পুলিশ সুপার জনসমাবেশ করার জন্য লাইসেন্স মঞ্জুর করতে পারবেন। পুলিশ সুপারের নিকট হতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এ জনসভাকে বৈধ জনতা বলে।
পুলিশ আইনের ৩০-ক(১) ধারাঃ উক্ত জনসভা লাইসেন্সের কোন শর্ত ভঙ্গ করলে তখন যে কোন ম্যাজিষ্ট্রে, পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার কিংবা ইন্সপেক্টর বা থানার ওসি শোভাযাত্রা বা জনসভা বন্ধ করে দিতে পারেন এবং যোগদানকারী সকলকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দিতে পারেন।
পুলিশ আইনের ৩০-ক(২) ধারাঃ অনুরূপ কোন শোভাযাত্রা বা জনসভা বা সমাবেশ উক্ত আদেশ পালন করতে বা ছত্রভঙ্গ হতে অস্বীকার করলে তা অবৈধ জনতা বলে বিবেচিত হবে।

=========================================

প্রশ্নঃ ৮: আসামীর অজুহাত (এলিবাই) এবং সাক্ষের প্রাসঙ্গিকতা বলতে কি বুঝ ? আসামীর অজুহাত কখন আদালতে প্রাসঙ্গিক হয়?
২ নং প্রশ্নের উত্তর

আসামীর অজুহাত(এলিবাই):-যখন কোন আসামী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটির অপরাধ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক সাক্ষ্য তদন্তকারী অফিসার বা আদালতে উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায় তাকে আসামীর অজুহাত বা এলিবাই বলে। সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা মোতাবেক আসামীর অজুহাত বা এলিবাই প্রসঙ্গিক।
সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা
সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতাঃ- যে বিষয় গুলো সরাসরি বিচার্য নয় অথচ যাদের সাহায্যে বিচার্য বিষয় সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সহজ হয় সেই গুলোকে প্রাসঙ্গিক বিষয় বলে। প্রাসঙ্গিক মানেই কারো সাথে সম্পর্কিত। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা। সাক্ষ্য আইনের ৬ - ৫৫ ধারা পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়াদির বিবরণ দেওয়া আছে।
সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা, ফৌঃ কাঃ বিঃ ৩৪০ ধারা।
সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা অনুসারে নিম্ন লিখিত ক্ষেত্রে আসামীর অজুহাত আদালতে প্রাসঙ্গিক হয়। যেমনঃ
(১) আসামীর অজুহাত যদি বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষযের সাথে অমিল বা অসঙ্গতিপূর্ণ হয় তবে তা আদালতে প্রাসঙ্গিক।
(২) আসামীর অজুহাত যদি বিচার্য বিষযের সাথে মিলে এমন একটা ঘটনা সৃষ্টি করে যা বিচার্য ঘটনা বা প্রাসঙ্গিক ঘটনা অস্থিত্বহীনতাকে অধিক সম্ভব বা অসম্ভব করে তোলে তবে তা আদালতে প্রাসঙ্গিক।
সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা।

উদাহরণঃ
প্রশ্ন হচ্ছে একটি নিদিষ্ট সময়ে সাইকুল নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানায় অপরাধ  করেছে কিনা। ঐ সময় সাইকুল ঢাকায় ছিল ইহা প্রাসঙ্গিক ঘটনা। যে সময় ঘটনাটি সংঘটিত হয় তার নিকটবর্তী সময়ে সাইকুল ঘটনাস্থল হইতে এরূপ দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করছিল যে তার পক্ষে উক্ত অপরাধ করা সম্ভব না হলেও বহুলাংশে অসম্ভব ছিল ইহা একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
 সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা।

==========================================

প্রশ্নঃ ৩: সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকারের আরম্ভ ও স্থিতিকাল আলোচনা কররুন।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
যখন কোন সম্পত্তির উপর অন্যায়ভাবে আক্রমন করে ঠিক তখনই সম্পত্তি রক্ষার জন্য সম্পত্তি প্রতিরক্ষা অধিকার শুরু হয়। সম্পত্তির উপর আক্রমনকারীর আক্রমন যতক্ষন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে সম্পত্তি প্রতিরক্ষা অধিকার ততোক্ষন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আক্রমনকারীর আক্রমন সম্পত্তির উপর শেষ হয়ে গেলে বা সম্পত্তি পুনরুদ্ধার হলে সম্পত্তি উপর প্রতিরক্ষা অধিকারও শেষ হয়ে যাবে। দঃবিঃ ১০৫ ধারা।

============================================

প্রশ্নঃ ৪: একটি ত্রুটিমুক্ত এজাহারের বৈশিষ্ট্য কিকি ?
৪ নং প্রশ্নের উত্তর

একটি ত্রুটিমুক্ত এজাহারের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নরূপঃ
(১) এজাহারে সংবাদটি আমলযোগ্য হতে হবে।
(২) এজাহারটি অবশ্যই লিখিত অভিযোগ হতে হবে।
(৩) অভিযোগকারীর স্বাক্ষর বা টিপ সই থাকতে হবে।
(৪) থানার মাসিক এবং বাৎসরিক ক্রমিক নাম্বার থাকতে হবে।
(৫)রেকর্ডকারী অফিসারের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
(৬)ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকতে হবে।
(৭) ঘটনার স্থান প্রন্থা পরিস্কার ভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
(৮) থানায় রেকর্ড করার তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকতে হবে।
(৯) অভিযোগকারীর পূনাঙ্গ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হবে।
(১০) অপরাধীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
(১১) ঘটনাস্থলের নাম, মৌজা নং হতে দিক ও দূরত্ব উল্লেখ করতে হবে।
(১২) ধারাসহ অভিযোগ লুন্ঠিত মালামালের বিবরণ উল্লেখ করতে হবে ।
(১৩) অপরাধ কাজে ব্যবহৃত কোন বস্তু যদি থাকে বা পাওয়া যায় তার বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।
(১৪) কি কাজ, কে, কখন, কিভাবে, কিসের দ্বারা সম্পাদন করল তা উল্লেখ করতে হবে।
(১৫) এজাহার বিলম্বে রের্কড করার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।

============================================

প্রশ্নঃ ৫: পুলিশের প্রধান কর্তব্য কি কি ?
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
১৮৬১ সালে পুলিশ আইনের ২৩ ধারা মোতাবেক পুলিশ কর্মচারীর কর্তব্য সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলঃ-
(১ ) উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষের সকল বৈধ আদেশ পালন করা।
(২) কর্তৃপক্ষের বৈধ পরোয়ানা কার্যকরী করা।
(৩) জনসাধারনের শান্তি সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ করা এবং যথাস্থানে তার প্রতিবেদন পেশ করা।
(৪) অপরাধ নিবারণ করা ।
(৫) জনসাধারণের বিরক্তকর কার্য নিবারণ করা।
(৬) অপরাধের বৃত্তান্ত অনুসন্ধান বা উদঘাটন করা ।
(৭) অপরাধীকে বিচারার্থে আদালতে সোপর্দ করা।
(৮) গ্রেফতারযোগ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা।
পুলিশ আইন ২৩ ধারা,পিআরবি ১১৭,১১৮ বিধি।

তাছড়াও পুলিশ অফিসার কোন বেওয়ারিশ বা দাবীদারহীণ কোন সম্পত্তি পেলে পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হবে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩ ধারা মোতাবেক জব্দ তালিকা তৈরি করে নিজ হেফাজতে নেওয়া এবং থানায় ফেরত এসে জিডিতে এন্ট্রি  করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো। পুলিশ আইন ২৫ ধারা, ফৌঃ কাঃ ৫২৩ ধারা, পিআরবি ৩৭৯ বিধি।
হাট, বাজার বা কোন জনসমাগমের স্থানে শান্তি শৃঙ্খল রক্ষা করা পুলিশ অফসারের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে।
পুলিশ আইন ৩১ ধারা, পিআরবি ১৪১ বিধি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি জেনারেল ডায়রী রাখবেন। এই ডায়রীতে পুলিশের আচার আচারণ, মানুষ, গরু মহিষ হারানো সংবাদ, জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দূরোগ্য, মহমারী, অগ্নিসংযোগ, এলাকার পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করা ও যথাস্থানে রিপোর্ট প্রদান করা।
পুলিশ আইন ৪৪ ধারা, ফৌঃ কাঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা, পিআরবি ৩৭৭ বিধি।

প্রত্যেক পুলিশ অফিসার কোন আমলযোগ্য সংবাদ পাইলে যথাসাধ্য চেষ্টা করে নিবারণ করা। এইরূপ সংবাদ জানতে পারলে বা হওয়ার সম্ভবনা থাকলে সাথে সাথে উদ্ধর্তণ অফিসারদের অবগত করতে হবে। পুলিশ আইন ২৩ ধারা,ফৌঃ কাঃ ১৪৯,১৫০ ধারা, পিআরবি ১২০ বিধি।

========================================

প্রশ্নঃ ৬: সমাবেশ করার জন্য আরোপিত শর্ত ভঙ্গ করিলে উক্ত সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার জন্য থানার এএসআই কি নির্দেশ দিতে পারে ?

৬ নং প্রশ্নের উত্তর

১৮৯৮ সালে প্রণীত ফৌঃকাঃ ১২৭ ধারা অনুসারে উল্লেখিত প্রশ্নের আলোকে আরোপিত শর্ত অমান্য বা ভঙ্গ করিয়া সমাবেশ করিলে উক্ত সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র থানার অফিসার ইনচার্জেরই রহিয়াছে।

তবে যদি থানার অফিসার ইনচার্জ অথবা এসআই পদের পুলিশ অফিসার অনুপস্থিত থাকে, সেই ক্ষেত্রে থানার একজন এএসআইও ফৌঃকাঃ আইনের ৪(ত) ধারা ও পিআরবি ২০৭(গ) বিধি অনুসারে থানার দায়িত্ব পালন করার সময় যে কোন সমাবেশ আরোপিত শর্ত ভঙ্গ করিয়া সমাবেশ করিলে সেই সমাবেশকে থানার এএসআই ছত্রভঙ্গ হওয়ার জন্য আদেশ দিতে পারে।

ফৌঃকাঃ আইনের ১২৭ ধারা, পুলিশ আইনের ৩০-ক (১) ধারা, পিআরবি ১৪২ বিধি।
===============================

প্রশ্নঃ ৭: একজন পুলিশ অফিসার কোন ধারার ক্ষমতা বলে যানবাহনের কাগজ পত্র পরিদর্শণ ও আটক করতে পারে?

৭ নং প্রশ্নের উত্তর
মোটরযান আইনের ১০১ ধারা মোতাবেক পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদা সম্পন্ন  যিনি সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইউনিফরমদারী পুলিশ অফিসার সন্দেহ হলে গাড়ীর কাগজপত্র পরিদর্শন করতে পারেন।
মোটরযান আইনের ১০১ ধারা।

মোটরযান আইনের ১৬১ ধারা মোতাবেক সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পুলিশ অফিসার যদি মনে করেন যে, কোন গাড়ীর প্রদর্শিত কাগজপত্র দঃবিঃ আইনের ৪৬৪ ধারা মোতাবেক মিথ্যা তাহলে তিনি উক্ত কাগজপত্র আটক করতে পারেন।
মোটরযান আইনের ১৬১ ধারা, দঃবিঃ আইনের ৪৬৪ ধারা।
============================

প্রশ্নঃ ৮: নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হবার সম্ভবনার ক্ষেত্রে মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার সমূহ বর্ণনা করুন।

৮ নং প্রশ্নের উত্তর
নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হবার সম্ভবনার ক্ষেত্রে মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ-
দন্ডবিধি ১০৬ ধারা মোতাবেক নিরাপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করিলে কোন অপরাধ হবে না।
উদাহরণঃ-যেমন কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা চলকালীন সময়ে যদি পাঁচ জন পুলিশ সদস্য ২০০/৩০০ জন দাঙ্গা সদস্যের ভীড়ে এমন ভাবে আক্রমনের শিকার হয় যে,তাতে মৃত্যু অনিবার্য, সেই ক্ষেত্রে ছোট ছোট শিশুর মৃতুর ঝুঁকি নিয়েও গুলি করলে কোন অপরাধ হবে না। হত্যা প্রয়সী লোক গুলোর হাত হতে বাচাঁর জন্য সকল প্রকার আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বন করতে পারবেন। দাঃবিঃ ৯৬,৯৭,১০৬ ধারা, শর্ত সাপেক্ষে দঃবিঃ ৯৯ ধারা

===============================

প্রশ্নঃ ৯: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তল্লাশী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি ?
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তল্লাশী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসারের নিম্নলিখিত কাজ গুলো করনীয়ঃ-
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তল্লাশী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসার পুলিশ আইনের ২৪ ধারা অনুযায়ী আদালতের নিকট তল্লাশী পরোয়ানা জন্য আবেদন করবেন।
পুলিশ আইনের ২৪ ধারা,পিআরবি ২১৩ বিধি।

অস্ত্র আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী আদালত কর্তৃক তল্লাশী পরোয়ানা প্রাপ্তির উক্ত পরোয়ানা বলে পুলিশ অফিসার তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।মামলার সাথে জড়িত কোন অস্ত্রের জন্য তল্লাশীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তল্লাশী পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।অস্ত্র পাওয়া গেলে উহা আটক করতে পারেন।
 ফৌঃকাঃ ১৬৫,১৬৬ ধারা, পুলিশ আইনের ২৫ ধারা, পিআরবি ২৮০(খ),২৮০(গ) বিধি।

============================

প্রশ্নঃ১০:  স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে কিকি ধরণের কলহ,বিবাদ দেখা দেয় ?

১০ নং প্রশ্নের উত্তর

স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে নিম্নলিখিত কারণে কলহ বিবাদ দেখা দেয়।
১। স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা ও দখল নিয়ে আত্বীয় স্বজনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
২। স্থাবর সম্পত্তির বন্টন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
৩। স্থাবর  সম্পত্তির সীমানার নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
৪। জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ পএ তৈরি করার কারণে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
৫। স্থাবর সম্পত্তির ফসল কাটা ও পানি সেচ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে নিম্নলিখিত অপরাধ সংঘটিত হয়।
১। বে-আইনি সমাবেশ সংঘটিত হয়। দন্ড বিধি আইনের ১৪৩ ধারার অপরাধ।
২। দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়।দন্ড বিধি আইনের ১৪৭/১৪৮ ধারার অপরাধ।
৩। পরস্পরের মধ্যে কলহের ঘটনা ঘটে।দন্ড বিধি আইনের ১৫৯ ধারার অপরাধ।
৪। অনধিকার প্রবেশ।দন্ড বিধি আইনের ৪৪৭/৪৪৮ ধারার অপরাধ।
৫। ফসল চুরি। দন্ড বিধি আইনের ৩৭৯ ধারার অপরাধ।
৬। স্থাবর সম্পত্তিতে বিদ্যমান থাকা দালান ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতি সাধন।দন্ড বিধি আইনের ৪৩৬ ধারার অপরাধ।
৭। স্থাবর সম্পত্তির ফসল ক্ষতি বা অনিষ্ট করা দন্ড বিধি আইনের ৪২৭ ধারার অপরাধ ।
৮। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে সাধারণ জখম যা।দন্ড বিধি আইনের ৩২৩ ধারার অপরাধ।
৯। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে মারাত্বক জখম।দন্ড বিধি আইনের ৩২৪ ধারার অপরাধ ।
১০। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে গুরু তর জখম।দন্ড বিধি আইনের ৩২৫/৩২৬ ধারার অপরাধ ।
১১। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে কোন কোন সময়ে খুন ও সংঘটিত হয়।দন্ড বিধি আইনের ৩০২ ধারার অপরাধ।

==============================

     



 প্রশ্নঃ ১১: গৃহ তল্লাশীর বিধান কি ?
               
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
 গৃহ তল্লাশীর বিধান নিম্নে আলোচন করা হলঃ-
ফৌঃকাঃ আইনের ১০২,১০৩,১৬৫,১৬৬, ধারা পিআরবি ২৮০বিধি পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা মাদক দ্রব্য আইনের ৩৬ ধারা মূলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর চোরাইমাল উদ্ধার,আসামী গ্রেফতার সংক্রান্তে গৃহ তল্লাশী করতে পারে।

===========================


প্রশ্ন: ১২: বিনা পরোয়ানায় তল্লাশীর নিয়ম কি ?
                       অথবা
            বিনা সার্চ ওয়ারেন্টে তল্লাশী করা যায় কি ?
১২ নং প্রশ্নের উত্তর

বিনা পরোয়ানায় তল্লাশীর বিধান নিম্নে আলোচন করা হলঃ-
ফৌঃকাঃ আইনের ৪৭,১৫৩,১৬৫, ১৬৬ ধারা, পিআরবি ২৮০বিধি, পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা, জুয়া আইনের ৫ ধারা, মাদক দ্রব্য আইনের ৩৬ ধারা, অফিম আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার যে কোন স্থানে বিনা-পরোয়ানা তল্লাশী করতে পারেন।

===========================

প্রশ্নঃ ১৩: গ্রেফতার ব্যতীত একজন ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করা যায় কি?

১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
গ্রেফতার ব্যতীত একজন ব্যক্তির নিম্নলিখিত ভাবে দেহ তল্লাশী করা যায়ঃ-
ফৌঃকাঃ আইনের 102(3) ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তির নিকট সন্ধিগ্ধ মালামাল বা চোরাইমাল রয়েছে বলে সন্দেহ হলে অথবা যে বস্তু সম্পর্কে তল্লাশী হওয়া উচিত সেই বস্তুটি উক্ত স্থানে বা স্থানের নিকট কোন ব্যক্তির শরীরে লুকায়িত আছে বলে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ হলে একজন পুলিশ অফিসার গ্রেফতার ছাড়াই তার দেহ তল্লাশী করতে পারবেন।
ফৌঃকাঃ ১০২,৫৫০ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি, ডিএমপি অধ্যাদেশ ২০।

===========================

প্রশ্নঃ ১৪: পুলিশ অফিসারের সাক্ষী তলব করার ক্ষমতা বর্ণনা কর।

১৪ নং প্রশ্নের উত্তর

উত্তরঃ পুলিশ অফিসার নিম্ন লিখিত ক্ষেত্রে সমন ইস্যু করে সাক্ষী তলব করতে পারেনঃ-
১। থানার ওসি কোন তদন্ত বা অনুসন্ধানকালে যদি কোন দলিলপত্র বা কোন জিনিসপত্র হাজিরের প্রয়োজন মনে করেন সেক্ষেত্রে তিনি ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৪ ধারা মতে সমন ইস্যু করতে পারেন।
২। মামলা তদন্তকালে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬০ ধারা মতে সাক্ষীকে হাজিরের জন্য সমন ইস্যু করতে পারেন।
৩। পুলিশ অফিসার কোন স্থান তল্লাশিকালে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(১) ধারা মতে দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে হাজিরের জন্য সমন ইস্যু করতে পারেন।
৪। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কোন অপমৃত্যু মামলা তদন্তকালে লাশের সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী হওয়ার জন্য দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৫ ধারা মতে সমন ইস্যু করে তলব করতে পারেন।
==================================


প্রশ্নঃ ১৫:  পুলিশেল নিকট স্বীকারোক্তি আদালতে প্রমান করা যায় কি ?

১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
 সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারা অনুসারে পুলিশ অফিসারের নিকট প্রদত্ত স্বীকারোক্তি আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে প্রমান করা যায় না।
সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারা।

সাক্ষ্য আইনের ২৬ ধারা অনুসারে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামীর স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার সময় যদি ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত থাকে তাহলে এ ধরনের স্বীকারোক্তি আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রমান করা যায়।
সাক্ষ্য আইনের ২৬ ধারা, পিআরবি-২৮৩ বিধি।

সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারা অনুসারে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে যতটা তথ্য বা আলামত পাওয়া যাবে ঠিক ততটুকুই তথ্য বা আলামত আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রমান করা যাবে।
সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারা, পিআরবি-২৯৭ বিধি।

==================================

প্রশ্নঃ ১৬: মৃতুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর সে যদি প্রাণে বেচে যায়, তাহলে উক্ত মৃতুকালীণ জবানবন্দির আইনগত মূল্য কতটুকু ? 

১৬ নং প্রশ্নের উত্তর

মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর সে যদি প্রানে বেঁচে যায় তাহলে তার মৃত্যুকালীন জবানবিন্দ আইনগত মূল্য কতটুকু তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ-
মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর সে যদি প্রানে বেঁচে যায় তাহলে তার মৃত্যুকালীন জবানবিন্দ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা প্রদত্ত বিবৃতি হিসাবে গণ্য হবে। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারার অধীনে সেই বিবৃতি আর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি হিসাবে আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না । তবে আদালত প্রদত্ত মৃত্যুকালীন জবানবন্দি সমার্থনের জন্য সাক্ষ্য আইনের ১৫৭ ধারা, পূর্ববর্তী বিবৃতি খন্ডনের জন্য সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারা, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১,১৬২ ধারা এবং পিআরবি ২৬৬ বিধি অনুসারে আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

ফৌঃ কাঃ১৬১,১৬২, ১৬৪ ধারা, সাক্ষ্য আইন ৩২(১),১৪৫,১৫৭ ধারা, পিআরবি ২৬৬ বিধি।

==============================

প্রশ্নঃ ১৭: পুলিশ কি লাইন্সেসধারী ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে পারে ?
১৭: নং প্রশ্নের উত্তর
লাইন্সেসধারী ব্যক্তি যদি সন্দেহজনকভাবে অন্ত্র বহন করে সেই ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনের ১২ ধারা মোতাবেক যে কোন ব্যক্তি তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন এবং তার নিকট থেকে বহনকৃত অস্ত্র কেড়ে নিতে পারেন।গ্রেফতারকারী ব্যক্তি পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেট না হলে সেক্ষেত্রে তিনি গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ অবিলম্বে কোন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট হাজির করবেন। অতঃপর উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ধৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হাজির করবেন।
অস্ত্র আইনের ১২ ধারা।

================================

প্রশ্ন ১৮:  কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালনা করলে কোন ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ?

১৮ নং প্রশ্নের উত্তর

কোন ব্যক্তি লাইসেন্স  ব্যতীত মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালনা করলে নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ?
 মোটরযান আইনের ৩ ধারা মোতাবেক মোটরযান চালানোর জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা একান্ত প্রয়োজন। কারণ কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে মোটরযান চালাতে পারে না। তাই মোটরযান আইনের ৩ ধারা মোতাবেক মোটরযান চালানোর সময় চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চাললে মোটরযান আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক শাস্তি ভোগ করতে হবে।
 মোটরযান আইনের ৩,১৩৮ ধারা।

কোন গাড়ী চালক যদি মদ্যপান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে বা মাতাল অবস্থায় গাড়ী চালায়  তবে সেটা মোটরযান আইনের দন্ডনীয় অপরাধ।
 মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারা।
================================

প্রশ্ন:১৯: আমলের অযোগ্য মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারের  করনীয় কি ? এরূপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কি পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে?
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর

 পুলিশ অফিসার ম্যাজিষ্ট্রেটের বিনা অনুমতিতে আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারেনা। ফৌঃকাঃ বিঃ ১৫৫(২) উপধারা অনুসারে আমলের অযোগ্য অপরাধেরর সংবাদ থানায় এলে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে এরূপ ঘটনার বিচারের ক্ষমতা সম্পন্ন কোনো ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উক্ত ঘটনার তদন্তের অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে। বিনা-পরোয়ানায় আমলের অযোগ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যাবে না।
কাঃবিঃ ১৫৫(৩) উপধারা।
ম্যাজিষ্ট্রেট আমলের অযোগ্য মামলা তদন্তের জন্য লিখিত আদেশ প্রধান করলে এ ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারবেন। আমলের অযোগ্য অপরাধ সত্য বলে প্রতীয়মান হলে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য নন এফ আই আর প্রশিকিউশন কোর্টে দাখিল করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতকে অবহিত করতে হবে।
ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫৫ ধারা,পিআরবি ২৫৪,২৬৮ বিধি।



================================





প্রশ্ন: ২০: এএসআই কি আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারে? যদি পারে কোন কোন ক্ষেত্রে ?

২০ নং প্রশ্নের উত্তর
একজন এএসআই  নিম্ন লিখিত পদ্ধতি আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারেন?

পুলিশ অফিসার ম্যাজিষ্ট্রেটের বিনা অনুমতিতে আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারেন না। ফৌঃকাঃ বিঃ ১৫৫(২) উপধারা অনুসারে আমলের অযোগ্য অপরাধেরর সংবাদ থানায় এলে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে এরূপ ঘটনার বিচারের ক্ষমতা সম্পন্ন কোনো ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উক্ত ঘটনার তদন্তের অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে। বিনা-পরোয়ানায় আমলের অযোগ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যাবে না।
কাঃবিঃ ১৫৫(৩) উপধারা।

ম্যাজিষ্ট্রেট আমলের অযোগ্য মামলা তদন্তের জন্য লিখিত আদেশ প্রধান করলে এ ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আমলের অযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারবেন। আমলের অযোগ্য অপরাধ সত্য বলে প্রতীয়মান হলে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য নন এফ আই আর প্রশিকিউশন কোর্টে দাখিল করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতকে অবহিত করতে হবে।
ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫৫ ধারা,পিআরবি ২৫৪,২৬৮ বিধি।
থানায় কর্মরত একজন এএসআই এই ধরনের মামলা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত তদন্ত করতে পারেন।
 পিআরিবি ২০৭(গ) বিধি।

========================================

প্রশ্ন: ২১ : থানার মুল্যবান রেজিস্টার গুলো কিকি ? এই গুলোর প্রয়োজনীয়তা কি?

 

২১ নং প্রশ্নের উত্তর
থানার মূল্যবান রেজিস্টার গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হইল।
১.এজাহারঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ,পিআরবি ২৪৩ বিধি ।
২.জেনারেল ডায়েরীঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪,১৫৫ ধারা ,পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা পিআরবি ৩৭৭ বিধি।
৩.পত্র প্রাপ্তি ও প্রেরিত রেজিস্টারঃ পিআরবি ৩৭৬ বিধি।
৪.কনভেকশন রেজিস্টারঃ পিআরবি ৩৭৮ বিধি।
৫. সম্পত্তি রেজিস্টারঃ পিআরবি ৩৭৯ বিধি।
৬.খতিয়ন পরিদর্শন রেজিস্টারঃ পিআরবি ৩৮০ বিধি।
৭.জরিমানা ও ওয়ারেন্ট রেজিস্টারঃ পিআরবি ৩৮২ বিধি।
৮.ভিসিএনবি রেজিস্টারঃ পিআরবি ৩৯১ বিধি।
৯.ডিউটি রেজিস্টারঃ পিআরবি ৯০৮ বিধি।
১০.থানা পরিদর্শন রেজিস্টারঃ পিআরবি ১১১২ বিধি।
প্রয়োজনীয়তাঃ
পুলিশ প্রশাসনের নিকট এইরূপ রেজিস্টার গুলো থাকলে অপরাধীদের বিবরণ রেকর্ডসহ সকল প্রকার তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং পরবর্তীতে অপরাধীদের অনুসন্ধান, দমন ,গ্রেফতার করা সহজ হয়। তাই উপরোক্ত রেজিস্টার গুলোকে অপরাধদের ইতিহাসে অব্যাহত স্থায়ী রেকর্ড ও তথ্য ভান্ডার বলা হয়।

========================================

প্রশ্ন: ২২: চুড়ান্ত প্রতিবেদন কি? উহা কত প্রকার ও কিকি?


২২ নং প্রশ্নের উত্তর

 চুড়ান্ত প্রতিবেদনঃ যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা  মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন বলে।
 ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।

চুড়ান্ত প্রতিবেদন ৫(পাঁচ) প্রকারঃ- যেমন,
(ক) চুড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য।
(খ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন মিথ্যা।
(গ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন তথ্যগত ভুল।
(ঘ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন আইনগত ভুল।
(ঙ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন আমলের অযোগ্য।

ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।

========================================

প্রশ্ন: ২৩: একজন এএসআই কি ধর্তব্য অপরাধ তদন্ত করতে পারে ?

 

২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
একজন এএসআই  কোন ধর্তব্য অপরাধের মামলা তদন্ত করতে পারেন না। তবে ফৌজদারী কাযবিধি আইনের ১৭৪ ধারা অনুযায়ী এএসআই অস্বাভাবিক মৃত্যু বা ইউডি কেইসের ঘটনা তদন্ত করতে পারেন। তাছাড়া জরুরী অবস্থায় উদ্ধর্তন কর্মকর্তার নির্দেশে একজন এএসআই  যে কোন মামলা তদন্ত করতে পারেন।

ফৌজদারী কাযবিধি আইনের ১৭৪ ধারা,
পিআরবি-২০৭(গ),২৫৫(খ), ৩০০(ক) বিধি।
========================================

প্রশ্ন: ২৪: একটি নুমনা জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে দেখাও ?  

২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
একটি নমুনা জব্দ তালিকা নিম্নে প্রস্তুত করে দেখানো হলঃ-

১। সূত্রঃ- ডেমরা থানার সাধারণ ডায়েরী নং ৩৭৩, তাং ০৮/০৫/২০১৮ইং।
২। জব্দ করার তারিখ ও সময়ঃ- ইং ০৮/০৫/২০১৮ তারিখ, সময়ঃ ২২.৪৫ঘটিকা।
৩। জব্দ করার স্থানের বিবরণঃ- ডেমরা থানাধীণ রানীমহল সিনেমা হলের সামনে পাকা রাস্তার উপর।

৪। সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানাঃ-
    (ক) মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩০),
     পিতা-জব্বার আলী,
    মাতা-হরমুন নেছা,
    গ্রাম- সিনেমা হলের পাশে সবুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া,
    থানা-ডেমরা,ঢাকা।

    (খ) মোঃ বাবুল (৪০),
     পিতা-বাবর আলী,
    মাতা-মুনমুন,
    গ্রাম- সিনেমা হলের পাশে কামাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া,
    থানা-ডেমরা, ঢাকা।

    (গ) কং/৫৭৭০ মোঃ মোকছেদ মিয়া,ডেমরা থানা,ডিএমপি,ঢাকা।


৫। জব্দকৃত মালামালের বিবরণঃ- একটি ছোট পলিথিনের জিপারের ভিতর  রক্ষিত  ২০(বিশ) পিচ কথিত হালকা লালচে রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট।যাহার ওজন অনুমান ১.৮৬ গ্রাম। যাহার মূ্ল্য অনুমান ৪,০০০/-টাকা।

উক্ত আলামত ধৃত  আসামী মোঃ আনোয়ার (২২) পিতা: মৃত নাজিম উদ্দিন,মাতা-আম্বিয়া খাতুন,সাং চেংগাইল ষ্ট্যান্ডের সাথে থানা-বন্দর,জেলা-নারায়ণগঞ্জ এর পরিহিত লুঙ্গির ডান কোচা হইতে আসামীর নিহ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া মদে সাক্ষীদের উপস্থিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হইল।
৬। সাক্ষীদের স্বাক্ষরঃ- (ক) মোঃ শরিফুল ইসলাম,  (খ) মোঃ বাবুল (গ) কং/৫৭৭০ মোকছেদ

৭। জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী অফিসারের নাম,পদবী ও ঠিকানাঃ- এএসআই/মোঃ সাইকুল ইসলাম,ডেমরা থানা,ডিএমপি,ঢাকা।

১৮৯৮ সালে প্রনীত ফৌঃকাঃ আইনের ১০৩(২ ) ধারা,পিআরবি ২৮০,৪৬৫465 বিধি আলোকে উপরোল্লিখিত বিষয় গুলো একটি পূর্ণাঙ্গ জব্দ তালিকায় উল্লেখ থাকে।
========================================

প্রশ্ন: ২৫: পুলিশ রিমান্ড বলতে কি বুঝ ?
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর

পুলিশ রিমান্ডঃ-ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬১ ধারা অনুসারে কোন আসামীকে ২৪ ঘন্টার অধিক সময় আটক রাখা যাবে না। তবে যদি তদন্তকারী অফিসার মনে করে যে, উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরাইমাল উদ্ধার, অপরাধের তথ্য উদঘাটন করা ও সনাক্তকরণ করা যাবে, সেই ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসার জিডি করে জিডির কপি সহ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করবেন। আবেদন প্রাপ্তির পর ম্যাজিষ্টেট যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ মনে করেন তাহলে ম্যাজিষ্টেট আসামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিবেন। এই নির্দেশ দেয়াকে পুলিশ রিমান্ড বলে।
ফৌঃ কাঃ ৬১,১৬৭ ধারা,
পুলিশ আইন ২৪ ধারা,
পিআরবি ৩২৪,২১৩ বিধি।
========================================

প্রশ্ন: ২৬: জেনারেল ডায়েরী কাকে বলে?
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর

জেনারেল ডায়েরীঃ জেনারেল ডায়েরী হল ২০০ পাতা বিশিষ্ট একটি মূল্যবান রেজিস্টার। যা ১৮৬১ সালে পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪,১৫৫ ধারা পিআরবি ৩৭৭ বিধি মূলে বিপি নং ৬৫ বাংলাদেশ ফরম নং ৬৩৬৫ এ প্রত্যেক থানা ফাঁড়িতে যে রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে জেনারেল ডায়েরী বলে।
পুলিশ আইন ৪৪ ধারা,
ফৌঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা,
পিআরবি ৩৭৭ বিধি।

========================================

প্রশ্ন: ২৭: হঠাৎ তল্লশীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসার কি তল্লশী পরোয়ানা ইস্যূ করতে পারে ?

২৭ নং প্রশ্নের উত্তর

তল্লাশীর প্রয়োজনীতা দেখা দিলে পুলিশ অফিসারের করনীয় হলো পুলিশ আইনের ২৪ ধারা অনুযায়ী আদালতের নিকট তল্লাশী পরোয়ানার জন্য আবেদন করবেন।  (পিআরবি-২১৩বিধি)।

হঠাৎ তল্লশীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পুলিশ অফিসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তল্লাশী পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশী কাযক্রম পরিচালনা করতে পারেন। ফৌঃ ১৬৫,১৬৬ ধারা এবং ,পিআরবি ২৮০ বিধি।

 মামলার তদন্তকালে পুলিশ কর্মকর্তা  মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বস্তু উদ্ধারের জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী চালাতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ফৌঃ ১০২,১০৩ ধারার এবং ,পিআরবি ২৮০ বিধি অনুসরণ করতে হবে।

উপরোক্ত কারণ ছাড়াই পুলিশ অফিসার জুয়া আইনের ৫ ধারা  জেলা পুলিশ সুপার তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যূ করতে পারেন এবং জুয়ার সকল সরঞ্জামাদি নিজের হেফাজতে নিতে পারেন। তাছাড়া পশু আইনের ৮ ধারা তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যূ করিতে পারেন।

কোন অপরাধমূলক কাগজপত্র বা জিনিসপত্র কোথাও লুকানো আছে এমন সংবাদ জানতে পারলে তৎক্ষনাৎ পুলিশ সুপার উক্ত স্থান তল্লাশির জন্য সরকারী গোপনীয়তা আইনের ১১(২) ধারা মতে তল্লাশি পরোয়ানা ইস্যু করতে পারেন।
ফৌঃ ১৬৫(৩) ধারা এবং,
পিআরবি ২৮০ বিধি।
সরকারী গোপনীয়তা আইনের ১১(২) ধারা।

========================================

প্রশ্ন ২৮: ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? কেন ড্রাইভিং লাইন্সের প্রয়োজন হয়? ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কি অপরাধ?

            ২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
 ড্রাইভিং লাইসেন্সের অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি মোটরযান যা কোন নির্দিষ্ট শ্রেনীর মোটরযান চালাবার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রদত্ত দলিল। মোটরযান আইনের ২(১০) ধারা।
কোন ব্যক্তি গাড়ী চালাবার জন্য তাকে কর্তৃত্ব দান করে প্রদত্ত কার্যকর একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ না করে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে কোন মোটরযান চালাবে না। মোটরযান চালানোর জন্য যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত লাইসেন্স বিশেষ প্রয়োজন। মোটরযান আইনের ৩ ধারা।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালনা করলে মোটরযান আইনের ১৩৮ ধারা মতে অপরাধ।

মোটরযান আইনের ২(১০),৩,১৩৮ ধারা।
========================================

প্রশ্ন ২৯:জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি কি আলোচনা করুন ?
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর


জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি নিম্নরূপঃ
(ক) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(১) ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০ মতে পুলিশ অফিসার বা ক্ষমতাবান অন্য কোন অফিসার দুই বা ততোধিক সম্মানিত অধিবাসীকে তলব করে তল্লাশিতে হাজির থাকার জন্য এবং সাক্ষী হওয়ার জন্য আহবান জানাবেন।
(খ) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০ মতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুলিশ অফিসার তল্লাশি চালাবেন। আটক সমস্ত জিনিসপত্রের ৩ কপি তালিকা প্রস্তুত করে তাতে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিবেন। জব্দকারী পুলিশ অফিসার নিজেও তাতে স্বাক্ষর করবেন।
(গ) জব্দ তালিকা সাক্ষ্য আইনের ৯ ধারা মতে প্রাসঙ্গিক ঘটনার ব্যাখ্যা বা উপস্থাপনার জন্য আদালতে প্রাসঙ্গিক।
(ঘ) সাক্ষ্য আইনের ৩৫ ধারা মতে পুলিশ অফিসারের কর্তব্য সম্পাদনকালে সরকারী দলিলে লিপিবদ্ধ বিষয় হিসেবে জব্দ তালিকা আদালতে প্রাসঙ্গিক।
(ঙ) সাক্ষ্য আইনের ৭৪ ধারা মতে জব্দ তালিকা সরকারী দলিল হিসেবে আদালতে গ্রহনীয়।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(১),১০৩(২) ধারা
 পিআরবি বিধি ২৮০,
সাক্ষ্য আইনের ৯,৪৫,৭৪ ধারা।

========================================


প্রশ্ন ৩০: জনসাধারণ একজন  ব্যক্তিকে কোন কোন পর্যায়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে?
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর

উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৯ ধারা মতে জনসাধারণের সামনে যদি কোন ব্যক্তি জামিনের অযোগ্য বা কোন ধর্তব্য অপরাধ করে তাহলে জনসাধারণ এরূপ ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে নিকটতম পুলিশ অফিসারের নিকট প্রেরণ করতে হবে। পুলিশ অফিসার যদি নিকটে না থাকেন, তাহলে আসামীকে নিকটতম থানা পুলিশের হেফাজতে প্রেরণ করতে হবে। অস্ত্র আইনের ১২ ধারা, হুলিয়া জারীকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৭, ৮৮ ধারা।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৯,৮৭,৮৮ ধারা
অস্ত্র আইনের ১২ ধারা,

========================================

গুরুত্বপূর্ণ ৩০ (ত্রিশ) টি রচনামুলক প্রশ্নোত্তরঃ-
প্রশ্নঃ ১। (ক) আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলতে কি বুঝেন ?
                                       ১ নং প্রশ্নের উত্তর (ক)
আত্মরক্ষার সংজ্ঞাঃ  নিজের জানমাল, অপরের জানমাল ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দন্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে আক্রমণকারীর আক্রমন প্রতিহিত করার জন্য যে শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাকেই আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলে। দঃবিঃ ৯৬, ৯৭ ধারা।
========================================================
প্রশ্নঃ ১: (খ) দেহ ও সম্পতি রক্ষা করার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পযর্ন্ত ঘটানো যায় কি ? আলোচনা করুন।
                                       ১ নং প্রশ্নের উত্তর (খ)

দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে দন্ডবিধি আইনের ১০০ ধারায় নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে আক্রমণকারীর মৃত্যু ঘটানো যাবে।
দেহ রক্ষার ক্ষেত্রেঃ-
১। মৃত্যু ঘটানোর জন্য আক্রমন করলে ।
২। গুরুতর আঘাত ঘটানোর জন্য আক্রমণ করলে ।
৩। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আঘাত বা আক্রমন করলে ।
৪। অপ্রাকৃত কামলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে ।
৫। কাউকে অপহরণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে ।
৬। কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে বা বেআইনী ভাবে আটক করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে, যে ক্ষেত্রে সরকারী কর্তৃপক্ষের আশ্রয় লাভের সুযোগ থাকে না। এইরূপ আশঙ্খা হইলে। দণ্ডবিধি ৯৬,৯৭, ১০০ ধারা
                                                               
দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে দন্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারায় সম্পত্তি রক্ষার জন্য নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে মৃত্যু পযর্ন্ত ঘটানো যাবে। যেমনঃ
সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রেঃ-
প্রথমতঃ দস্যুতার ক্ষেত্রে।
দ্বিতীয়তঃ রত্রীকালে বেআইনীভাবে গৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে ।
তৃতীয়ঃ কোন গৃহ, তাবু বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন করে । যদি উক্ত গৃহ, তাবু,যানবাহন, মানুষের বসবাসের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চতুর্থঃ চুরি, অনিষ্ট কিংবা গৃহে অনধিকার প্রবেশ যতি পরিস্থিতি এমন হয় যে, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ না করলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত অনির্বায। ন্যায়সঙ্গতভাবে এইরূপ আশঙ্খা সৃষ্টি হলে। দন্ডবিধিঃ ৯৬, ৯৭, ১০৩ ধারা।

========================================================
প্রশ্নঃ (গ) কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ যায় না বর্ণনা করুন ?
                                       ১ নং প্রশ্নের উত্তর (গ)

দন্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার নিম্নলিখিত ক্ষেত্র গুলোতে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ চলে না বা প্রয়োগ করা যায় না । যথাঃ
১। আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু বল প্রয়োগ করা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করা যাবে কোন ক্রমেই তার চেয়ে অধিক বল প্রয়োগ করা যাবে না।
২। আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু ক্ষতি করা প্রয়োজন টিক ততটুকু ক্ষতি করা যাবে কোন ক্রমেই এর অধিক করা যাবে না।
৩। সরকারী কর্মচারী বা কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয় লাভের সুযোগ থাকলে সেই ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার  অধিকার চলবে না ।
৪। সরকারী কর্মচারীদের আইনসঙ্গত কাজের বিরুদ্ধে বা কর্তব্য সম্পাদন কালে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করা চলবে না। যদি না মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের আশঙ্খা সৃষ্টি নাকরে। দণ্ডবিধিঃ ৯৯ ধারা                                                                                                                                       

========================================================
প্রশ্নঃ ২। এএসআই পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলোচনা করুন। একজন এএসআই দায়িত্বে ও কর্তব্য অবহেলা করলে কি শাস্তির বিধান রয়েছে ?
২ নং প্রশ্নের উত্তর
পুলিশ অফিসারের মধ্যে একজন এএসআই পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নে আলোচনা করুনঃ-
একজন এএসআই থানার এসআই গণদের কাজে সাহায্য সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া থানার মধ্যে দৈনন্দিন যাবতীয় লেখা লেখির কাজ একজন এএসআই কে সম্পন্ন করতে হয়। পিআরবি ২০৭(ক)বিধি।

থানার এফ আই আর মামালার ডায়রী, জেনারেল ডায়রী, ভিসিএনবি ব্যতীত অন্য সকল রির্টাণ রেজিস্টারের জন্য একজন এএসআই দায়ী থাকবেন। পিআরবি ২০৭(খ)বিধি

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অন্য সকল অফিসার অসুস্থ্য বা অন্য কোন কারণে থানায় অনুপস্থিত থাকলে একজন থানার দায়িত্বভার গ্রহণ ও ওসি সাহেবের সকল কাজ করার মত উপযুক্ত বলে গণ্য হবেন। পিআরবি ২০৭ (গ)বিধি,ফৌঃকাঃ ৪(ত)ধারা।

থানার যাবতীয় কেরানীর কাজকর্মসহ ফোর্সের স্বল্পতার কারণে অনেক সময় আসামী স্কট, টহল, ওয়ারেন্ট ও সমন জারি করার কাজে নিয়োজিত করা হয়ে থাকে। পিআরবি ২০৭ (ঘ)বিধি

তাছাড়া যে কোন প্রার্থী নামের তালিকা যাচাই করে ভেরিফিকেশন রির্পোট তৈরি করার দায়িত্বে ও নিয়োজিত করা হয়ে থাকেন। পিআরবি ২১১ বিধি

উপরোল্লিখিত বিষয়াদি ছাড়াও উব্ধর্তন কর্মকর্তার তাক্ষণিক নিদের্শে একজন এএসআই যে কোন ধর্তব্য অপরাধ সহ যে কোন তদন্ত কার্যে নিয়োগ করা যেতে পারে। একজন এএসআই অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার ঘটনা তদন্ত করতে পারেন। ফৌঃকাঃ ১৭৪ ধারা,পিআরবি ২০৭(গ),২৫৫(ক),৩০০(ক) বিধি।

ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৫ ও ১৬ ধারা, পুলিশ আইনের ২৩,৩১ ধারা মোতাবেক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃক বৈধ আদেশ দ্রুত পালন এবং জনসাধারণের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা একজন এএসআই এর দায়িত্ব ও কর্তব্য মধ্যে আওতাভুক্ত। পিআরবি ৩৩,১১৮ বিধি,পুলিশ আইনের ২৩,৩১ ধারা।ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৫,১৬,১৭ ধারা।

উরোক্ত বিষয় গুলো ছাড়াও একজন এএসআইকে পিআরবি ১৯০,৩০০,৩৭৬,৪২০ বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালণ করতে হয়।

একজন এএসআই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলা করলে পুলিশ আইনের ৭,২৯ ধারা,পিআরবি ৪৩৪,৮৫৭ নিয়ম, ডিএমপি ১২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হয়।যেমনঃ
১। চাকুরী হইতে অপসারণ।
২। চাকুরী হইতে বরখাস্ত করণ।
৩। পদাবনতি।
৪। পদোন্নতি স্থগিত করণ।
৫। বেতন বৃদ্ধি স্থুগিত করণ।
৬। সতর্কীকরণ।
৭। তিরস্কার ইত্যাদি শাস্তি প্রধান করা হয়ে থাকে।
পুলিশ আইনের ৭,২৯ ধারা,
পিআরবি ৪৩৪,৮৫৭ নিয়ম,
 ডিএমপি ১২ ধারা

========================================================


প্রশ্নঃ ৩। খুন বলতে কি বুঝ? আত্মসংযম হারিয়ে ফেলে কাউকে খুন করলে অপরাধ হয় কি? একটি খুন মামলার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
খুনঃ- যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বা ব্যক্তিগত আক্রোশবশত বা অন্য কোন হীন উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করার নিমিত্তে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অপর ব্যক্তি কে হত্যা করে তাকে খুন বলে। খুন এর সজ্ঞা দণ্ডবিধিঃ ৩০০ ধারা। খুনের শাস্তি দণ্ডবিধিঃ ৩০২ ধারা ।

দণ্ডবিধি ৮৪,৮৫ ধারা ব্যতিক্রম সাপেক্ষে আত্বসংযম হারিয়ে ফেলে খুন করলে তা খুন বলে গন্য না হয়ে আপরাধজনক নরহত্যা বলে গন্য হবে । আত্বসংযম হারিয়ে ফেলে খুন করলে দণ্ডবিধি ৩০৪ ধারা মোতাবেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। দণ্ডবিধি ৮৪,৮৫ ধারা।দণ্ডবিধি ৩০৪ ধারা।

নিম্নে একটি খুন মামলার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হলাঃ-
মৃত শাহ জাহান আলী, পিতা মৃত মতিউর রহমান, গ্রামঃ রাজকান্দা ,থানাঃ কলমাকান্দা জেলাঃ নেত্রকোনা এর খুন মামালার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট ।

সূত্রঃ কলমাকান্দা থানার মামলা নং-০৫, তারিখঃ ০১/০৬/২০১৮খ্রিঃ ।
ধারাঃ দন্ডবিধিঃ ৩০২ ।

আমি এএসআই/মোঃ সাইকুল ইসলাম মায়া কলমাকান্দা, নেত্রকোনা। অদ্য ০১/০৬/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ ১১.০০ ঘটিকায় সঙ্গীয় কং/১১৩০ আফজাল হোসেন, কং/ ১১৩২ মোঃ জুয়েল মিয়া, কং/ ২১৬২৬ রতন চন্দ্র পাল সহ কলমাকান্দা থানা , পাচঁকাটা গ্রামে এসে হাজির হই। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৭৪ ধারা, পিআরবি ২৯৯ নিয়ম মোতাবেক মৃত শাহ জাহান আলীর সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতে শুরু করিলাম।
 ফৌঃকাঃ ১৭৪ ধারা। পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম।
বর্ণনাঃ-
১। মৃত ব্যক্তির লাশ তার বাড়ীর ঘরের ভিতর উত্তর শিয়রী আবস্থায় পাইলাম।
২। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে।
৩। গায়ের রং ফর্সা ।
৪। মাথার চুল খাটো করে ছাটা ।
৫। মাথার চুল কালো ।
৬। গোফ ও দাঁড়ি উভয় আছে।
৭। পরনে চেক লুঙ্গি ও সাদা হাফ গোল গলা গেঞ্জি পরা ছিল।
৮। মাথায় এবং বুকে ৪ (চার)টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেল।
৯। মাথা , নাক , মুখমন্ডল , হাত, পা , রক্তাক্ত আবস্থায় পাওয়া গেল।
১০। শরীরে বিভিন্ন স্থানে লেগে থাকা কাঁদা মাটি পাওয়া গেল।
১১। চোখের পাতা বন্ধ অবস্থায় পেলাম।

মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জানায় রাত ১০.০০ঘটিকার দিকে খানা দানা খেয়ে নিজ ঘরে তার স্বামী ছেলে সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়ে । ভোর ০৫.০০ ঘটিকার সময় ০৪/০৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় । কিছুক্ষন পরই গুলির শব্দ পায়। দৌড়ে গিয়ে দেখে তাহার স্বামী মাটিতে ছটফট করতেছে এবং গুলিবিদ্ধ রক্ত ঝড়ছে। মৃত ব্যক্তির আত্বীয় স্বজন ও উপস্থিত সাক্ষীগন আমার তদন্তে একমত হওয়ায় মৃত্যু ব্যক্তির মৃত্যু কারণ নির্ণয়ের জন্য কং১১৩০ আফজাল হোসেন ও ১১৩২ মোঃ জুয়েল কে দিয়ে কাগজ পত্রসহ লাশ মর্গে প্রেরণ করলাম। পিআরবিঃ ৩০৪,৩০৫নিয়ম।

সাক্ষীগনদের নাম ও ঠিকানা স্বাক্ষরসহ।
(১)করিম শেখ, পিতাঃ আনছার আলী।গ্রামঃ রাজকান্দা, থানাঃ কলমাকান্দা, জেলাঃ নেত্রকোনা ।
(২)জলিল মিয়া, পিতাঃ মৃতঃ কালা মিয়া। ঠিকানা ঐ।
(৩)রমজান আলী, পিতাঃ সবুর খান।ঠিকানা ঐ।
নিবেদক
এএসআই
সাইকুল ইসলাম মায়া
কলমাকন্দা, নেত্রকোনা।
তাং ০১/০৬/২০১৮ খ্রি।
ফৌঃ কাঃ ১৭৪ ধারা। পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম। দণ্ডবিধিঃ ৩০০,৩০২, পিআরবিঃ ৩০৪,৩০৫নিয়ম।

=======================================
প্রশ্নঃ ৪। এজাহার কাকে বলে ? একটি পূর্ণাঙ্গ এজাহারে কিকি কিষয় উল্লেখ থাকে ? মামালা রুজুকারী অফিসার কিকি বিষয়ে যত্নবান হতে হয়।
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
এজাহারঃ এজাহার এর আবিধানিক অর্থ হল “প্রাথমিক তথ্য বিবরণী। থানায় কোন ধর্তব্য বা আমলযোগ্য আপরাধের সংবাদ মৌখিক বা লিখিত বিবরণ পৌছানোকে এজাহার বলে । ইহা বিপি নং ২৭ ,বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৫৬তে লিপিবদ্ধ করা হয়। ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা,পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।

এজাহারে নিম্ন লিখিত বিষয় গুলো উল্লেখ থাকতে
(১) এজাহারে সংবাদটি আমলযোগ্য হতে হবে।     
(২) এজাহারটি অবশ্যই লিখিত অভিযোগ হতে হবে।
(৩) অভিযোগকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে
(৪) থানার মাসিক এবং বাৎসরিক ক্রমিক নাম্বার থাকতে হবে।
(৫)রেকর্ডকারী অফিসারের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
(৬)ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকতে হবে।
(৭) ঘটনার স্থান প্রন্থা পরিস্কার ভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
(৮) থানায় রেকর্ড করার তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকতে হবে।
(৯) অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হবে।
(১০) অপরাধীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
(১১) ঘটনাস্থলের নাম, মৌজা নং হতে দিক ও দূরত্ব উল্লেখ করতে হবে।
(১২) ধারাসহ অভিযোগ লুন্ঠিত মালামালের বিবরণ উল্লেখ করতে হবে ।
(১৩) অপরাধ কাজে ব্যবহৃত কোন বস্তু যদি থাকে বা পাওয়া যায়  তার বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।  
(১৪) কি কাজ, কে, কখন, কিভাবে, কিসের দ্বারা সম্পাদন করল তা উল্লেখ করতে হবে।
(১৫) এজাহার বিলম্বে রের্কড করার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।

 মামলা রুজুকারী অফিসার নিম্ন লিখিত বিষয়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে
(১)থানা ও জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে ।
(২)থানার মাসিক ও বাসৎরিক ক্রমিক নাম্বার নিভুলভাবে উল্লেখ করতে হবে।
(৩)থানা হতে পুলিশ সুপার বা কোটে প্রেরণের তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে।
(৪)থানায় পেশ করার তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে।
(৫)ঘটনাস্থলের নাম , পন্থা মৌজা নং হতে দিক ও দূরত্ব উল্লেখ করতে হবে।
(৬)সংবাদাতার নাম ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
(৭)অপরাধীর নাম ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে ।
(৮)ধারাসহ লুন্ঠিত মালামালের বিবরণ উল্লেখ করতে হবে ।
(৯)মামলার গৃহিত ব্যবস্থা ও বিলম্বে রেকর্ড করার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
(১০) রেকর্ডিং অফিসারের নাম পদবী স্বাক্ষর উল্লেখ থাকতে হবে।
(১১) সংবাদাতাকে পড়ে শুনানোর পর সংবাতার স্বাক্ষর ও এজাহার গ্রহণকারীর স্বাক্ষর উল্লেখ করতে হবে।        
ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।
    =================================
প্রশ্নঃ ৫: সদাচারণ মুচলিকা কি আলোচনা করুন?
নং প্রশ্ন উত্তর
সদাচারনের মুচলেকাঃ-দেশের প্রতি বিদ্রোহাত্বক আচারণ এইরুপ কোন দন্ডনীয় অপরাধ অথবা কোনো বিচারককে অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শন বা তার মানহানিকর কোন বিষয় প্রচার করলে আদালত ফৌঃকাঃ আইনের ১০৮108 ধারা মোতাবেক উক্ত ব্যক্তিকে যে কোন সময়ের জন্য সদাচারনের নিমিত্তে জামিনদার বা জামিনদার ব্যতীত সদাচারনের মুচলেকা সম্পাদরেন জন্য আদেশ দিতে পারেন।এই ধারানুযায়ী প্রদত্ত মুচলেকাকে সদাচারণের মুচলেকা বলে।
 ফৌঃকাঃ ১০৮ ধারা
 ভবঘুরে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি যার জীবিকা নির্বাহের প্রকাশ্য স্থানে কোন পন্থা নেই, কোন প্রশ্ন করলে নিজের সম্পর্কে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে না,যার চলাফেরা সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান মনে হয় সেই সকল ব্যক্তিদের আদালতের এখতিয়ারধীনে থাকা ভবঘুরে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌঃকাঃ আইরে ১০৯09 ধারা বিধান প্রয়োগ করে মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দিতে পারেন।এই ধারানুযায়ী প্রদত্ত মুচলেকাকে সদাচারণের মুচলেকা বলে।
ফৌঃকাঃ ১০৯ ধারা
আদালত যদি সংবাদ পান যে, তার এখতিয়ারধীন এলাকার মধ্যে কোন ব্যক্তি অভ্যাসগত ভাবে ডাকাত,দুস্যু, গৃহভঙ্গকারী চোর, চোরাইমাল গ্রহণকারী, চোরদের আশ্রায়দানকারী,সাহায্যকারী,চোরাইমাল গোপনকারী, এতই দুর্দান্ত ও বিপদজনক প্রকৃতির ব্যক্তি যে, জামানত ব্যতীত ‍উক্ত ব্যক্তিকে মুক্তরাখা সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ,তখন আদালত তাহার বিরুদ্ধে ফৌঃকাঃআইনের ১১০ ধারা মোতাবেক যে কোন সময়ের জন্য জামিদারসহ সদাচারণের মুচলেকার জন্য আদেশ দিতে পারেন।এই ধারানুযায়ী প্রদত্ত মুচলেকাকে সদাচারণের মুচলেকা বলে।
ফৌঃকাঃ ১১০ ধারা।
    ================================
প্রশ্নঃ ৬। বেআইনী সমাবেশ কাকে বলে ? বেআইনী সমাবেশ দাঙ্গাহাঙ্গামা মোকাবেলার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে পুলিশ অফিসারদের কিকি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
বেআইনী সমাবেশঃ  পাচঁ বা ততোধিক ব্যক্তি জনসাধারণের কোন স্থানে অসৎ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজ বা শান্তি ভংগের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে। দন্ডবিধি আইন ১৪১ ধারা,দন্ডবিধি আইন ১৪৩ ধারা।

বেআইনী সমাবেশ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এক বা একাদিক হতে পারে। যেমনঃ-
১.সরকার বা সরকারী কর্মচারী  বৈধ্য কাজে বাধা দেয়া বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করা।
২. আদালতের পরোয়ানা কার্যকরী কাজে বাধাদান করা ।
৩.অনধিকার প্রবেশ করা বা অপরাধজনক কাজ করা।
৪. অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে সম্পত্তি দখল করা বা আইনগত অধিকার হইতে বঞ্চিত করা।
৫.অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে কোন ব্যক্তিকে আইনত বাধ্য নয় এমন কাজ করতে বাধ্য করা এবং যে কাজ টি আইনত বাধ্য সেই কাজ হইতে বিরত রাখা। দন্ডবিধি আইন ১৪১ ধারা,দন্ডবিধি আইন ১৪৩ ধারা।

বেআইনী সমাবেশ দাঙ্গাহাঙ্গামা মোকাবেলার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে পুলিশ অফিসারদের যে সকল ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে নিম্নে তা আলোচনা করা হল।
১৯৭৬ সালে প্রণীত ডিএমপি অধ্যাদেশ ২৭,২৮,২৯,৩০ মোতাবেক যে কোন বে-আইনী সমাবেশ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা মোকাবেলা করার জন্য পুলিশ অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

যে স্থানে বে-আইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা হাঙ্গামা সংঘটিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সেই স্থানের জমির মালিকের উপর পুলিশ অফিসার হুশিয়ারী নোটিশ জারি করতে পারবেন। পিআরবি ২৫২ বিধি,দন্ডবিধি আইন ১৫৪ ধারা।
বে-আইনী সমাবেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আশংকা মুক্ত করার জন্য বিশেষ পুলিশ নিয়োগ করতে পারবেন। পুলিশ আইনের ১৭ ধারা,পিআরবি ৬৭৪ বিধি।

পুলিশ অফিসার বে-আইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা হাঙ্গামা রোধ করার জন্য জনসাধরনের সাহায্য নিতে পারবেন। ফৌঃকাঃ ৪২ধারা।

পুলিশ অফিসার বে-আইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা হাঙ্গামা রোধ করার জন্য ক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পিআরবি ১৩৪ বিধি।

ফৌঃ কাঃ আইনের ১২৭ ধারা , পুলিশ আইনের ৩০-ক(১) ধারা মোতাবেক যে কোন বে-আইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হওয়ার জন্য পুলিশ অফিসার আদেশ দিতে পারবেন।পিআরবি ১৪২ বিধি।

ফৌঃ কাঃ আইনের ১২৮ ধারা , পুলিশ আইনের ৩০-ক(২) ধারা মোতাবেক পুলিশ অফিসার যে কোন বে-আইনী সমাবেশে অংশ গ্রহণকারীদের বল প্রয়োগ করে ছত্রভঙ্গ এবং ফৌঃ কাঃ আইনের ১৫১ ধারা ও পিআরবি ৩১৬ ধারা বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন।পিআরবি ১৪৩ বিধি।

কোন বে-আইনী সমাবেশ এর সদস্যরা যদি এমন মারমুখী হয় যাতে নিজের জানমাল ও সরকারী সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে এইরূপ পরিস্থিতিতে পুলিশ অফিসার দন্ডবিধি ৯৯ ধারার ব্যতিক্রম সাপেক্ষে দন্ডবিধি ১০০ও ১০৩ ধারার ক্ষমতা বলে পিআরবি ১৫৪,১৫৫ বিধি মোতাবেক সতর্কবানী প্রদান করে উক্ত বে-আইনী সমাবেশের জনতার প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন। পিআরবি১৫৩ বিধি।

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করলে পুলিশ অফিসার অবশ্যই পিআরবি ১৫৬ বিধি অনুসরণ করবেন।

বিশেষ পরিস্থিতিতে বে-আইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা হাঙ্গামা ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কমিশনার মহোদয় সামরিক শক্তি তলব করতে পারবেন। ফৌঃকাঃ ১২৯ ধারা, পিআরবি ১৫৮,১৩১,১৪৩ বিধি

উপরোল্লিখিত বিষয় গুলো ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ক্ষেত্র বিশেষে আইন সঙ্গতভাবে পুলিশ অফিসার বেআইনী সমাবেশ দাঙ্গাহাঙ্গামা মোকাবেলার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।
    ================================
প্রশ্নঃ ৭। থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্ত একটি হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে আপনাকে দ্রুত ঘটনা স্থলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করেন।থানার এএসআই
          হিসাবে আপানার করনীয় কি এবং কিকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
উল্লেখিত প্রশ্নানুসারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক আমি এএসআই হিসাবে সর্বপ্রথম উক্ত বিষয়টি জেনারেল ডায়রীভুক্ত করব । পোশাক পরিহিত অবস্থায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্সসহ কমান্ড সার্টিফিকেট যোগে ঘটনা স্থলে রওনা হব।
পুলিশ আইন২৩(১),৪৪ধারা,ফৌঃকাঃ১৫৪,১৫৫ধারা,পিআরবি২৫৫(খ),২০৭,৩৭৭,১৬৩,৯০৯,৯৫১বিধি।

হত্যাকান্ডের সংবাদটি প্রথমিকভাবে তদন্ত করার জন্য ঘটনা স্থলে পৌছে হত্যাকান্ডের স্থানটি চতুর দিক ঘিরে ফেলব। সাথে সাথে স্থানটি পরিদর্শন করব। ক্রাইমসিন রক্ষার করব। ঘটনাস্থলে একটি ছবি তুলব। পায়ের চিহৃ , রক্ত, মৃত ব্যক্তির লাশ ও অন্যান্য কোন আলামত থাকলে হেফাজতে নিব।
ফৌঃ কাঃ ১৫৬,১৫৭ ধারা,পিআরবি ১৪৫,২৫৮,৬৩৫,৬৩৮ বিধি।

ক্রাইমসিনের সকল আলামত বিশেষজ্ঞ মতাতের জন্য সংগ্রহ করব।
পিআরবি ২৯৭ নিয়ম,সাক্ষ্য আইন ৯,২৭,৪৫ ধারা।

পিআরবি ২৭৩ বিধি মোতাবেক ঘটনাস্থালের একটি খসড়া মানচিত্র তৈরি করব।

আশে পাশে পড়ে থাকা আলামত গুলির একটি জব্দ তালিকা তৈরি করার জন্য সাক্ষী তলব করব এবং সাক্ষীদের উপস্থিতি জব্দ তালিকা তৈরি করব।
ফৌঃ কাঃ ১৭৫,১০৩(২)ধারা, পিআরবি ২৮০ নিয়ম।

প্রকাশ্যে এবং গোপনে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করব। ফৌঃ কাঃ ৫৪ ধারা, পিআরবি ৩১৬ নিয়ম
যদি কোন আসামী না পাওয়া যায় তাহলে অপরাধীদের ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করব। পিআরবি ২৯৩,৩৪১ নিয়ম, সাক্ষ্য আইন ১৩৩ ধারা।
ঘটনার সাথে পরিচিত ব্যক্তিদের জবানবন্দি রের্কড করব। ফৌঃ কাঃ ১৬১ ধারা, পিআরবি ২৬৫,৪৪৭ নিয়ম
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করব এবং স্বাক্ষর নিব। ফৌঃকাঃ ১৭৪ ধারা পিআরবি ২৯৯বিধি
মৃত দেহের হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করব। মৃত ব্যক্তির একটি পূনাঙ্গ ছবি তুলে রাখব। পিআরবি ৩১৩,৪৯৪,৩১৪ নিয়ম।
নিহত ব্যক্তির মালিক খুজার জন্য বিজ্ঞাপন , মাইকিং বা ইন্টারনেট এ প্রচার করব। পুলিশ আইন ২৩ ধারা, পিআরবি ১১৮ নিয়ম।
কনস্টেবলের মাধ্যমে লাশটির ময়না তদন্তের জন্য নিকটস্থ মর্গে প্রেরণ করব।পিআরবি ৩০৪,৩০৫ নিয়ম।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়ে থানায় ফেরত আসব। ফৌঃকাঃ ১৫০ ধারা,পিআরবি ১২০বিধি,পুলিশ আইন ২৩ ধারা
সংবাদাতার মাধ্যমে একটি এজাহার নিয়ে হত্যা মামলা রুজু করব।ফৌঃকাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবি ২৪৩ নিয়ম, দঃবিঃ ৩০২ ধারা
থানার অফিসার ইনচার্জ বিস্তারীত ঘটনা অবগত করব । তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ফৌঃ কাঃ ১৬৮ ধারা।
মর্গে থেকে লাশটি ফেরত আসার পর সৎকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পিআরবি ৩১০ নিয়ম।

দঃবিঃ ৩০২ ধারা,পুলিশ আইন ২৩(১),৪৪ ধারা,ফৌঃ কাঃ,৫৪,১০৩(২),১৫০,১৫৪,১৫৫,১৫৬,১৫৭,১৬১,১৭৪,১৭৫ ধারা,পিআরবি ১১৮, ১২০,১৪৫, ১৬৩,২০৭,২৫৫(খ), ২৫৮, ২৬৫,২৭৩,২৯৩,২৯৭,৩০৪,৩০৫, ৩১০,৩১৬, ৩১৩,৩১৪,৩৪১,৩৭৭,৪৪৭,৪৯৪,৬৩৫,৬৩৮,৯০৯,৯৫১বিধি,সাক্ষ্য আইন ৯,২৭,৪৫, ১৩৩ ধারা।

=============================
প্রশ্নঃ ৮। কোন আসামীকে গ্রেফতারের পর থানা হাজতে রাখার পূর্বে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি ?
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫১ ধারা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর দেহ তল্লাশী করার পর পরিধেয় বস্ত্রাদি ব্যতীত অন্য সকল মালামাল পুলিশ হেফাজতে নিতে হবে। উক্ত মালামালের একটি কপি আসামীকে দিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৫১ ধারা, পিআরবি ৩২২, ৩২৮(গ) নিয়ম।
গ্রেফতারকৃত আসামী যদি মহিলা হয় তাহলে অন্য একজন মহিলা পুলিশ দ্বারা অথবা সাধারণ মহিলা দ্বারা তার শালীনতা, নম্রতা, ভদ্রতা বজায় রেখে তার দেহ তল্লশী করে মালামাল হেফাজতে নিতে হবে। মালামলের এক কপি তাকে বুঝাইয়া দিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৫২ ধারা, পিআরবি ৩২২, ৩২৮(গ) নিয়ম।
আটক আসামীর দেহ তল্লশী করিয়া যদি আপত্তিকর কোন বস্তু বা আস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়। তাহলে উদ্ধারকৃত মালামালের জব্দ তালিকা তৈরি করে, যে আদালতে আসামীকে হাজির করা হবে সেই আদালতে মালামাল প্রেরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৫৩,১০৩ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।
উক্ত আসামী যদি জামিনযোগ্য হয় তাহলে জামিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বা জামিন দিবেন। ফৌঃকাঃ ৫৭(২), ৫৯ (৩), ১৬৯, ১৭০, ৪৯৬, ৪৯৭ ধারা।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে থানা হাজতে রাখার পূর্বে যে সকল নিয়ম পালন করতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ-
গ্রেফতারের কারণ উল্লেখপূর্বক জেনারেল ডায়রীভুক্ত করতে হবে। ফৌঃকাঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা, পুলিশ আইন ৪৪ ধারা, পিআরবি ৩৭৭ নিয়ম।
আসামীর গায়ে যদি যখমের চিহৃ থাকে তাহলে নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে ডেকে এনে দেখাতে হবে এবং  জেনারেল ডায়রীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। পিআরবি ৩২৮(খ)নিয়ম।
আসামী যদি অসুস্থ্য থাকে তাহলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনবোধে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। পিআরবি ৩২১নিয়ম, ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৬ ধারা।
আসামীকে যেই হাজত খানায় রাখা হবে সেই হাজত খানার দরজা জানালা ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।আসামী যাহাতে আত্মহত্যা করতে পারে এমন কোন বস্তু হাজত খানার ভিতরে রাখা যাবে না। পিআরবি ৩২৮(ঘ)নিয়ম।
তাছাড়া আসামী যদি সামরিক বাহিনীর সদস্য হয় তাহলে উক্ত আসামীকে তার নিজ ইউনিটের প্রধানের নিকট পাঠানোর জন্য সংবাদ দিতে হবে। পিআরবি ৩১৯ নিয়ম, পিআরবি ৩২০ নিয়ম।
আসামী যদি অতি বৃদ্ধ, রোগী, অক্ষম, দূর্বল, শিশু বা মহিলা হয় তাহলে হাতকড়া লাগানো যাবে না।পিআরবি ৩৩০ ধারা ।
=============================
পপ্রশ্নঃ ৯। গ্রেফতার কিভাবে করা হয় ? গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দেহ কিভাবে তল্লাশী করিতে হয়? মহিলার দেহ তল্লাশীর পদ্ধতি কি ?

০৯ নং প্রশ্নের উত্তর

নিম্ন লিখিতভাবে গ্রেফতার করিতে হয়।
১। যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারের কথা জানাতে হবে। কথা বা কার্য দ্বারা গ্রেফতার মেনে না নিলে গ্রেফতার এড়াবার চেষ্টা করলে তার দেহ স্পর্শ করে গ্রেফতার করা যাবে।ফৌঃকাঃ ৪৬(১) ধারা।

২। গ্রেফতার করাকালীন সময়ে বাধা বা বল প্রয়োগ করলে গ্রেফতারকারী অফিসার সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করবেন।ফৌঃকাঃ ৪৬(২) ধারা।

৩। যদি আসামী মৃত্যুদণ্ড বা যাবতজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ও গ্রেফতার করাকালীন সময়ে বল প্রয়োগ করে বা বাধা প্রদান করে বা আক্রমন করে তাহলে গ্রেফতারকারী অফিসার প্রয়োজনবোধে গুলি করতে পারবেন। তাতে আসামী মারা গেলে গ্রেফতারকারী পুলিশ অফিসারের কোন অপরাধ হবে না। প্রকাশ থাকে যে, মৃত্যুদণ্ড বা যাবতজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবে না এইরূপ আসামীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ফৌঃকাঃ ৪৬(৩) ধারা,পিআরবি ৩১৬ বিধি,পিআরবি ১৫৩ বিধি

৪। গ্রেফতার করাকালীন সময়ে যদি কোন আসামী কোন স্থানে পলায়ন করে তাহলে উক্ত স্থানের ভারপ্রাপ্ত মালিকের নিকট হতে অনুমতি নিয়ে ঐ স্থানে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকরী করতে হবে। ফৌঃকাঃ ৪৭ ধারা।

৫। যে স্থানে আসামী পলায়ন করেছে সেই স্থানের ভারপ্রাপ্ত মালিক যদি প্রবেশের অনুমতি না দেয় তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকরী করা যাবে।ফৌঃকাঃ ৪৮ ধারা।

৬। গ্রেফতার কার্যকরী করতে গিয়ে যদি কোন স্থানে আটকা পড়ে যান তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।ফৌঃকাঃ ৪৯ ধারা,পিআরবি ৩১৬ বিধি

৭। গ্রেফতার কার্যকরী করতে গিয়ে যতটুকু বল প্রয়োগের প্রয়োজন হয় ততটুকু বল প্রয়োগ করতে পারবেন এর অধিক প্রয়োগ করা যাবে না।
ফৌঃকাঃ ৫০ ধারা,পিআরবি ৩৩০ বিধি।

৮। পুলিশ হেফাজত হতে কোন আসামী পলায়ন করলে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য বাংলাদেশের যে কোন স্থানে গিয়ে গ্রেফতার করা যাবে।
ফৌঃকাঃ ৫৮,৬৬ ধারা।

৯। বিশেষ পরিস্থিতি কোন আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অফিসার জনসাধারনের সাহায্য নিতে পারবেন।ফৌঃকাঃ ৪২ ধারা,পিআরবি ৩১৬বিধি

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দেহ নিম্নলিখিতভাবে তল্লাশী করিতে হবে।
তল্লশী চালাতে হলে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের  ১০৩(১) ধারা পিআরবি ২৮০ বিধি মতে স্বাক্ষীর উপস্থিতি প্রয়োজন আছে।
 আসামীকে ফৌঃকাঃ ৪৬,৪৭,৪৮,৪৯,৫০ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেফতারের পর আসামীর দেহ তল্লাশী করিয়া পরিধেয় বস্ত্রাদি ব্যতীত সকল মালামাল পুলিশ হেফাজতে নিবেন। মালামালের তালিকা করে এক কপি আসমীকে দিতে হবে।ফৌঃকাঃ ৫১ ধারা,পিআরবি ৩২২,৩২৮(গ)বিধি।

গ্রেফতারকৃত আসামী যদি মহিলা হয় তাহলে অন্য একজন মহিলা পুলিশ দ্বারা অথবা সাধারণ মহিলা দ্বারা তার শালীনতা, নম্র, ভদ্রতা বজায় রেখে তার দেহ তল্লশী করে মালামাল হেফাজতে নিতে হবে। মালামালের এক কপি তাকে বুঝাইয়া দিতে হবে।ফৌঃকাঃ ৫২ ধারা ,পিআরবি ৩২২,৩২৮(গ)বিধি।

আটক আসামীর দেহ তল্লশী করিয়া যদি আপত্তিকর কোন বস্তু বা আস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়। তাহলে উদ্ধারকৃত মালামালের জব্দ তালিকা তৈরি করে, যে আদালতে আসামীকে হাজির করা হবে সেই আদালতে মালামাল প্রেরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৫৩,১০৩ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।

=====================================

প্রশ্নঃ ১০। কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার পর পুলিশ অফিসারের করনীয় কি?
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
পিআরবি ১৫৩ বিধি মোতাবেক পুলিশ অফিসার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
নিজের জানমাল অপরের জানমাল সরকারী সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে আক্রমনকারী আক্রমন প্রতিহিত করার জন্য দন্ডবিধি আইনের ৯৬,৯৭,৯৮,১০০,১০৩,১০৬ ধারার ক্ষমতা বলে পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
বে- আইনী সমাবেশ ও দাঙ্গা হাঙ্গামা ছত্রভঙ্গ করবার জন্য পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
ফৌঃকাঃ ১২৭,১২৮ ধারা,পুলিশ আইনের ৩০(ক) ধারা, পিআরবি ১৪৩, ১৫৩ (গ) বিধি।
মৃত্যুদণ্ড বা যাবতজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডীয় অপরাধী আসামীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
ফৌঃ কাঃ ৪৬(৩) ধারা, পিআরবি ১৫৩ (ঘ) বিধি।
একজন পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই সর্তকবানী উচ্চারণ করবেন একেবারে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করা উচিত হবে না যদি না অন্যরকম কোন নির্দেশ থাকে। যে উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ কারা হবে সেই উদ্দেশ্যে সফল হওয়ার মাত্র গুলি করা বন্ধ করতে হবে। পুলিশ অফিসার লক্ষ্য রাখতে হবে যাহাতে নূন্যতম ক্ষতি দ্বারা কার্য হাসিল হয়ে যায় । পিআরবি ১৫৪ বিধি, পিআরবি ১৫৫ বিধি।
আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর পুলিশ অফিসারের করনীয়ঃ
০১। পুলিশ দলনেতা যতশীঘই মৃতদেহ গুলি (যদি থাকে) হাসপালের মর্গে প্রেরণ করবেন।
০২। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাবেন।
০৩। ফায়ারকৃত গুলির খোসা গুলি হিসাব করে ইস্যূকৃত গুলির সাথে মিলিয়ে দেখবেন কত রাউন্ড গুলি ফায়ার হয়েছে।
০৪। ঘটনার সম্পর্কে একটি নিখুঁত বিস্তারীত বিবরণ গুলির পরিমান উল্লেখসহ যতশীঘই সম্ভব নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ সুপার , ঢাকা মহানগর হলে কমিশনার বা আইজিপি সাহেবের নিকট প্রেরণ করবেন।
পিআরবি ১৫৬,১২০ বিধি ,ফৌঃকাঃ ১৫০ ধারা, পুলিশ আইন ২৩ ধারা
দন্ডবিধি আইনের ৯৬,৯৭,৯৮,৯৯,১০০,১০৩,১০৬ ধারা,পিআরবি ১২০, ১৪৩,১৫৩ (গ), ১৫৩,১৫৩ (ঘ) , ১৫৬,১৫৪,১৫৫ বিধি ,ফৌঃকাঃ ৪৬(৩), ১২৭,১২৮, ,১৫০ ধারা,পুলিশ আইন ২৩, ৩০(ক) ধারা.

==============================
প্রশ্নঃ ১১। এজাহার (F.I.RR) বলতে কি বঝ? আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ  থানায় আসিলে পুলিশ কি তা রেকর্ড করিতে বাধ্য আলোচনা করুন? 
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
এজাহারঃ এজাহার এর আবিধানিক অর্থ হল ÔÔপ্রাথমিক তথ্য বিবরণী “। ইংরেজীতে ইহাকে ÔÔFirst Information R eport“ বা (F.I.RR) বলে।  থানায় কোন ধর্তব্য বা আমলযোগ্য আপরাধের সংবাদ মৌখিক বা লিখিত বিবরণ পৌছালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত সংবাদ বিপি নং ২৭ ,বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৫৬ তে লিপিবদ্ধ করেন একেই এজাহার বা ‘First Information Repor’ (F.I.R.) বা ÔÔপ্রাথমিক তথ্য বিবরণী “ বলে। ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।
আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ থানায় আসলে থানার অফিসার ইনচার্জ ফৌঃকাঃ আইনের ১৫৪ ধারা, পিআরবি ২৪৩ বিধি মতে মামলা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অফিসার ইনচার্জ  মামলা রের্কড করতে বাধ্য নয় যেমনঃ মিথ্যা বা ভিত্তিহীণ অভিযোগ প্রমানিত হলে অফিসার ইনচার্জ/পুলিশ অফিসার মামলা রের্কড করিতে বাধ্য নয়। ফৌঃ কাঃ ১৫৭(খ) ধারা, পিআরবিঃ ২৫৭(ক)নিয়ম।
প্রাপ্ত সংবাদ বিবেচনা করার পর যদি প্রতিয়মান হয় যে, দঃবিঃ আইনে ৯৫ ধারা মতে ইহা সামন্য অপরাধ। এই ক্ষেত্রে ওসি/পুলিশ অফিসার মামলা রের্কড করিতে বাধ্য নয়।ফৌঃ কাঃ ১৫৭(খ) ধারা, পিআরবিঃ ২৫৭(ক)নিয়ম।
কোন অভিযোগকারী দেওয়ানী আদালতের আওতাভুক্ত কোনো বিষয়ে মামলা রেকর্ড করতে আসলে অফিসার ইনচার্জ/পুলিশ অফিসার মামলা রের্কড করিতে বাধ্য নয়। ফৌঃ কাঃ ১৫৭(খ) ধারা, পিআরবিঃ ২৫৭(গ)নিয়ম।

===========================
প্রশ্নঃ১২। মোটরযান আইনের কোন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার বিনাপরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন?

১২ নং প্রশ্নের উত্তর
মোটরযান আইনে নিম্নলিখিত অপরাধের ক্ষেত্রে ইউনিফর্ম পরিহিত কর্তব্যরত অবস্থায় একজন পুলিশ অফিসার মোটরযান চালককে মোটরযান আইনের ১৬০ ধারা মোতাবেক বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন। যেমনঃ-
(১) মোটরযানের রেজিষ্ট্রেশন না থাকিলে। মেটিরযান আইনের ৩২ধারা।
(২) রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চালালে। মেটিরযান আইনের ৫১ ধারা।
(৩) বেপরোয়া ও দ্রত গতিতে গাড়ি চালালে।মোটরযান আইনের ১৪৩ ধারা।
(৪) মধ্যপান করে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালালে। মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারা।
(৫) শারীরিক ও দৈহিক অনুপযুক্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে। মোটরযান আইনের ১৪৫ ধারা।
(৬) দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে চালক যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বা থানায় সংবাদ না দিলে। মোটরযান আইনের ১৪৬ ধারা।
 (৭) অত্র আইনে কোনো ব্যক্তি ১৪৩,১৪৫ ধারার অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করলে। মোটরযান আইনের ১৪৭ ধার।
(৮)মোটর গাড়ির মাধ্যমে দৌড়বাজি বা প্রতিযোগিতা করলে। মোটরযান আইনের ১৪৮ ধারা।
(৯) নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় গাড়ি ব্যবহার করলে। মোটরযান আইনের ১৪৯ ধারা।
 (১০) অনুমোদিত ওজন ব্যতীত গাড়িতে অতিরিক্ত ওজন বহন করলে। মোটরযান আইনের ১৫৪ ধারা।
(১১) গাড়িতে মালিক বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালিয়ে বাইরে নিয়ে গেলে। মোটরযান আইনের ১৫৬ ধারা
এছাড়াও কোন গাড়ি চালক নাম ঠিকানা দিতে অস্বীকার করলে বা মিথ্যা নাম ঠিকানা দিলে মোটরযান আইনের ১৬০(২)ক ধারা এবং কোন অপরাধী পালিয়ে যাবে তলব করা হলে হাজির হবে না সেই সব ব্যক্তিকে পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে মোটরযান আইনের ১৬০ (২)খ ধারা।
=============================


প্রশ্নঃ ১৩।জব্দ তালিকা কাকে বলে? একটি পূনাঙ্গ জব্দ তালিকায় কিকি বিষয় উল্লেখ থাকা আবশ্যক?  

১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
জব্দতালিকাঃ-কোন সন্দেহভাজন জিনিস, চোরাইমাল,বেওয়ারিশ সম্পত্তি, মামলার আলামত ইত্যাদি উদ্ধারের জন্য পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উক্ত সম্পত্তি বা মালামাল হেফাজতে নেওয়ার পর সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষরসহ বাংলাদেশ ফরম নং ৫২৭৬,বিপি ফরম নং ৪৪ মোতাবেক যে তিন কপি তালিকা প্রস্তুত করা হয় তাকে জব্দ তালিকা বলে। ফৌঃকাঃ আইনের ১০৩(২) ধারা,পিআরবি ২৮০,৪৬৫ বিধি।
একটি জব্দ তালিকায় যে সকল বিষয় উল্লেখ থাকে নিম্নে দেওয়া হলঃ-
১। সূত্র।
২। জব্দ করার তারিখ ও সময়।
৩। জব্দ করার স্থানের বিবরণ।
৪। সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানা।
৫। জব্দকৃত মালামালের বিবরণ।
৬। সাক্ষীদের স্বাক্ষর।
৭। যার নিকট হতে মালামাল জব্দ করা হয়েছে তার নাম,ঠিকানা ও স্বাক্ষর।
৮। জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী অফিসারের নাম,পদবী ও ঠিকানা।  
১৮৯৮ সালে প্রনীত ফৌঃকাঃ আইনের ১০৩(২) ধারা,পিআরবি ২৮০,৪৬৫ বিধি আলোকে উপরোল্লিখিত বিষয় গুলো একটি পূণাঙ্গ জব্দ তালিকায় উল্লেখ থাকে।
==============================
প্রশ্নঃ ১৪। কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে আদালতে আত্মসমার্পনে বাধ্য করতে কি কি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় আলোচনা করুন।
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করে আদালতে আত্মসমার্পনে বাধ্য করা যায়।
(১) ফৌঃকাঃ ৬৮ ধারা মোতাবেক সমন জারি করে আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন।ফৌঃকাঃ ৬৮ ধারা ,পিআরবি ৪৭১(ঘ) বিধি
(২) ফৌঃকাঃ ৭৫ ধারা মোতাবেক গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকরী করে আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন। ফৌঃকাঃ ৭৫ ধারা ,           
      পিআরবি ৩১৫,৪৬৮ বিধি।
(৪) ফৌঃকাঃ ৮৭ ধারা মোতাবেক হুলিয়া জারি করে আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন। ফৌঃকাঃ ৮৭ ধারা ,পিআরবি ৪৭২ বিধি।
(৫) ফৌঃকাঃ ৮৮ ধারা মোতাবেক সম্পত্তি ক্রোক করে আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন। ফৌঃকাঃ ৮৮ ধারা,পিআরবি ৪৭৪ বিধি।
(৬) ফৌঃকাঃ ৯১ ধারা মোতাবেক মুচলেকা নিয়ে আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন। ফৌঃকাঃ ৯১ ধারা।
(৭) যখন সমন, ওয়ারেন্ট, হুলিয়া ও সম্পত্তি ক্রোক করেও আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে না পারেন তাহলে নালিশী অপরাধ গ্রহণকারী আদালত দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসামীকে আদালত আত্মসমার্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন। ফৌঃকাঃ ৩৩৯(খ) ধারা।

===========================
প্রশ্নঃ ১৫।রাত্রীকালীন টহল ডিউটি করার সময় পরিত্যাক্ত অবস্থায় কোন অস্ত্র পাওয়া গেলে এবং রাস্তার পার্শ্বে একটি অসনাক্তকৃত লাশ পাওয়া গেলে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি বর্ননা করুন।
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
রাত্রীকালিন টহল ডিউটি করার সময় পরিত্যাক্ত অবস্থায় কোন অস্ত্র পাওয়া গেলে করনীয় নিম্নরুপঃ-
১। ১৮৯৮ সালে প্রণীত ফৌঃকাঃ আইনের ১৫০ ধারা অনুসারে পরিত্যাক্ত অবস্থায় অস্ত্র পাওয়ার বিষয়টি উদ্ধর্তন অফিসারকে জানাতে হবে।
    ফৌঃকাঃ আইন ১৫০ ধারা,পিআরবি ১২০বিধি,পুলিশ আইনের ২৩ ধারা।

২। পরিত্যাক্ত অস্ত্রটি সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিন কপি জব্দ তালিকা করে হেফাজতে নিতে হবে এবং জব্দ তালিকায় সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
   ফৌঃকাঃ আইন ১০৩(২) ধারা,পিআরবি ২৮০বিধি।

৩। অস্ত্রটি কোথায় থেকে আসল তার সূত্র খোঁজার চেষ্টা করতে হবে। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা, পিআরবি ১১৮ বিধি।

৪। জব্দকৃত অস্ত্রটিসহ থানায় এসে বিষয়টি সাধারণ ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ফৌঃকাঃ আইন ১৫৪,১৫৫ধারা, পিআরবি ৩৭৭ বিধি,পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা।

৫। সম্পত্তি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে পিআর নম্বর দিতে হবে। আস্ত্রটি থানার নিরাপদ স্থানে হেফাজতে রাখতে হবে। পিআরবি ৩৭৯ বিধি।

৬। জব্দ তালিকার মূলকপি একটি প্রতিবেদন দিয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট পাঠাতে হবে।
    পিআরবি ২১৩ বিধি, পুলিশ আইনের ২৪ ধারা।

৭। থানার অফিসার ইনচার্জকে বিস্তারীত ঘটনা অবগত করতে হবে।কাঃ বিঃ আইন ১৬৮ ধারা।

অসনাক্ত লাশ পাওয়া গেলে পুলিশ অফিসারের করনীয় নিম্নরুপঃ
১।  রাস্তার পাশে অসনাক্ত লাশের বিষয়টি উদ্ধর্তন অফিসারকে জানাতে হবে।
    ফৌঃকাঃ আইন ১৫০ ধারা, পিআরবি ১২০বিধি,পুলিশ আইনের ২৩ ধারা।
২।  পিআরবি ২৫৮ বিধি মোতাবেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত পরিত্যাক্ত অসনাক্ত লাশটি হেফাজতে নিতে হবে এবং আশপাশে পড়ে থাকা আলামত সমূহ ও বস্তু সাক্ষ্য সংগ্রহ করতে হবে। পিআরবি ৬৩৫,৬৩৮ বিধি।
৩। আশ-পাশে পড়ে থাকা আলামত সমূহ জব্দ তালিকামূলে হেফাজতে নিতে হবে। ফৌঃকাঃ আইন ১০৩(২) ধারা, পিআরবি ২৮০বিধি।
৪। ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র তৈরি করতে হবে। পিআরবি ২৭৩ বিধি।
৫। অসনাক্ত লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে। ফৌঃকাঃ আইন ১৭৪ ধারা, পিআরবি ২৯৯ বিধি।
৬।  মৃত লাশটির আঙ্গুলের ছাপ ও পায়ের ছাপ গ্রহণ করতে হবে। পিআরবি ৩১৩ বিধি।
৭।  মৃত লাশটির পূর্ণাঙ্গ ছবি উঠাতে হবে। পিআরবি ৩১৪ বিধি।
৮। মৃত লাশটির ওয়ারিশ খোঁজার জন্য মাইকিং করতে হবে।  পিআরবি ১১৮ বিধি,পুলিশ আইনের ২৩ ধারা।
৯। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে প্রেরণ করতে হবে।পিআরবি ৩০৪,৩০৫ বিধি।
১০। থানায় এসে বিষয়টি সাধারণ ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ফৌঃকাঃ ১৫৪,১৫৫ধারা,পিআরবি ৩৭৭ বিধি,পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা।
 ১১। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করতে রুজু করতে হবে। ফৌঃকাঃ ১৭৪ ধারা, পিআরবি ২৯৯ বিধি।
১২। মর্গ থেকে লাশটি ফেরৎ আসার পর মৃত লাশের ওয়ারিশ পাওয়া গেলে সৎকারের জন্য হস্তান্তর করতে হবে এবং ওয়ারিশ পাওয়া না গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সরকারী কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। পিআরবি ৩১০ বিধি।
১৩। থানার অফিসার ইনচার্জকে বিস্তারীত ঘটনা অবগত করতে হবে। ফৌঃকাঃ আইন ১৬৮ ধারা
============================
প্রশ্নঃ ১৬। কারা অস্ত্র বহন করতে পারে ? কি কি পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা আদেশ দিতে পারেন। কোন কোন ক্ষেত্রে অস্ত্র-শস্ত্র থানায় অথবা লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের নিকট জমা করতে হয়।
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
সামরিক বাহিনী বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনকালে অস্ত্র বহন করতে পারেন। তাছাড়া যাদের অস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স আছে তারাও অস্ত্র বহন করতে পারে।অস্ত্র আইনের ৫ ধারা।

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারেঃ-
১। জনসাধারনের নিরাপত্তা কিংবা শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন হলে বা ব্যাপক হারে এইরুপ হওয়ার সম্ভবনা থাকলে সেই ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজন মনে করলে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করে অনুরুপ কোন অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত আদেশ দিতে পারেন। অস্ত্র আইনের ১৮(ক) ধারা।

২। অস্ত্রের লাইসেন্সধারী কোন ব্যক্তি অস্ত্র আইনের অধীনে কোন অপরাধের দায়ে কোন জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে দন্ডিত হলে উক্ত জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট ঐ ব্যক্তির অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন। তাছাড়া সরকার অফিসিয়াল গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা সমগ্র বাংলাদেশ বা কোন অঞ্চলের সব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত আদেশ দিতে পারেন। অস্ত্র আইনের ১৮(খ) ধারা।

যে সকল ক্ষেত্রে অস্ত্র-শস্ত্র থানায় অথবা লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের নিকট জমা করতে হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
অস্ত্র আইনের ১৬ ধারা মোতাবেক আইনসঙ্গত কারণে যে সমস্ত অস্ত্র-শস্ত্র বে-আইনী হয়ে পড়ে এবং উহা যে সমস্ত ব্যক্তির নিকট রহিয়াছে,সেই সকল অস্ত্রধারী ব্যক্তিগণ শর্তে সাপেক্ষে নিকটবর্তী থানা পুলিশ কর্মকর্তার কাছে বা সরকার নির্দেশ মোতাবেক লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের নিকট জমা দিতে হবে। যে সমস্ত অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত অস্ত্র-শস্ত্র সরকার কর্তৃক নির্ধারীত মেয়াদ শেষে আইনানুগ দখলকারী উহা ফেরত নিতে পারেন। সরকার ইচ্ছা করলে আইনের সাথে সঙ্গিত রেখে বিধান তৈরি করে উহা বাজেয়াপ্তও করতে পারেন।অস্ত্র আইনের ১৬ ধারা

===========================
প্রশ্নঃ ১৭। পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক বলিতে কি বুঝ ? ইহার প্রয়োজনীয়তা কি ? ক্রোককৃত সম্পত্তির নিস্পতির নিয়ম গুলি লিখুন।
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোকঃ- যদি কোন অপরাধী অপরাধ করে নিজেকে অনিদিষ্টকালের জন্য গোপন রাখে বা গ্রেফতার হতে নিজেকে বিরত রাখে, এমনকি ফৌঃকাঃ ৮৭ ধারা অনুযায়ী হুলিয়া জারি করার পরও যদি আদালতে আত্মসমার্পণ না করে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধীকে হাজির করার জন্য তার স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট এর স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরকৃত আদেশ অনুসারে অপরাধীর সম্পত্তি সরকারী হেফাজতে নেয়াকে ক্রোক বলে। ফৌঃকাঃ ৮৮ ধারা,পিআরবি ৪৭৪ বিধি।

পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা নিম্নে আলোচনা করা হইলঃ-
ফৌঃকাঃ ৮৭ ধারা অনুযায়ী আদালত কর্তৃক হুলিয়া জারি করার পরও অনেক সময় অপরাধী নিজেকে অনিদিষ্টকালের জন্য গোপন রেখে পলাতক থেকে গ্রেফতার  এড়িয়ে চলে। তখন আদালত অপরাধীর স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে সরাকারী হেফাজতে নিলে অপরাধী আদালতে হাজির হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই অপরাধীর সম্পত্তি ক্রোক করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সুতরাং আসামীর উপস্থিতিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্টার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোকের পদ্ধতিসহ নিস্পতির নিয়ম গুলি নিম্নরুপঃ-
 ১। ফৌঃকাঃ ৮৮(১) ধারা মোতাবেক হুলিয়া ঘোষনাকারী আদলত যে কোনো সময় পলাতক আসামীর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিতে পারেন।

২। ফৌঃকাঃ ৮৮ (২) ধারা মোতাবেক পলাতক ব্যক্তির  অস্থাবর যে জেলায় ক্রোকের আদেশ দেয়া হবে সে জেলার চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে অভিযুক্ত আসামীর সংশ্লিষ্ট থানায় এটা প্রেরণ করতে হবে।
৩। ফৌঃকাঃ ৮৮ (৩) ধারা মোতাবেক পলাতক ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া হলে উক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জব্দ তালিকা মতে জব্দ করে মালামাল সরকারী হেফাজতে নিবেন।
(ক) আটক করে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে।
(খ) রিসিভার নিয়োগ করে।
(গ) লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর নিষেধ করে ।
(ঘ) আদালতের ইচ্ছা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।

৪। ফৌঃকাঃ ৮৮ (৪) ধারা মোতাবেক পলাতক ব্যক্তির স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া হলেঃ-
(ক) দখল গ্রহণ করে।
(খ) রিসিভার নিয়োগ করে।
(গ) লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর নিষেধ করে ।
(ঘ) আদালতের ইচ্ছা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

৫। ফৌঃকাঃ আইনের ৮৮(৫) উপধারা মোতাবেক যেই সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া হবে উক্ত সম্পত্তি কোন গৃহপালিত পশু বা পচঁনশীল প্রকৃতির হলে আদালত উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন এবং বিক্রয়লব্দ অর্থ আদালতের আদেশ মোতাবেক সরকারি কোষাগারে চালান মতে জমা দিতে হবে।
৬। ফেঃকাঃ আইনের ৮৯ ধারা  এবং পিআর বি ৪৭৪ মোতাবেক ক্রোকী সম্পত্তির মালিক আদালতের আদেশ অনুযায়ী ক্রোকের তারিখ হতে ২ বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে বা তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে যদি ইতিমধ্যে  ক্রোকী সম্পত্তি বিক্রয় করা হলে বিক্রয়লব্দ অর্থ যাবতীয় খরচাবলী বাদে বাকি অর্থ এবং সম্পত্তি বিক্রয় করা না হলে ক্রোক সংক্রান্ত যাবতীয় খরচাবলী আদায় সাপেক্ষে ক্রোকী সম্পত্তি এর মালিককে ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু যদি উক্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রোকী সম্পত্তির মালিক হাজির না হয়, তাহলে পিআরবি ৪৭৪ মোতাবেক ক্রোককৃত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। ফৌঃকাঃ ৮৭,৮৮,৮৯,৪০৫ ধারা, পিআরবি ৪৭২,৪৭৩,৪৭৪ বিধি।

=============================
প্রশ্নঃ ১৮। সুরতহাল কি ? সুরতহাল রিপোর্টে কী কী বিষয় উল্লেখ করা আবশ্যক আলোচনা করুন ?
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর

সুরতহাল রিপোর্টঃ কোনো ব্যক্তি আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে বা ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করলে বা আত্মহত্যা করলে বা খুন হলে কিংবা দূঘটনায় মারা গেলে পুলিশ অফিসার অথবা ম্যাজিষ্ট্রেট মৃত দেহের বর্ণনা উল্লেখ পূর্বক যে রিপোর্ট তৈরি করেন তাকে সুরতহাল রিপোর্ট বলে।
ফৌঃ কাঃ আইনের ১৭৪ ধারা,পিআরবি-২৯৯ বিধি।

লাশের সুরতহাল রিপোর্টে যে সকল বিষয় গুলো উল্লেখ থাকতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ-
১। সূত্রঃ
২। সুরতহাল প্রস্তুতের তারিখ ও সময়।
৩। লাশ প্রাপ্তি স্থানের পূনাঙ্গ বর্ণনা।
৪। মৃত ব্যাক্তির পরিচিতিঃ-যেমন,নাম,বয়স,পিতা/মাতার নাম,বর্তমান ঠিকানা,স্থায়ী ঠিকানা,লিঙ্গ,ধর্ম ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৫। মৃত ব্যক্তির সনাক্তকারীর পরিচিতিঃ-যেমন,নাম,বয়স,পিতা/মাতার নাম,বর্তমান ঠিকানা,স্থায়ী ঠিকানা,লিঙ্গ,ধর্ম এবং মৃত ব্যক্তির সহিত সম্পর্ক ইত্যাদি
     উল্লেখ পূর্বক লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৬। উপস্থিতি স্বাক্ষীগনের পরিচিতি(কমপক্ষে তিনজন):তাদের নাম,বয়স,পিতা/মাতার নাম,বর্তমান ঠিকানা,স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক লিপিবদ্ধ   
     করতে হবে। সুরতহাল প্রস্তুতকারীসহ সঙ্গীয় ফোর্সেদের নাম ও পদবী উল্লেখ করতে হবে।
৭। গোপন অঙ্গ সমূহের অবন্থা(মহিলা হলে অন্য একজন মহিলা দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে):
      (ক) পরিক্ষাকারীর পরিচিতিঃ-যেমন,নাম,বয়স,পিতা/মাতার নাম,বর্তমান ঠিকানা,স্থায়ী ঠিকানা এবং মৃত ব্যক্তির সহিত সম্পর্ক ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক
            লিপিবদ্ধ করতে হবে।
      (খ) লাশটি অজ্ঞাত পুরুষ হলে খৎনা করা আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
৮। লাশের অবন্থা (লাশের ছবি তুলতে হবে): বস্ত্র পরিহিত না নগ্ন তা উল্লেখ করতে হবে।
৯। লাশের শরীরের থাকা জিনিস পত্রের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করতে হবে। যেমন, ঘড়ি,আংটি,গহনা,শাখা,তাবিজ,চশমা ইত্যাদি।
১০। লাশের শারিরীক বর্ণনা (পা হতে মাথা পযর্ন্ত)
১১। লাশের পরিধেয় বস্ত্রাদির বর্ননা।
১২। আঘাত হলে আঘাতের ধরণ বর্ণনা পূর্বক বিস্তারীত উল্লেখ করতে হবে।
১৩। লাশের শরীরের কৃত্রিম চিহৃ থাকলে তার বর্ননা।
১৪। আঘাত ব্যতিত অন্যান্য করতে মৃত্যুঃ যেমনঃ ফাঁসিতে মৃত্যু/শ্বাসরোধজনিত মৃত্যু/বিষ প্রয়োগ বা বিষ পানে মৃত্যু/পানিতে ডু্বে মৃত্যু/বিদ্যু পৃষ্ট হয়ে
      মৃত্যু/আগুনে পুড়ে মৃত্যু/গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু/ মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু ইত্যাদির ক্ষেত্রে আলেদা আলেদা বর্ননা  উল্লেখপূবর্ক লিপিবন্ধ করতে হবে।
১৫। তাছাড়াও যদি অন্যান্য তথ্য থাকে তা উল্লেখ করতে হবে।
১৬। মৃত্যুর কারন সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য (হত্যা/আত্মহত্যা/দুঘর্টনা)
১৭। মৃত্যুর কারন সম্পর্কে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারীর অফিসারের মন্তব্য।
১৮। স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষর নিতে হবে।
১৯। লাশ নিষ্পত্তির গৃহিত ব্যবস্থা।
২০। প্রস্তুতকারীর অফিসারের পদবী/নাম/ইউনিট/জেলার নাম ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
২১। সুরতহাল রিপোট যে স্থানে প্রস্তুত করা হইয়াছে সেই স্থানের নাম (ক্যাম্প/ফাঁড়ি/পুলিশ লাইন হলে তাও উল্লেখ করতে হবে)
ফৌঃকাঃ আইনের ১৭৪ ধারা,পিআরবি ২৯৯,৩০৪,৩০৫,৩০৬ বিধি।

============================
প্রশ্নঃ ১৯। একজন পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় কাহারো গৃহ তল্লাশী করিতে পারেন কি? গৃহ তল্লাশী করার পূর্বে, সময় এবং পরে কিকি নিয়ম পালন করিতে হয় ? (২০১৮ সলে এসেছে তবুও ২০১৯ সালের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ)
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
আইন সম্মতভাবে আদালত থেকে পরোয়ানা নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বা ক্ষমতা  প্রাপ্ত অপর কোনো অফিসার সন্দিগ্ধ কোনো বস্তু জাল দলিল, জাল নোট, চোরাইমাল, অশ্লীল বই পস্তুক বা কোনো আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য কোনো গৃহ বা কোনো আবদ্ধ স্থানে একজন পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় গৃহ তল্লাশী করিতে পারেন।  ফৌঃকাঃ আইনের ১০২, ১০৩, ১৫৩, ১৬৫, ১৬৬ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি,পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা,মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারা মতে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তল্লাশী করে থাকেন।

তল্লাশীর আগেঃ
১।তল্লাশী পরোয়ানা অথবা মামলার কাগজ পত্রসহ অভিযানকারী পুলিশ দল পোশাক পরিহিত অবস্থায় যে স্থান তল্লাশী করা হবে সে স্থানে উপস্থিত হতে হবে।
২। যে স্থান তল্লাশী করা হবে তার চতুর দিক শস্ত্র অবস্থায় ঘিরে ফেলতে হবে। ফৌঃ কাঃ ১৪৯ ধারা,পিআরবি ১৪৫ নিয়ম।
৩। গৃহ তল্লাশী কাজে স্বাক্ষী হওয়ার জন্য ২/৩ জন গন্যমান্য ব্যক্তিকে আহ্বান করতে হবে। ফৌঃ কাঃ ১০৩ ধারা,পিআরবিঃ ৪৬৫ নিয়ম।
৪। তল্লাশী করার জন্য বাড়ীর মালিকের অনুমতি নিতে হবে। ফৌঃ কাঃ ১০২(১) ধারা।
৫। যে স্থান তল্লাশী করা হবে সেই স্থানে পর্দাশীল মহিলা থাকলে তাদের শালীনতা বাজায় রেখে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাহাতে কোন অপরাধজনক বস্তু নিয়ে পালাতে না পারে ।
৫। যাহারা তল্লাশী কাজে অংশ গ্রহণ করবেন তাদের পোশাক পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে । পিআরবি ৯৫১ নিয়ম।
৬। বাড়ীর মালিক ও সাক্ষীদের সামনে যাহারা তল্লাশী কাজে অংশ গ্রহণ করবেন তাদের শরীর তল্লাশী করে দেখাতে হবে।
ফৌঃ কাঃ ১০৩ ধারা,পিআরবি ২৮০ নিয়ম।
৬। বাড়ীর মালিককে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে যে স্থান তল্লাশী করা হবে সেই স্থানে কোন অপরাধজনক বস্তু আছে কিনা।

তল্লাশী সময়ঃ-
১। তল্লাশী কালে বাড়ীর মালিককে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশী করতে হবে । ফৌঃ কাঃ ১০৩(৩) ধারা।
২। পরোয়ানায় উল্লেখিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থান তল্লাশী করা যাবে না। ফৌঃ কাঃ ৯৭ ধারা।
৩। পরোয়ানায় উল্লেখিত স্থান ভালভাবে তন্ন তন্ন করে তল্লাশী করতে হবে।
৪। যে বস্তুটির জন্য তল্লাশী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে সেই বস্তুটি যদি কারো শরীরে লুকায়িত আছে বলে সন্দেহ হয় তাহলে তার শরীর তল্লাশী করা যাবে। মহিলা হলে মহিলা দ্বারা তল্লাশী করাতে হবে।ফৌঃ কাঃ ১০২(৩) ধারা,ফৌঃ কাঃ ৫২ ধারা।
৫। বে-আইনীভাবে তল্লাশী বা তল্লাশী কালে কাউকে হয়রাণী ও বিরক্ত করা যাবে না। পিআরবি ২৬০ নিয়ম
৬। বাদীকে সঙ্গে রাখা যাবে না ।
৭। পরোয়ানায় উল্লেখিত বস্তু ব্যতীত অন্য কোন বস্তু হস্তগত করা যাবে না। ডিএমপি অধ্যাদেশ ৫১,৫২ ধারা।
৮। চোরাইমাল বা সন্দিগ্ধ সম্পত্তি কারো নিকট রয়েছে বলে সন্দেহ হলে কাঃবিঃ ১০২,৫৫০ ধারা এবং পিআরবি-২৮০বিধি মোতাবেতক একজন ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করা যাবে।

তল্লাশী পরেঃ-
১। তল্লাশী করিয়া কোন বস্তু উদ্ধার হলে ৩ কপি জব্দ তালিকা তৈরি করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিয়ে বাড়ীর মালিককে এক কপি, কোটে এক কপি এবং থানায় এক কপি জমা দিতে হবে। ফৌঃ কাঃ ১০৩(২),১০৩(৩) ধারা।
২। তল্লাশী করিয়া কোন কিছু না পাওয়া গেলেও তিন কপি জব্দ তালিকা করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
৩। উদ্ধারকৃত মালামালের গায়ে লেবেল লাগাতে হবে। পিআরবি ৩৭৯ (খ) নিয়ম।
৪। উদ্ধারকৃত মালামাল যদি কোনো ভারীবস্তু হয় যা বহন করা সম্ভব নয় সে ক্ষেত্রে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির নিকট জিম্মানামা গ্রহন করে তার জিম্মায় প্রদান করা যেতে পারে। পিআররি-২৮০ বিধি।
৫। তল্লাশী করার শেষে নিজের শরীর সাক্ষীদের সামনে পরীক্ষা করে দেখাতে হবে।
৬। তল্লাশী করার শেষে জব্দ তালিকা ছাড়া অন্য কোন মালামাল হস্তক্ষেপ করেন নাই তার একটি প্রাপ্তি স্বীকার বাড়ীর মালিক ও সাক্ষীদের নিকট হতে নিতে হবে।
৭। যে সকল মাল জিম্মায় প্রদান করা হয় নাই সেসকল মালামালসহ থানায় এসে ওসি সাহেবকে অবহিত করে জিডিতে এন্ট্রি করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে তা মালখানা রেজিষ্টারে এন্ট্রি করতে হবে। পিআরবি-৩৭৯ বিধি
৮। জব্দ তালিকার ১ম কপি একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট  এর আদালতে কোট পুলিশ পরিদশকের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। পুলিশ আইনের ২৪ ধারা,পিআরবি-২১৩ বিধি।

উপরে উলল্লখিত কার্যক্রম এর ক্ষেত্রে বা তল্লাশীকালে অব্যশই ফৌঃ কাঃ আইনের ১০২,১০৩,১৬৫,১৬৬ ধরা, পিআরবি ২৮০ বিধি পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারা অনুসরণ করতে হবে।

==========================
প্রশ্নঃ ২০। তল্লাশী কি? ডিউটিরত থাকা অবস্থায় সন্দেভাজন কোন স্থানে তল্লাশী করিয়া আপনি কিছু অবৈধ মালামাল উদ্ধার করলেন, আপনার করনীয় কি? 
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
তল্লাশীঃ আইন সম্মতভাবে আদালত থেকে পরোয়ানা নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বা ক্ষমতা  প্রাপ্ত অপর কোনো অফিসার সন্দিগ্ধ কোনো বস্তু জাল দলিল, জাল নোট, চোরাইমাল, অশ্লীল বই পস্তুক বা কোনো আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য কোনো গৃহ বা কোনো আবদ্ধ স্থানে যে অনুসন্ধান পরিচালনা করেন তাকে তল্লাশী বলে। ফৌঃকাঃ আইনের ১০২, ১০৩, ১৫৩, ১৬৫, ১৬৬ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি,পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা,মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারা মতে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তল্লাশী করে থাকেন।

আমি ডিউটিরত থাকা অবস্থায় সন্দেভাজন কোন স্থানে তল্লাশী করিয়া কিছু অবৈধ মালামাল উদ্ধার করার পর নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করব।
ফৌঃকাঃ আইনের ১০৩(১) ধারা মতে আমি দুই বা ততোধিক সাক্ষীকে তলব করে ঘটনাস্থলে হাজির করব। তাদের সামনে অবৈধ মালামাল গুলো জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেব এবং নিজে স্বাক্ষর করে মালামাল সরকারি হেফাজতে নিব। মালামালের উপর লেবেল লাগবো,লেবেলে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিব,নিজে স্বাক্ষর করব। ফৌঃকাঃ আইন ১০৩(২) ধারা,পিআরবি ২৮০বিধি,পুলিশ আইনের ২৫ ধারা।

অবৈধ মালামাল গুলো থানায় উপস্থিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ উর্দ্ধতন পুলিশ অফিসারকে ঘটনা অবগত করব।                                                                                                   ফৌঃকাঃ আইন ১৫০ ধারা,পিআরবি ১২০বিধি, পুলিশ আইনের ২৩ ধারা।

অবৈধ মালামাল বিষয়টি থানার জেনারেল ডায়েরীতে এন্ট্রি দিব। ফৌঃকাঃ আইন ১৫৪,১৫৫ধারা,পিআরবি ৩৭৭ বিধি,পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা।

সম্পত্তি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে পিআর নম্বর দিব। থানার মালখানায় মালামাল গুলো নিরাপদ হেফাজতে রাখব। পিআরবি ৩৭৯ বিধি।

জব্দ তালিকার মূলকপি একটি প্রতিবেদন দিয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট পাঠাব। পিআরবি ২১৩ বিধি, পুলিশ আইনের ২৪ ধারা।

============================
প্রশ্নঃ ২১। সুরতহাল রিপোর্ট বলতে কি বুঝ? থানা হাজতে কোন আসামী মারা গেলে কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে করনীয় কি ?
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
সুরতহাল রিপোর্টঃ কোনো ব্যক্তি আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে বা ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করলে বা আত্মহত্যা করলে বা খুন হলে কিংবা দূঘটনায় মারা গেলে পুলিশ অফিসার অথবা ম্যাজিষ্ট্রেট মৃত দেহের বর্ণনা উল্লেখ পূর্বক যে রিপোর্ট তৈরি করেন তাকে সুরতহাল রিপোর্ট বলে। ফৌঃ কাঃ আইনের ১৭৪ ধারা,পিআরবি-২৯৯ বিধি।

থানা হাজতে কোন আসামী মারা গেলে কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে আমি নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবঃ-
(১) থানা হাজতে আসামী মারা গেলে কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে আমি প্রথমে জেনারেল ডাইরীভুক্ত করব। থানা এলাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকলে সংবাদ দিব ।ফৌঃকাঃ ১৫৪,১৫৫ধারা,পুলিশ আইনঃ ৪৪ ধারা,পিআরবি ৩৭৭ নিয়ম।

(২) মৃত্যুর ঘটনাটি এখতিয়ারধীন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে বেতার মারফত বা টেলিফোনে আবহিত করব।
ফৌঃকাঃ ৩০২(খ)ধারা,ফৌঃ কাঃ ১৫০ ধারা,পিআরবিঃ ১২০ নিয়ম,পুলিশ আইনঃ ২৩ ধারা।

(৩) নিজে বাদী হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা পিআরবি ২৯৯ ধারা নিয়ম মোতাবেক থানায় মামলা রুজু করব।
পুলিশ আইন ২৪ ধারা,পিআরবি ২১৩ ধারা।

(৪) মৃত লাশটি যে আবস্থায় আছে সেই রাখতে হবে এবং একটি ছবি তুলতে হবে । পিআরবি ৬৩৫নিয়ম,পিআরবি ৬৩৮নিয়ম।

(৫) ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে তদন্ত গ্রহণ করে উক্ত মৃত লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রণায়ণ করবেন। সুরতহাল রিপোর্টের চালান ফরমে স্বাক্ষর করবেন।ফৌঃকাঃ ১৭৬ (১) ধারা,পিআরবিঃ ৩০২(খ) নিয়ম।

(৬) ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশক্রমে মফঃস্বল সিসি দিয়ে চালান ফরম ও সুরতহালের কপি দিয়ে মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করবে। ফৌঃকাঃ ১৭৪(৩)ধারা,পিআরবি ৩০৪,৩০৫ নি নিয়ম।

(৭) ময়না তদন্তের পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পর মৃত লাশটি তার আত্মীয় স্বজন বা নিস্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।
পিআরবি ৩১০ নিয়ম।
=========================
প্রশ্নঃ ২২। (ক) পুলিশ আইন অনুযায়ী কাউকে গ্রেফতারের পূর্ব শর্ত গুলো কিকি ?
 ২২ নং প্রশ্নের উত্তর (ক)
পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে পুলিশ আইনের আলোকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার সময়
পুলিশ আইনের ৩৪ ধারা পূর্ব শর্ত গুলো মেনে চলতে হবে।
পুলিশ আইনের ৩৪ ধারা পূর্ব শর্ত গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
(১)
    অপরাধটি পৌর এলাকায় হতে হবে।
(২)
    সরকারী ইউনিফরম বা পোশাক পরিহিত আবস্থ্য় হতে হবে।
(৩)
    পুলিশ অফিসারের সম্মুখে অপরাধটি সংঘটিত হতে হবে।
(৪)
    জনসাধারনের বিরক্তকর বা অসুবিধা সষ্টি হতে হবে।
(৫)
    উক্ত স্থানে ডিউটিরত অবস্থায় থাকতে হবে।
পুলিশ আইনের ৩৪ ধারার শর্ত গুলো যেমনঃ
১। অনাবৃত জায়গায় গবাদি পশু জবাই বা মৃত পশুর চামড়া ছাড়ান কিংবা বেপোরোয়াভাবে ঘোড়া ছুটান বা তাড়না করা
২। নির্দয় নিষ্ঠুর ভাবে কোন জীব জানোয়ারকে মারধর করা বা যন্ত্রনা দেয়া।
৩। জনাসাধারণের অসুবিধা সৃষ্টি করে রাস্তায় অনাবশ্যকভাবে গাড়ী-ঘোড়া দাঁড় করিয়ে রাখা।
৪। খোলা বা উন্মুক্ত জায়গায় বিক্রয়ের জন্য কোন মাল ফেলে রাখা।
৫। রাস্তায় ময়লা বা আর্বজনা ফেলা ।
৬। মাতাল বা বেসামাল হয়ে রাস্তায় বেড়ান।
৭। রাস্তায় মল মূত্র ত্যাগ করা বা উলঙ্গ হয়ে বেড়ান।
৮। পুকুর কিংবা খোলা জায়গা না ঘিরে খোলা রাখা ।
তাছাড়াও পুলিশ অফিসার স্থান, কাল, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমলযোগ্য অপরাধ এর ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তিকে আইনের আলোকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন।
====================================
প্রশ্নঃ ২২(খ) হুলিয়া কাকে বলে ? হুলিয়া জারির পদ্ধতি আলোচনা করুণ?
২২ নং প্রশ্নের উত্তর (খ)
হুলিয়াঃ- আদালত পলাতক আসামীকে একটি নিদিষ্ট তারিখ ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৩০ দিনের মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীল মোহরকৃত যে পরোয়ানা ইস্যূ করা হয় তাকে হুলিয়া বলে। ফৌঃ কাঃ ৮৭(১) ধারা, পিআরবি ৪৭২নিয়ম।

হুলিয়া জারির পদ্ধতিঃ-
(১) পলাতক আসামীর বসবাসের প্রকাশ্য স্থানে বা জনসাধারনের সম্মুখে হুলিয়াটি পাঠ করে শুনাতে হবে (২)পলাতক আসামীর বসবাসের প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিতে হবে ।

(২) হুলিয়া একটি কপি তার থানার প্রকাশ্য বোর্ডে বা আদালত ভবনের সামনে দেওয়ালে লাগিয়ে হুলিয়া জারি করতে পারবেন। উপরোল্লিখিত কার্য গুলি অবশ্যই সাক্ষীর সম্মুখে করতে হবে।
ফৌঃ কাঃ ৮৭(১) ,৮৭(২) ধারা, পিআরবি ৪৭২, ৪৭২(খ) নিয়ম।

====================================
প্রশ্নঃ ২২: (গ): সমন কাকে বলে ? সমন জারির পদ্ধতি আলোচনা করুণ ?
২২ নং প্রশ্নের উত্তর (গ)
সমনঃ- বাদী বা সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সীল মোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে সমন বলে।                                            ফৌঃ কাঃ ৬৮ ধারা, পিআরবিঃ ৪৭১(ঘ) নিয়ম।

সমন জারির পদ্ধতি নিম্ন আলোচনা করা হল।
(১)সমন যার উপর জারি করা হবে তাকে সমনের এক কপি দিয়ে অন্য কপিতে প্রাপ্তি স্বীকারে স্বাক্ষর নিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৬৯(১)ধারা।

(২)যদি একাদিক ব্যক্তির উপর সমন জারি করতে হয়, তাহলে প্রত্যেকের স্বাক্ষর অফিস কপিতে নিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৬৯(২)ধারা।

(৩)যদি কোন কোম্পানী বা কোন প্রতিষ্টানে সমন জারি করার প্রয়োজন হয় তাহলে উক্ত কোম্পানীর মালিক/ম্যানেজারের নিকট সমনের এককপি বুঝিয়ে দিয়ে  ২য় কপিতে প্রাপ্তি স্বীকার নিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৬৯(৩)ধারা।

(৪) যে ব্যক্তির উপর সমন জারি করা হবে তিনি যদি উপস্থিত না থাকেন তাহলে উক্ত ব্যক্তির বাড়ীর যে কোন স্বাবলম্বী কোন পুরুষ লোকের নিকট সমনের এককপি বুঝিয়ে দিয়ে প্রাপ্তী স্বীকারে স্বাক্ষর নিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৭০ ধারা।

(৫)যদি উপরে বর্ণনা মোতাবেক সমন জারি না করা যায় তাহলে তার বাড়ীর প্রকাশ্য স্থানে বা বসবাসের প্রকাশ্য স্থানে দুই বা তিন জন ব্যক্তি উপস্থিতিতে (যাহারা প্রতিবেশী) সাক্ষী স্বরূপ লটকিয়ে দিয়ে সমন জারি করতে হবে। ফৌঃকাঃ ৭১ ধারা।

(৬)সমন যাহার উপর জারি করা হবে সেই ব্যক্তি যদি সরকারী কর্মচারী হয় তাহলে তার অফিস প্রধানের নিকট সমনের ২ কপি প্রেরণ করতে হবে । যার উপর সমন জারি করা হবে তাকে এককপি দিয়ে ২য় কপিতে প্রাপ্তী স্বীকার নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠাবেন। ফৌঃকাঃ ৭২ ধারা,পিআরবি ৪৭১(ঙ)বিধি।

(৭)যার উপর সমন জারি হবে সেই ব্যক্তি যদি উক্ত আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে না থাকেন তাহলে যেই আদালতের সীমা রেখায় উক্ত ব্যক্তি রয়েছেন সেই আদালতের নিকট প্রেরণ করে সমন জারির ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৭৩ ধারা।

     ========================================================


প্রশ্ন ২৩: আমলযোগ্য অপরাধের মামলা আপনি  কিভাবে তদন্ত করবেন বর্ণনা করুন ?
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর

উত্তরঃ- আমলযোগ্য অপরাধের মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ-
১। আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ আসলে ওসি মামলা রেকর্ড করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা, পিআরবি বিধি ২৪৩।
২। ওসি মামলা তদন্তের জন্য অপর কোন এসআই এর উপর তদন্তভার অর্পণ করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬ ধারা।
৩। পিআরবি বিধি ২৫০ মতে চোরাই বা লুণ্ঠিত মালামাল, ভিকটিম উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার সংক্রান্তে দ্রুত পার্শ্ববর্তী থানায়  
     হৈচৈ বিজ্ঞাপন ইস্যু করতে হবে।
৪। পিআরবি বিধি ২৫৬ মতে তদন্তে সহায়ক থানায় রক্ষিত রেজিষ্টার সমূহ পড়ে তদন্তে রওনা হতে হবে।
৫। পিআরবি বিধি ২৫৮ মতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলার ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করবেন।
৬। পিআরবি বিধি ২৭৩ মতে ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র তৈরী করতে হবে।
৭। মৃত্যুর সম্মুখীন অবস্থায় আছে এমন ব্যক্তির মৃত্যুকালীন জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করব। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা, পিআরবি বিধি ২৬৬।
৮। ঘটনাস্থলে কোন নিহত লোক থাকলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪, ১৭৫ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করব এবং পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫ মতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করব।
৯। পিআরবি বিধি ২৮০ ও ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা মতে ঘটনার সাথে জড়িত কোন বস্তু বা আলামত পাওয়া গেলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তা জব্দ করতে হবে।
১০। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬ ধারা মতে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই আমলযোগ্য অপরাধের মামলা তদন্ত করতে পারবেন।
১১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬০ ধারা মতে ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন এমন লোকদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তলব করবেন।
১২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৫ মতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্থ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের জবানবন্দী রেকর্ড করবেন।
১৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৫ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০ মতে ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোন বস্তু কোথাও লুকায়িত আছে জানতে পারলে উক্ত স্থান বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি পূর্বক বস্তু উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করবেন।
১৪। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় গুপ্তচর নিয়োগ করবেন। পিআরবি বিধি ২৯৩, ৩৪১.
১৫। এজাহার ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৬ ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৬। এসময় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ১০২, ১০৩ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০ অনুসরণ করতে হবে।
১৬। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩২৪ মতে লুন্ঠিত দ্রব্যাদি উদ্ধার ও জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতিক্রমে আসামীদের রিমান্ডে আনতে হবে।
১৭। পিআরবি বিধি ২৬০ মতে তদন্তকালে কোন পক্ষ বা ঘটনা সংশ্লিষ্ট লোকদের অযথা হয়রানি করা যাবে না।
১৮। পিআরবি বিধি ২৬১ মতে কোন রকম বিরতি ছাড়াই তদন্ত কার্য সম্পন্ন করতে হবে।
১৯। পিআরবি বিধি ২৬৩ ও ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭২ ধারা মতে মামলার ঘটনা সম্পর্কে কেস ডায়রী লিখতে হবে।
২০। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৮ ধারা মতে তদন্তের ফলাফল ওসি’কে অবহিত করতে হবে।
২১। তদন্ত আরম্ভ থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৩ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৭২ মতে বাদীর আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হলে চার্জশিট দাখিল করবেন এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৩ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৭৫ মতে বাদীর আনীত অভিযোগ সত্য বলে প্রতীয়মান না হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন।
প্রশ্নঃ ২৪। বেওয়ারিশ সম্পত্তি ও সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি বা চোরাই সম্পত্তি কি ? আইনের কোন কোন ধারা বলে পুলিশে এইসব সম্পত্তি আটক করতে পারে ? কিভাবে এইরূপ সম্পত্তি নিষ্পত্তি করতে হয় আলোচনা কর?
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
বেওয়ারিশ সম্পত্তিঃ- কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দাবিদার,ওয়ারিশদার বা মালিক খুজে পাওয়া না গেলে সে সকল সম্পত্তিকে বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে। পুলিশ আইন ২৫ ধার,ফৌঃ কাঃ ৫২৩ ধারা,ডিএমপি অধ্যাঃ ২২ ধারা,পিআরবি ২৫১ বিধি।

সন্ধিগ্ধ সম্পত্তিঃ চোরাই বলে কথিত বা সন্দেহ যুক্ত বা কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত কোন সম্পত্তিকে সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি বলে।
ফৌঃ কাঃ ৫৫০ ধারা ডিএমপি অধ্যাঃ ৮৮ ধারা,পিআরবি ৩৭৯, বিধি।

নিম্ন লিখিত আইন অনুযায়ী পুলিশ সদ্ধিগ্ধ সম্পত্তি আটক করতে পারে।
ফৌঃ ‍কাঃ আইনের ৫৪(৪) ধারানুযায়ী চোরাই বলে যুক্তি সঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে এরূপ মালামাল যার নিকট পাওয়া যাবে তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে পুলিশ অফিসার উক্ত সদ্ধিগ্ধ মালামাল আটক করতে পারে।

ফৌঃ ‍কাঃ আইনের ৫৫০ ধারানুযায়ী সন্দেহযুক্ত বা অপরাধ সংঘটনের সন্দেহযুক্ত পরিস্থিতিতে প্রাপ্ত কোন সদ্ধিগ্ধ সম্পত্তি পুলিশ অফিসার সীজ বা আটক করিতে পারে।
ডিএমপি অধ্যাদেশ ৮৮ ধারানুযায়ী যদি কারোও দখলে এমন কিছু থাকে যা হন্তান্তর করে অথবা বিক্রয় করতে বা বন্ধক দিতে চায় বা চোরাই বা প্রতারনার মাধ্যমে অর্জিত বলে মনে করার কারন বিদ্যমান। সেই ব্যক্তি যদি তার উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে সন্তোষজনক হিসাব বা জবাব দিতে ব্যার্থ হয় তাহলে উক্ত সদ্ধিগ্ধ সম্পত্তি পুলিশ অফিসার আটক করতে পারে। ফৌঃ কাঃ ৫৪(৪), ৫৫০ ধারা, ডিএমপি অধ্যাঃ ৮৮ ধারা

নিম্নে বেওয়ারিশ সম্পত্তির বিলি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হল।
১.কোন বেওয়ারিশ সম্পত্তির খবর থানায় আসার পর থানার অফিসার ইনচার্জ উক্ত বিষয়টি জিডিতে লিপিবদ্ধ করবেন।
ফৌঃ কাঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা,পুলিশ আইন ৪৪  ধারা,পিআরবি ৩৭৭ বিধি।

২.উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে  উর্ধ্বতন অফিসারকে অবগত করবেন। ফৌঃ কাঃ ১৫০ ধারা ,পুলিশ আইন ২৩ ধারা, পিআরবি ১২০ বিধি

৩.উক্ত সম্পত্তির একটি জব্দ তালিকা লিপিবদ্ধ করতে হবে। ফৌঃ কাঃ ১০৩(২) ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।

৪.উক্ত সম্পত্তি দখলে নিয়ে বিপি ফরম নং ২৯ এ লিপিবদ্ধ করবেন এবং উক্ত সম্পত্তির তালিকাসহ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট প্রতিবেদন পাঠাবেন। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ নির্দেশ প্রদান করবেন পুলিশ অফিসার তাই করবেন। ফৌঃ কাঃ ৫২৩(১) ধারা, পুলিশ আইন ২৫  ধারা, পিআরবি ২৫১ বিধি

নিম্নে সন্ধিগ্ধ সম্পত্তির বিলি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হল।
১।কোন সন্ধিগ্ধ সম্পত্তির খবর থানায় আসার পর থানার অফিসার ইনচার্জ উক্ত বিষয়টি জিডিতে লিপিবদ্ধ করবেন।
ফৌঃ কাঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা, পুলিশ আইন ৪৪  ধারা, পিআরবি ৩৭৭ বিধি।

২।উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে  উর্ধ্বতন অফিসারকে অবগত করবেন। ফৌঃ কাঃ ১৫০ ধারা,পুলিশ আইন ২৩ ধারা, পিআরবি ১২০ বিধি ।

৩।উক্ত সম্পত্তির একটি জব্দ তালিকা লিপিবদ্ধ করতে হবে। ফৌঃ কাঃ ১০৩(২) ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।

৪। ফৌঃ কাঃ ৫২৩(১) ধারা সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি  আটক করার পর পুলিশ অফিসার উক্ত সম্পত্তির তালিকাসহ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট প্রতিবেদন পাঠাবেন। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ নির্দেশ প্রদান করবেন পুলিশ অফিসার তাই করবেন। ফৌঃ কাঃ ৫২৩(১) ধারা, পুলিশ আইন ২৫,২৪  ধারা, পিআরবি ৩৭৯,২১৩ বিধি।

৫।যদি ঐ সম্পত্তির মালিক পাওয়া যায় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট শর্ত সাপেক্ষে ঐ সম্পত্তি মালিককে ফেরত দিবেন। আর যদি মালিক খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে খুজে বের করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দিবেন। ৬ মাসের মধ্যে প্রকৃত দাবিদার থাকলে সম্পত্তির মালিক প্রমাণ করতে হবে। পুর্লিশ আইনের ২৬ ধারা, ফৌঃ কাঃ ৫২৩(২) ধারা।

৬।ছয় মাসের মধ্যে সম্পত্তির মালিক হাজির না হলে উক্ত সম্পত্তি সরকারের কর্তৃত্বাধীনে ন্যাস্ত হবে। আদালতে আদেশক্রমে উহা বিক্রয় করতে পারবেন। পুর্লিশ আইনের ২৭ ধারা , ফৌঃ কাঃ ৫২৪ ধারা।

৭.আর সম্পত্তি যদি পচঁনশীল বা ক্ষয়শীল হয় যা বিক্রয় করলে মালিকের উপকার হবে সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য আদেশ দিবেন। পরে মালিক পাওয়া গেলে বিক্রয়কৃত টাকা ও অবশিষ্ট সম্পত্তি মালিককে ফেরত দেওয়া হবে। পুর্লিশ আইনের ২৬(২) ধারা, ফৌঃ কাঃ ৫২৫ ধারা।

     ===================================
প্রশ্নঃ ২৫। আইন সঙ্গত হেফাজত হতে আসামী পলায়ণ করলে পুলিশ অফিসারের করণীয় কি?
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
যদি কোন আসামী আইন সঙ্গত হেফাজত হতে পলায়ন  করে তাহলে উক্ত আসামীকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৮,৬৬ ধারা মোতাবেক বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অনুসরণ করে গ্রেফতার কার্যকরী বা পুনরায় গ্রেফতার করা যাবে। ফৌঃ কাঃ ৫৮,৬৬ ধারা।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬৬ ধারার ক্ষমতা বলে পুনরায় গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্র আইনের ৪৭,৪৮,৪৯ ধারার অনুসরণ প্রযোজ্য হবে। ফৌঃ কাঃ ৬৭ ধারা।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২ ধারা মোতাবেক পলায়ণকৃত আসামীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জনসাধারনের সাহায্য দাবী করতে পারবেন। ফৌঃ কাঃ ৪২ ধারা।

নিজে বাদী হয়ে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ২২৪ ধারা মোতাবেক  মামলা রুজু করতে হবে।পুলিশ আইনের ২৪ ধারা, পিআরবি ২১৩ নিয়ম।

আইন সঙ্গত হেফাজত হতে কোন আসামী পলায়ন করলে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ সুপার কে বেতার মারফত অথবা টেলিফোনে অবহিত করতে হবে। ফৌঃকাঃ ১৫০ ধারা, পিআরবি ১২০ নিয়ম।

পার্শ্ববর্তী থানা সমূহে হৈঃচৈঃ বিজ্ঞাপণ পাঠাতে হবে। পিআরবি ২৫০ নিয়ম।

এইরূপ পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য সকল ইউনিটে বেতার মারফত বার্তা দিয়ে দিতে হবে।
ফৌঃকাঃ ১৫০ ধারা,পিআরবি ১২০ নিয়ম, পুলিশ আইন ২৩ ধারা।

ফৌঃকাঃ ৪২,৪৭,৪৮,৪৯,৫৮,৬৬,৬৭,১৫০ ধারা,পিআরবি ১২০,২১৩,২৫০ নিয়ম, পুলিশ আইন ২৩ ধারা। দন্ডবিধি আইনের ২২৪ ধারা।

     =============================
প্রশ্নঃ ২৬। পুলিশ কর্তৃক একজন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির আইনগত অধিকারগুলো কিকি আলোচনা করুন ?
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
পুলিশ কর্তৃক একজন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির আইনগত অধিকারগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলঃ-
১। যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারের কারন সম্পর্কে তাকে অবগত করতে হবে। ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫৬, ৮০ ধারা, বাংলাদেশের সংবিধান ৩৩ অনুচ্ছেদ।
২। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে দৈহিক মারধর বা আঘাত কিংবা অমানবিক ব্যবহার করা যাবে না।পুলিশ আইনের ২৯(৭)ধারা বাংলাদেশের সংবিধান ৩৫ অনুচ্ছেদ।
৩। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মহিলা,অতিবৃদ্ধ কিংবা দূর্বল হলে হাতকরা লাগানো যাবে না। পিআরবি ৩৩০ বিধি।
৪। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ্য হলে উপযুক্ত চিকিৎসা পাবার এবং খাদ্য ও নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে। পিআরবি ৩২১,৩৩৩বিধি,ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৬।
৫। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশীর পর প্রাপ্ত দ্রব্যাদি জমা রেখে তাকে একটি রশিদ প্রদান করতে হবে। পিআর বি ৩২২ বিধি।
৬। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির প্রকাশ্যে আদালতে দ্রুত বিচার পাবার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ৩৫ অনুচ্ছেদ।
৭। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নিকট হইতে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা যাবে না।বাংলাদেশের সংবিধান ৩৫ অনুচ্ছেদ।
৮। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে শালীনতা বাজায় রেখে অন্য মহিলা দ্বারা বা মহিলা পুলিশ দ্বারা তল্লাশী করাতে হবে। ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫২ ধারা।
৯। কাঃবিঃ আইনের ৫২(২) উপধারা মোতাবেক নাম ঠিকানা সঠিক হলে আসামীকে মুক্তি দেওয়া যাবে।
১০। কাঃবিঃ আইনের ৫৯(৩) উপধারা মোতাবেক আসামী কোন অপরাধ করেছে বলে যতেষ্ট কারন না থাকলে তৎক্ষনা ছেড়ে দিতে হবে।
১১। কাঃ বিঃ আইনের ১৬৩ ধারা মোতাবেক অভিযুক্তকে ভয় দেখানো যাবে না।
১২। কাঃবিঃ আইরেন ১৬৪(৩) উপধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে বাধ্য করা যাবে না।বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫(৬)অনুচ্ছেদ
১৩। কাঃবি আইনের ৪৯৬ ধারা মোতাবেক জামিনযোগ্য অপরাধ হলে জামিন দিতে হবে।
১৪। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে থানা পৌছানোর পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে উপস্থিত করতে হবে।কাঃ বিঃ ৬১ধারা,পিআরবি ৩২৪
       বিধি,বাংলাদেশের সংবিধান ৩২(২) অনুচ্ছেদ।
১৫। পনের দিনের বেশি পুলিশ হেফাজতে রাখা যাবে না। কাঃ বিঃ আইনের ১৬৭ ধারা।
১৬। আসামীকে যেখানে রাখা হবে উক্ত স্থান ৩৬ বর্গফুট হতে হবে। পিআরবি ৩২৭ বিধি।
১৭। জামিনের অযোগ্য অপরাধে শিশু অপরাধীকে আটক করলে শর্ত সাপেক্ষে ওসি তাকে জামিন দিতে পারবেন। ১৯৭৪ সালের শিশু আইনের ৪৮ ধারা।
১৮। হয়রানী গ্রেফতার করা যাবে না। দঃবিঃ আইনে ২২০ ধারা, পিআরবি ৩১৭ বিধি।
১৯। অভিযুক্ত ব্যক্তি পছন্দ মোতাবেক আইনজীবি নিয়োগ দিতে পারবেন। সাক্ষ্য আইনের ১২৬ ধারা।
===================================

প্রশ্নঃ ২৭ থানায় আমল যোগ্য অপরাধের সংবাদ আসলে করনীয় কি? আমলযোগ্য অপরাধের সন্দেহের ক্ষেত্রে কী কার্যবিধি অনুসরণ করতে হয়?

২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
থানায় আমল যোগ্য অপরাধের সংবাদ আসলে নিম্ন লিখিত বিষয়াবলী সম্পন্ন করতে হবে।
১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭ ও সাক্ষ্য আইনের ৩৫ ধারা মতে আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদটি জিডিতে লিপিবদ্ধ করব।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০ মতে বিষয়টি উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারকে অবগত করব।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৪৩ মতে সংবাদ দাতার কাছ থেকে একটি এজাহার নিয়ে অপরাধের ধরণ অনুযায়ী মামলা রুজু করব।
৪। অপরাধটি যদি চুরি বা ডাকাতি হয় তাহলে সংবাদ দাতার কাছ থেকে চুরি বা ডাকাতি হয়ে যাওয়া মালামালের তালিকা সংগ্রহ করব। পিআরবি বিধি ২৪৭।
৫। পিআরবি বিধি ৩৮০ মতে অপরাধটি সম্পর্কে খতিয়ান বহিতে নোট করব।
৬। পিআরবি বিধি ২৫০ মতে পার্শ্ববর্তী থানায় হৈচৈ বিজ্ঞপ্তি জারী করব।
৭। পিআরবি বিধি ৩৯০ মতে অপরাধ ম্যাপ তৈরী করব।
৮। থানার চার্জ একজন এএসআই এর উপর ন্যস্ত করব। যদি কোন এএসআই থানায় না থাকেন তাহলে সিনিয়র কনস্টেবলের উপর থানার ভার ন্যস্ত করে মালখানার চাবি হস্তান্তর পূর্বক জিডিতে নোট করে অতি দ্রুত ঘটনা প্রাথমিক তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হব। পিআরবি বিধি ২০৭(গ), ২৩৯(ক), ২৫৫(খ), ৩৭৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬, ১৫৭ ধারা।
৯। পিআরবি বিধি ২৫৮ মতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলার ঘটনা সম্পর্কে ক্রাইমসিন বা বস্তুগত সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করব।
১০। পিআরবি বিধি ২৮০ ও ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা মতে ঘটনার সাথে জড়িত কোন বস্তু বা আলামত পাওয়া গেলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তা জব্দ করতে হবে।
১১। কোন লোক আহত হলে আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করব। পিআরবি বিধি ৩১২।
১২। মৃত্যুর সম্মুখীন অবস্থায় আছে এমন ব্যক্তির মৃত্যুকালীন জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করব। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা, পিআরবি বিধি ২৬৬।
১৩। ঘটনাস্থলে কোন নিহত লোক থাকলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪, ১৭৫ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫ মতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করব।
১৪। প্রকাশ্য ও গোপনে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩১৬ মতে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করব।
১৫। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৫ মতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্থ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের জবানবন্দী রেকর্ড করব।
১৬। পিআরবি বিধি ২৯৭ মতে বস্তুগত সাক্ষ্য সমূহ পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞের নিকট প্রেরণ করব। সাক্ষ্য আইনের ৯, ২৭, ৪৫ ধারা।
১৭। থানায় ফিরে এসে ঘটনার সারমর্ম পুনরায় জিডিতে লিপিবদ্ধ করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
১৮। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৮ ধারা মোতাবেক ওসি সাহেবকে এসসিডি’র মাধ্যমে বিস্তারিত ঘটনা জানাব। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আমলযোগ্য অপরাধের সন্দেহের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত কার্যবিধি অনুসরণ করতে হয়
 ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৭ ধারা মতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা পুলিশ অফিসার যদি কোন আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সংবাদ সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ পোষণ করেন তাহলে উক্ত পুলিশ অফিসার বিষয়টি জিডিতে লিপিবদ্ধ করে এখতিয়ারাধীন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট এই ব্যাপারে সংবাদ দিবেন এবং ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তদন্ত, অপরাধীকে খুঁজে বের করা ও গ্রেফতার করার জন্য তিনি নিজে ঘটনাস্থলে রওনা হবেন বা অন্য কোন অফিসারকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৭ ধারা
পিআরবি বিধি ২৫৮।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে,
(ক) অপরাধটি তদন্ত করার মত পর্যাপ্ত কোন কারণ নেই,
(খ) অপরাধটি যদি সামান্য ক্ষতিকারক কার্য হয় (দন্ডবিধি আইনের ৯৫ ধারা),
(গ) সংবাদদাতা যদি তদন্ত না করার জন্য আবেদন করেন,
(ঘ) তদন্ত করা যদি জনস্বার্থে না হয়,
(ঙ) অপরাধটি যদি দেওয়ানী প্রকৃতির হয়।

তাহলে উক্ত পুলিশ অফিসার এইরূপ অপরাধ তদন্ত করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। পিআরবি বিধি ২৫৭।    
===================================

প্রশ্নঃ ২৮। বেআইনী সমাবেশ বলতে কি বুঝ ? বৈধ সমাবেশ কি কখনো অবৈধ হতে পারে ? বৈধ সমাবেশ অবৈধ সমাবেশে পরিনত হলে ছত্র ভঙ্গ করার পূর্বে কর্বত্যরত পুলিশ অফিসারে দায়িত্ব কি ? অবৈধ সমাবেশে ছত্রভঙ্গ করার ক্ষেত্রে কিকি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
বেআইনী সমাবেশঃ  পাচঁ বা ততোধিক ব্যক্তি জনসাধারণের কোন স্থানে অসৎ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজ বা শান্তি ভংগের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে। দন্ডবিধি আইন ১৪১ ধারা,দন্ডবিধি আইন ১৪৩ ধারা।

বেআইনী সমাবেশ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এক বা একাদিক হতে পারে। যেমনঃ-
১.সরকার বা সরকারী কর্মচারী  বৈধ্য কাজে বাধা দেয়া বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করা।
২. আদালতের পরোয়ানা কার্যকরী কাজে বাধাদান করা ।
৩.অনধিকার প্রবেশ করা বা অপরাধজনক কাজ করা।
৪. অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে সম্পত্তি দখল করা বা আইনগত অধিকার হইতে বঞ্চিত করা।
৫.অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে কোন ব্যক্তিকে আইনত বাধ্য নয় এমন কাজ করতে বাধ্য করা এবং যে কাজ টি আইনত বাধ্য সেই কাজ হইতে বিরত রাখা ।দন্ডবিধি আইন ১৪১ ধারা,দন্ডবিধি আইন ১৪৩ ধারা।

বৈধ সমাবেশ যেভাবে অবৈধ হতে পারেঃ-
১। পুলিশ আইনের ৩০(১) ধারা মতে পুলিশ সুপার জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা শোভা যাত্রা মিছিল বা জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ  করিতে পারিবেন।
২। পুলিশ আইনের ৩০(২) ধারা মতে মিছিল বা জনসমাবেশকারীদের লাইন্সেস নিতে বাধ্য করতে পারেন।
৩। পুলিশ আইনের ৩০(২) ধারা মতে লাইন্সেসের দরখাস্ত পাইলে দরখাস্তকারীগনের নাম উল্লেখ করে শর্তাবলী আরোপ পূর্বক পুলিশ সুপার জনসমাবেশ করার জন্য লাইন্সেস ইস্যু করলে এই জনসভাকে বৈধ জনসভা বা সমাবেশ বলে।
উক্ত জনসভা কোনো লাইন্সেসের শর্ত লঙ্ঘন করলে তখনই এটি অবৈধ জনতায় পরিগনিত হবে। পুলিশ আইনের ৩০(ক)১ উপধারা।

বৈধ সমাবেশ অবৈধ সমাবেশে পরিনত হলে ছত্র ভঙ্গ করার পূর্বে কর্বত্যরত পুলিশ অফিসারে দায়িত্বঃ-
১। অবৈধ জনতা ও দাঙ্গা – হাঙ্গামা রোধকল্পে পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পুলিশ ইন্সপেক্টর বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যিনি (সাব-ইন্সঃ) এমন পদের অফিসার বে-আইনী সমাবেশে যোগদানকারী সকলকে ছত্র ভঙ্গ হবার জন্য আদেশ দিতে পারেন। কাঃবিঃ আইনের ১২৭(১)ধারা, পুলিশ আইনের ৩০(ক)১ পিআরবি-১৪২বিধি।

২। পুলিশ আইনের ৩০(ক)১ ধারা, কাঃবিঃ আইনের ১২৭(১)ধারা, পিআরবি-১৪২বিধি মতে পুলিশ অফিসার অবৈধ জনতা ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ প্রদান করার পরও যদি অবৈধ জনতা ছত্রভঙ্গ না হয় আদেশ অমান্য করে কেউ সমাবেশ শোভাযাত্রা করতে থাকলে পুলিশ অফিসার উক্ত অবৈধ জনতাকে বলপ্রয়োগ ও গ্রেফতারের মাধ্যমে জনসমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করতে পারেন। কাঃবিঃ আইনের ১২৮ ধারা, পুলিশ আইনের ৩০(ক)২ পিআরবি-১৪৩ বিধি।

৩। বে-আইনী সমাবেশের যোগদানকারী ব্যক্তিগন পুলিশের আদেশ অমান্য করে সরকারী বেসরকারী সম্পত্তি ধ্বংসাত্বক কাজে লিপ্ত হলে ও মানুষের জীবনাশমুলক কাজে লিপ্ত হলে প্রয়োজনে পুলিশ অফিসার আগ্নোয়াস্ত্রের ব্যবহার করার আদেশ দিতে পারে। সে সময় ৯৯ ধারা নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে দাঙ্গা-হাঙ্গামা রোধ করতে পারেন। পুলিশ আইনের ৩০(ক)২ পিআরবি-১৫৩(গ) বিধি, দঃবিঃ ১০০/১০৩ ধারা।

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের আগের নিয়মাবলীঃ-
১। পুলিশ অফিসার গুলি করার আগে সর্তকতা বানী শুনাবেন।
২। গুলি অব্শ্যই নিধারীত লক্ষ নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হবে।
৩। একেবারে অপরিহায কারন ব্যতীত কোনো রূপে বড়ধরনের কোন ক্ষতি সাধন করা উচিত নয়।
৪। উদ্দেশ্য সফল হওয়া মাত্রই গুলি করা বন্ধ করতে হবে। পিআরবি-১৫৪ বিধি।

গুলি চালনার নিদের্শ ও গুলি নিয়ন্ত্রনঃ-
১। পিআরবি ১৫১(৩) বিধির অধিনে অধিনায়ক পুলিশ অফিসার বলপ্রয়োগের এবং ম্যাজিষ্ট্রেট গুলি চালনার নির্দেশ দিবেন। কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট সঙ্গে না থাকলে অধিনায়ক প্রয়োজন মনে করলে গুলি চালনার নির্দেশ দিবেন।
২। তিনি গুলি বর্ষণ কে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন যাতে নূনতম ক্ষতি সাধন করে ত্বরিৎ উদ্দেশ্যে সিদ্ধি করা যায় এবং তিনি গুলির সংখ্যা নির্ধারণ করে দিবেন।
৩। দাঙ্গাকারী  জনতা ছত্রভঙ্গ হবার সামন্যতম প্রবনতা দেখা মাত্র গুলি চালনা বন্ধের নির্দেশ দিবেন। পিআরবি-১৫৫ বিধি।

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করলে পুলিশ অফিসার অবশ্যই পিআরবি ১৫৬ বিধি অনুসরণ করবেন।
আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর পুলিশ অফিসারের করনীয়ঃ
০১। পুলিশ দলনেতা যতশীঘই মৃতদেহ গুলি (যদি থাকে) হাসপালের মর্গে প্রেরণ করবেন।
০২। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাবেন।
০৩। ফায়ারকৃত গুলির খোসা গুলি হিসাব করে ইস্যূকৃত গুলির সাথে মিলিয়ে দেখবেন কত রাউন্ড গুলি ফায়ার হয়েছে।
০৪। ঘটনার সম্পর্কে একটি নিখুঁত বিস্তারীত বিবরণ গুলির পরিমান উল্লেখসহ যতশীঘই সম্ভব নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ সুপার , ঢাকা মহানগর হলে কমিশনার বা আইজিপি সাহেবের নিকট প্রেরণ করবেন।
পিআরবি ১৫৬,১২০ বিধি,ফৌঃকাঃ ১৫০ ধারা, পুলিশ আইন ২৩ ধারা।

===============================

প্রশ্নঃ ২৯। ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলতে কি বুঝ ? এর বিভিন্ন অংশ গুলো কিকি আলোচনা করুন ?
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
গ্রামের অপরাধী, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সন্দেহজনক ও পেশাগত অপরাধীদের তথ্য ও অপরাধের বিবরণ থানার যে রেজিস্টার লিপিবদ্ধ থাকে তাকে ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলে। পিআরবি ৩৯১ বিধি,পুলিশ আইনের ১২ ধারা।

ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক ৫ ভাগে বিভক্ত নিম্নে আলোচনা করা।
১। অপরাধী রেজিস্টারঃ- গ্রাম্য এলাকার পেশাগত অপরাধমূলক তথ্যবলী এ অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়। পিআরবি ৩৯৩ বিধি
২। অপরাধ প্রমান রেজিস্টারঃ- যাদের বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমান হয়েছে বা দন্ড হয়েছে এমন ব্যক্তিদের বিস্তারীত বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে। পিআরবি ৩৯৪ বিধি।
৩। গ্রামের তথ্য তালিকাঃ- কোনো গ্রামে বিশেষ বিশেষ অপরাধ ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছিল কিনা সেই সম্পর্কিত তথ্য এই অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। পিআরবি ৪০০ বিধি।
৪। ইতিবৃত্ত পত্রঃ- পেশাগত অপরাধীদের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তালিকা সূচীপত্রসহ এ অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়। পিআরবি ৪০৩ বিধি।
৫।নিরাক্ষাধীণ ব্যাক্তিদের তালিকা/ সূচী পত্রঃ নিরাক্ষাধীণ ব্যক্তিদের গতিবিধি ও তাদের সম্পর্কিত তথ্যাবলী এবং দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত হয়নি এমন সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা সূচীসহ এ অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম লাল কালি দিয়ে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়নি এমন ব্যক্তিদের নাম কালো কালি দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়। পিআরবি ৪০৪ বিধি।

পিআরবি ৩৯১,৩৯৩,৩৯৪,৪০০,৪০৩,৪০৪ বিধি,পুলিশ আইনের ১২ ধারা।

==========================================
প্রশ্ন ৩০: কমান্ড সার্টিফিকেট বলতে কি বুঝ? কোন কোন পদের অফিসারদের নামে ইস্যূ করা হয়ে থাকে?কোন কোন ক্ষেত্রে ইস্যূ করতে হয়? উহাতে কিকি বিষয় উল্লেখ থাকে ?
৩০ নং প্রশ্নের উত্তরঃ
কমান্ড সার্টিফিকেটঃ সাব-ইন্সপেক্টর বা তার নিম্ন পদস্থ যে কোন কর্মচারীকে ডিউটিতে পাঠানোর পূর্বে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০ নং বিপি ফরমে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিল মোহরযুক্ত যে অদেশ নামা প্রদান করা হয় কমান্ড সার্টিফিকেট বলে।
পিআরবি ১৬৩,৯০৯ বিধি।

যে সকল পদের অফিসারদের নামে ইস্যূ করা হয়ে থাকেঃ
সুপারিন্টেনডেন্ট মহোদয়ের অন্যরূপ নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাব-ইন্সপেক্টর সহ এর নিছে প্রত্যেকের নামে ইহা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। অনেক সময় ফোর্সের স্বল্পতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে চৌকিদার বা দফাদারদের নামেও কমান্ড সার্টিফিকেট ইস্যূ করা হয়ে থাকে।

যে সকল ক্ষেত্রে ইহা ইস্যূ করা হয়ঃ
১। পরোয়ানা তামিল করতে।
২। সমন জারি করতে।
৩। স্কট ডিউটি করতে ।
৪। প্রহরায় নিযুক্ত থাকতে।
৫। ফোর্সের গাড়ী পরিচলনা করতে।
৬। উব্ধর্তন কর্মকর্তদের হুকুম দ্রুত পালন করতে।
৭। অপরাধীদের গতিবিধি, তল্লাশী কার্যক্রম চালাতে।
৮। সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে
৯। ভিভিআইপি ডিউটি করতে।
কমান্ড সার্টিফিকেটে যা উল্লেখ থাকেঃ
১। যাদের ডিউটিতে প্রেরণ করা হবে তাদের নাম, পদবী, নম্বর জেলা/ইউনিট ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
২। কোথায় ডিউটি করতে হবে নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ থাকে।
৩। ডিউটি হতে রওনা পৌছানোর তারিখ সময়, ফেরত আসার তারিখ ও সময় ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
৪। কি ধরণের ডিউটি, কি করতে হবে তা বিবরণ উল্লেখ থাকে।
৫। ডিউটি হতে প্রত্যাবর্তনের তারিখ ও সময় উল্লেখ করে জেনারেল ডায়রীতে স্বাক্ষর করতে হয়।

পিআরবি ১৬৩,৯০৯ বিধি।

================০================


প্রশ্নঃ ১: অতিরিক্ত পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশের মধ্যে পার্থক্য গুলো কিকি?
১ নং প্রশ্নের উত্তর
অতিরিক্ত পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশের মধ্যে পার্থক্য গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
ক্রঃনং

অতিরিক্ত পুলিশ
স্পেশাল পুলিশ
০১

সজ্ঞাঃ- যখন কোন প্রতিষ্টান বা কলকারখানায় শান্তির ভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দেয় তখন উক্ত প্রতিষ্টান বা মালিকের আবেদনক্রমে ম্যাজিষ্ট্রের অনুমতি স্বাপেক্ষে মহা-পুলিশ পরিদর্শক কিংবা পুলিশের উদ্ধর্তণ অফিসারগন সাধারণ পুলিশের মধ্য থেকে ঐ এলাকায় বা কলকারখানায় যে পুলিশ নিয়োগ করেন তাকে অতিরিক্ত পুলিশ বলে।
সজ্ঞাঃ- কোন এলাকার অপরাধ প্রবণতা ব্যাপক হারে দেখা দিলে উক্ত এলাকার অপরাধ প্রবণতা রোধ করার জন্য যখন সাধারণ পুলিশ বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হয় না তখন ঐ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর বা তার উপর পদের উদ্ধর্তণ পুলিশ অফিসারগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট ঐ এলাকার জনসাধারণের মধ্য হতে যে পুলিশ নিয়োগ প্রদান করেন তাকে স্পেশাল পুলিশ বা বিশেষ পুলিশ বলে।
০২
অতিরিক্ত পুলিশ, পুলিশ আইনের ১৩,১৪,১৫ ধারা। পিআরবি ৬৬৭, ৬৬৯, ৬৭০, ৬৭১ বিধি। ডিএমপি অধ্যাদেশ ৩৬,৩৭।আরএমপি অধ্যাদেশ ৩৮,৩৯ ।
স্পেশাল পুলিশ, পুলিশ আইনের ১৭ ধারা।  পিআরবি ৬৭৪,৬৭৫,৬৭৬ বিধি। ডিএমপি অধ্যাদেশ ১০। সিএমপি, কেএমপি ,আরএমপি ১০।
০৩
অতিরিক্ত পুলিশের বেতন রেশন,খরচ আবেদন কারীকে বহন করতে হয়।
স্পেশাল পুলিশের খরচ ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বহন করতে হয় না।
০৪
অতিরিক্ত পুলিশ কর্তব্যে অবহেলা করলে পুলিশ আইনের  ৭/২৯ ধারা এবং ডিএমপি অধ্যাদেশ ১২  শাস্তির শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
স্পেশাল পুলিশ কর্তব্যে অবহেলা করলে পুলিশ আইনের ১৯ ধারায় শাস্তির ব্যবস্থা আছে।

========================================

প্রশ্নঃ ২: বেআইনী সমাবেশ ও দাঙ্গার মধ্যে পার্থক্য গুলো কিকি?
২ নং প্রশ্নের উত্তর
বেআিইনি সমাবেশ ও দাঙ্গার মধ্যে পার্থক্য গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
ক্রঃ নং
তদন্ত
অনুসন্ধান










বেআইনী সমাবেশঃ  পাচঁ বা ততোধিক ব্যক্তি জনসাধারণের কোন স্থানে অসৎ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজ বা শান্তি ভংগের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে। দন্ডবিধি আইন ১৪১ ধারা,দন্ডবিধি আইন ১৪৩ ধারা।
দাঙ্গা:-বেআইনী সমাবেশ এর সদস্য কর্তৃক উগ্রতা প্রদর্শন করা বা অস্ত্র প্রদর্শন করা বা বলপ্রয়োগ করিয়া সমোবেশ করা হইলে তাকে দাঙ্গা বলে। পেনাল কোড ১৪৬ ধারা, সাজা-১৪৭ ধারা।

পাঁচ এর অধিক ব্যক্তি কর্তৃক বেআইনী সমাবেশ সংঘটিত হয়ে থাকে।
বেআইনী সমাবেশ হতে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
বৈধ সমাবেশ থেকে বেআইনী সমাবেশ সংঘটিত হয়ে থাকে।
বেআইনী সমাবেশ থেকে দাঙ্গা সৃষ্টি হয়।
 একাদিক ব্যক্তির একই উদ্দেশ্য নিয়া বেআইনী সমাবেশ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
বেআইনী সমাবেশ শান্তিভঙ্গ ও রাষ্ট্র দ্রোহী তার ফলে দাঙ্গাতে রূপান্তারিত হয়ে থাকে।

========================================

প্রশ্নঃ ৩: সমন ও ওয়ারেন্ট মধ্যে পার্থক্য কিকি আলোচনা করুন।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
সমন ও ওয়ারেন্ট মধ্যে পার্থক্য গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
ক্রঃনং

সমন
ওয়ারেন্ট

০১

সংজ্ঞাঃ- কোন মামলার বাদী বা স্বাক্ষীকে নির্ধারীত তারিখে নিদিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদালত কর্তৃক স্বাক্ষরীত সিলমোহরযুক্ত  আদেশ নামাকে সমন বলে।
সংজ্ঞাঃ- কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার জন্য আদালত কর্তৃক স্বাক্ষরীত সিলমোহরযুক্ত নির্দেশনামাকে ওয়ারেন্ট বলে।

০২
সমন ফৌঃকাঃ আইনের ৬৮ ধারা ,পিআরবি ৪৭১(ঘ) বিধি।
ওয়ারেন্ট ফৌঃ কাঃ আইনের ৭৫ ধারা,পিআরবি ৩১৫, ৪৬৮ বিধি।
০৩
কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন দেওয়া হয়।
কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার জন্য ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়।
০৪
সমন দুই কপি ইস্যূ করা হয়।
ওয়ারেন্ট এক কপি ইস্যূ করা হয়।
০৫
যার নামে সমন ইস্যূ করা হয় তাকে পাওয়া না গেলে পরিবারের সাবালক পুরুষের নিকট অথবা ১ কপি লটকাইয়া সমন জারি করা হয়।
যার নামে ওয়ারেন্ট তাকে পাওয়া না গেলে ওয়ারেন্ট জারি বা তামিল করা যায় না।

০৬
সমনে উল্লেখিত ধার্য তারিখ শেষ হয়ে গেলে সমনের কার্যকারিতা থাকে না।
আসামী গ্রেফতার অথবা আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্ট বাতিল  না হওয়া পর্যন্ত ওয়ারেন্ট থানায় মুলতবি থাকে।
০৭
সমন জারি করা হয় ফৌঃকাঃ ৬৯,৭০,৭১,৭২,৭৩ ধারা।
ওয়ারেন্ট তামিল করা হয় ফৌঃ কাঃ ৭৫ ধারা। পিআরবি ৩১৫ বিধি অনুসারে।

========================================

প্রশ্নঃ ৪: ৩ বি.সি.এল এ্যাক্ট ও ৪ বি.সি.এল এ্যাক্ট এর মধ্যে পার্থক্য কিকি আলোচনা করুন।
                     ৪ নং প্রশ্নের উত্তর
 ৩ বি.সি.এল এ্যাক্ট ও ৪ বি.সি.এল এ্যাক্ট এর মধ্যে পার্থক্য গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
ক্রঃনং
৩ বি.সি.এল এ্যাক্ট
৪ বি.সি.এল এ্যাক্ট

০১

৩ বি.সি.এল এ্যাক্ট হলো বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল এমন্ডমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৯৪২ সালের  ৩ ধারা।
৪ বি.সি.এল এ্যাক্ট হলো বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল এমন্ডমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৯৪২ সালের  ৪ ধারা।
০২
সন্দেহভাজন অপরাধী ব্যক্তিকে অবশ্য সূর্যাস্ত হতে সূর্য উদয় এর মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
আপরাধী ব্যক্তিকে দিবা ও রাত্রীর যে কোন সময় গ্রেফতার করা যায়।
০৩
আসামীকে অবশ্যই চুরি,ডাকাতি,ও দুস্যতা জাতীয় অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হতে হবে।
পূর্বে আসামীর সাজাপ্রাপ্ত হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
০৪
আসামীর নিকট সিঁদকাটি বা অপরাধে ব্যবহৃত হবে এমন জিনিস থাকতে হবে।   
আসামীর নিকট যদি রেলওয়ের স্লিপারের সরঞ্জাম বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বা এমন কোন শিল্পজাত দ্রব্য যা সচরাচর বাজারে বিক্রি হয় না এই সকল জিনিস থাকতে হবে।
০৫
৩ বি.সি.এল এ্যাক্ট মতে আসামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিতে পুলিশ সুপারের অনুমতি নিতে হয় না।
৪ বি.সি.এল এ্যাক্ট মতে আসামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিল করতে পুলিশ সুপারের অনুমতি নিতে হয় ।
০৬
এর বিচার হয় যে কোন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত অনুসারে শাস্তি ৩ মাস পর্যন্ত করাদন্ড
এর বিচার হয় যে কোন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত অনুসারে শাস্তি ৬ মাস পর্যন্ত করাদন্ড
                       
========================================

প্রশ্নঃ ৫ দুশ্চরিত্র বোল –এ এবং দুশ্চরিত্র রোল-বি এর মধ্যে পার্থক্য কিকি আলোচনা করুন।

               নং প্রশ্নের উত্তর

 দুশ্চরিত্র বোল –এ এবং দুশ্চরিত্র রোল-বি এর মধ্যে পার্থক্য গুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
ক্রঃনং
দুশ্চরিত্র রোল -‘এ’     
দুশ্চরিত্র রোল-‘বি’
০১

পিআরবি ৩৪৩ বিধি অনুসারে এবং বিপি ফরম নং ৫৯ অনুযায়ী দুশ্চরিত্র রোল-‘এ’ ইস্যূ করা হয়ে থাকে।
পিআরবি ৩৪৪ বিধি অনুসারে এবং বিপি ফরম নং ৬০ অনুযায়ী দুশ্চরিত্র রোল-‘বি’ ইস্যূ করা হয়ে থাকে।
০২
থানা এলাকার দাগী ও অসৎ চরিত্রের লোক অন্য থানা এলাকায় গমন করিলে থানার ওসি উক্ত অপরাধী যে থানায়  গমন করেছে সে থানায় উক্ত অপরাধীর স্বভাব চরিত্রের বিবরণ দিয়ে দুশ্চরিত্র রোল-‘এ’ প্রেরণ করা হয়।
থানা এলাকায় অন্য কোনো থানার বাসিন্দা এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তি আগমন ঘটলে ওসি বিপি ফরম নং ৬০ পূরণ করে রিপোর্ট প্রেরণের জন্য সেই থানায় দুশ্চরিত্র রোল-‘বি’ ইস্যূ করা হয়।
০৩
থানা এলাকার দাগী,নিরক্ষণকৃত ব্যক্তি অনুপস্থিত বা পলায়ন করলে এই তালিকা প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
থানা এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি আগমন ঘটলে এই তালিকা প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
০৪
উক্ত ব্যক্তির গন্তব্য জানা না থাকলে বাংলাদেশের সকল থানায় দুশ্চরিত্র রোল -‘এ’ তালিকা পাঠাতে হয়।
উক্ত ব্যক্তি যে থানা হতে আগমন করেছে শুধুমাত্র সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট দুশ্চরিত্র রোল -‘বি’ তালিকা পাঠানো হয়।

========================================

প্রশ্ন:৬: স্বীকৃতি ও স্বীকারোক্তি মধ্যে পাথক্য গুলো কিকি ? (২০১৮ সালে এসেছে। তথাপিও গুরুত্বপূর্ণ)
                        ৬ নং প্রশ্নের উত্তর
নং
স্বীকৃতি
স্বীকারোক্তি
স্বীকৃতি হলো মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি যা বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তের সূচনা করে তাকে স্বীকৃতি বলে।
সাক্ষ্য আইন ১৭ ধারা, পিআরবি ২৮৩ বিধি।


স্বীকারোক্তি হলো ফৌজদারী মামলার কোনো অভিযুক্ত আসামী কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট ভয়ভীতি,হুমকি,প্রলোভন,প্রতিশ্রƒতি ব্যতী স্বেছায় দোষ স্বীকার করে যে জবানবন্দি প্রদান করে তাকে স্বীকারোক্তি বলে।
ফৌঃ কাঃ ১৬৪,৩৬৪ ধারা,সাক্ষ্য আইনের ২৪-৩০ ধারা,পিআরবি ৪৬৭ বিধি
স্বীকৃতি সাধারণত দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
স্বীকারোক্তি সাধারণত ফৌঃকাঃ মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
আদালতে কোনো ব্যক্তির প্রদত্ত স্বীকৃতি তার পক্ষে ব্যবহৃত হয়।
আদালতে কোন ব্যক্তির দোষ স্বীকারোক্তি তার বিরুদ্ধে বা বিপক্ষে ব্যবহৃত হয়।
এই ক্ষেত্রে ভয়ভীতি, হুমকি বা প্রলোভন বা প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন হয়না ।
ভয়ভীতি, হুমকি বা প্রলোভন বা প্রতিশ্রƒতি দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করলে আদালতে গ্রহণযোগ্য হয় না।
স্বীকৃতি সাক্ষ্য আইনের ১৭ – ২৩ ধারা মতে আদালতে প্রাসঙ্গিক।
স্বীকারোক্তি সাক্ষ্য আইনের ২৪-৩০ ধারা মতে আদালতে প্রাসঙ্গিক।

========================================================
প্রশ্ন: ৭ : ধর্তব্য অপরাধ ও অধর্তব্য অপরাধ এর মধ্যে পার্থক্য লিখুন?
                                  ৭ নং প্রশ্নের উত্তর
নং
আমলযোগ্য বা ধর্তব্য অপরাধ
আমলের অযোগ্য বা অধর্তব্য অপরাধ
যে অপরাধের জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে তাকে ধর্তব্য অপরাধ বা আমলযোগ্য অপরাধ বলে।

ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪(চ)ধারা,
পিআরবি-২৪৩ নিয়ম।
যে অপরাধের জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না তাকে অধর্তব্য অপরাধ বা অমলের অযোগ্য অপরাধ বলে।

ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪(ঢ)ধারা,
পিআরবি-২৫৪ নিয়ম।
আমলযোগ্য বা ধর্তব্য অপরাধের সংবাদ মৌখিক বা লিখিত ভাবে থানায় পৌছালে মামলা রুজু করা হয়।
এই অপরাধের জন্য থানায় মামলা রুজু করা হয় না, শুধু জিডি এন্ট্রি করা হয়।
অফিসার ইনচার্জ ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই এই মামলা তদন্ত করতে পারে বা অন্য কোন অফিসার দ্বারা তদন্ত করাতে পারেন।
ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ ছাড়া বা অনুমতি ব্যতিত পুলিশ অফিসার এই অপরাধের তদন্ত করতে পারে না।
এই অপরাধের তদন্ত শেষে অপরাধ প্রমানীত হইলে কোর্টে অভিযোগপত্র এবং না হইলে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়।
ফৌঃকাঃ বিঃ আইনের ১৭৩ ধারা,
পিআরবি-২৭২ বিধি
এই অপরাধের তদন্ত শেষে অপরাধ প্রমানীত হইলে কোর্টে নন এফআই প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
ফৌঃকাঃ বিঃ আইনের ১৫৭ ধারা,
পিআরবি-২৫৪ বিধি
এসআই নিম্নে নহে এরূপ অপরাধের মামলা তদন্ত করতে পরেন।
এএসআই এই অপরাধ তদন্ত করতে পারেন।
এই অপরাধের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যায়।
এই অপরাধের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যায় না।

========================================================
প্রশ্ন: ৮ : এজাহার ও সাধারণ ডায়রীর মধ্যে পার্থক্য গুলো কিকি ?
                                  ৮ নং প্রশ্নের উত্তর
নং
এজাহার
সাধারণ ডায়েরী
এজাহার এর আবিধানিক অর্থ হল “প্রাথমিক তথ্য বিবরণ”। থানায় কোন ধর্তব্য বা আমলযোগ্য আপরাধের সংবাদ মৌখিক বা লিখিত বিবরণ পৌছানোকে এজাহার বলে। ইহা বিপি নং ২৭ ,বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৫৬তে লিপিবদ্ধ করা হয়।
ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।

জেনারেল ডায়েরীঃ জেনারেল ডায়েরী হল ২০০ পাতা বিশিষ্ট একটি মূল্যবান রেজিস্টার। যা ১৮৬১ সালে পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪,১৫৫ ধারা পিআরবি ৩৭৭ বিধি মূলে বিপি নং ৬৫ বাংলাদেশ ফরম নং ৬৩৬৫ এ প্রত্যেক থানা ফাঁড়িতে যে রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে জেনারেল ডায়েরী বলে।
পুলিশ আইন ৪৪ ধারা,ফৌঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা,
পিআরবি ৩৭৭ বিধি।
 এতে শুধু আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ লিপিবদ্ধ করা হয়।
এতে শুধু আমলযোগ্য অপরাধ ও আমলের অযোগ্য অপরাধ উভয় সংবাদ লিপিবদ্ধ করা হয়।
এজাহার কার্বন যোগে ৩ কপি করা হয়ে থাকে।
সাধারণ ডায়েরী কার্বন যোগে ২ কপি করা হয়ে থাকে।
এজাহার অফিসার ইনচার্জ লিপিবদ্ধ করতে পারেন তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কোন অফিসার লিখতে পারেন।
সাধারণ ডায়েরী সকল প্রকার অফিসার লিপিবদ্ধ করতে পারেন। এমন কি একজন কনষ্টেবলও লিপিবদ্ধ করতে পারেন।
এজাহারের মুল কপি থানায় মামলা রুজুর হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করতে হবে।
সাধারণ ডায়েরী কার্বন কপি ২৪ ঘন্টা পরপর ASP  সার্কেল অফিসে দাখিল করতে হয়।
এজহার সাক্ষ্য আইনের ৩৫/৭৪ ধারা মতে আদালতে প্রাসঙ্গিক।
সাধারণ ডায়েরী সাক্ষ্য আইনের ৯/৩৫ ধারা মতে আদালতে প্রাসঙ্গিক।

========================================================
প্রশ্নঃ ৯: মালখানা রেজিষ্টার ও সম্পত্তি রেজিষ্টার এর মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি?
                                  ৯ নং প্রশ্নের উত্তর

নং
মালখানা রেজিষ্টার
সম্পত্তি রেজিষ্টার
মামলার ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট জব্দকৃত যে সমস্ত সম্পত্তি পুলিশ রিপোর্টের সঙ্গে থানা হতে কোর্টে প্রেরণ করা হয় সে সমস্ত সম্পত্তি কোর্ট এসআই বিপি ফরম নং-১০০ অনুসারে যে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখেন তাকে মালখানা রেজিষ্টার বলে।
মামলার ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট চোরাই সম্পত্তি এবং পুলিশ কর্তৃক জব্দকৃত সমুদয় অস্থাবর সম্পত্তি বিপি ফরম নং-৬৮ অনুসারে থানার যে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে সম্পত্তি রেজিষ্টার বলে।

পিআরবি বিধি ৫২৬ মতে মালখানা রেজিষ্টার কোর্টে সংরক্ষিত হয়।
পিআরবি বিধি ৩৭৯ মতে সম্পত্তি রেজিষ্টার থানায় সংরক্ষিত হয়।
পিআরবি বিধি ৫২৬(ক) মতে কোর্ট এসআই সম্পত্তি হেফাজতে রাখবেন এবং মালখানা রেজিষ্টার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
থানার একজন এসআই এই রেজিষ্টার রক্ষণাবেক্ষণ করেন।

এই সকল সম্পত্তি ম্যাজিষ্ট্রেট বা বিচারকের নির্দেশে নিষ্পত্তি করা হয়।
এই সকল সম্পত্তি ম্যাজিষ্ট্রেট বা বিচারকের নির্দেশে নিষ্পত্তি করা হয়।
মালখানা রেজিষ্টার বিপি ফরম নং-১০০ এ  লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।
 সম্পত্তি রেজিষ্টার বিপি ফরম নং-৬৮ এ লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।

========================================================



 প্রশ্ন: ১০: মৌখিক সাক্ষ্য ও দলিলী সাক্ষ্যর মধ্যে পার্খক্য লিখুন?
                                  ৯ নং প্রশ্নের উত্তর
নং
মৌখিক সাক্ষ্য
দলিলী সাক্ষ্য
মৌখিক সাক্ষ্য কোন বিষয়বস্তু ব্যতীত অন্য যে কোন বিষয় মৌখিক সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করা যায়। মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে অর্থাৎ সাক্ষী যা দেখেছে, সাক্ষী যা শুনেছে, সাক্ষী যা উপলব্ধি করেছে, সে সংক্রান্ত মৌখিক ভাষ্য প্রদান করাই মৌখিক সাক্ষ্য।
দলিলী সাক্ষ্য, প্রাসঙ্গিক বিষয় বা বিচার্য বিষয় মৌখিক সাক্ষী ব্যতিরেকে দলিলী বিষয়বস্তু দ্বারা প্রমাণ করা যায়। উহাই দলিলী সাক্ষ্য।




মৌখিক সাক্ষ্য, সাক্ষ্য আইনের ৫৯ ও ৬০ ধারা
দলিলী সাক্ষ্য, সাক্ষ্য আইনের ৬১ ধারা।


মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হইতে হবে।
দলিলি সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

আদালতে মৌখিক সাক্ষ্যের গুরুদ্ব কম বলিয়া বিবেচিত হয়।
আদালতে দালিলিক সাক্ষ্যের গুরুত্ব অধিক বলে বিবেচিত হয়।
কোনো ব্যক্তি নিজে স্বচক্ষে যা দেখেছেন বা ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করেছেন তিনিই আদালতে মৌখিক সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
কোনো ব্যক্তি নিজে বা তার পক্ষে অপর কোনো ব্যক্তি আদালতে দলিল উপস্থাপন করে দলিলি সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
 ফৌজদারী মামলায় সাধারণত মৌখিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
দেওয়ানী মামলা সাধারণত দলিলি সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সাক্ষ্য আইনের ৩,৫৯,৬০ ধারায় মৌখিক সাক্ষ্যের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
সাক্ষ্য আইনের ৩,৬১,৬২,৬৩ ধারায় দলিলি সাক্ষ্যের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

========================================================
            সম্ভাব্য পার্থক্য গুলো একজন নজর দেখে নিবেন।
           (১১) চুরি,দস্যুতা ও ডাকাতির মধ্যে পার্থক্য গুলো লিখুন?
           (১২) জবানবন্দী ও জেরা মধ্যে পার্থক্য লিখুন।
           (১৩) গ্রেফতার ও আটক এর মধ্যে পার্খক্য লিখুন?
           (১৪)বেআইনী সমাবেশ, দাঙ্গা এবং মারামারির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করুন?
           (১৫) হুলিয়া ও ক্রোকের মাধ্যে পার্থক্য লিখুন?

=================০=================
টীকাঃ-
*** সরকারী কর্মচারীঃ যিনি সরকারী চাকুরীতে নিযুক্ত বা বেতন ভোগী বা কোন সরকারী কর্তব্য সম্পাদন বাবদ পারিশ্রমিক গ্রহণ করে তাকেই সরকারী কর্মচারী বলে। দঃবিঃ ২১ ধারা।
*** অস্থাবর সম্পতিঃ- ভুমির সহিত সংযুক্ত বা স্থায়ীভাবে আবদ্ধ বস্তু ব্যতীত সকল সম্পত্তিকে অস্থাবর সম্পত্তি বলে। দঃবিঃ ২২ ধারা।
*** অন্যায় লাভ:– যদি কোন ব্যক্তি কোন সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন করে বা নিজ দখলে রাখে উক্ত ব্যক্তি দখলকৃত সম্পত্তিকে অন্যায় লাভ বলে।
       দঃবিঃ ২৩ ধারা।

*** মৃত্যুকালীন জবানবন্দি: আসন্ন মৃত্যুর সম্মুখীন কোন ব্যক্তি তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে যে উক্তি করে বা যে কারনে তার মৃত্যু ঘটতেছে সেই সম্পর্কে কোন বিবৃতি প্রদান করে তাকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি বলে।
সাক্ষ্য আইন ৩২(১)ধারা, পিআরবি ২৬৬ বিধি।

*** মূল্যবান জামানতঃ  কোন দলিল বলে আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্টিত বা খারিজ বা হস্তান্তর করার জন্য অঙ্কিত বস্তুকে মূল্যবান জামানত বলে।       দঃবিঃ ৩০ ধারা।
*** অপরাধঃ যে সমস্ত কাজ আইনে নিষেধ আছে সেই সমস্ত কাজ করলে এবং যে সমস্ত কাজ আইনে বলা আছে তা অমান্য করলে তাকে অপরাধ বলে। দঃবিঃ ৪০ ধারা , ফৌঃ কাঃ ৪(ণ) ধারা।
*** হলফঃ কোন বিচারলয়ে প্রমানের উদ্দেশ্যে আইনবলে প্রতিষ্টিত অনুমোদিত পবিত্র পতিজ্ঞা বা ঘোষনাকে হলফ বলে। দঃবিঃ ৫১ ধারা।
*** সদ বিশ্বাস বা সরল বিশ্বাসঃ যথাযথ মনোযোগ বা সর্তকর্তার সহিত যা করা হয় তাকে সদ বিশ্বাস বা সরল বিশ্বাসে করেছে বলে গণ্য হবে।
       দঃ বিঃ ৫২ ধারা।
*** আশ্রয়দানঃ-গ্রেফতার এড়াবার জন্য যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে আশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান, বস্ত্র, অথর্, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করাকে আশ্রয়দান বলে। দঃবিঃ- ৫২-ক, ধারা। ব্যতিক্রমঃ যদি কোন স্ত্রী নিজ স্বামীকে বা কোন স্বামী তার নিজ স্ত্রীকে এইরূপ আশ্রয়দান করিলে অপরাধজন আশ্রয়দান বলে গণ্য হবে না।
*** প্ররোচনাঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করে উস্কানি দেয় বা পরামর্শ দেয় বা কার্যবিরতী দ্বারা সংঘটনের পথ সুগম করে দেয় তাকে প্ররোচনা বলেদঃবিঃ ১০৭, ১০৯ ধারা।
*** বন্ড বা মুচলেকাঃ যখন আদালত কিংবা পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে জামিনে বা তার নিজের মুচলেকায় মুক্তি দেওয়ার পূর্বে নিদিষ্ট পরিমান অর্থের জন্য নিদিষ্ট সময়ে বা স্থানে হাজির হওয়ার জন্য কোন ব্যক্তি বা নিজের জিম্মায় জামিনে মুক্ত হওয়ার জন্য যে লিখিত অঙ্গীকারনামা  প্রদান করার আদেশ দেন তাকে বন্ড বা মুচলেকা বলা হয়।
ফৌঃ কাঃ ৪৯৯ ধারা।
বন্ড বা মুচলেকার জন্য দুই ধরনের আদেশ দিতে পারে: যেমন
শান্তিরক্ষার মুচলেকা বা সদাচারণের মুচলেকা।
কাযবিধি আইনের ১০৬,১০৭,১০৮,১০৯,১১০ ধারা

**ক্রাইমসিন : ক্রাইম সিন অর্থ হলো যে স্থানে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই স্থানের বস্তুগত সাক্ষ্য সমূহকে ক্রাইমসিন বলে।
যেমন, সুপ্তছাপ,সকল প্রকার আঙ্গুলের ছাপ,সব ধরনের সারফেস,মসৃনও অমসৃন তল, মেঝ, টাইলস, রক্ত, সিমেন্স, বমি, মলমূত্র, থুথু,জুতার ছাপ,চুল, সুতা, আশ ইত্যাদি ক্রাইমসিন বস্তুগত সাক্ষ্য হতে পারে।
 পিআরবি ৬৩৫ নিয়ম।

*** গণ উপদ্রবঃ যদি কোন ব্যক্তি তার কাজের দ্বারা তার প্রতিবেশী বা জনসাধারনের বিরক্তিকর, ক্ষতি, বিপদ সৃষ্টি করে তাকে গণ-উপদ্রব বলে। দঃবিঃ ২৬৮ ধারা
*** গুরুতর আঘাতঃ- দঃবিঃ আইনের ৩২০ ধারা বর্ণনানুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে আঘাত করে নিম্নলিখিত ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট করে তাকে গুরুতর আঘাত বলে।
১। যে আঘাত কোন ব্যক্তির পুরুষত্বহানী করে।
২। যে আঘাতের কারনে কোন ব্যক্তির যে কোন একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরতরে নষ্ট করে।
৩। যে আঘাতের মাধ্যমে যে কোন কানের শ্রবন শক্তি স্থায়ীভাবে বিনষ্ট করা ।
৪। কোন ব্যক্তির শরীরের গ্রন্থি বা অঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতি সাধন করে।
৫। শরীরে কোন অঙ্গ বা গ্রন্থির কর্মশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করা।
৬। মস্তক বা মুখমন্ডল স্থায়ীভাবে বিকৃতিকরন করা।
৭। শরীরের হাতভাঙ্গা বা গ্রন্থিচ্যুত করা।
৮। এমন আঘাত জীবন বিপন্ন করে আঘাতের কারনে ২০ দিন পর্যন্ত দৈহিক যন্ত্রনা ভোগ করে এবং সাধারন কাজ কর্ম করতে অসমর্থ হয়।
দঃবিঃ ৩২০ ধারা, শাস্তি- ৩২৫ ধারা।

*** আক্রমনঃ যদি কোন ব্যক্তি আক্রমনের উদ্দেশ্যে এমন কোন অঙ্গভঙ্গি করে বা প্রস্তুতি লয় বা উপস্থিত কোন ব্যক্তির ভয় হয় তাকে আক্রমন বলেদঃবিঃ ৩৫১ ধারা।

*** অন্যায় আটক বা অন্যায় অবরোধঃ যদি কোন ব্যক্তিকে কেউ এমন ভাবে অন্যায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যে সে ব্যক্তি নিদির্ষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারে না। তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে অন্যায় আটক বা অন্যায় অবরোধ করেছে বলে গণ্য হবে। দঃবিঃ ৩৪০ ধারা।
*** দাঙ্গাঃ কোন বে আইনী সমাবেশ কর্তৃক বা উহার কোন সদস্য কর্তৃক বেআইনী সমাবেশ এর সাধারন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের জন্য বল বা উগ্রতা প্রয়োগ করা হলে তাকে দাঙ্গা বলে।দঃবিঃ ১৪৬, শাস্তি- ১৪৭ ধারা।
*** তদন্তঃ- পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে কোন ব্যক্তি কর্তৃক সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল কাযর্ক্রমকে তদন্ত বলে। ফৌঃকাঃ ৪(ঠ),১৫৬ ধারা, পিআরবি ২৫৮ বিধি।

*** আলামতঃ- কোনো মামলার ঘটনার সাথে জড়িত কোনো বস্তু বা দ্রব্য বা যে সকল মালামাল কোনো অপরাধী অপরাধ সংঘটনের কালে ব্যবহার করে বা অপরাধ সংঘটনের সময় জড়িত বলে যুক্তি সঙ্গতভাবে সন্দেহ হয়। সে সকল বস্তু বা মালামালকে আলামত বলা হয়।
 সাক্ষ্য ‍আইনের ৯/৪৫/৫১ ধারা।ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০৩(২) উপধারা পিআরবি ২৮০ বিধি। পিআরবি ৩৭৯ বিধি।

*** উঠান বৈঠক: অপরাধ দমন, অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার নিমিত্তে পুলিশ সদস্যগণ এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সমন্বয়ে প্রত্যান্ত গ্রাম গঞ্জে প্রতিটি লোকের সাথে খোলামেলা স্থানে বসে জনসাধারনদের নিয়ে যে খোলামেলা আলোচনা বা বৈঠক করা হয় তাকে উঠান বৈঠক বলে। উঠান বৈঠকের ফলে প্রতিটি নাগরিকের জনসচেতনা বৃদ্ধিসহ দেশের আইন শৃঙ্গলা উন্নতি হয় এবং জনসাধারনের সাথে পুলিশের একটি সেতুবন্ধন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যাহার ফলশ্রুতিতে একটি দেশ আরো উন্নতির লক্ষ্যে পৌছানো দ্রুত সম্ভব হয়।
পুলিশ আইনের ২৩ ধারা,পিআরবি বিধি ৩৩, ১১৮, ২০৮, ২৬০ অনুসরণ করা।
*** ডাকাতিঃ পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে কাউকে মৃত্যু বা জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে যায় তাকে ডাকাতি বলে। দঃবিঃ ৩৯১, ৩৯৫ ধারা।
*** ধর্ষণঃ দণ্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা বর্ণনানুযায়ী নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় কোন স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে।
১.স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
২.স্ত্রী লোকটির অনুমতি ছাড়া ।
৩.স্ত্রী লোকটির অনুমতিসহ যে ক্ষেত্রে তাকে মৃৃত্যু বা গুরুতর ভয় দেখানো হয়েছে।
৪.স্ত্রী লোকটির অনুমতিক্রমে, যে ক্ষেত্রে ধর্ষণকারী জানে যে, সে তার (স্ত্রী লোকটির) স্বামী নয় কিন্তু স্ত্রী লোকটি এই বিশ্বাসে সম্মতিদান করে যে, পরুষ লোকটি আইনানুগভাবে বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে।
৫.স্ত্রী লোকটি অনুমতি সহকারে বা অনুমতি ছাড়া, যে,ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছর এর কম হবে।
দণ্ডবিধি আইন ৩৭৫ ধারা, শাস্তি দণ্ডবিধি আইন ৩৭৬ ধারা,নারী ও শিশু নিঃ আইন ২ (ঙ)/ ৯ ধারা।
*** চোরাইমালঃ যে সম্পত্তি চুরি, জোরপূর্বক আদায় বা দস্যুতার ফলে হস্তান্তরিত হয়েছে সে সম্পত্তিকে চোরাইমাল বলে। দঃবিঃ ৪১০ ধারা, শাস্তি দঃবিঃ ৪১১ ধারা।
*** অপরাপধজনক বিশ্বাসভঙ্গঃ- যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির সম্পত্তির আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্ত্বসাৎ করে বা নিজে ব্যবহারে পরিণত করে তাহলে সে ব্যক্তি অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বলে গন্য হবে। দঃবিঃ ৪০৫ ধারা,শাস্তি ৪০৬ ধারা।
** বিশেজ্ঞদের অভিমতঃ-ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,রসায়নবিদ,সার্ভেয়ার,শিল্পী,হস্তলেখা বিশারদ,আঙ্গুলাঙ্ক বিশারদ,পদচিহ্ন বিশারদ,আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদ,বৈজ্ঞানিক,দেশী বিদেশী আইন প্রণেতা ব্যক্তিবর্গগণ আদালতের কোন নিদিষ্ট বিষয়ে কোনো মতামত প্রদান করলে তাকে বিশেজ্ঞদের অভিমত বলে। আইনের ৪৫,৪৬,৪৭ ধারা।পিআরবি ২৯৭ বিধি।
*** ব্যভিচারঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রীর সহিত তাহার স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করে যা ধর্ষনের শামিল নয় তাকে ব্যভিচার বলে। দঃবিঃ ৪৯৭ ধারা।
*** অধর্তব্য অপরাধ: যে অপরাধের জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না তাকে অধর্তব্য অপরাধ বা অমলের অযোগ্য অপরাধ বলে।
ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪(ঢ)ধারা,
পিআরবি-২৫৪ নিয়ম।

***** মফস্বল ডায়েরী: তদন্ত কিংবা অন্য কোন কাজে থানার এখতিয়ারধীন এলাকার বা মফস্বলে দায়িত্ব পালনকালে এএসআই এর তদুর্ধ্ব পদের পুলিশ অফিসার বিপি ফরম নং ১৮ অনুযায়ী যে বহিতে তদন্ত সংক্রান্ত বা অন্য কোন বিষয় লিপিবদ্ধ করেন তাকে মফস্বল ডায়েরী বলা হয়। পিআরবি ৫৬(খ),১৯৭, ২০৯ নিয়ম।
*** নালিশঃ- কোন আমলযোগ্য বা আমলের অযোগ্য অপরাধের কারনে যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হয়ে লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি প্রদান করে তাকে নালিশ বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(জ) ধারা।
**** কমান্ড সার্টিফিকেটঃ– সাব-ইন্সপেক্টর বা তার নিম্ন পদস্থ যে কোন কর্মচারীকে ডিউটিতে পাঠানোর পূর্বে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০ নং বিপি ফরমে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিল মোহরযুক্ত যে অদেশ নামা প্রদান করা হয় কমান্ড সার্টিফিকেট বলে। পিআরবি ১৬৩,৯০৯ বিধি।
*** কেস ডায়েরীঃ- কোন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার মামলা তদন্তকালে মামলার তদন্তের ধারা বিবরণী যে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে কেস ডায়েরী বলে। ফৌঃ কাঃ ১৭২ ধারা ,পিআরবি ২৬৩,২৬৪ নিয়ম।
*** চার্জশীটঃ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মামলা তদন্ত শেষে যখন জানতে পারে মামলার উল্লেখিত বিষয়টি সত্য তখন তিনি বিপিনং ৩৯ এ অভিযুক্ত আসামীদের প্রকাশ্যে আদালতে বিচারের জন্য এবং অভিযুক্ত নয় এমন আসামীদের অব্যাহতির বিবরণ দিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চার্জশীট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭২ নিয়ম।
*** অনুসন্ধানঃ যখন কোন পুলিশ অফিসার কোন ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে নির্দেশিত পরোয়ানা নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২,১০৩, ১৫৩,১৬৫,১৬৬ ধারা অনুযায়ী বা অন্য কোন আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে চোরাইমাল, অপরাধজনক মালামাল, বা দলিল পত্রাদি উদ্ধার বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটনের রহস্য বা তথ্য উদঘাটনের জন্য যে তল্লাশী বা পরিদর্শন করা হয় তাকে অনুসন্ধান বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(ট) ধারা ,পিআরবিঃ ২৮০ নিয়ম ।
*** অনুসন্ধান পত্রঃ– কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার, চোরাইমাল উদ্ধার বা অপহৃতকে উদ্ধার, আমাসীর নাম ঠিকানা ও স্বভাব চরিত্র যাচাই বাচাই করার জন্য এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট যে পত্র ইস্যূ করে থাকেন তাকে অনুসন্ধান পত্র বলে। পিআরবি ৩৮৯ বিধি।
** ** হত্যামূলক ফাঁসিঃ কোন ব্যক্তিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অপরাধ গোপন করার জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হলে তাকে হত্যামূলক ফাঁসি বলে। হত্যামূলক ফাঁসির ক্ষেত্রে দঃবিঃ ৩৪,১০৯,৩০০,৩০২ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

***  চুড়ান্ত প্রতিবেদনঃ– যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন।
ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।

*** ধর্তব্য অপরাধ: যে অপরাধের জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে তাকে ধর্তব্য অপরাধবা আমলযোগ্য অপরাধ বলে।
ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪(চ)ধারা, পিআরবি-২৪৩ নিয়ম।
** মাদক দ্রব্যঃ মাদক দ্রব্য বলতে নেশাগ্রস্ত দ্রব্য বা যা সেবনে বা গ্রহনে মানুষ বেসামাল বা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়, দেহ ও শরীরে পরিবর্তন ঘটে, স্মৃতি শক্তি ও যৌন শক্তি হ্রাস পায়, কর্মদক্ষা লোপ পায় তাকে মাদক দ্রব্য বলে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২(ঠ) ধারা।
*** অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র: দন্ডবিধি আইনের ১২০(ক) ধারার বর্ণনা মতে যদি কোন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কোন অবৈধ কাজ করে বা বৈধ নহে এমন কাজ অবৈধভাবে করতে বা করাতে সম্মত হয় কিংবা একমত হয় তাহলে অনুরূপ সম্মতি বা চুক্তি বা পরিকল্পনা করাকে অপরাধমূলক যড়যন্ত্র বলে। দন্ডবিধি আইনের ১২০(ক) ধারা।
*** অনিষ্ট: যে ব্যক্তি জনসাধারনের বা কোন ব্যক্তির অবৈধ লোকসান বা ক্ষতি করার ইচ্ছায় কোন সম্পত্তি নষ্ট করে সে ব্যক্তি অনিষ্ট করেছে বলে গণ্য হবে। দন্ডবিধি আইনের ৪২৫,৪২৬ ধারা।
* ভিকটিম : ভিকটিম শব্দের অর্থ হলে শিকার, বলি কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কোন ব্যক্তি কর্তৃক অপরাধের দরুন অপর কোন ব্যক্তি শারিরীক, মানসিক, যৌবিক কিংবা আর্থিক ক্ষতি হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ভিকটিম বলা হয়। কোন ভিকটিম সর্ব প্রথম সাহায্যের জন্য পুলিশ নিকট আসে। তাই পুলিশ সদস্যদের উচিত তাকাকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা। পুলিশ আইনের ২৩, ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৫,১৬। পিআরবি ৩৩ নিয়ম।
*** রাজসাক্ষীঃ দায়রা আদালতে বিচারযোগ্য কোনো অপরাধ এবং ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে দন্ডবিধি আইনের ২২১,২১৬(ক),৩৬৯,৪০১,৪৩৫ ধারা অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত আসামী ক্ষমা পাওয়ার আসায় অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে সহযোগী আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সম্পপূর্ণরুপে প্রকাশ করে রাষ্ট্রের পক্ষে হয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করলে তাকে রাজসাক্ষী বলে।
ফৌঃ কাঃ আইন ৩৩৭,৩৩৮ ধারা,পিআরবি ৪৫৯,৪৮৬ বিধি,সাক্ষ্য আইন ১৩৩ ধারা।


**** ময়না তদন্ত রিপোর্টঃ- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪(৩) ধারা অনুযায়ী মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাবান ডাক্তারের নিকট প্রেরিত লাশের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত সম্মলীত রিপোর্টকে মযনা তদন্ত রিপোর্ট বলে।
ফৌঃ কাঃ ১৭৪ (৩) ধারা, পিআরবি ৩০৬ বিধি।

** মেনস রিয়াঃ- মেনস রিয়া শব্দের অর্থ হলো অপরাধ সংঘটনের জন্য মনের ইচ্ছা বা মানসিক অবস্থা। মনের ইচ্ছা হলো অপরাধ সংঘটনের মূল ভিত্তি। মানসিক বা মনের ইচ্ছার ফলে অপরাধ সংঘটিত বা উদ্ভব ঘটে। যেখানে অপরাধমুলক ইচ্চা বা মানসিক অবস্থা সৃষ্টি হবে না সেখানে অপরাধ সংঘটিত হবে না। কাজেই অপরাধমূলক মনের ইচ্ছা বা অভিপ্রায় এর নামই হলো মেনস রিয়া।

**শ্রুতসাক্ষ্যঃ সাক্ষ্য আইনের ৬০ ধারা মতে যদি কোন ব্যক্তি আদালতে এমন কোন বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করেন, যা তিনি কারো কাছ থেকে শুনেছেন বলে সাক্ষ্য দেন তবে উক্ত সাক্ষ্যকে শ্রুত সাক্ষ্য বা শোনা সাক্ষ্য বলে। অপরের কাছ থেকে শুনা শ্রুত সাক্ষ্য আদালতে অপ্রাসঙ্গিক। কতিপয় ক্ষেত্রে এ ধরনের সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। যেমন-(ক) মৃত্যুকালীন জবানবন্দীঃ মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মুমুর্ষ অবস্থায় আহত ব্যক্তি যদি বিবৃতি দেয় এবং তা কেউ শুনে বা লিখে পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি শ্রুত সাক্ষ্য দিতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা। (খ) স্বীকৃতিঃ ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতে স্বীকৃতি শ্রুতসাক্ষ্য হলেও প্রাসঙ্গিক। সাক্ষ্য আইনের ১৭ হতে ২৩ ধারা। (গ) স্বীকারোক্তিঃ অপরাধী নিজের দোষ স্বীকার করে ম্যাজিষ্ট্রেট বা অন্য কোন ব্যক্তির কাছে যে বিবৃতি দেয় তা শ্রুত সাক্ষ্য হলেও আদালতে প্রাসঙ্গিক। সাক্ষ্য আইনের ২৪ হতে ৩০ ধারা।
***যৌতুকঃ- কোন বিবাহের বর বা বরের পক্ষে কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিবাহের পন হিসাবে কনের পক্ষের নিকট অর্থ সামাগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ দাবী করা হলে ঠিক তদরুপ কনে পক্ষও যদি বরের পক্ষে নিকট এইরুপ অর্থ বা অন্য কোন কিছু দাবি করা হলে তাহাকে যৌতুক বলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের 2(ঞ) ধারা।

*** পুলিশ রিমান্ডঃফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬১ ধারা অনুসারে কোন আসামীকে ২৪ ঘন্টার অধিক সময় আটক রাখা যাবে না। তবে যদি তদন্তকারী অফিসার মনে করে যে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরাইমাল উদ্ধার, অপরাধের তথ্য উদঘাটন করা ও সনাক্তকরণ করা যাবে সেই ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসার জিডি করে জিডির কপি সহ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করবেন। আবেদন প্রাপ্তির পর ম্যাজিষ্টেট যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ মনে করেন তাহলে ম্যাজিষ্টেট আসামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিবেন। এই নির্দেশ দেয়াকে পুলিশ রিমান্ড বলে।ফৌঃ কাঃ ৬১,১৬৭ ধারা,পুলিশ আইন ২৪ ধারা, পিআরবি ৩২৪,২১৩ বিধি।

*** আগষ্ট লিস্ট: দেশের সরকার গঠনের পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যক্তিবর্গের কার্যকলাপ পর্যালোচনাপূর্বক প্রতি বছর জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) কর্তৃক একটি তালিকা তৈরী করে ঢাকায় এসবি’র দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। এসবি অফিস, ঢাকা হতে রাজনৈতিক সন্দিগ্ধ ব্যক্তিদের শ্রেণী বিভাগ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়। প্রতি বছর আগষ্ট মাসে এর লিস্ট বা তালিকা প্রস্তুত করা হয় বলে একে আগস্ট লিস্ট বলে। ডিএসবি ম্যানুয়েল ১০২।
*** অতিরিক্ত পুলিশঃ অতিরিক্ত পুলিশ হল নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর অংশ। কোন মিল ফ্যাক্টরী বা শিল্প কারখানায় শান্তিভঙ্গের সম্ভবনা দেখা দিলে তথায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বাথে কর্তৃপক্ষ মিল মালিক বা ম্যানেজার আইজিপি বা ডিআইজ বা পুলিশ সুপার নিকট উক্ত স্থানে পুলিশ নিয়োগের জন্য আবেদন করলে যে পুলিশ নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাকে অতিরিক্ত পুলিশ বলে।পুলিশ আইনের ১৩,১৪,১৫ ধারা,পিআরবি ৬৬৭,৬৬৯,৬৭০,৬৭১ বিধি।
*** স্পেশাল পুলিশঃ বেআইনী সমাবেশ, দাঙ্গা হাঙ্গামা অথবা ব্যাপকভাবে শান্তিভঙ্গ, চোরাচালান ইত্যাদি অপরাধ প্রবনতা ব্যাপকভাবে দেখা দিলে সাধারণ পুলিশ বাহিনীর পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ইন্সপেক্টর বা উধ্বর্তন পুলিশ অফিসার সেখানে পুলিশ নিয়োগের জন্য স্থানীয় ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করলে উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট জনসাধারনের নিকট হতে যে পুলিশ নিয়োগ করে থাকেন তাকে স্পেশাল পুলিশ বলে। পুলিশ আইনের ১৭ধারা,পিআরবি ৬৭৪,৬৭৫,৬৭৬ বিধি।
**** CDMS & CIMS: CDMS:- Crime Data Management Systam অর্থাৎ (অপরাধীদের বৃত্তান্ত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি) বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নবসৃষ্ট  সফটওয়ারটি বহিঃবিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর ন্যায় বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীতে মামলা সংক্রান্তে সকল  অপরাধীদের তথ্য লিপিবদ্ধ করণের পদ্ধতিকে CDMS বলে।
CIMS:-Citizen Information Management Systam অর্থাৎ (নাগরিকের তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি) বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নবসৃষ্ট  সফটওয়ারটি বহিঃবিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর ন্যায় সকল নাগরিকের তথ্য এই সফটওয়ারে লিপিবদ্ধ করণের পদ্ধতিকে (CIMS) বলে।

এএসআই(নিঃ) হইতে এসআই(নিঃ) পদে পদোন্নতির জন্য সম্ভাব্য প্রশ্ন গুলো এক নজর দেখে নিতে পারেন।
প্রশ্ন: ১। তদন্ত কি ? তদন্তের উদ্দেশ্য কি ? কে কে তদন্ত করতে পারে ?একটি মামলার রুজু থেকে নিষ্পত্তি পযর্ন্ত তদন্তের ধারাবাহিকতা আলোচনা করুন?
প্রশ্ন: ২। অসদাচরণ বলতে কিবুঝ ? কর্তব্য পালনকালে কোন কোন কার্যক্রম অসদাচরনের অর্ন্তভূক্ত হবে?
প্রশ্ন: ৩। অবৈধ মাদক দ্রব্য উদ্ধারের একটি মামলার তদন্তকালে তদন্তকারী অফিসার জানিতে পারিলেন যে, অবৈধ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করাকালীন সময়ে জব্দ তালিকায় উপস্থিত সাক্ষীগণ প্রকৃত নাম ঠিকানা না বলিয়া ভিন্ন নাম ঠিকানা প্রদান করিয়াছেন। এই ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারের করনীয় কি আলোচনা করুন।
প্রশ্নঃ ৪। অবৈধ মাদক দ্রব্য উদ্ধারের একটি মামলায় পুলিশ অফিসার ও থানার ওসি সাহেব মাদক ব্যবসায়ীর সহিত পারস্পারিক যোগসাজেসে প্রকৃত তথ্যদাতাকে মাদক মামলার আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলেন। আসামীর আত্বীয় মাননীয় আইজিপি/পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করিলেন যে, আসল মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দিয়া প্রকৃত তথ্যদাতাকে আসামী করে আদালতে চালান দেওয়া হইয়াছে। ঘটনার সত্যতা পাইলেন। এই ক্ষেত্রে উক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে  কি কি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে আলোচনা করুন।
প্রশ্ন:৫। প্রতিবেশীর সহিত বাড়ীর সীমানা নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে এক পক্ষের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।  এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু হয়। ৩ দিনপর একজন হাসপাতালে মারা যায়। এ ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা কিকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ?
প্রশ্ন:  ৬।সাক্ষী কাকে বলে ? সাক্ষী তলব ও রের্কড করার পদ্ধতি আলোচনা করুন ?
প্রশ্ন ৭: নিচের বিষয় গুলো কোন কোন ধারা বলে আদালতে গ্রহনযোগ্য হবে ?
(ক)  এফআই,(খ) আলামত, (গ) আসামীর জবানবন্দী, (ঘ) সরকারী অফিসের কাগজ পত্রাদি, (ঙ) বিশেষজ্ঞদের মতামত,
প্রশ্নঃ ৮। পুলিশ অফিসার প্রয়োজনে একজন ব্যাক্তির নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে উক্ত ব্যক্তি মিথ্যা পরিচয় প্রদান করিলেন। এই ক্ষেত্রে মিথ্যা পরিচয় দানকারীর বিরুদ্ধে কি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে আলোচনা করুন?  
প্রশ্ন: ৯। সাইফুল তার স্ত্রী মায়ার  সহিত পারিবারিক বিষয় নিয়া বকাবকি করে ডিউটি চলে গেলেন। ডিউটি শেষে বাসায় ফিরে দেখেন যে, তার স্ত্রী মায়া গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিতেছে। সাইফুল কি অপরাধ করেছে ? 
প্রশ্ন: ১০। “ক” নামক পুলিশের এএসআই রাস্তায় টহল ডিউটি করাকালে “খ” কে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে তার শরীর তল্লাশীর নাম করে কৌশলে পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে মাদক সেবনকারী হিসাবে গ্রেফতার করেন। এতে “ক” কি অপরাধ করল?
প্রশ্ন: ১১।  এএসআই সাইকুল একজন আসামীর স্বীকারোক্তি আদায় করার উদ্দেশ্যে তাকে মারপিট করার জন্য তার অধস্তন কনষ্টবল সেলিমকে নির্দেশ দিলেন। সেলিম তার উর্ধ্বতন অফিসারের নির্দেশ পালন করল ? তাতে কার কি অপরাধ হল ?

================সমাপ্ত================






কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...