অনুসরণকারী

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭

পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে প্রথম বুলেট ছুড়েছিল !





মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রথম বুলেট ছুড়েছিল পুলিশ। ২৫ মার্চের রাত সাড়ে ১১টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গাড়ি বহর পুলিশ লাইন্সে হামলা চালানোর জন্য শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছানো মাত্রই পাশের ডন স্কুলের (বর্তমানে ইস্টার্ন শপিং মল) ছাদ  থেকে ওই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন সৈনিককে লক্ষ্য করে প্রথম বুলেটটি ছোড়েন এজন বাঙালি পুলিশ সদস্য। থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে ছোড়া লক্ষ্যভেদী ওই বুলেটে পাকিস্তানি ওই সৈনিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আর এতেই হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে বাঙালিরাও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত হয়ে আছে। ২৫ মার্চের সেই ভয়াল রাতে সেখানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যারা মরণপণ লড়াই করেছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

‘শহীদ পুলিশের রক্তের ঋণ’ বইতে এআইজি আবিদা সুলতানা উল্লেখ করেছেন, ‘অসহযোগ আন্দোলনের সময় থেকেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যরা পাক বাহিনীর আক্রমণের শিকার হতে পারেন, এমনই একটি ধারণা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আলোচিত হতে থাকে। শহরের বিভিন্নস্থানে কর্মরত পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কাছ থেকেও একই ধরনের সংবাদ আসতে থাকে। ব্যারাকে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ মোকাবিলায় প্রতিরোধযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সন্ধার পর পুলিশ কর্মকর্তারা খবর পান, যেকোনও সময় রাজারবাগসহ বিভিন্নস্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আক্রমণ চালাতে পারে। রাত ১০ টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে টহলরত একটি পুলিশ টহল টিম বেতার মারফত জানায়, পাকবাহিনীর একটি বড় ফোর্স যুদ্ধসাজে শহরের দিকে এগুচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে খবর আসে, তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান ও বর্তমানে রমনা পার্কের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে সেনাবাহিনীর বেশ কিছু সাঁজোয়া যান অপেক্ষা করছে। এসব খবর পেয়ে রাজারবাগের বাঙালি পুলিশ সদস্যরা যে যার মতো প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
ওইদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অস্ত্রাগারে কর্মরত পুলিশের স্পেশাল আর্মড ফোর্সের (এসএএফ) কনস্টেবল আবু সামা  বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা হামলা চালাবে এমন খবর আমরা জানতাম। আর ওইদিন সন্ধ্যায় যখন নিশ্চিত হলাম যে তারা হামলা চালাবেই, তখন আমাদের অনেক কর্মকর্তাই পালিয়ে যান। অস্ত্রাগারের ইনচার্জ সুবেদার আবুল হাশেম সন্ধ্যার পরপর অস্ত্রাগারে তালা দিয়ে আরআই মফিজ উদ্দিনের কাছে চাবি দিয়ে চলে যান। সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে একটি ওয়্যারলেস ম্যাসেজ আসে যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঢাকার দিকে আসছে। তখন দ্রুত আরআই মফিজ উদ্দিনের কাছে গিয়ে তিনিও পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার কাছে অস্ত্রাগারের চাবি চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। পরে অনেকটা জোর করে তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে একটি অস্ত্রগারের তালা খোলা হয়। অন্য  অস্ত্রাগারের তালা শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলি। পরে সেখান থেকে যে যার মতো থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও বেটা গান এবং গুলি নিয়ে যান বাঙালি পুলিশ সদস্যরা।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগের ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে অন্যান্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া। পরে তিনি সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে যান। যিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সসহ রাজধানী ঢাকা আক্রান্ত হওয়া এবং বাঙালি পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধের বার্তা বেতার মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এজন্য শাহজাহান মিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে চরম নির্যাতনও ভোগ করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ১১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি।
শাহজাহান মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে হামলা চালায়, তখন আমি দায়িত্ব পালন করছিলাম। পাকিস্তানি বাহিনী যখন হামলা চালায় তখন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা। হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা আক্রমণ করে। কাল বিলম্ব না করে আমি পূর্ব পাকিস্তানের সব বিভাগ ও জেলা শহরের পুলিশ স্টেশনগুলোতে একটি মেসেজ পাঠিয়ে দেই। সেই মেসেজটা ছিল—‘ওভার-বেইজ ফর অল স্টেশন্স অব ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেন অ্যান্ড ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই পাক আর্মি। ট্রাই টু সেভ ইয়োরসেল্ফস, ওভার।’ এ জন্য পরদিন ২৬ মার্চ ভোর পাঁচটার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী আমাকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।’’ তিনি বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে বাঙালি পুলিশ সদস্যদের মরণপণ প্রতিরোধে থমকে যায় ট্যাংক ও কামান সজ্জিত পাকবাহিনী। একটু পরই মর্টার ও হেভি মেশিনগান দিয়ে গুলি বর্ষণ শুরু করে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ৪টি ব্যারাকে আগুন লেগে যায়। পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় আট শ’ সদস্য ট্যাংকবহরসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে অনেক বাঙালি পুলিশ সদস্য হতাহত হন। আটক হন আরও ১৫০ জন পুলিশ সদস্য। পরে পাকিস্তানি বাহিনীর ভারী অস্ত্রের মুখে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে গেরিলা পদ্ধতিতে পাকবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। কেউ কেউ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মালিবাগ, চামেলীবাগ প্রান্ত দিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
একইসময়ে রাজারবাগে অবস্থান করছিলেন পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলী। পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের পূর্ব মুহূর্তে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। তখন তিনি রাজারবাগের পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে বাঙালি পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করেছিলেন। এই পাগলা ঘণ্টার শব্দ শুনেই সালামি গার্ডে জড়ো হন বাঙালি পুলিশ সদস্যরা।  
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান নিয়ে লেখা ‘শহীদ পুলিশের রক্তের ঋণ’ বইয়ের মুখবন্ধে এআইজি আবিদা সুলতানা উল্লেখ করেন, ‘২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগের পুলিশ সদস্যরা প্রথম থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ শুরু করেন। পুলিশের বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার পর প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন সারাদেশের পুলিশ সদস্যরা। একজন ডিআইজি ও চারজন পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদবির এক হাজার একশ’র বেশি পুলিশ সদস্য শহীদ হন মহান মুক্তিযুদ্ধে। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও অনেকে। প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

কবির শেখ

নেত্রকোণা জেলা পুলিশ




শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

আসুন জেনে নেই বাংলদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়গুলো-

কবির শেখ
নেত্রকোণা জেলা
পুলিশ কনস্টেবল! তাতে কি হয়েছে ?
আসুন জেনে নেই বাংলদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়গুলোঃ
→পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর মূল হাতিয়ার বা মেরুদণ্ড
★ বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালো রাত্রীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমনের সংবাদ ওয়ার্লেস এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম দেশের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৎকালীণ রাজারবাগ বেইজে কর্মরত কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া। পরবর্তীতে তিনি বীরপ্রতীক পদক প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
★ পুলিশ প্রবিধান অনুসারে কনস্টেবলও একজন অফিসার। কোন কোন ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশী ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও সমান ক্ষমতাবান।
★ একজন কনস্টেবল পুলিশের সকল পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে থেকে দুর্ধর্ষ ও ফেরারি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, মামলা তদন্তসহ নানা কাজে সহযাত্রী হিসেবে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
★ পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারী বিধিমালা অনুসারে VIP ব্যক্তিব্যক্তিদের বডিগার্ড / গানম্যান এবং প্রটেকশন ডিউটিতে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কনস্টেবলগনদের।
★ সকল প্রকার অপরাধ ও অপরাধীদের গোপন সংবাদ এবং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি গোয়েন্দাগিরিতে কনস্টেবল এর ভূমিকা শীর্ষে।
★ ফুটপাত থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, সকল পবিত্র উপসনালয়, দেশের গুরুত্তপূর্ণ স্থাপনাসমূহসহ ইত্যাদি জায়গায় কনস্টেবল ডিউটি পালন করে থাকে, তাই একজন কনস্টেবল বিচিত্র অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ।
★ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কনস্টেবলগন অংশ গ্রহণ করে।
★ এ যুগের কনস্টেবলগন শিক্ষিত, মার্জিত, দক্ষ, অনেক বেশী স্মার্ট ও কাজে কর্মে ক্ষীপ্র গতিমনা।
★ একজন কনস্টেবল এর রয়েছে স্বপ্নিল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। প্রত্যেকের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক পদোন্নতির মাধ্যমে ওসি ও সার্কেল এএসপির মতো গুরুত্তপূর্ণ পদে পদায়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের উদাহরণ ভুরিভুরি।
বি:দ্রঃ বাংলাদেশ পুলিশের শতকরা ৯৮% পুলিশ সদস্য এইচএসসি, ড্রিগী, অর্নাস পাশ(২০০৭-২০১৭)
এসএসসি পাশ মাএ ২%(১৯৯০-২০০৬)
বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সকল পুরুষ ও নারী কনস্টেবল ভাইবোনেরা ২৪ ঘন্টাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাদের কর্মক্লান্ত মনকে একটু  অনুপ্রাণীত করার জন্যই  এ লেখা।


রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পুলিশের রচনায় বাংলাদেশী মুভি ‘ঢাকা অ্যাটাক’

কবির শেখ# নেত্রকোণা জেলা পুলিশ








‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন ছবির কাহিনীকার পুলিশ কর্মকর্তা সানী সারোয়ার।। ছবিটির কাহিনীকার সানী আনোয়ার ‘ঢাকা অ্যাটাক’কে স্বপ্নের প্রকল্প উল্লেখ করে নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঢাকা শহরের ঘটে যাওয়া কিছু ভয়াবহ অপরাধের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির একটি বাস্তবভিত্তিক শৈল্পিক রূপায়ণ এই সিনেমা। পূর্ণদৈর্ঘ্য এই সিনেমা সব শ্রেণির দর্শকের জন্যই নির্মিত হচ্ছে। তবে থ্রিলারপ্রেমী দর্শক সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবেন। পুলিশের নানা ইউনিটের ট্যাকটিক্যাল এক্সপার্টাইজে ভরপুর এই সিনেমা। সম্পূর্ণরূপে মৌলিক গল্পের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমাটিতে যে আপনি হলিউড মুভির একটা ফ্লেভার পাবেন, তা শতভাগ নিশ্চিত।’







ADC DMP

সানী সারোয়ার

রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

১ মিনিটে জেনে নিন বাংলাদেশের ইতিহাস

বাংলাদেশের ইতিহাস:




                             ১৯৪৭ সাল

১৪ই আগষ্ট ব্রিটিশ শাসনের কাছ থেকে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ১৫ই আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ব্রিটিশ শাসনের কাছ থেকে।

                             ১৯৪৮ সাল

২৩শে ফেব্রুয়ারী: গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
২১শে মার্চ: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
২৪শে মার্চ: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।

                                                   ১৯৪৯

২৩শে জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এসময় মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

                            ১৯৫২

২৬শে জানুয়ারী: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
৩০শে জানুয়ারী: সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
২১শে ফেব্রুয়ারী মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রভাষার দাবীতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী ছাত্রজনতার উপর নৃশংসভাবে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হয় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ নাম না জানা অনেকে।

                           ১৯৫৩

আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক প্রজা পার্টি, নিজামে ইসলাম, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খিলাফত ইত্যাদি দল মিলে ৪ই ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।

                               ১৯৫৪

৮-১২ মার্চ: এসময় পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন অর্জন করে। যুক্তফ্রন্ট বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে জয়লাভ করে।
৩১শে মে: পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করে দিয়ে শাসনতন্ত্রের ৯২ (ক) ধারা জারীর মাধ্যমে প্রদেশে গভর্ণরের শাসন প্রবর্তন করেন।
                           ১৯৫৮
৭ই অক্টোবর: ইস্কান্দার মির্জা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে।
২৭শে অক্টোবর: ইস্কান্দর মির্জাকে বিনা রক্তপাতে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন আইয়ুব খান।
                          ১৯৬৬
৫-৬ই ফেব্রুয়ারী: বিরোধী দলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা উত্থাপন করেন যা পরবর্তীতে বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সনদ হিসেবে পরিচিত হয়।
                     ১৯৬৯  গণঅভ্যুত্থান
৫ই জানুয়ারী: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
২২শে ফেব্রুয়ারী: শেখ মুজিব সহ ৩৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
             ১৯৭০ : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন
৭ই ডিসেম্বর: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে জয়লাভ করে।
                     ১৯৭১ : মহান মুক্তিযুদ্ধ
২রা মার্চ: প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের কলাভবনে উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করেন আ স ম আব্দুর রব, তৎকালীন ডাকসুর সহ সভাপতি।
৭ই মার্চ: তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। এবং যুদ্ধের আহ্বান।
২৬শে মার্চ: স্বাধীনতার ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার থেকে এই ঘোষণা দেন।
১০ই এপ্রিল: মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।
১৭ই এপ্রিল: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। এইদিন অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
৬ই ডিসেম্বর: ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৪ই ডিসেম্বর: বাংলাদেশের প্রায় সকল বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার একটি অপচেষ্টা চালানো হয়। বর্তমান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
                           ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১/ বিজয় দিবস
বিকেল ৪টা বেজে ৩১ মিনিটে ৯১ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ দলিলে সই করা হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণপত্রে সই করেন জেনারেল নিয়াজি। আর ভারত এবং বাংলাদেশের মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণপত্র গ্রহণ করেন জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।।
শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা










বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭

চিকুনগুনিয়া কি?

চিকুনগুনিয়া কি?

চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। এ রোগটি আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রোগ হলেও আমাদের দেশের কিছু কিছু এলাকায় এ রোগ দেখা যাচ্ছে। আমাদের অতিপরিচিত ডেঙ্গুর সঙ্গে এর অনেকটাই মিল রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের মতোই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
What is Chikungunya?
Chikungunya is a viral disease. Although it is a disease in Africa and South-East Asia, in some areas of our country, this disease is seen. There is a lot of similarity with our well-known dengue. Like the Dengue fever, Chikungunya Virus spreads through the AIDS mosquito.
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ:
চিকুনগুনিয়ার মূল উপসর্গ হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। জ্বর অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই দেহের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়, প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, তবে কাঁপুনি বা ঘাম দেয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা করা, গায়ে লাল লাল দানার মতো রেশ, অবসাদ, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়—এমনকি ফুলেও যেতে পারে। জ্বর সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিন থাকে এবং এর পর নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে কেউ মারা যায় না, শুধু দীর্ঘদিনের জন্য অনেকেই স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে চারবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু চিকুনগুনিয়া একবার হলে সাধারণত আর হয় না।
চিকিৎসা:
চিকুনগুনিয়া সন্দেহ হলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দেখা হয়। এতে দুই থেকে ১২ দিন লাগতে পারে। চিকুনগুনিয়া জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। এর চিকিৎসা মূলত রোগের উপসর্গগুলোকে নিরাময় করা। রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি বা অন্যান্য তরল খেতে দিতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধই যথেষ্ট এবং এর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। তীব্র ব্যথার জন্য এনএসএআইডি-জাতীয় ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে, তবে অ্যাসপিরিন না দেওয়াই ভালো। আবার যেন মশা না কামড়ায় এ জন্য রোগীকে মশারির ভেতরে রাখাই ভালো। কারণ, আক্রান্ত রোগীকে মশায় কামড় দিয়ে কোনো সুস্থ লোককে সেই মশা কামড় দিলে ওই ব্যক্তিও এ রোগে আক্রান্ত হবেন।
প্রতিরোধের উপায়:
চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো ভ্যাকসিন বা টিকাও নেই। তাই প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এডিস মশা প্রতিরোধ। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা এবং মশাকে নির্মূল করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশে যেখানে পানি জমে থাকতে পারে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ডাবের খোসা, কোমল পানীয়ের ক্যান, ফুলের টব—এসব স্থানে যাতে পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মজা পুকুর বা ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের বেলায় স্বচ্ছ, পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে, কিন্তু চিকুনগুনিয়ায় মশা নোংরা-অপরিষ্কার পানিতেও ডিম পাড়তে পারে। তাই পানি জমে থাকে এমন সব জায়গাই পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে মশা কাছে না আসতে পারে। বাইরে যাওয়ার সময় শরীর ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে মশা কামড়াতে না পারে। রোগটি নতুন হলেও এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এতে কেউ মারা যায় না। হয়তো বা কিছুদিন একটু ভোগান্তি বাড়ায়। একটু সচেতন হলেই এ রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।









মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭

সেলফি শব্দের অর্থ কি? সেলফি মানে কি?

সেলফি

কবির শেখ ,কিশোরগঞ্জ জেলা

https://web.facebook.com/Nisadvinkabir/

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে..............
কোন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে সেলফি-



নিজস্বী বা সেলফি (সেল্ফি) হলো আত্ম-প্রতিকৃতি আলোকচিত্র বা দল আলোকচিত্র, যা সাধারণত হাতে-ধরা ডিজিটাল ক্যামেরা বা ক্যামেরা ফোন ব্যবহার করে নেয়া হয়। সেলফি প্রায়ই ফেসবুক, গুগল+, ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টাম্বলার এবং টুইটারে ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করা হয়ে থাকে।
সেলফি শব্দটি প্রথম এসেছে ইংরেজি সেলফিশ থেকে। ‍সেলফি অর্থ প্রতিকৃতি। অক্সফোর্ড অভিধানের মতে, সেলফি হল একটি ছবি (আলোকচিত্র) যা নিজের তোলা নিজের প্রতিকৃতি, যা সাধারণত স্মার্টফোন বা ওয়েবক্যামে ধারণকৃত এবং যে কোনো সামাজিক মাধ্যমে আপলোড (তুলে দেয়া) করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সেলফি হাত সামনে তুলে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, কখনো-কখনো সেল্ফ টাইমার ব্যবহার করেও নেয়া হয়।

ইতিহাস

১৮৩৯ সালে তোলা প্রথম সেলফি
 
রবার্ট কর্ণিলিয়াস, একজন মার্কিন অগ্রণী আলোকচিত্রী, যিনি ১৮৩৯ সালে নিজের একটি দাগেররোতীপ্ বা আত্ম-প্রতিকৃতি ক্যামেরায় ধারণ করেন, যা ছিল প্রথম কোন একজন ব্যক্তির আলোকচিত্র।[১]
১৯০০ সালে পোর্টেবল কোডাক ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা বাজারে আসার পর ফোটোগ্রাফিক আত্ম-প্রতিকৃতি তোলা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বহনে সহজ এই ক্যামেরার সাহায্যে আয়নার মাধ্যমে সেলফি তোলার প্রচলন শুরু হয় তখন থকেই।
সেলফি শব্দটির প্রাথমিক ব্যবহার ২০০২ এর আগে পাওয়া গেলেও, ২০০২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ান এক অনলাইন ফোরামে (এবিসি অনলাইন) প্রথম ব্যাবহৃত হয়।[২]

জনপ্রিয়তা

এক মহিলা আয়নাতে তার সেলফি তুলছেন, ১৯০০ সাল
ফেসবুক এর আগের সময়টায় মাইস্পেস বেশ জনপ্রিয় ছিল। এবং সে কারণেই সেলফি সর্ব প্রথম জনপ্রিয়তা পায় সেখানেই। তারপর ফেসবুক জনপ্রিয় হওয়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত সেলফি নিম্ন রুচির পরিচায়ক ছিল। [কারণ তখন বেশিরভাগ সেলফি গুলো বাথরুমের আয়নার সামনে তোলা হত।] তবে শুরু থেকেই ইমেজ শেয়ারিং সাইট ফ্লিকার এ জনপ্রিয় ছিলো সেলফি। তবে তখনকার দিনের সব সেলফি গুলোই টিন এজ মেয়েরা আপলোড করত। প্রাথমিক অবস্থায় তরুণদের মধ্যে সেলফি অধিক জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে এটি সমাজের সকল স্তরে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ২০১২ সালের শেষের দিকে টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে ‘সেলফি’ শব্দটি বছরের আলোচিত সেরা দশ শব্দের অন্যতম শব্দ হিসাবে বিবেচিত হয়। ২০১৩ সালের জরিপ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান মহিলাদের দুই তৃতীয়াংশই (যাদের বয়স ১৮-৩৫) ফেসবুকে শেয়ারের উদ্দেশে সেলফি তুলেছেন। স্মার্টফোন এবং ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এর জরিপ প্রতিবেদন বলছেঃ ১৮-২৪ বছর বয়েসি মানুষের তোলা ছবির ৩০% ই সেলফি। ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির অনলাইন ভার্সনে ‘সেলফি’ শব্দটি নতুন সংযোজিত হয়। স্মার্টফোনের কল্যানে গত এক বছরে বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে সেলফি তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

সমাজবিজ্ঞানে

লিঙ্গ ভূমিকা, যৌনতা এবং গোপনীয়তা

বর্তমানে সেলফি উভয় লিঙ্গের মানুষের মাঝেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেক সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে সেলফির উত্থান ঘটে মূলত ‘পর্ণ সংস্কৃতিতে’ ব্যাবহারের মাধ্যমে।[৩] নিজেদের শরীর সুন্দর ভাবে প্রদর্শনের মধ্যমে অন্যকে আকৃষ্ট করার জন্যই মহিলারা সেলফি তুলতো। নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করায় ছিল তখন সেলফির মূল উদ্দেশ্য। যত বেশি আকর্ষণীয় হবে সেই সেলফি তত বেশি উন্নত। তবে আকর্ষণী নয় এমন সেলফি ব্যাপকতা পায় ২০১০ সালের পরবর্তী সময়ে।
 




 


শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধে প্রথম প্রতিরোধে রাজারবাগে পুলিশ লাইন্সে তিনিই বাজালেন প্রথম পাগলা ঘন্টা







নিউজটি পরতে নিচের লিংকে যান......



http://www.prothom-alo.com/we-are/article/1118734











মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা........................

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা........................
ফরাসী বিপ্লবের পর ফ্রান্সের রাজা হেনরি দেশের শাসন কায়েম রাখার জন্য সরকারের অনুগত কয়েকটি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ। এসব বাহিনীর সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রকারীদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করতো। এমনই একটি সংস্থার প্রধান ছিল গ্যাবরিয়েল মন্টগোমারি। রাজার স্কটগার্ডের প্রধান মন্টগোমারির অন্যতম প্রধান কাজ ছিল দৃস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং তা রাজা হেনরিকে নিজে জানানো। রাজা হেনরীর বিরোধী পক্ষ হিসেবে খ্যাত প্রটেস্টান্ট ও ক্যালভিনিস্ট গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল যে, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করার জন্যই সরকার এসব বাহিনীর সৃষ্টি করেছিলেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশবাহিনীর সৃষ্টি হয়। উদ্দেশ্য জনগণের যানমালের নিরাপত্তা দেয়া। বিংশ শতাব্দীতে এসে পুলিশ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৬২ সালে ইংরেজ শাসনামলে পাক-ভারত উপমহাদেশে পুশিল বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মধ্যযুগীয় সময়ে পুলিশি কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়না। তবে ভারত বর্ষের সুলতানী শাসনামলেএকটি সরকারি পুলিশি স্থর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যায়। মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত হয় যা সম্রাট আকবরের সময়কালে আরও সংগঠিত হয়েছিল। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন। (১) মীর আদাল অর্থাৎ সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি, (২) কাজী অর্থাৎ প্রধান বিচারক এবং (৩) কোতোয়াল অর্থাৎ বড় বড় শহরের প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা। এই কোতয়ালী পুলিশ ব্যবস্থার নামানুসারে বর্তমান রাজধানী ঢাকায় কোতয়ালী থানা আছে এবং দেশের অনেক জেলা শহরের সদর পুলিশ ষ্টেশনকে ‘কোতয়ালী’ থানা বলা হয়। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেম প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্টিত ছিল মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়েএখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল।
শিল্প বিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ১৮২৯ সালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল উত্থাপন করেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় ‘লন্ডন মেট্রো পুলিশ’। অপরাধ দমনে এই পুলিশ বাহিনীর সাফল্য ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরণে আমেরিকা গঠন করে ‘নিয়ইয়র্ক সিটি নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ’।
১৮৫৬ সালে বৃটিশ সরকার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নিকট হতে ভারত বর্ষের পূর্ণ শাসনভার গ্রহণ করে। এ সময় লন্ডন মেট্রো পুলিশের সাফল্যে অনুপ্রানিত হয়ে বৃটিশ সরকার ভারতে স্বতন্ত্র একটি পুলিশ ফোর্স গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৮৬১ সালে ঃযব পড়সসরংংরড়হ ড়ভ ঃযব চড়ষরপব অপঃ (অপঃ ঠ ড়ভ ১৮৬১) বৃটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। বৃটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশ বাহিনীর নাম প্রথমে ‘ইষ্ট বেঙ্গল পুলিশ’ এবং পরবর্তীতে ‘ইষ্ট পাকিস্তান পুলিশ’ রাখা হয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই নামে পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা:
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ২৫ মার্চের কালো রাত্রে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর উপর বর্বর হামলা শুরু করে। এ সময় তাদের প্রথম আক্রমনটি পরিচালনা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যদের উপর। অকুতোভয় পুলিশ সদস্যরা দেশমাতৃকার টানে পাকিস্তানী বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ২য়বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। রুখে দাড়ান অন্যায়ের বিরুদ্ধে নি:শঙ্ক চিত্তে। হানাদারদের ভারী অস্ত্রের গোলায় সেদিন ঝাঝরা হয়ে গিয়েছিল সবকটি পুলিশ ব্যারাক। অসংখ্য পুলিশ সদস্য শহীদের অমিয় সুধা পান করেছিলেন দেশের জন্য। কাপুরুষের ন্যায় এক পুলিশ সদস্যও সেদিন মাথা নত করেনি।
২৫ মার্চের দুপুরের পর থেকেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কট্রোল রুমে নানা ধরণের খবর আসতে থাকে। গোট ঢাকা শহর তখন ছিল থমথমে। পাকিস্তানী বাহিনীর সাজোয়া যানের খবর পাওয়া পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সদস্যরা নিজেদের করণীয় নিয়ে শলাপরামর্শ করে। পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ ঢাকা শহরে যে কয়টি পুলিশ পেট্রল পার্টি ছিল প্রত্যেকেই নিজেদের মত করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
রাত এগারটার পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানসমুহ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের চারিদিকে অবস্থান নিতে থাকে। পাকবাহিনীর এই আক্রমনের সংবাদ তাৎক্ষনিকভাবে সারাদেশের জেলা ও সাব ডিভিশনসমুহে পুলিশ বেতার মারফত প্রেরণ করা হয় । বেতারের ভাষাটি ছিল এরূপ: “base for all station of east Pakistan police, keep listening, watch, we are already attacked by the pak army. Try to save yourself, over”
রাত ১১.৩৫ মিনিটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা অস্ত্রাগারের ঘন্টা পিটিয়ে সবাইকে সতর্ক ও একত্রিত করেন। অস্ত্রাগারে কর্তব্যরত সেন্ট্রির রাইফেল থেকে গুলি করে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিতরণ করা হয়। পুলিশ সদস্যরা তখন প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের চারিদিকে, ব্যারাক এবং বিভিন্ন দালানের ছাদে অবস্থান নেয়।
প্রায় ৮০০ পাকিস্তানী সেনা সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সাজোয়া যান রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্রধান গেটে এসে পৌঁছে রাত ১১.৪০ মিনিটে। এসময় বাঙালী পুলিশ সদস্যরাও কৌশলগত স্থানে পজিশন নেয়। এর মিনিট পাঁচেক পর পাকিস্তানী বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনের দক্ষিন -পুর্ব দিক (পুলিশ হাসপাতাল কোয়ার্টার সংলগ্ন) থেকে প্রথম গুলি বর্ষন করে। প্রায় সাথে সাথেই প্যারেড গ্রাউন্ডের উত্তর-পুর্ব দিক (শাহজাহানপুর ক্রসিং) থেকে আক্রমন শুরু করে। ব্যারাকের ছাদে অবস্থানরত বাঙালী পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানী সেনাদের লক্ষ করে গুলিবর্ষনের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেয়। শুরু হয় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। বাঙালী পুলিশ সদস্যদের মরনপণ প্রতিরোধে পাকিস্তানী ট্যাংক ও কামান সজ্জিত বাহিনীর গতি থমকে যায়। পরবর্তীতে হানাদার বাহিনী মর্টার ও হেভি মেশিনগান দিয়ে গুলিবর্ষন শুরু করে। এতে পিআরএফ এর ৪টি ব্যারাকে আগুন ধরে যায়। পাক বাহিনী ট্যাংক বহরসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করে। এসময় বাঙালী পুলিশ সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে গেরিলা হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানী বাহিনীর অনেক সদস্যকে হতাহত করেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাকিস্তানী বাহিনী রাজারবাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প্রায় দেড়শ বাঙালী পুলিশ সদস্য বন্দি হন পাকিস্তানীদের হাতে। তার আগে পুলিশ বাহিনীর একটি বড় গ্রুপ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মালিবাগ ও চামেলীবাগ দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত হয় মুজিব নগর সরকার। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান শেষে ঝিনাইদহের তৎকালীন সাব- ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
মূলত ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ১৩ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য পাকিস্তান সরকারের আনুগত্য অস্বীকার করে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। এসময় তাঁর সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়ারও ব্যবস্থা করেন। ৯ মাস জুড়ে চলা দেশব্যাপী সম্মুখ সমর তথা গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এবং পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন প্রবল প্রতিরোধ।
মুক্তিযুদ্ধের দলিল অনুযায়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপিসহ ১২৬২ জন পুলিশ সদস্য দেশের জন্য, দেশের পতাকার জন্য শহীদ হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয়দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয়দিয়েছে। পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদারিত্ব দিয়েঅপরাধ মোকাবিলায়প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয়দিচ্ছেন। ঘুষ দুর্নীতির কারণে একসময়েঅভিযুক্ত এই বাহিনী তার পেশাদারিত্ব আর জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয়দিয়েজনগণের গর্বের বাহিনীতে পরিণত হয়েছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বীরত্বগাঁথা অংশগ্রহণ স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁদের সেই স্মৃতি রক্ষার্থে রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনের একটি কক্ষে ২০১৩ সালের ২৪ শে মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর’। এতে যুদ্ধকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের অমিয় সাহসিকতার চিত্র ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। যাদুঘরটিতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন অজানা তথ্য ও দুর্লভ দলিল যা মূহুর্তেই মনে করিয়ে দেয় যুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা। এতে স্থান পেয়েছেগৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন ও বিভিন্ন স্মারক। রণাঙ্গনে পুলিশের ব্যবহৃত জিনিষপত্র ইতিহাসের সাথে নতুন প্রজন্মের একটি যোগসূত্র স্থাপনে সক্ষম হয়েছে।
১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুশিল বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে অত্যন্ত সুনামের সাথে। নামিবিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে আইভরি কোষ্ট, সুদান, দারফুর, পূর্ব তিমুর, ডি আর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতি, লাইবেরিয়া, কসাবোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বয়ে এনেছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী-মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেঞ্জ বা জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), রেলওয়ে পুলিশ ( জিআরপি), হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই), স্পেশাল সিকিউরিটি অব প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসএসপিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এএপি), র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব),সোয়াদ,কাউন্টার টরিজম ইউনিট, নৌপুলিশ, পর্যটন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ইমিগ্রেশন পুলিশ এর মাধ্যমে দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সর্ব প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। দেশের ক্রান্তিকালে তাঁদের বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও বীরত্বগাঁথা অবদান জাতি সম্মানের সাথে স্মরণ করবে গভীর শ্রদ্ধাভরে। আমরাও স্মরণ করছি। সেই সাথে হৃদয় নি:সৃত বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাসহ সকলের প্রতি যাঁরা দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছেন।





বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

চালক ছেলে, আরোহী রাষ্ট্রপতি






এলাকায় রাষ্ট্রপতি যতবারই যান, সবসময় রিকশা অথবা ইজিবাইকই থাকে তার বাহন।
এবারই প্রথম অষ্টগ্রামে গাড়িতে চড়লেন স্বাধীনতার পর অংশ নেওয়া প্রতিটি সংসদে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধিত্বকারী আবদুল হামিদ।
সাদা রঙের টয়োটা এসইউভিতে রাষ্ট্রপতির চালক হিসেবে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক।

আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পর বড় ছেলে তৌফিক এখন সংসদে ওই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন।

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

লাল গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাল পুলিশ


E-mail:Kabirkishoregonj@gmail.com


মেহেরপুরে নানা বয়সের সাধারণ মানুষের হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছেন পুলিশের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ সদস্যরা শিশুসহ অনেকের হাতে তুলে দেন এই ফুল। 
জেলার বাসস্ট্যান্ড, সরকারি কলেজ, কোর্ট মোড় এলাকা, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের হাতে ফুল তুলে দেন পুলিশের সদস্যরা। ভালোবাসা দিবসে পুলিশের হাত থেকে ফুল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষও।

এ সময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিছুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর শহর ছাড়াও গাংনী ও মুজিবনগর থানার উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে ফুল দিয়ে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানায় পুলিশ।  
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে পুলিশ কাজ করতে চায়। পুলিশ যে সাধারণ মানুষের বন্ধু, সেই বার্তা দিতেই ভালোবাসা দিবসে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বুঁড়ির শখ কত দেখছেন?

দেখতে ক্লিক করুন..বুঁড়ির নাচ

আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস সম্পর্কে

“বিশ্ব ভালবাসা দিবস” বা “ভ্যালেন্টাইন ডে” সারা বিশ্বের কোটি কোটি প্রেমিক যুগল এর জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি একযোগে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হয়। পৃথিবীতে যতগুলো বিশেষ দিবস রয়েছে তার মধ্যে তরুণ-তরুণীদের নিকট এই দিনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঋতুরাজ বসন্তের ১ম দিনের রেশ কাটতে না কাটতেই এই দিনটি আমাদের সামনে হাজির হয়। প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে ঘিরে সারা বছর জুড়েই কল্পনার জগৎ সাজাতে থাকেন। সকল বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে সবাই চায় এই বিশেষ দিবসের কিছুটা সময় প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে কাটাতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতিও লক্ষ্য করা যায়। এই যেমন – নতুন পোশাক, সাজসজ্জা, উপহার সহ আরও কত কিছু।

আজ আমরা যে ভালোবাসা দিবস পালন করছি এর পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মত পার্থক্যও রয়েছে। আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস সম্পর্কে:
প্রথম:- প্রায় সাড়ে সতেরশো বছর পূর্বের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা। ২৭০ সালের তখনকার দিনে ইটালীর রোমে শাসন করতেন রাজা ক্লডিয়াস-২, তখন রাজ্যে চলছিলো সুশাসনের অভাব, আইনের অপশাসন, অপশিক্ষা, স্বজন-প্রীতি, দূর্নীতি এবং কর বৃদ্ধি। এতে সাধারন জনগন ফুঁসছিল। রাজা তার সুশাসন ফিরিয়ে রাখার জন্য রাজ দরবারে তরুন যুবকদের নিয়োগ দিলেন। আর যুবকদের-কে দায়িত্বশীল ও সাহসী করে গড়ে তোলার লক্ষে তিনি রাজ্যে যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কারন, রাজা বিশ্বাস করতেন বিয়ে মানুষকে দূর্বল ও কাপুরুষ করে।

বিয়ে নিষিদ্ধ করায় পুরো রাজ্য অসন্তোষ সৃষ্টি হলো। এ সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক জনৈক যাজক গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন; তিনি পরিচিতি পেলেন ‘ভালবাসার বন্ধু বা ‘Friend of Lovers’ নামে। কিন্তু তাকে রাজার নির্দেশ অমান্য করার কারনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে আটক করা হল।

জেলে থাকাকালীন ভ্যালেন্টাইনের সাথে পরিচয় হয় জেল রক্ষক আস্ট্রেরিয়াসের সাথে। আস্ট্রেরিয়াস জানতো ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পর্কে। তিনি তাকে অনুরোধ করেন তার অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে। ভ্যালেন্টাইন পরবর্তীতে মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এতে মেয়েটির সাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

রাজা তার এই আধ্যাতিকতার সংবাদ শুনে তাকে রাজ দরবারে ডেকে পাঠান এবং তাকে রাজকার্যে সহযোগীতার জন্য বলেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা না তোলায় সহযোগীতায় অস্বীকৃতি জানান। এতে রাজা ক্ষুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করেন। মৃত্যু দন্ডের ঠিক আগের মূহুর্তে ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীদের কাছে একটি কলম ও কাগজ চান।

তিনি মেয়েটির কাছে একটি গোপন চিঠি লিখেন এবং শেষাংশে বিদায় সম্ভাষনে লেখা হয় ‘From your Valentine’ এটি ছিলো এমন একটি শব্দ যা হৃদয়কে বিষাদগ্রাহ করে। অতঃপর ১৪ ই ফেব্রুয়াররি, ২৭০ খৃঃ ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে ‘বিশ্বভালবাসা দিবস’ পালন করা হয়।

দ্বিতীয়:- সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু’জন প্রাণ খুলে কথা বলত। এভাবে এক সময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। ভ্যালেন্টাইনের ভালবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।

তৃতীয়:- খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা। সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাষু রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। এক সময় তার সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়। কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যাতে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজকও সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াসকে ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ বসিয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেন।

চতুর্থ:- আরেকটি খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, গোটা ইউরোপে যখন খৃষ্টান ধর্মের জয়জয়কার, তখনও ঘটা করে পালিত হতো রোমীয় একটি রীতি। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা সমস্ত মেয়েদের নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে বা বাক্সে জমা করত। অতঃপর ঐ বাক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে পূর্ণবৎসর ঐ মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকত। আর তাকে চিঠি লিখত, এ বলে ‘প্রতিমা মাতার নামে তোমার প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি।’ বৎসর শেষে এ সম্পর্ক নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো। এ রীতিটি কয়েকজন পাদ্রীর গোচরীভূত হলে তারা একে সমূলে উৎপাটন করা অসম্ভব ভেবে শুধু নাম পাল্টে দিয়ে একে খৃষ্টান ধর্মায়ণ করে দেয় এবং ঘোষণা করে এখন থেকে এ পত্রগুলো ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’-এর নামে প্রেরণ করতে হবে। কারণ এটা খৃষ্টান নিদর্শন, যাতে এটা কালক্রমে খৃষ্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

পঞ্চম:- অন্য আরেকটি মতে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারও তরুণের মেলায় র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত কাগজের সি­প জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সি­পের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হত এবং ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াতো।
ঐ দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই "ভ্যালেন্টাইন ডে"।

ষষ্ঠ:- রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস-এর আমলের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেনটাইন ছিলেন শিশুপ্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। আর রোম সম্রাট ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। ঐ সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খৃষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খৃস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে যেভাবে এসেছে:
১৯৯৩ সালের দিকে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আর্বিভাব ঘটে। যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান। তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নিয়ে দেশে এসে লন্ডনী সংস্কৃতির প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি প্রথম যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন। তেজগাঁওয়ে তার পত্রিকা অফিসে কেউ চাকরী নিতে গেলে না কি সাথে তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে যেতে হতো। প্রেমের যুগললবন্দী কপোত-কপোতীকে দেখে ওনি না কি খুব খুশী হতেন। অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রেহমান। এজন্য শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়।

তবে, দিন শেষে রাত ১১:৫৯ মি: পরেই ১৪ ই ফেব্রুয়ারি অর্থ্যাৎ "বিশ্ব ভালবাসা দিবস" বা ''ভ্যালেন্টাইনস ডে''। বহু প্রতিক্ষিত তিল তিল করে জামানো ভালোবাসাকে ভালো লাগার প্রিয় মানুষটার সাথে শেয়ার করার দিন। ভালোবাসার মানুষটিকে যুগ যুগ ধরে পবিত্র সম্মানে সম্মনিত করা। আমরা মানুষ হিসাবে সব ভালোকে ভালোবাসি বলেই ভালবাসার মধ্যে আছি। পশ্যবৃত্তি একদিনের ভালবাসা হাজার দিনের ভালবাসাকে অপমান করার শামিল। তাই কোন পশুবৃত্তি নয়, কোন বেয়ায়াপনা নয়। কারণ মানুষ "আশরাফুল মাখলূখাত"। আমাদের আশে-পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আদর-অনাদরে পড়ে থাকা মানুষগুলোর কথা ভাবার বড় প্রয়োজন।

"বিশ্ব ভালবাসা দিবস" বা ''ভ্যালেন্টাইনস ডে'' এর মানে এই নয় যে তা জমা করে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী পালন করতে হবে। আমরা মানুষকে ভালোবাসব প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিদিন, প্রতিটি কাজে। তাহলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিন হিসাবে পবিত্র সম্মানে সমুজ্জ্বল থাকবে।








কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...