অনুসরণকারী

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

 

সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার)





জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৯৬ সালে বীর কাশিমনগর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৮ সালে কুলিয়াচর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। ২০০৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.কম (ব্যবস্থাপনা), ২০০৪ সালে সালে এম.কম (ব্যবস্থাপনা) ও ২০১১ সালে পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Masters in Police Science (MPS) ডিগ্রী লাভ করেন।

২০১০ সালে ২৮ তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) হিসেবে তিনি বরগুনা জেলায় বাস্তব প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।

বাস্তব প্রশিক্ষন শেষে তিনি ২০১২ সালে মাগুরা জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে প্রায় ০২ বছর দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি ২০১৪ সালে পটুয়াখালী জেলায় সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করে আবারও পটুয়াখালী সদর সার্কেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে যোগদান করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে থাকাকালীন সময়ে গার্মেন্টস এলাকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ, ফেডারেশন এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে তৎকালীন সময়ে গাজীপুর এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার এ কর্মদক্ষতার ফলে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হওয়া স্বত্বেও ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুশিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি আরও বেশি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এ সময় অগোছালো ও অখ্যাত ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশকে তার কর্মদক্ষতায় ময়মনসিংহ বাসিসর সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি এ সময় ভালুকা থানাধীন ভরাডুবা এলাকায় নুতন পুলিশ লাইন্স গঠনে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেন। নতুন পুলিশ লাইন্সে প্রশাসনিক ভবন, ব্যারাক, এমটি গ্যারেজ, অস্ত্রাগার ও মেসসহ অন্যান্য প্রয়োজননীয় সকল অবকাঠামোগত ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেন। বর্তমান ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ একটি পরিপূর্ন পুলিশ ইউনিট। এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইউনিটের প্রয়োজনীয় পরিবহনের উপযোগীতা মিটিয়েছেন।

২০২১ তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে নরসিংদী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার নৈতিকতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নরসিংদীবাসির সবার মন জয় করেন। দাঙ্গা ও অপরাধপ্রবণ নরসিংদী জেলাকে একটি নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি নরসিংদী জেলার অপরাধীদের আংতক এবং সুশীল মানুষের আস্থার আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি ছিলেন।

২০২৩ সালে নেত্রকোণা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিবেবে যোগদান করেন। নেত্রকোণা জেলায় দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ২০২৩ সালে ০৭ নভেম্বর পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।


পুলিশ সুপার জনাব সাহেব আলী পাঠান বিভিন্ন ইউনিটে সুনামের সাথে চাকুরি করেছেন। চাকুরি জীবনে তিনি প্রত্যেক কর্মস্থলে তার কর্মদক্ষতার ও মানবিক পুলিশিং এর জন্য সকল নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাসহ সাধারণ জনগণের কাছে অতি প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।

নিজ গ্রামে তিনি পরোপকারী ও নৈতিকতার জন্য সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যেকোন মানুষের বিপদে পাশে পাওয়া যায় বলে এলাকায় তিনিই ছোটবড় সকলের কাছে আস্থার জায়গা। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জরিত। "কুলিয়াচর স্বপ্নবন্ধন" নামক সামাজিক সংগঠনের সভাপতি তিনি।

ইতোমধ্যে সারা দেশে ব্যপক আলোচিত পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা "আলোকিত নরসিংদী" নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

কর্মজীবনে তিনি দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক।



কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

 


সাহেব আলী পাঠান

জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৯৬ সালে বীর কাশিমনগর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৮ সালে কুলিয়াচর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। ২০০৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.কম (ব্যবস্থাপনা), ২০০৪ সালে সালে এম.কম (ব্যবস্থাপনা) ও ২০১১ সালে পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Masters in Police Science (MPS) ডিগ্রী লাভ করেন।

২০১০ সালে ২৮ তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) হিসেবে তিনি বরগুনা জেলায় বাস্তব প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।

বাস্তব প্রশিক্ষন শেষে তিনি ২০১২ সালে মাগুরা জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে প্রায় ০২ বছর দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি ২০১৪ সালে পটুয়াখালী জেলায় সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করে আবারও পটুয়াখালী সদর সার্কেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে যোগদান করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে থাকাকালীন সময়ে গার্মেন্টস এলাকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ, ফেডারেশন এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে তৎকালীন সময়ে গাজীপুর এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার এ কর্মদক্ষতার ফলে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হওয়া স্বত্বেও ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুশিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি আরও বেশি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এ সময় অগোছালো ও অখ্যাত ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশকে তার কর্মদক্ষতায় ময়মনসিংহ বাসিসর সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি এ সময় ভালুকা থানাধীন ভরাডুবা এলাকায় নুতন পুলিশ লাইন্স গঠনে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেন। নতুন পুলিশ লাইন্সে প্রশাসনিক ভবন, ব্যারাক, এমটি গ্যারেজ, অস্ত্রাগার ও মেসসহ অন্যান্য প্রয়োজননীয় সকল অবকাঠামোগত ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেন। বর্তমান ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ একটি পরিপূর্ন পুলিশ ইউনিট। এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইউনিটের প্রয়োজনীয় পরিবহনের উপযোগীতা মিটিয়েছেন।

২০২১ তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে নরসিংদী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার নৈতিকতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নরসিংদীবাসির সবার মন জয় করেন। দাঙ্গা ও অপরাধপ্রবণ নরসিংদী জেলাকে একটি নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি নরসিংদী জেলার অপরাধীদের আংতক এবং সুশীল মানুষের আস্থার আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি ছিলেন।

২০২৩ সালে নেত্রকোণা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিবেবে যোগদান করেন। নেত্রকোণা জেলায় দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ২০২৩ সালে ০৭ নভেম্বর পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।


পুলিশ সুপার জনাব সাহেব আলী পাঠান বিভিন্ন ইউনিটে সুনামের সাথে চাকুরি করেছেন। চাকুরি জীবনে তিনি প্রত্যেক কর্মস্থলে তার কর্মদক্ষতার ও মানবিক পুলিশিং এর জন্য সকল নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাসহ সাধারণ জনগণের কাছে অতি প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।

নিজ গ্রামে তিনি পরোপকারী ও নৈতিকতার জন্য সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যেকোন মানুষের বিপদে পাশে পাওয়া যায় বলে এলাকায় তিনিই ছোটবড় সকলের কাছে আস্থার জায়গা। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জরিত। "কুলিয়াচর স্বপ্নবন্ধন" নামক সামাজিক সংগঠনের সভাপতি তিনি।

ইতোমধ্যে সারা দেশে ব্যপক আলোচিত পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা "আলোকিত নরসিংদী" নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

কর্মজীবনে তিনি দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক।




পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান

 



জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৯৬ সালে বীর কাশিমনগর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৮ সালে কুলিয়াচর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। ২০০৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.কম (ব্যবস্থাপনা), ২০০৪ সালে সালে এম.কম (ব্যবস্থাপনা) ও ২০১১ সালে পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Masters in Police Science (MPS) ডিগ্রী লাভ করেন।

২০১০ সালে ২৮ তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) হিসেবে তিনি বরগুনা জেলায় বাস্তব প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।

বাস্তব প্রশিক্ষন শেষে তিনি ২০১২ সালে মাগুরা জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে প্রায় ০২ বছর দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি ২০১৪ সালে পটুয়াখালী জেলায় সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করে আবারও পটুয়াখালী সদর সার্কেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে যোগদান করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে থাকাকালীন সময়ে গার্মেন্টস এলাকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ, ফেডারেশন এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে তৎকালীন সময়ে গাজীপুর এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার এ কর্মদক্ষতার ফলে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হওয়া স্বত্বেও ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুশিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি আরও বেশি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এ সময় অগোছালো ও অখ্যাত ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশকে তার কর্মদক্ষতায় ময়মনসিংহ বাসিসর সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি এ সময় ভালুকা থানাধীন ভরাডুবা এলাকায় নুতন পুলিশ লাইন্স গঠনে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেন। নতুন পুলিশ লাইন্সে প্রশাসনিক ভবন, ব্যারাক, এমটি গ্যারেজ, অস্ত্রাগার ও মেসসহ অন্যান্য প্রয়োজননীয় সকল অবকাঠামোগত ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেন। বর্তমান ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ একটি পরিপূর্ন পুলিশ ইউনিট। এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইউনিটের প্রয়োজনীয় পরিবহনের উপযোগীতা মিটিয়েছেন।

২০২১ তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে নরসিংদী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার নৈতিকতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নরসিংদীবাসির সবার মন জয় করেন। দাঙ্গা ও অপরাধপ্রবণ নরসিংদী জেলাকে একটি নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি নরসিংদী জেলার অপরাধীদের আংতক এবং সুশীল মানুষের আস্থার আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি ছিলেন।

২০২৩ সালে নেত্রকোণা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হিবেবে যোগদান করেন। নেত্রকোণা জেলায় দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ২০২৩ সালে ০৭ নভেম্বর পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।


পুলিশ সুপার জনাব সাহেব আলী পাঠান বিভিন্ন ইউনিটে সুনামের সাথে চাকুরি করেছেন। চাকুরি জীবনে তিনি প্রত্যেক কর্মস্থলে তার কর্মদক্ষতার ও মানবিক পুলিশিং এর জন্য সকল নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাসহ সাধারণ জনগণের কাছে অতি প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।

নিজ গ্রামে তিনি পরোপকারী ও নৈতিকতার জন্য সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যেকোন মানুষের বিপদে পাশে পাওয়া যায় বলে এলাকায় তিনিই ছোটবড় সকলের কাছে আস্থার জায়গা। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জরিত। "কুলিয়াচর স্বপ্নবন্ধন" নামক সামাজিক সংগঠনের সভাপতি তিনি।

ইতোমধ্যে সারা দেশে ব্যপক আলোচিত পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা "আলোকিত নরসিংদী" নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

কর্মজীবনে তিনি দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক।




বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

রায় পড়তে গিয়ে কাঁদলেন বিচারক

রায় পড়তে গিয়ে কাঁদলেন বিচারক

৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত,ঢাকা।

রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে লোমহর্ষকভাবে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ লিটনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।


ঢাকা মহানগর ৭ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটায় রায় ঘোষণা শেষ করেন। রায় পড়ার সময় বিচারকের চোখও হয় অশ্রুসজল।


রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মামলার বাদি মুন্না রহমান উপস্থিত ছিলেন। আসামি রাকিব উদ্দিন কাঠগড়ায় ছিলেন। আদালতের বাম পাশে কাঠগড়ায় আসামি রাকিব উদ্দিন, সামনের বেঞ্চে আইনজীবী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পিনপতন নীরবতার মাধ্যমে বিচারক বিকেল ৪টা ২০মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় শেষ করেন ৫টা ৫০মিনিটে। রায়ে সাক্ষীদের বিবরণও পড়ার পর আসামির দোষ স্বীকারোক্তি পড়েন বিচারক।


আসামির ছেলে ফারহান উদ্দিনকে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে হত্যার সময় ফারহান বলে ওঠে, ‘বাবা তুমি কী আমাকে মেরে ফেলবে’? এ বর্ণনা পড়ার সময় কেঁদে ফেলেন বিচারক। রায় পড়তে পড়তে বিচারকের চোখ দিয়েও পানি পড়তে থাকে। দীর্ঘ ৩০ মিনিট ধরে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ঘটনার বিবরণ শুনতে থাকা আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনেককে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।


‘আদালতে এই হত্যার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি রাকিব উদ্দিন। হত্যার বিবরণে বলা হয়, প্রথমে স্ত্রী মুন্নীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং পরে গলা টিপে হত্যা করে। টিভি দেখার সময় রশি দিয়ে তিন বছরের মেয়ে লাইবার গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে। বারো বছরের ছেলে ফারহান উদ্দিন বিপ্লব অন্যরুমে ঘুমাচ্ছিল। রাকিব জুতার ফিতা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচানোর সময় ছেলে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। অনেক হাউমাউ করে কাঁদে। ছেলেটি বলে, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে?’ তারপর জোর করে ছেলেটির গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে। ক্রমেই ছেলেটি নিস্তেজ হয়ে যায়।


মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সাথে সাথে আসামি রাকিব উদ্দিন কাঠগড়ায় সিজদা আদায় করেন। পরে আদালত থেকে বের হয়ে বলেন, ‘আমি রায়ে খুশি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার স্ত্রী সন্তান যেখানে আমি সেখানে চলে যেতে চাই। আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব না। আমি চাই দ্রুত রায় কার্যকর হোক।’


রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় ছটফট করতে থাকে আসামি রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ লিটন। রায়ের পর মামলার বাদি নিহত মুন্নির ভাই মুন্না রহমান বলেন, ‘আমার দুইবোনকে একই পরিবারে বিয়ে দিয়েছিলাম। ছোট বোন রাকিবকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। সংসারে সুখের অভাব ছিল না। কিন্তু রাকিব এক সময় মাদক ও জুয়া খেলায় জড়িত হয়ে যায়। যার পরিণতি পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। দুটি ফুটফুটে সন্তানকে কীভাবে সে হত্যা করেছিল। আমি চাই আর কোনো পরিবার এভাবে যেন ধ্বংস না হয়।’


রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। জুয়ার ছোবলে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পারায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩

কিভাবে আপনি আপনার স্মার্টফোন হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন?

 


স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হ্যাকারদের কাছেও মোবাইল লোভনীয় টার্গেট। তাই নিজের সুরক্ষায় যেসকল পদক্ষেপ আপনি নিতে পারেন :

১. মোবাইল থেকে অপ্রয়োজনীয় এপস এবং একাউন্ট রিমুভ করুন। মনে করুন, zoom এপসের কোন দুর্বলতা পাওয়া গেল এবং সেটা ব্যবহার করে হ্যাক করা বা তথ্য চুরি করা যাচ্ছে। আপনি আগে থেকেই অপ্রয়োজনীয় এপস এবং একাউন্ট মুছে ফেলায় অনেকটা নিরাপদ থাকবেন।

২. আপনার তথ্যের backup রাখার চেষ্টা করুন অন্য কোথাও। এতে করে - যদি কখনো আপনার মোবাইল চুরি হয় তাহলে গুগল একাউন্ট বা মোবাইলের একাউন্টের সাহায্যে, চুরি যাওয়া মোবাইলের ডাটা মুছে দেয়া যাবে। আবার ম্যালওয়ার আক্রমণের শিকার হলে ডাটা পুনরুদ্ধার নিয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগবে কম।

৩. অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা যাবে না। অপরিচিত কোন সাইট থেকে এপস নামানো যাবে না। জনপ্রিয় সাইট ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে কিছু ডাউনলোড না করাটাই ভাল। ভুয়া এপস বা সাইটের মাধ্যমে প্রচুর হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটছে সাম্প্রতিক সময়ে!

৪. এপসে ব্যবহৃত একাউন্ট গুলোতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা থাকলে সেটাও সচল রাখতে হবে। এছাড়াও এপস চালু করতে "পাসওয়ার্ড প্রটেকশন" দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে সেটাকেও সচল করুন। এতে করে physically কেউ আপনার মোবাইল ধরলেও, কম তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

৫. মোবাইল ডিভাইস এবং এপস - উভয়কেই নিয়মিত আপডেট রাখার চেষ্টা করুন। কেননা পুরাতন এপস বা মোবাইল সিস্টেম হ্যাক করা সহজ হয় কখনো কখনো।


হারানো মোবাইল খুজে পাবেন যে উপায়ে

 



আসসালামু আলাইকুম সবাইকে! আপনার মোবাইল টি হারিয়ে ফেলেছেন অথবা আপনার মোবাইল কেউ নিয়ে গেলো খুজে পচ্ছেন না আপনার মোবাইলটা সাইলেন্ট করা, আপনি কিভাবে বুঝবেন যে মোবাইল টা বর্তমানে কোথায় আছে। সহজ একটা মাধ্যমে কিন্তু যাচাই করতে পারবেন মোবাইল কোথায় আছে। হারিয়ে যাক অথবা কেউ নিয়ে যাক খুব সহজে বের করতে পারবেন। আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টটি পড়বেন, আপনি নিজে শিখবেন এবং অন্যকে ব্যক্তিকে শেখার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্ট  থেকে এখন যে জিনিস টা শিখবেন আপনার এখন কাজে নাও লাগতে পারে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময় ঠিকই কাজে লাগবে।

হারানো মোবাইল খুজে পাবেন যে উপায়ে

তো যে মোবাইল টা  হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে সে মোবাইল টা খুজে পাবার অন্য একটা স্মার্ট ফোন হাতে নিবেন আপনার বাসার বা বন্ধুদের কারও একটা স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে সরাসরি 

👉প্রথমে Google Play Store এ চলে আসবেন

👉এরপর সার্চ বক্সে google find my device লিখে সার্চ করবেন। 

👉সার্চ করার পর কিন্তু Apps টি পেয়ে যাবেন, এরপর Apps টি install করে নিবেন।

👉 install করার পর অ্যাপসটি ওপেন করবেন।

 ছোট্ট একটি অ্যাপলিকেশন, ওপেন হবার পর অ্যাপসটি কিবাবে সেটিংস করবেন সব দেখাবো। মজার বিষয় হলো আপনার হারানো ফোন যদি সাইলেন্ট থাকে তারপরও ফোনটি বেজে উঠবে অর্থাৎ রিং বেজে উঠবে এবং আপনি খুব সহজে ফোনটি খুজে পাবেন। এখন আপনাদের সব প্রসেস শিখিয়ে দিবো। 

👉এখন Apps টি Open এ ট্যাপ করার পর নিচে Sign in as guest এটাতে ক্লিক করবেন। 

👉এরপর দেখবেন একটা Gmail id দিতে বলবে। এখন কথা হচ্ছে আপনি এখানে কোন Gmail id দিবেন? এখানে আপনার ঐ হারানো মোবাইলে থাকা Gmail id দিতে হবে।

👉তো হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের Gmail id বক্সে দেওয়ার পরে Next এ ক্লিক করবেন। 

👉এরপর আপনার ঐ Gmail এর Password দিতে হবে। Password দিয়ে Next এ ক্লিক করবেন। 

👉 Next এ ক্লিক করার সাথে সাথে অ্যাপসটি ওপেন হয়ে যাবে এবং এখন আপনার মেইন কাজ শুরু হবে।

👉এখন যদি Permission চায় Allow করে দিবেন। এখন এখানে ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে, উপরে বামপাশে মোবাইলের আইকন দেখতে পাবেন এখানে যেটা আপনার হারানো ফোনের মডেল দেখতে পাবেন সেটাতে ক্লিক করবেন।

👉মোবাইল আইকনে টাচ করে দেওয়ার সাথে সাথে কিন্তু মোবাইল টি কোন ব্রান্ডের, কোন মডেল এখানে চলে আসবে এবং কত পারসেন্ট চার্জ আছে কয়টি সিম চালু আছে সব দেখা যাবে। 

👉এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি জানতে পারবেন, বুঝতে পারবেন যে আপনার মোবাইল বর্তমানে কোথায় আছে, অর্থাৎ আপনার সেই হারানো মোবাইলের লোকেশন শো করবে। আপনি টেনে টেনে জুম করে লোকেশনটা দেখবেন আপনার হারানো ফোনটি বর্তমান কোন জায়গায় আছে, কোন রোডে আছে, চোর ফোনটি কোথায় রেখেছে সব কিছু জানতে পারবেন।


👉সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে নিচে দেখবেন 

🔵 Play Sound

🔵 Secure device 

🔵 Erase device 

এই তিনটি অপশন আছে। এই তিনটি অপশনের বিস্তারিত জানুন।

Play Sound : আপনি যে মোবাইল খুজছেন বা যাচাই করছেন সেই মোবাইল যদি সাইলেন্ট থাকে তারপরও যদি এই Play Sound এ ক্লিক করলে সাথে সাথে সেই হারানো ফোনে রিং বাজবে অর্থাৎ সাউন্ড হবে। বাসায় হারালেও কিন্তু এভাবে খুজে বের করতে পারবেন। 

Secure Device : এখানে একটি বার্তা লিখতে হবে অর্থাৎ যোগাযোগের জন্য আপনার নাম্বার দিতে হবে তাহলে হবে কি আপনার ঐ হারানো ফোনে একটি ম্যাসেজ যাবে বা স্কিনে মেসেজ টি সো করবে, চোর ছাড়া যদি অন্য কোনো ভালো ব্যক্তি পেয়ে থাকে তাহলে আপনার দেওয়া ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে ফোনটি ফেরত দিতে পারবে।

Erase Device : এই অপশনে ক্লিক করলে আপনার হারানো ফোনের সকল ডাটা মুছে যাবে অর্থাৎ সব ডিলেট হয়ে যাবে। আপনার ফোনে যদি কোনো পারসোনাল ফটো, ভিডিও বা ডাটা থাকে আপনি যদি মনে করেন এটা অন্য কারো হাতে গেলে আমার সমস্যা হতে পারে তাহলে আপনি এই অপশনের দ্বারা আপনার ফোনের সব কিছু ডিজিট করে দিতে পারবেন। অর্থাৎ Erase device এ ক্লিক করলে ফোনের সকল ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে। 


তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হলো যে ফোনটি হারাবেন বা হারিয়েছেন বা চুরি হয়ে গেছে সেই ফোনের মধ্যে থাকা Gmail এর Email Address এবং Password কিন্তু আপনার মনে জানা থাকতে হবে তা না হলে কিন্তু এই উপায়ে মোবাইল খুজে পাবেন না। আর জানা থাকলে আপনার খুজে পেতে সহজ হবে।

মোবাইল হারিয়ে গেলে জিডি করার মাধ্যমে খুজে পাওয়া

আপনার ফোন হারিয়ে গেলে সরাসরি আপনার নিকটস্থ থানায় যাবেন। থানায় গিয়ে একটা জিডি করবেন, জিডিতে বিস্তারিত উল্লেখ করবেন। আপনার ফোনে যে নাম্বার গুলো ছিলো সে নাম্বার উল্লেখ করবেন, আপনার ফোনের মডেল উল্লেখ করবেন, ফোনের IMEI Number উল্লেখ করবেন। এখন বলতে পারেন যে IMEI নাম্বার কি বা এটা আমি কোথায় পাবো। প্রত্যেকটা ফোনের একটা IMEI Number থাকে, এটা আপনি ফোনের বক্সে পাবেন। সো অবশ্যই আপনাদের থানায় সে বক্স নিয়ে যেতে হবে বা EMEI Number নিয়ে যাবেন। EMEI Number থাকলে পুলিশ ফোনটি তারাতারি ট্রেস করতে পারবে বা তাদের ফোনটি পেতে সহজ হবে। 

এখন প্রশ্ন হলো পুলিশ এটাকে কিভাবে  উদ্ধার করবে?
হ্যা, তাদের কাছে এটাকে উদ্ধার করার জন্য বিশেষ একটি ডিভাইস রয়েছে যার মাধ্যমে পুলিশ মোবাইল যে কোনো স্থান থেকে খুজে বের করে। এক্ষেত্রে আপনার সিম যদি খুলে ফেলেও দেয় তাও কোন সমস্যা নেই, IMEI Number দিয়ে ফোন খুজে বের করবে।


তো বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে কিভাবে খুজে বের করবেন। বন্ধুরা পোস্টটি থেকে যদি কোনো উপকার হয় তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবে না এরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এতক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

কবির শেখ

আইসিটি শাখা

জেলা পুলিশ ,নেত্রকোণা

Gmail: nisadvinkabir@gmail.com

01731-880215 (WhatsApp)

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

৬ ক্যাটাগরিতে দন্ডবিধির বিভিন্ন প্রকার শাস্তিযোগ্য ধারাসমূহ


ক্যাটাগরিতে দন্ডবিধির বিভিন্ন প্রকার শাস্তিযোগ্য ধারাসমূহ অ্যাডভোকেটশীপ, জুডিশিয়ারী, দন্ডবিধি, ফৌজদারী

দন্ডবিধি থেকে অপরাধ এবং অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে জানা যায়। মোট ৫১১টি ধারা আছে দন্ডবিধিতে, এসব ধারাগুলোর অনেকগুলোর আবার উপধারা আছে।

ধারাগুলোর কোনটিতে অপরাধের বর্ণনা বা সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে আবার কোনটিতে অপরাধের শাস্তির পরিমাণ বর্ণিত হয়েছে।

১৮৬০ সালে প্রথম ভারতীয় দন্ডবিধি প্রবর্তিত হয়। দন্ডবিধিকে একটি দেশের মৌলিক আইন বলা হয়ে থাকে।

৬ ক্যাটাগরিতে দন্ডবিধির বিভিন্ন প্রকার শাস্তিযোগ্য ধারাসমূহ জেনে নিন:

জামিনযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ:

৩৩৪-৩৫২, ৩৫৪, ৩৫৫. ৩৫৭-৩৬৩, ৩৭০, ৩৭৪, ৩৮৪, ৩৮৮, ৩৮৯, ৪০৩, ৪০৪, ৪১৭-৪৩৫, ৪৪৭, ৪৪৮,

৪৫১, ৪৬১-৪৬৫, ৪৬৯-৪৭৫, ৪৭৭ক-৪৮৯, ৪৮৯গ, ৪৯১, ৪৯৪-৫০৪, ৪০৬-৫১০।

জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ:

৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক, ৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭, ৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪,

৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩, ৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।




মৃত্যু দন্ডের ধারাসমূহ:

১২১, ১৩২, ১৯৪, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫, ৩২৬-ক, ৩৬৪-ক, ৩৯৬ দন্ডবিধির মোট ৯টি ধারায়


এবং আরো কয়েকটি বিশেষ আইনের ধারায়ও মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে যেমন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০,

বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২, ইত্যািদি।

শুধুমাত্র বিনাশ্রম কারাদন্ডের ধারাসমূহ:

১৬৩, ১৬৬, ১৬৮, ১৬৯, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০, ১৮৭, ১৮৮, ২২৩, ২২৫-ক(খ), ২২৮, ২৯১, ৩০৯, ৩৪১, ৩৫৮, ৫০৯, ৫১০

শুধুমাত্র জরিমানা দন্ডের ধারাসমূহ:

১৩৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৭১ছ, ১৭১জ, ১৭১ঝ, ২৬৩ক, ২৭৮, ২৮৩, ২৯০।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ধারাসমূহ:

১২১, ১২১-ক, ১২২, ১২৪-ক, ১২৫, ১২৮, ১৩০, ১৩২, ১৯৪, ১৯৫, ২২২, ২২৫ (মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তিকে আইনসঙ্গত হেফাজতে বাধা দিলে),

২৩২, ২৩৮, ২৫৫, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫, ৩০৭, ৩১১, ৩১৩, ৩২৬, ৩২৬-ক, ৩২৯, ৩৬৪, ৩৬৪-ক, ৩৭১, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯

(সম্পত্তি আদায়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত করার অস্বাভাবিক ভয় দেখালে),

৩৯৪-৩৯৬, ৪০০, ৪০৯, ৪১২, ৪১৩, ৪৩৬, ৪৩৮, ৪৪৯, ৪৫৯, ৪৬০, ৪৬৭, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৭, ৪৮৯-ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯-ঘ, ধারা।

এছাড়া বিশেষ কয়েকটি আইনের ধারায়ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে






রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০

বর্তমান বিশ্বে নায়করা হলেন বাংলাদেশ পুলিশ

বিশ্বে আজকের নায়করা হলেন বাংলাদেশ পুলিশ:মার্কিন পুলিশ কমান্ডারের স্ট্যাটাস

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কালো ছোবল পড়েছে বাংলাদেশের মাটিতেও। ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে  ৯জন  মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ জন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ অন্যতম।করোনা মোকাবেলায় দিন রাত পরিশ্রম করছেন দেশের প্রাচীনতম এই সংস্থার সদস্যরা। যা চোখ এড়াতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও। আমেরিকার সেই পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কমান্ডার মাইক পার্কার একজন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ পুলিশের করোনা মোকাবেলার সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি।নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পুলিশের বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতে লেখা তার স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মাইক পার্কার। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য মাইক পার্কারের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল..”আজকের নায়করা হলেন বাংলাদেশ পুলিশ৪৯ বছর আগে সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের এবং দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তারা চিরকালের জন্য বাংলাদেশের জনগণের সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। আজ জীবন ও স্বাধীনতার জন্য একটি নতুন হুমকি এসেছে। এটি করোনাভাইরাস (COVID-19)এর বিপদ। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পেশাদারেরা।মানুষ এমন অনেক ভাবে সহায়তা করছে যা আগে কল্পনাও করা হয়নি। তবুও চারপাশে তাকিয়ে দেখুন,কাকে সামনে সাহস করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়? তারা হল “বাংলাদেশ পুলিশ”। পুলিশেরা সাহস করে তাদের জীবনের বিভিন্ন রকম ঝুঁকি নিয়ে অদৃশ্য এক শক্তিশালী রোগের বিরুদ্ধে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।আপনি পুলিশ। আপনি বাড়িতে থাকতে পারবেন না। পুলিশ অপরাধ রোধ এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে তাদের দীর্ঘকালীন কর্তব্যগুলি প্রতিনিয়তই পালন করে চলেছে। পুলিশেরা জনগণ আরও কি করে নিরাপদ থাকতে পারে তার উপায়ও শেখাচ্ছে। আর তা ব্যক্তিগতভাবে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজ মিডিয়ায় সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এই পরিবর্তিত বিশ্বের ধারায় এখন যা আগের চেয়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনা। বাংলাদেশ পুলিশের নতুন প্রজন্ম এটি অর্জন করেছে। যখন এই যুদ্ধে জয়ী হবে, বাংলাদেশের জনগণ যে সমস্ত নায়কেরা সবকিছুর ঝুঁকি নিয়ে এই জয় এনেছে, চিরদিন তাদের কথা মনে করবে। আপনারাই সেই নায়ক যারা আজকে এই সময়ে জনগণের সুরক্ষা উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।আমরা সকলেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রজ্ঞা, শক্তি,কৃপা এবং বিচলিত যেন না হই সেই প্রার্থনা করি। জনগণের আপনাদের প্রয়োজন। দেশের আপনাদের প্রয়োজন। আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করছি।

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

পুলিশ কনস্টেবল! তাতে কি হয়েছে ?





পুলিশ কনস্টেবল! তাতে কি হয়েছে ?


আসুন জেনে নেই বাংলদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়গুলোঃ→পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর মূল হাতিয়ার বা মেরুদণ্ড


★ বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালো রাত্রীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমনের সংবাদ ওয়ার্লেস এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম দেশের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৎকালীণ রাজারবাগ বেইজে কর্মরত কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া। পরবর্তীতে তিনি বীরপ্রতীক পদক প্রাপ্ত হয়েছিলেন।


★ পুলিশ প্রবিধান অনুসারে কনস্টেবলও একজন অফিসার। কোন কোন ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশী ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও সমান ক্ষমতাবান।


★ একজন কনস্টেবল পুলিশের সকল পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে থেকে দুর্ধর্ষ ও ফেরারি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, মামলা তদন্তসহ নানা কাজে সহযাত্রী হিসেবে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


★ পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারী বিধিমালা অনুসারে VIP ব্যক্তিব্যক্তিদের বডিগার্ড / গানম্যান এবং প্রটেকশন ডিউটিতে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কনস্টেবলগনদের।


★ সকল প্রকার অপরাধ ও অপরাধীদের গোপন সংবাদ এবং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি গোয়েন্দাগিরিতে কনস্টেবল এর ভূমিকা শীর্ষে।


★ ফুটপাত থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, সকল পবিত্র উপসনালয়, দেশের গুরুত্তপূর্ণ স্থাপনাসমূহসহ ইত্যাদি জায়গায় কনস্টেবল ডিউটি পালন করে থাকে, তাই একজন কনস্টেবল বিচিত্র অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ।


★ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কনস্টেবলগন অংশ গ্রহণ করে।


★ এ যুগের কনস্টেবলগন শিক্ষিত, মার্জিত, দক্ষ, অনেক বেশী স্মার্ট ও কাজে কর্মে ক্ষীপ্র গতিমনা।


★ একজন কনস্টেবল এর রয়েছে স্বপ্নিল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। প্রত্যেকের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক পদোন্নতির মাধ্যমে ওসি ও সার্কেল এএসপির মতো গুরুত্তপূর্ণ পদে পদায়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের উদাহরণ ভুরিভুরি।


বি:দ্রঃ বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টবল পদে  শতকরা ৯৮% পুলিশ সদস্য এইচএসসি, ড্রিগী, অর্নাস পাশ (২০০৭-২০১৮)এসএসসি পাশ মাএ ২% (১৯৯০-২০০৬)


বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সকল পুরুষ ও নারী কনস্টেবল ভাইবোনেরা ২৪ ঘন্টাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাদের কর্মক্লান্ত মনকে একটু চাংগা ও অনুপ্রাণীত করার জন্যই আমার এ লেখা। চাইলে আপনি শেয়ার অথবা কপি করতে পারেন লেখাটি।

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে কাঁদলেন আফিফ






খেলা শেষে যখন বিজয়ের আবেগে উড়ছে সবাই, তখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এগিয়ে আসেন তার দিকে। ফোন এগিয়ে কথা বলতে বলেন। ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনে আফিফের যেন অবিশ্বাস্য মনে হলো। প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন দিচ্ছেন! মুখে তার কথা সরছিল না।
আবেগের চাপ সামলাতে না পেরে কেঁদেই ফেললেন আফিফ। শুধু মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামই নয়, সে কান্নার সাক্ষী হয়ে রইলো গোটা বিশ্বই।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

চালু হলো বাংলাদেশ পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (সিবিবিএল)।


চালু হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীনকমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (সিবিবিএল)’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যাংকটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
ব্যাংকটি পুলিশের অর্থায়নে গঠিত। তাই সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সহজ শর্তে গৃহঋণসহ অন্য ঋণ দেয়া হবে। এছাড়া বিশেষ ধরনের আমানত ঋণ পণ্য চালু করবে। থাকবে আকর্ষণীয় সব অফার। কমিউনিটি ব্যাংকের এমডি বলেন, ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট। ব্যাংকের যে মুনাফা হবে তার বেশিরভাগ ব্যয় করা হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। অর্থাৎ তাদের চিকিৎসা, সন্তানদের শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে।
তিনি বলেন, এখানে ব্যাংকিং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাদের সহজ শর্তে গৃহঋণ দেয়া হবে। সদস্যদের সক্ষমতা অনুযায়ী ঋণ পাবেন। এছাড়া অন্য ঋণও সহজ শর্তে দেয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশেষ ধরনের আমানত ঋণ পণ্য চালু করা হবে। যেখানে অন্য ব্যাংকের চেয়ে তারা বেশি সুবিধা পাবেন।
এমডি মশিউহুল হক চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগসহ টেকনিক্যাল সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বুধবার সকাল ৯টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকটির উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকেই ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে তার হিসাব খোলার (অ্যাকাউন্ট) মাধ্যমে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

নতুন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, যেহেতু কমিউনিটি ব্যাংক একটি তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক। তাই এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সবাইকে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেয়া হবে। এখানে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। কমিউনিটি ব্যাংক গ্রহককে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় হবে রাজধানীর গুলশান- নম্বরে হাতিরঝিল সংলগ্ন পুলিশ প্লাজায়। ছাড়া প্রিন্সিপাল শাখাসহ মোট ছয়টি শাখা দিয়ে প্রথমে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে শাখা বাড়ানো হবে।
জানা গেছে, বিদ্যমান ব্যাংকগুলোকে পুলিশ, সাংবাদিক অ্যাডভোকেটদের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে নিচের পদের পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক ঋণ নিতে চাইলেও পান না। তবে এখন পুলিশের ঋণের চাহিদা সহজ শর্তে পূরণ করবে কমিউনিটি ব্যাংক।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকেকমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশদেয়া হয়। ওই বছর নভেম্বরে ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯টিতে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে ১৩টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশি প্রবাসী উদ্যোক্তারা ১১টি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি ব্যাংক (সীমান্ত ব্যাংক) পেয়েছে। সর্বশেষ পেল পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ।
গত বছরের মার্চে ব্যাংকটির অনুমোদন চেয়ে পুলিশ সদর দফতরের কল্যাণ ট্রাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। পরে ২৮ আগস্টকমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশনামে পুলিশকে ব্যাংকের অনুমোদন দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় কমিউনিটি ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এর আগে, বাংলাদেশ পুলিশ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ২০১৭ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মূলধনের ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ শুরু করে। পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূলধন সংগ্রহ শেষ হয়। গুলশানে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে করা হয়েছে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়। মিডল্যান্ড ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মশিউহুল হক চৌধুরীকে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের বেতন দেয়া হবে। আপাতত পুলিশ সদস্যরাই হবেন ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। এর লভ্যাংশ যাবে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে। ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা ব্যয় হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। ব্যাংক লাভজনক হলে তিন বছর পর মূলধন জোগানের ওপর প্রত্যেকে নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পাবেন। ছাড়া পুলিশ সদস্যদের জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্যাংকের মাধ্যমে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আয় বাড়লে সদস্য তাদের পরিবারের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা বর্তমানের চেয়ে বাড়ানো হবে। সদস্যরা অবসর সুবিধা, সন্তানের শিক্ষাবৃত্তি, কারিগরি শিক্ষাবৃত্তি, ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন ব্যাংকের মাধ্যমে। অন্য অনেক সংস্থার মতো পুলিশের নিজস্ব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর সঠিক স্বচ্ছ লেনদেনের কারণে জনগণের মধ্যে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ, পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাবনা দেন পুলিশের তৎকালীন আইজি একেএম শহীদুল হক। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, মূলধনের টাকা জোগাড় করতে পারলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপরই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য মূলধন সরবরাহের কাজ শুরু করে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৬৬ হাজার পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়।













কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...