অনুসরণকারী

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

লাল গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাল পুলিশ


E-mail:Kabirkishoregonj@gmail.com


মেহেরপুরে নানা বয়সের সাধারণ মানুষের হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছেন পুলিশের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ সদস্যরা শিশুসহ অনেকের হাতে তুলে দেন এই ফুল। 
জেলার বাসস্ট্যান্ড, সরকারি কলেজ, কোর্ট মোড় এলাকা, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের হাতে ফুল তুলে দেন পুলিশের সদস্যরা। ভালোবাসা দিবসে পুলিশের হাত থেকে ফুল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষও।

এ সময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিছুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর শহর ছাড়াও গাংনী ও মুজিবনগর থানার উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে ফুল দিয়ে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানায় পুলিশ।  
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে পুলিশ কাজ করতে চায়। পুলিশ যে সাধারণ মানুষের বন্ধু, সেই বার্তা দিতেই ভালোবাসা দিবসে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বুঁড়ির শখ কত দেখছেন?

দেখতে ক্লিক করুন..বুঁড়ির নাচ

আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস সম্পর্কে

“বিশ্ব ভালবাসা দিবস” বা “ভ্যালেন্টাইন ডে” সারা বিশ্বের কোটি কোটি প্রেমিক যুগল এর জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি একযোগে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হয়। পৃথিবীতে যতগুলো বিশেষ দিবস রয়েছে তার মধ্যে তরুণ-তরুণীদের নিকট এই দিনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঋতুরাজ বসন্তের ১ম দিনের রেশ কাটতে না কাটতেই এই দিনটি আমাদের সামনে হাজির হয়। প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে ঘিরে সারা বছর জুড়েই কল্পনার জগৎ সাজাতে থাকেন। সকল বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে সবাই চায় এই বিশেষ দিবসের কিছুটা সময় প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে কাটাতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতিও লক্ষ্য করা যায়। এই যেমন – নতুন পোশাক, সাজসজ্জা, উপহার সহ আরও কত কিছু।

আজ আমরা যে ভালোবাসা দিবস পালন করছি এর পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মত পার্থক্যও রয়েছে। আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস সম্পর্কে:
প্রথম:- প্রায় সাড়ে সতেরশো বছর পূর্বের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা। ২৭০ সালের তখনকার দিনে ইটালীর রোমে শাসন করতেন রাজা ক্লডিয়াস-২, তখন রাজ্যে চলছিলো সুশাসনের অভাব, আইনের অপশাসন, অপশিক্ষা, স্বজন-প্রীতি, দূর্নীতি এবং কর বৃদ্ধি। এতে সাধারন জনগন ফুঁসছিল। রাজা তার সুশাসন ফিরিয়ে রাখার জন্য রাজ দরবারে তরুন যুবকদের নিয়োগ দিলেন। আর যুবকদের-কে দায়িত্বশীল ও সাহসী করে গড়ে তোলার লক্ষে তিনি রাজ্যে যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কারন, রাজা বিশ্বাস করতেন বিয়ে মানুষকে দূর্বল ও কাপুরুষ করে।

বিয়ে নিষিদ্ধ করায় পুরো রাজ্য অসন্তোষ সৃষ্টি হলো। এ সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক জনৈক যাজক গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন; তিনি পরিচিতি পেলেন ‘ভালবাসার বন্ধু বা ‘Friend of Lovers’ নামে। কিন্তু তাকে রাজার নির্দেশ অমান্য করার কারনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে আটক করা হল।

জেলে থাকাকালীন ভ্যালেন্টাইনের সাথে পরিচয় হয় জেল রক্ষক আস্ট্রেরিয়াসের সাথে। আস্ট্রেরিয়াস জানতো ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পর্কে। তিনি তাকে অনুরোধ করেন তার অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে। ভ্যালেন্টাইন পরবর্তীতে মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এতে মেয়েটির সাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

রাজা তার এই আধ্যাতিকতার সংবাদ শুনে তাকে রাজ দরবারে ডেকে পাঠান এবং তাকে রাজকার্যে সহযোগীতার জন্য বলেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা না তোলায় সহযোগীতায় অস্বীকৃতি জানান। এতে রাজা ক্ষুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করেন। মৃত্যু দন্ডের ঠিক আগের মূহুর্তে ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীদের কাছে একটি কলম ও কাগজ চান।

তিনি মেয়েটির কাছে একটি গোপন চিঠি লিখেন এবং শেষাংশে বিদায় সম্ভাষনে লেখা হয় ‘From your Valentine’ এটি ছিলো এমন একটি শব্দ যা হৃদয়কে বিষাদগ্রাহ করে। অতঃপর ১৪ ই ফেব্রুয়াররি, ২৭০ খৃঃ ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে ‘বিশ্বভালবাসা দিবস’ পালন করা হয়।

দ্বিতীয়:- সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু’জন প্রাণ খুলে কথা বলত। এভাবে এক সময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। ভ্যালেন্টাইনের ভালবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।

তৃতীয়:- খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা। সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাষু রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। এক সময় তার সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়। কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যাতে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজকও সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াসকে ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ বসিয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেন।

চতুর্থ:- আরেকটি খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, গোটা ইউরোপে যখন খৃষ্টান ধর্মের জয়জয়কার, তখনও ঘটা করে পালিত হতো রোমীয় একটি রীতি। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা সমস্ত মেয়েদের নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে বা বাক্সে জমা করত। অতঃপর ঐ বাক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে পূর্ণবৎসর ঐ মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকত। আর তাকে চিঠি লিখত, এ বলে ‘প্রতিমা মাতার নামে তোমার প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি।’ বৎসর শেষে এ সম্পর্ক নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো। এ রীতিটি কয়েকজন পাদ্রীর গোচরীভূত হলে তারা একে সমূলে উৎপাটন করা অসম্ভব ভেবে শুধু নাম পাল্টে দিয়ে একে খৃষ্টান ধর্মায়ণ করে দেয় এবং ঘোষণা করে এখন থেকে এ পত্রগুলো ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’-এর নামে প্রেরণ করতে হবে। কারণ এটা খৃষ্টান নিদর্শন, যাতে এটা কালক্রমে খৃষ্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

পঞ্চম:- অন্য আরেকটি মতে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারও তরুণের মেলায় র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত কাগজের সি­প জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সি­পের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হত এবং ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াতো।
ঐ দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই "ভ্যালেন্টাইন ডে"।

ষষ্ঠ:- রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস-এর আমলের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেনটাইন ছিলেন শিশুপ্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। আর রোম সম্রাট ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। ঐ সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খৃষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খৃস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে যেভাবে এসেছে:
১৯৯৩ সালের দিকে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আর্বিভাব ঘটে। যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান। তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নিয়ে দেশে এসে লন্ডনী সংস্কৃতির প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি প্রথম যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন। তেজগাঁওয়ে তার পত্রিকা অফিসে কেউ চাকরী নিতে গেলে না কি সাথে তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে যেতে হতো। প্রেমের যুগললবন্দী কপোত-কপোতীকে দেখে ওনি না কি খুব খুশী হতেন। অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রেহমান। এজন্য শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়।

তবে, দিন শেষে রাত ১১:৫৯ মি: পরেই ১৪ ই ফেব্রুয়ারি অর্থ্যাৎ "বিশ্ব ভালবাসা দিবস" বা ''ভ্যালেন্টাইনস ডে''। বহু প্রতিক্ষিত তিল তিল করে জামানো ভালোবাসাকে ভালো লাগার প্রিয় মানুষটার সাথে শেয়ার করার দিন। ভালোবাসার মানুষটিকে যুগ যুগ ধরে পবিত্র সম্মানে সম্মনিত করা। আমরা মানুষ হিসাবে সব ভালোকে ভালোবাসি বলেই ভালবাসার মধ্যে আছি। পশ্যবৃত্তি একদিনের ভালবাসা হাজার দিনের ভালবাসাকে অপমান করার শামিল। তাই কোন পশুবৃত্তি নয়, কোন বেয়ায়াপনা নয়। কারণ মানুষ "আশরাফুল মাখলূখাত"। আমাদের আশে-পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আদর-অনাদরে পড়ে থাকা মানুষগুলোর কথা ভাবার বড় প্রয়োজন।

"বিশ্ব ভালবাসা দিবস" বা ''ভ্যালেন্টাইনস ডে'' এর মানে এই নয় যে তা জমা করে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী পালন করতে হবে। আমরা মানুষকে ভালোবাসব প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিদিন, প্রতিটি কাজে। তাহলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিন হিসাবে পবিত্র সম্মানে সমুজ্জ্বল থাকবে।








শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

তুযে দেখা তুয়ে জানা সানাম...শুর তৈরি করুন আপনার মোবাইল ফোনে...

তুযে দেখা তুয়ে জানা সানাম...শুর তৈরি করুন আপনার মোবাইল ফোনে...
 আপনার যা করতে হবে....
১। গুগল প্রে-ষ্টোর থেকে MY PIANO লিখে সার্চ দিন ...এই এপ্পস টা ডাউনলোড করুন


২। এই ভিডিও টা দেখে পেকট্সি করুন..


বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কোন কোন অবস্থায় পুলিশ অফিসারের নিকট স্বীকারোক্তির কোন মূল্য নেই?





https://www.facebook.com/Nisadvin


কোন কোন অবস্থায় পুলিশ অফিসারের নিকট স্বীকারোক্তির কোন মূল্য নেই?
কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি করলে উক্ত স্বীকারোক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট গহণযোগ্য হবে না । কারণ আদালতের আইনজীবিগণ মনে করেন , পুলিশ অফিসার আসামীকে নির্যাতন করে , পীড়ন করে কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বীকারোক্তি আদায় করে থাকেন। সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারা ।
আসামী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে কোন স্বীকারোক্তি করলে তা যদি কোন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে না হয় তবে তা ঐ ব্যক্তির নিকট প্রমাণ করা যাবে না।




সাক্ষ্য আইনের ২৬ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম-২৮৩ (খ)।

সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে ডাকাতির শাস্তি গুলো মনে রাখা যায় !তার একটি কৌশল-






সিরিয়াল অনুযায়ী কিভাবে ডাকাতির শাস্তি গুলো মনে রাখা যায় তার একটি কৌশল-
প্রথমে #ডাখুউমা #অসস ওর্য়াড দুটি মুখস্ত করুন তারপর ব্যাখ্যা-
ডা- ডাকাতি অর্থাৎ ডাকাতির শাস্তি দন্ডবিধি-395
খু- খুনসহ ডাকাতির শাস্তি দন্ডবিধি-396
উ- উদ্যোগ অর্থাৎ মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সহ ডাকাতি উদ্যোগের শাস্তি- দন্ডবিধি-397
মা- মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ডাকাতি শাস্তি দন্ডবিধি-398
অ- অনুষ্ঠান অথাৎ ডাকাতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহনের শাস্তি দন্ডবিধি-399
স- সদস্য অথাৎ ডাকাত দলের সদস্য হওয়ার শাস্তি দন্ডবিধি-400
স- সমবেত অথাৎ ডাকাতি উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার শাস্তি দন্ডবিধি-402
ধন্যবাদ- ভূল হলে সমাধান যোগ্য.

https://www.facebook.com/Nisadvin?pnref=story
https://www.facebook.com/Nisadvin?pnref=story




বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

এএসআই পরীক্ষার চূড়ান্ত সাজেশন

.
পড়তে হবে জিততে হলে......
https://www.facebook.com/Nisadvin
আমার ফেইজবুক আইডি- ক্লিক করুন=====https://www.facebook.com/Nisadvin



আমরা যারা পুলিশের সদস্য তারা জানি আমাদের কাছে এএসআই পদটা অনেক গুরুত্ব পূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আমরা যারা জীবনে একটা পরিবর্তন চাই তা হলো সোনার হরিণ নামক এএসআই পদটা। আমরা এর জন্য যে কোন কিছু করতে রাজি। তাই আমরা দিন রাত্র ডিউটি করার পরে রাত্র জেগে পড়াশুনা করি। জীবনটা পরিবর্তন করার জন্য। তাই আমি পড়াশুনা করেছি তার ফল ফেলাম। যাক আমাদের মাঝে অনেকে বলে যে পড়াশুনা করে কি লাভ আমি বলব অব্যশই লাভ আছে আপনি যদি পড়াশুনা করেন আপনাকে বেশি দূর নিতে পারবে না । আপনাকে একটা স্থান দিতেই হবে। তাই আমার কথা হলো পড়তে হবে পড়তে হবে। আর বড় কথা তাকদিরের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আশা  করি নিচের সব গুলো প্রশ্ন এবং উত্তর  দেখবেন।  সবাই ভাল থাকেন।(কবির)




প্রশ্ন। খুন বলতে কি বুঝ ? আত্বসংযম হারিয়ে ফেলে কাউকে খুন করলে অপরাধ হয় কি ? একটি খুন মামলার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন ।
 প্রশ্নের উত্তর।
খুনঃ– যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বা ব্যক্তিগত আক্রোশবশত বা অন্য কোন হীন উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করার নিমিত্তে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অপর ব্যক্তি কে হত্যা করে তাকে খুন বলে।
খুন এর সজ্ঞা দণ্ডবিধিঃ ৩০০ ধারা।খুনের শাস্তি দণ্ডবিধিঃ ৩০২ ধারা ।
দণ্ডবিধি ৮৪,৮৫ ধারা ব্যতিক্রম সাপেক্ষে আত্বসংযম হারিয়ে ফেলে খুন করলে তা খুন বলে গন্য না হয়ে আপরাধজনক নরহত্যা বলে গন্য হবে । আত্বসংযম হারিয়ে ফেলে খুন করলে দণ্ডবিধি ৩০৪ ধারা মোতাবেক শাস্তি ভোগ করতে হবে।
দণ্ডবিধি ৮৪,৮৫ ধারা।দণ্ডবিধি ৩০৪ ধারা।
নিম্নে একটি খুন মামলার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হলাঃ-
মৃত শাহ জাহান আলী, পিতা মৃত মতিউর রহমান, গ্রামঃ রাজকান্দা ,থানাঃ কলমাকান্দা জেলাঃ নেত্রকোনা এর খুন মামালার ভীকটীমের সুরতাল রিপোর্ট ।
সূত্রঃ কলমাকান্দা থানার মামলা নং-০৫ তারিখঃ ০২/০১/২০১৪ খ্রিঃ । ধারাঃ দন্ডবিধিঃ ৩০২ ।
আমি এএসআই/মোঃ সাইকুল ইসলাম মায়া কলমাকান্দা, নেত্রকোনা । অদ্য ০২/০১/২০১৪ খ্রিঃ তারিখ ১১.০০ ঘটিকায় সঙ্গীয় কং/১১৩০ আফজাল হোসেন , কং/ ১১৩২ মোঃ জুয়েল মিয়া , কং/ ২১৬২৬ রতন চন্দ্র পাল সহ কলমাকান্দা থানা , পাচঁকাটা গ্রামে এসে হাজির হই। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৭৪ ধারা, পিআরবি ২৯৯ নিয়ম মোতাবেক মৃত শাহ জাহান আলীর সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতে শুরু করলাম।
ফৌঃকাঃ ১৭৪ ধারা। পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম।
১। মৃত ব্যক্তির লাশ তার বাড়ীর ঘরের ভিতর উত্তর শিয়রী আবস্থায় পাইলাম।
২। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে।
৩। গায়ের রং ফর্সা ।
৪। মাথার চুল খাটো করে ছাটা ।
৫। মাথার চুল কালো ।
৬। গোফ ও দাঁড়ি উভয় আছে।
৭। পরনে চেক লুঙ্গি ও সাদা হাফ গোল গলা গেঞ্জি পরা ছিল।
৮। মাথায় এবং বুকে ৪ (চার)টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেল।
৯। মাথা , নাক , মুখমন্ডল , হাত, পা , রক্তাক্ত আবস্থায় পাওয়া গেল।
১০। শরীরে বিভিন্ন স্থানে লেগে থাকা কাঁদা মাটি পাওয়া গেল।
১১। চোখের পাতা বন্ধ অবস্থায় পাইলাম।
মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জানায় রাত ১০.০০ঘটিকার দিকে খানা দানা খেয়ে নিজ ঘরে তার স্বামী ছেলে সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়ে । ভোর ০৫.০০ ঘটিকার সময় ০৪-০৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় । কিছুক্ষন পরই গুলির শব্দ পায়। দৌড়ে গিয়ে দেখে তাহার স্বামী মাটিতে ছটফট করতেছে এবং গুলিবিদ্ধ রক্ত ঝড়ছে। মৃত ব্যক্তির আত্বীয় স্বজন ও উপস্থিত সাক্ষীগন আমার তদন্তে একমত হওয়ায় মৃত্যু ব্যক্তির মৃত্যু কারণ নির্ণয়ের জন্য কং১১৩০ আফজাল হোসেন ও ১১৩২ মোঃ জুয়েল কে দিয়ে কাগজ পত্রসহ লাশ মর্গে প্রেরণ করলাম।
পিআরবিঃ ৩০৪,৩০৫নিয়ম।
সাক্ষীগনদের নাম ও ঠিকানা স্বাক্ষরসহ।
(১)করিম শেখ, পিতাঃ আনছার আলী।গ্রামঃ রাজকান্দা, থানাঃ কলমাকান্দা, জেলাঃ নেত্রকোনা ।
(২)জলিল মিয়া, পিতাঃ মৃতঃ কালা মিয়া। ঠিকানা ঐ।
(৩)রমজান আলী, পিতাঃ সবুর খান।ঠিকানা ঐ।
নিবেদক
এএসআই/ সাইকুল ইসলাম মায়া
কলমাকন্দা , নেত্রকোনা।
তাং ০২/০১/২০১৪খ্রি।
ফৌঃ কাঃ ১৭৪ ধারা।পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম।দণ্ডবিধিঃ ৩০০,৩০২,৩০৪ ধারা।

https://www.facebook.com/Nisadvinkabir/
জেনারেল ডায়েরিঃ এটি ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪/১৫৫ ধারা, পিআরবি ৩৭৭ বিধি অনুযায়ী বিপি ফরম নং- ৬৫ বাংলাদেশ ফরম-৫৩৬৫ মূলে প্রস্তুত ২০০ পৃষ্ঠা যুক্ত একটি মূল্যবান রেজিষ্ট্রার, একেই জেনারেল ডায়েরি বা জি.ডি বা ষ্টেশন ডায়েরি বা রোজনামচাও বলা হয়। এই রেজিষ্ট্রার প্রত্যেকটি থানায় এবং স্থায়ী অস্থায়ী পুলিশ ফাড়িঁতে ব্যবহার হয়ে থাকে। তা কার্বন সংযোগে ২ (দুই) কপি লেখা হয়। প্রতিদিন ৮.০০ ঘটিকার সময় ডায়েরি খোলা হয় এবং পরের দিন ৭.৫৯ মিনিটের সময় ডায়েরি বন্ধ করা হয়। এতে মাসিক ক্রমিক নং ব্যবহার করা হয়। ২৪ ঘন্টা পরপর কার্বন কপি এএসপি সার্কেল অফিসে দাখিল করতে হয়। {ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের-১৫৪/১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের-৪৪ ধারা, পিআরবি-৩৭৭ বিধি} সাক্ষ্য আইনের ৯ ও ৩৫ ধারা অনুসারে জেনারেল ডায়েরি আদালতে প্রাসঙ্গিক।



এজাহারঃ কোন আমল যোগ্য অপরাধের সংবাদ থানায় মৌখিক বা লিখিত ভাবে পৌছলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার বিবরণটি নির্ধারিত (বিপি ফরম নং- ২৭, বাংলাদেশ ফরম নং- ৫৩৫৬) বহিতে লিপিবদ্ধ করেন একেই এজাহার বা এফআইআর বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী বলে। {ফৌফদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, পিআরবি-২৪৩(গ) বিধি}


পুলিশ আইনের ৩৪ধারার ৮টি ক্লোজ সহজে মনে রাখার উপায় হলো, এই শব্দটি মনে রাখতে হবে — অনিজখোজ মরাপু
অ- অনাবৃত জায়গায় গবাদি পশু জবাই করে রক্ত,মল মুত্র ফেলে রাখা।
নি — নির্দয় নিষ্ঠুর ভাবে গবাদি পশুকে মারধর করা।
জ— জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় অনাবশ্যক গাড়ীঘোড়া দাড় করিয়ে রাখা।
খো— খোলা জায়গায় বিক্রয়ের জন্য মালামাল ফেলে রাখা।
জ— জনসাধারনের রাস্তায় ময়লা আর্বজনা নিখ্খেপ করা।
ম— মাতাল বেসামাল অবস্তায় রাস্তায় বেড়ান। ।
রা— রাস্তায় কু্ৎসিত ব্যধি নিয়ে উলঙ্গ হয়ে ঘোরাফেরা করা।
পু— পুকুর কুয়া বা কোন বিপদজনক জায়গা না ঘিরে অরখখিত অবস্তায় রাখা।
এই আটটি অপরাধের জন্য যে কোন পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার








প্রশ্নঃ ৪। চুরি কাকে বলে ? চুরির শর্ত গুলো কি
কি ? কখন চুরি দস্যুতায় শামিল হয় ?
৪ নং প্রশ্নের উত্তর ।
চুরিঃ যখন কোন ব্যক্তি কারো দখল ভুক্ত অস্থাবর
সম্পত্তি মালিকের অনুমতি ব্যতিরেকে অসৎ
উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় বা স্থানান্তর করে তাকে
চুরি বলে ।দন্ডবিধিঃ ৩৭৮ ধারা।
চুরির শর্ত গুলোঃ
(১) মালিকের দখল ভুক্ত সম্পত্তি হইতে হবে ।
(২) মালিকের সম্মতি ব্যতিরেকে হইতে হবে।
(৩) অস্থাবর সম্পতি হইতে হবে ।
(৪) দ্রব্যটি নেওয়ার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য
থাকতে হবে।
(৫) দ্রব্যটি অপসারন করতে হবে।
চুরির শাস্তিঃ
দন্ডবিধিঃ ৩৭৯ ধারা মোতাবেক খোলা স্থান হইতে
চুরির শাস্তি।
দন্ডবিধিঃ ৩৮০ ধারা মোতাবেক আবদ্ধ স্থান হইতে
চুরির শাস্তি।
দন্ডবিধিঃ ৩৮১ ধারা মোতাবেক চাকর বা কেরানী
কর্তৃক চুরির শাস্তি।
তাছাড়াও দন্ডবিধি ৩৮২,৩৫৬,৩৬৯,৪৬১,৪৬২ ধারায় চুরির
বিভিন্ন কারনে শাস্তির বিধান রয়েছে।
চুরির কখন দস্যুতায় শামিল হয়ঃ–
পাচঁ এর কম সংখ্যক লোক দ্বারা চুরি করে
চোরাইমাল নিয়ে যাওয়ার সময় যদি কোন বাধা
আসে, উক্ত বাধা তাৎক্ষনিক মৃত্যু বা গুরুতর জখমের
ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কোন অস্থাবর সম্পত্তি
ছিনিয়ে নিয়ে যায় তখন উক্ত চুরি দুস্যতায় শামিল হয়।
দুস্যতা দন্ডবিধি ৩৯০ ধারা।
দুস্যতার শাস্তিঃ ৩৯২ ধারা।




প্রশ্ন- নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হবার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার সমূহ বর্ণনা করুন।
নিরাপরাধ ব্যক্তির প্রতি ক্ষতি সাধিত হবার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ-
দন্ডবিধি ১০৬ ধারা মোতাবেক নিরাপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করলে কোন অপরাধ হবে না।
অথবা
কোন নিরপরাধ ব্যক্তিার ক্ষতি হইবে জানা সত্ত্বেও যুক্তিসঙ্গতভাবে মৃত্যুর আশংখা সৃষ্টি করে এমন আক্রমণের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগকালে নিরপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি হইলেও কোন অপরাধ হইবে না।
উদাহরণঃ-যেমন কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা চলকালীন সময়ে যদি পাঁচ জন পুলিশ সদস্য ২০০/৩০০ জন দাঙ্গা সদস্যের ভীড়ে এমন ভাবে আক্রমনের শিকার হয় যে,তাতে মৃত্যু অনিবার্য, সেই ক্ষেত্রে ছোট ছোট শিশুর মৃতুর ঝুঁকি নিয়েও গুলি করলে কোন অপরাধ হবে না। হত্যা প্রয়সী লোক গুলোর হাত হতে বাচাঁর জন্য সকল প্রকার আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বন করতে পারবেন।
দাঃবিঃ ৯৬,৯৭,১০৬ ধারা
শর্ত সাপেক্ষে দঃবিঃ ৯৯ ধারা।



চুড়ান্ত প্রতিবেদনঃ– যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন।
ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।



সিরিয়াল অনুযায়ী কিভাবে ডাকাতির শাস্তি গুলো মনে রাখা যায় তার একটি কৌশল-
প্রথমে #ডাখুউমা #অসস ওর্য়াড দুটি মুখস্ত করুন তারপর ব্যাখ্যা-
ডা- ডাকাতি অর্থাৎ ডাকাতির শাস্তি দন্ডবিধি-395
খু- খুনসহ ডাকাতির শাস্তি দন্ডবিধি-396
উ- উদ্যোগ অর্থাৎ মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সহ ডাকাতি উদ্যোগের শাস্তি- দন্ডবিধি-397
মা- মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ডাকাতি শাস্তি দন্ডবিধি-398
অ- অনুষ্ঠান অথাৎ ডাকাতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহনের শাস্তি দন্ডবিধি-399
স- সদস্য অথাৎ ডাকাত দলের সদস্য হওয়ার শাস্তি দন্ডবিধি-400
স- সমবেত অথাৎ ডাকাতি উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার শাস্তি দন্ডবিধি-402
ধন্যবাদ- ভূল হলে সমাধান যোগ্য.

গ্রেফতারী পরোয়ানাঃ- কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য উক্ত ব্যক্তির নাম,ঠিকানা, মামলা, নাম্বার, অপরাধের ধারা ও তামিলকারী অফিসারের নাম,পদবী উল্লেখ করে ০১(এক)কপি নির্ধারীত ফরমে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত আদেশ নামাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা বলে।
ফৌঃ কাঃ ৭৫ ধারা,পিআরবিঃ ৩১৫,৪৬৮নিয়ম।



***বে আইনী সমাবেশ বলতে কি বুঝেন? কেএই সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন?
তিনি কি গুলি করার আদেশ দিতে পারেন?
উত্তরঃ---
কার্যবিধি ১২৭ ধারা মোতাবেক বেআইনী সমাবেশ বলতে বুঝায় যখন পাঁচ বা ততধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন দল সর্বসাধারনের শান্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে সমাবেশ ঘটায় তাকে বে আইনী সমাবেশ বলে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তার চইতে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার বে ইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশ দেয়ার পরেও যদি ছত্রভঙ্গ না হয় কেবলমাত্র জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে তা হলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তার উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার বে আইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি করার নির্দেশ দিতে পারেন।


কাঃবিঃ ১২৭ ধারা এবং পি আর বি ১৫৩(গ) নিয়ম।


https://www.facebook.com/Nisadvinkabir/

প্রশ্নঃ বৈধ লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা যায় কি ? আইনের ধারা উল্লেখপূর্বক আলোচনা করুন।
৩০ নং প্রশ্ন উত্তর (ঝ)
বৈধ লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ–
লাইসেন্সধারী ব্যক্তি যদি সন্দেহজনকভাবে অস্ত্র বহন করে সেই ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনের 12 ধারা মোতাবেক যে কোন ব্যক্তি তাকে বিনা-পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন এবং তার নিকট হতে অস্ত্র কেড়ে নিতে পারেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার না হলে সেই ক্ষেত্রে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ অবিলম্বে পুলিশ অফিসার কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অস্ত্রসহ হাজির করবেন।
অস্ত্র আইনের 12 ধারা






*আপনি কিছু অবৈধ মালামাল উদ্ধার করলেন। আপনার করণীয় কী ব্যাখ্যা করুন?
উত্তরঃ--
কিছু অবৈধ মালামাল উদ্ধার হলে নিম্মলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করবঃ----
পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব ও কর্তব্য পুলিশ আইনের ২৩ ধারা পিআরবি ১১৮ বিধি।
কাঃবিঃ আইনের ১০৩(৩) উপধার মতে আমি দুই বা ততোধিক সাক্ষীকে তলব করে ঘটনাস্থলে হাজির করব। তাদের মোকাবেলায় অবৈধ মালামাল গুলো জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেব এবং নিজে স্বাক্ষর করে মালামাল সরকারী হেফাজতে নেব।মালামালের উপর লেভেল লাগাবো, লেভেলে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেব, নিজে স্বাক্ষর করব। কাঃবিঃ আইনের ১০৩(২) উপধারা পি আর বি ২৮০ বিধি। পুলিশ আইনের ২৫ ধারা।
অবৈধ মালামাল গুলো থানায় উপস্থিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারকে ঘটনা অবগত করব। কাঃবিঃ আইনের ১৫০ ধারা,পুলিশ আইনের ২৩ ধারা, পি আর বি ১২০ বিধি।
থানায় জেনারেল ডায়রীতে বিষয়টি এন্ট্রি দেব।সম্পত্তি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধকরে পি আর নম্বর দেব। থানার মালখানার মালামাল গুলো নিরাপদ হেফাজতে রাখব। পি আর বি ৩৭৯ বিধি।
জব্দ তালিকার মূল কপি একটি প্রতিবেদন দিয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট পাঠাব।পুলিশ আইনের ২৪ ধারা, পি আর বি ২১৩ বিধি।




প্রশ্নঃ ০১। আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলতে কি বুঝেন? দেহ ও সম্পত্তি রক্ষার থেকে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো আলোচনা করুন।
০১ নং প্রশ্ন উত্তরঃ
উত্তরঃ আত্মরক্ষার সংজ্ঞাঃ– নিজের জানমাল, অপরের জানমাল ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে আক্রমণকারীর আক্রমন প্রতিহত করার জন্য যে শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাকেই আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলে।
দন্ডবিধি আইনের ৯৬, ৯৭ ধারা।
দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে দন্ডবিধি আইনের ১০০ ধারায় নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে আক্রমণকারীর মৃত্যু ঘটানো যাবে । পিআরবি ১৫৩ বিধি।
দেহ রক্ষার ক্ষেত্রেঃ-
১। মৃত্যু ঘটানোর জন্য আক্রমন করলে ।
২। গুরুতর আঘাত ঘটানোর জন্য আক্রমণ করলে ।
৩। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আঘাত বা আক্রমন করলে ।
৪। অপ্রাকৃত কামলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে ।
৫। কাউকে অপহরণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে ।
৬। কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে বা বেআইনী ভাবে আটক করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে যে ক্ষেত্রে সরকারী কর্তৃপক্ষের আশ্রয় লাভের সুযোগ থাকে না। এইরূপ আশঙ্খা হইলে।
দণ্ডবিধি ১০০ধারা
 অপরাধটি যদি দণ্ডবিধি আইনের ১০০ ধারার অধিনে না হয় তাহলে দেহ রক্ষার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অন্য যে কোন ক্ষতিসাধন করা যাবে।
দঃবিঃ আইন ১০১ ধারা
সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারা যেমনঃ
প্রথমতঃ দস্যুতার ক্ষেত্রে।
দ্বিতীয়তঃ রত্রীকালে বেআইনীভাবে গৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে ।
তৃতীয়ঃ কোন গৃহ, তাবু বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন করে । যদি উক্ত গৃহ, তাবু,যানবাহন, মানুষের বসবাসের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চতুর্থঃ চুরি, অনিষ্ট কিংবা গৃহে অনধিকার প্রবেশ যতি পরিস্থিতি এমন হয় যে, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ না করলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত অনির্বায। ন্যায়সঙ্গতভাবে এইরূপ আশঙ্খা সৃষ্টি হলে।
দণ্ডবিধি আইন ৯৬,৯৭,১০৩ ধারা।
অপরাধটি যদি দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারার অধিনে না হয় তাহলে সম্পত্তি রক্ষার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অন্য যে কোন ক্ষতিসাধন করা যাবে।দঃবিঃ আইন ১০৪ ধারা।
তাছাড়া নিরাপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও মারাত্বক আক্রমনের বিরুদ্ধে আত্বরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পযর্ন্ত ঘটানো যাবে।

 দণ্ডবিধি ১০৬ ধারা
দন্ডবিধিঃ ৯৬, ৯৭, ১০০,১০১, ১০৩,১০৪, ১০৬ ধারা।পিআরবিঃ ১৫৩ বিধি।




থানা হাজতে আসামী মারা গেলে কর্তব্যরত অফিসার হিসেবে আপনার করণীয় কি?
উত্তরঃ থানা হাজতে আসামী মারা গেলে কিংবা আত্মহত্যা করলে থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের প্রথম করনীয় কাপ হবে পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা এবং পি আর বি ৩৭৭ নিয়মানুযায়ী মৃত্যুর ঘটনাটি জেনারেল ডায়রী তে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তারপর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মৃ্ত্যুর ঘটনাটি জানাতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবর্তমানে মৃত্যুর নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেটের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য আবেদন জানাতে হবে। কাঃ বিঃ ১৫৪এবং সাক্ষ্যআইনের ৩৫।
মৃত্যুর ঘটনাটি মেট্রোপলিটন এলাকা হলে সহকারী পুলিশ কমিশনার , উপ-পুলিশ কমিশনার কিংবা পুলিশ কমিশনার কে অতিদ্রুততম পন্থায় জানাতে হবে ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত থানায় না থাকলে মৃত্যুর ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। পি আর বি নিয়ম ২৯৯এবং ফৌজদারী কার্যবিধি ১৭৪ ধারানুযায়ী মৃতদেহের সুরতহাল রিপোট তৈরী করতে হবে।অতপর ম্যাজিষ্ট্রেট হাজির হয়ে কিংবা না হয়ে যে আদেশ প্রদান করে তা পালন করতে হবে।
পি আর বি ৩০২(খ)। পিআরবি নিয়ম ১২০। পুলিশ আইন ২৩ ।কাঃ বিঃ ১৫০ ধারা।
সমাধান ল গাইড হতে সংগৃহিত



গ্রেফতার কাকে বলে ?
গ্রেফতারের নিয়মাবলী লিখুন?
উত্তর: গ্রেফতার আইন অমান্য করার কারনে ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে আইন সঙ্গত হেফাজতে নেয়াকে গ্রেফতার বলে। ফৌঃকাঃ ৪৬ ধারা ,পিআরবি ৩১৬ বিধি।।
গ্রেফতার এর নিয়মাবলীঃ 
১। যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারের কথা জানাতে হবে । কথা বা কার্য দ্বারা গ্রেফতার মেনে না নিলে গ্রেফতার এড়াবার চেষ্টা করলে তার দেহ স্পর্শ করে গ্রেফতার করা যাবে। ফৌঃকাঃ ৪৬(১) ধারা 
২। গ্রেফতার করাকালীন সময়ে বাধা বা বল প্রয়োগ করলে গ্রেফতারকারী অফিসার সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করবেন । ফৌঃকাঃ ৪৬(২) ধারা
৩। যদি আসামী মৃত্যুদণ্ড বা যাবতজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ও গ্রেফতার করাকালীন সময়ে বল প্রয়োগ করে বা বাধা প্রদান করে বা আক্রমন করে তাহলে গ্রেফতারকারী অফিসার প্রয়োজনবোধে গুলি করতে পারবেন। তাতে আসামী মারা গেলে গ্রেফতারকারী পুলিশ অফিসারের কোন অপরাধ হবে না। প্রকাশ থাকে যে, মৃত্যুদণ্ড বা যাবতজ্জীবন করাদন্ডে দন্ডিত হবে না এইরূপ আসামীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ফৌঃকাঃ ৪৬(৩) ধারা,পিআরবি ৩১৬ বিধি,পিআরবি ১৫৩ বিধি
৪। গ্রেফতার করাকালীন সময়ে যদি কোন আসামী কোন স্থানে পলায়ন করে তাহলে উক্ত স্থানের ভারপ্রাপ্ত মালিকের নিকট হতে অনুমতি নিয়ে ঐ স্থানে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকরী করতে হবে। ফৌঃকাঃ ৪৭ ধারা
৫। যে স্থানে আসামী পলায়ন করেছে সেই স্থানের ভারপ্রাপ্ত মালিক যদি প্রবেশের অনুমতি না দেয় তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকরী করা যাবে। ফৌঃকাঃ ৪৮ ধারা
 ৬। গ্রেফতার কার্যকরী করতে গিয়ে যদি কোন স্থানে আটকা পড়ে যান তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন। ফৌঃকাঃ ৪৯ ধারা,পিআরবি ৩১৬ বিধি
৭। গ্রেফতার কার্যকরী করতে গিয়ে যতটুকু বল প্রয়োগের প্রয়োজন হয় ততটুকু বল প্রয়োগ করতে পারবেন এর অধিক প্রয়োগ করা যাবে না। ফৌঃকাঃ ৫০ ধারা,পিআরবি ৩৩০ বিধি
৮। পুলিশ হেফাজত হতে কোন আসামী পলায়ন করলে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য বাংলাদেশের যে কোন স্থানে গিয়ে গ্রেফতার করা যাবে। ফৌঃকাঃ ৫৮,৬৬ ধারা। ৯। বিশেষ পরিস্থিতি কোন আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অফিসার জনসাধারনের সাহায্য নিতে পারবেন। ফৌঃকাঃ ৪২ ধারা,পিআরবি ৩১৬বিধি
১০। আসামীকে ফৌঃকাঃ ৪৬,৪৭,৪৮,৪৯,৫০ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেফতারের পর আসামীর পরিধেয় বস্ত্রাদি ব্যতীত সকল মালামাল পুলিশ হেফাজতে নিবেন। মালামালের তালিকা করে এক কপি আসমীকে দিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৫১ ধারা,পিআরবি ৩২২,৩২৮(গ)বিধি।
১১। গ্রেফতারকৃত আসামী যদি মহিলা হয় তাহলে অন্য একজন মহিলা পুলিশ দ্বারা অথবা সাধারণ মহিলা দ্বারা তার শালীনতা, নম্র, ভদ্রতা বজায় রেখে তার দেহ তল্লশী করে মালামাল হেফাজতে নিতে হবে। মালামলের এক কপি তাকে বুঝাইয়া দিতে হবে। ফৌঃকাঃ ৫২ ধারা ,পিআরবি ৩২২,৩২৮(গ)বিধি। আটক আসামীর দেহ তল্লশী করিয়া যদি আপত্তিকর কোন বস্তু বা আস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়। তাহলে উদ্ধারকৃত মালামালের জব্দ তালিকা তৈরি করে, যে আদালতে আসামীকে হাজির করা হবে সেই আদালতে মালামাল প্রেরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। 
ফৌঃকাঃ ৫৩,১০৩ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি। ফৌঃকাঃ ৪২, ৪৬, ৪৬(১), ৪৬(২), ৪৬(৩), ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২,৫৩, ৫৮,৬৬,১০৩ ধারা ,পিআরবি ১৫৩, ৩১৬, ৩২২,৩২৮, ২৮০,৩৩০ বিধি।


প্রশ্ন- সাফাই সাক্ষী কাকে বলে?
উত্তর- ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী কোন মামলা অনুসন্ধান বা আদালতে মামলা বিচারকালীন সময়ে অভিযুক্ত আসামীকে বা মামলার আসামীকে তার নিজ সম্পর্কে সাক্ষ্য অর্থাৎ আত্নপক্ষ সমর্থন করে যে সাক্ষ্য অথবা আসামী বা অভিযুক্তের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করাকে সাফাই সাক্ষী বলা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধি- 342 ধারা।


ধর্ষণঃ দন্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা বর্ণনানুযায়ী নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় কোন স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে।
১.স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
২.স্ত্রী লোকটির অনুমতি ছাড়া ।
৩.স্ত্রী লোকটির অনুমতিসহ যে ক্ষেত্রে তাকে মৃৃত্যু বা গুরুতর ভয় দেখানো হয়েছে।
৪.স্ত্রী লোকটির অনুমতিক্রমে, যে ক্ষেত্রে ধর্ষণকারী জানে যে, সে তার (স্ত্রী লোকটির) স্বামী নয় কিন্তু স্ত্রী লোকটি এই বিশ্বাসে সম্মতিদান করে যে, পরুষ লোকটি আইনানুগভাবে বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে।
৫.স্ত্রী লোকটি অনুমতি সহকারে বা অনুমতি ছাড়া, যে,ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছর এর কম হবে।
দণ্ডবিধি আইন ৩৭৫ ধারা, শাস্তি দণ্ডবিধি আইন ৩৭৬ ধারা,নারী ও শিশু নিঃ আইন ২ (ঙ)/ ৯ ধারা


তল্লাশী পরোয়ানাঃ- যখন কোন আদালত মনে করেন যে সাধারণ তল্লাশী বা পরিদর্শন দ্বারা কোন তদন্ত বা বিচারের কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। যেমন সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি ,জাল দলিল চোরাইমাল, অশ্লীল বই পস্তুক বা কাউকে আটক রাখা হলে তা উদ্ধার করার জন্য আদালত হইতে ম্যাজিষ্টেট কর্তৃক নির্ধারীত ফরমে সীলমোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে তল্লাশী পরোয়ানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৯৬, ৯৮,৯৯(ক),১০০ ধারা, পিআরবি ঃ ২৮০ নিয়ম।


যদি কোন ব্যক্তি রেলওয়ে আইনের ১০০, ১০১, ১১৯, ১২০, ১২১, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০(১) ধারায় বর্ণিত কোন অপরাধ করে তবে তাকে একই আইনের ১৩১ ধারা অনুসারে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে।
প্রশ্ন হলো রেলওয়ে আইনের ১৩০ (১) ধারায় কি বলা হয়েছে কেউ কি বলতে পারেন?

https://www.facebook.com/Nisadvin

দঃবিঃ ৮৫ ধারা মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি মাতাল বা প্রমত্তার কারনে কোন অপরাধজনক কাজ করে এবং উক্ত প্রমত্তার কারনে যদি তাহার কার্যের পরিনতি অনুধাবন করতে না পারে, তাহলে তার কোন অপরাধ হবে না। তবে উক্ত মাতাল যদি তার অগোচরে কেউ না করে থাকে সে যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে এইরুপ করে তাহলে তার এইরুপ কার্যের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করা যাবে।
দঃবিঃ ৮৫ ধারা।



সিরিয়াল অনুযায়ী কিভাবে ডাকাতির শাস্তি গুলো মনে রাখা যায় তার একটি কৌশল-
প্রথমে #ডাখুউমা #অসস ওর্য়াড দুটি মুখস্ত করুন তারপর ব্যাখ্যা-
ডা- ডাকাতি অর্থাৎ ডাকাতির শাস্তি দন্ডবিধি-395
খু- খুনসহ ডাকাতির শাস্তি দন্ডবিধি-396
উ- উদ্যোগ অর্থাৎ মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সহ ডাকাতি উদ্যোগের শাস্তি- দন্ডবিধি-397
মা- মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ডাকাতি শাস্তি দন্ডবিধি-398
অ- অনুষ্ঠান অথাৎ ডাকাতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহনের শাস্তি দন্ডবিধি-399
স- সদস্য অথাৎ ডাকাত দলের সদস্য হওয়ার শাস্তি দন্ডবিধি-400
স- সমবেত অথাৎ ডাকাতি উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার শাস্তি দন্ডবিধি-402
ধন্যবাদ- ভূল হলে সমাধান যোগ্য.




মাদক দ্রব্যঃ মাদক দ্রব্য বলতে নেশাগ্রস্ত দ্রব্য বা যা সেবনে বা গ্রহনে মানুষ বেসামাল বা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়, দেহ ও শরীরে পরিবর্তন ঘটে, স্মৃতি শক্তি ও যৌন শক্তি হ্রাস পায়, কর্মদক্ষা লোপ পায় তাকে মাদক দ্রব্য বলে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২(ঠ) ধারা।



তল্লাশী পরোয়ানাঃ- যখন কোন আদালত মনে করেন যে সাধারণ তল্লাশী বা পরিদর্শন দ্বারা কোন তদন্ত বা বিচারের কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। যেমন সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি ,জাল দলিল চোরাইমাল, অশ্লীল বই পস্তুক বা কাউকে আটক রাখা হলে তা উদ্ধার করার জন্য আদালত হইতে ম্যাজিষ্টেট কর্তৃক নির্ধারীত ফরমে সীলমোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে তল্লাশী পরোয়ানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৯৬, ৯৮,৯৯(ক),১০০ ধারা, পিআরবি ঃ ২৮০ নিয়ম।





হৈ চৈ বিজ্ঞাপনঃ যখন কোন অপরাধীকে গ্রেফতার বা চোরাইমাল উদ্ধার করার প্রয়োজন হয় তখন চোরাইমাল উদ্ধার বা অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য বিপি নং ২৮ এ যে নোটিশ ইস্যূ করে থাকেন তাকে হৈ চৈ বিজ্ঞাপন বলে। পিআরবি ২৫০ বিধি।


বেওয়ারিশ সম্পত্তিঃ- কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দাবিদার,ওয়ারিশদার বা মালিক খুঁেজ পাওয়া না গেলে সে সকল সম্পত্তিকে বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে।পুলিশ আইন ২৫ ধার,ফৌঃ কাঃ ৫২৩ ধারা,পিআরবি ২৫১ বিধি,ডিএমপি অধ্যাঃ ২২ ধারা


স্বীকৃতিঃ- স্বীকৃতি হলো মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি যা বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তের সূচনা করে তাকে স্বীকৃতি বলে। সাক্ষ্য আইন ১৭ ধারা, পিআরবি ২৮৩ বিধি।

ভিসিএনবিঃ গ্রামের অপরাধী , সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সন্দেহজনক ও পেশাগত অপরাধীদের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ থানার যে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলে। ইহা পুলিশ আইনের ১২ ধারা ও পিআরবি ৩৯১ বিধি মোতাবেক থানায় সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।পুলিশ আইনের ১২ ধারা,পিআরবি ৩৯১ বিধি।
এএসআই পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক আমার স্বল্প জ্ঞানে তৈরি কিছু প্রশ্নঃ----(KABIR)
প্রশ্নঃ১।আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার বলতে কি বুঝেন ?দেহ ও সম্পতি রক্ষার ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার প্রয়োগ গুলো আলোচনা করুণ।
প্রশ্নঃ২।আত্মরক্ষার পূর্ব শর্ত গুলো কি কি ? কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায় না ?
প্রশ্নঃ৩।কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পিরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায় বিস্তারীত আলোচনা করুণ।
প্রশ্নঃ৪।হত্যামূলক ফাঁসি কাকে বলে ?এইরূপ কোন কোন চিহ্ন দ্বারা অনুমান করা যায় যে, হত্যা করার পর ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে।
প্রশ্নঃ৫।চুরি কাকে বলে ? চুরির শর্ত গুলো কি কি ?কখন চুরি দস্যুতায় শামিল হয় ?
প্রশ্নঃ৬।খুন বলতে কি বুঝ? আত্মসংযম হারিয়ে ফেলে কাউকে খুন করলে অপরাধ হয় কি?
প্রশ্নঃ৭।এজাহার কাকে বলে? কীভাবে এজাহার লিপিবদ্ধ করতে হয়? এর প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করুণ।
প্রশ্নঃ৮।এজচাহার কাকে বলে? একটি পূনাঙ্গ এজাহারে কিকি কিষয় উল্লখ থাকে ? মামালা রুজুকারী অফিসার কিকি বিষয়ে যত্নবান হতে হয়।
প্রশ্নঃ৯। সমন কাকে বলে ? সমন জারির পদ্ধতি আলোচনা করুণ ?
প্রশ্নঃ১০। থানা হাজতে আসামী মারা গেলে কর্তরত পুলিশ অফিসারের করণীয় কি ?
প্রশ্নঃ১১।গ্রেফতার কাকে বলে? গ্রেফতারের নিয়মাবলী লিখুন ?
প্রশ্ন১২।বেআইনী সমাবেশ কাকে বলে ? বেআইনী সমাবেশ দাঙ্গাহাঙ্গামা মোকাবেলার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে পুলিশ অফিসারদের কিকি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
প্রশ্নঃ১৩।তল্লাশী পরোয়ানা কাকে বলে? পুলিশ অফিসার কখন তল্লাশী পরোয়ানা ছাড়াই করতে পারে?
প্রশ্নঃ ১৪।আইন সঙ্গত হেফাজত হতে আসামী পলায়ন করলে পুলিশ অফিসারের করনীয় কি?
প্রশ্নঃ ১৫। আসামীকে গ্রেফতার করার পর এবং থানা হাজতে রাখার পূর্বে করনীয় কি?
প্রশ্নঃ ১৬। হুলিয়া কাকে বলে ? হুলিয়া জারির পদ্ধতি আলোচনা করুণ?
প্রশ্নঃ ১৭। কলমাকন্দার থানার এএসআই নজরুল ইসলাম রাত্রীকালীন টহল ডিউটি করার সময় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সংবাদ পান যে, কুখ্যাত গেদু চোরার বাড়ীতে চোরাইমাল রক্ষিত আছে।উক্ত মালামাল উদ্ধারের জন্য তিনি কিকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বিস্তারীত আলোচনা করুণ।
প্রশ্নঃ১৮।থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্ত একটি হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে আপনাকে দ্রুত ঘটনা স্থলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করেন।থানার এএসআই হিসাবে আপানার করনীয় কি এবং কিকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রশ্নঃ১৯। কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার পর পুলিশ অফিসারের করণী কি?
প্রশ্নঃ২০।আসামীকে গ্রেফতারের পর পুলিশ অফিসারের করনীয় কি?
প্রশ্নঃ২১। মৃত্যুকানীন জবানবন্দি কাকে বলে? কে কে মৃত্যু কালীন জবানবন্দি লিপিবন্ধ পরতে পাবেন।উহা রের্কড করার সময় কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়? মৃতুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর সে যদি প্রাণে বেচে যায়, তাহলে উক্ত মৃতুকালীণ জবানবন্দির আইনগত মূল্য কতটুকু ?
প্রশ্নঃ২২।স্বীকৃতি ও স্বীকারোক্তির মধ্যে পার্থক্য কিকি? স্বীকারোক্তি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা করুণ ?
প্রশ্নঃ২৩। সাক্ষ্য বলতে কি বুঝ ?যে সকল ঘটনা কোন ভাবে প্রসঙ্গিক নয় সে গুলো কি ভাবে প্রাসঙ্গি হয় ব্যাখ্যা কর। আদলতে কোন কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া যায় ?
প্রশ্নঃ২৪। পুলিশ আইন অনুযায়ী পুলিশ কর্মচারীর কর্তব্য গুলো কি কি ? পুলিশ আইনের 34 ধারার পূর্ব শর্ত গুলো আলোচনা করুণ।
প্রশ্নঃ২৫। থানার মুল্যবান রেজিস্টার গুলো কিকি ? কোন আইনের আলোকে লিপিবদ্ধ করতে হয় ?এর প্রয়োজনীয়তা কি?
প্রশ্নঃ২৬। বেওয়ারিশ সম্পত্তি ও সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি কাকে বলে? এই ধরনের সম্পত্তি আটক করার পর বিলি ব্যবস্থা আলোচনা করুন।
প্রশ্নঃ২৭। ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলতে কি বুঝেন ? এর কিকি অংশ থাকে আলোচনা করুন।
 প্রস্তুত- AKA কর্তৃক।


প্রশ্নঃ ০২। আত্মরক্ষার পূর্ব শর্ত গুলো কি?কি? আলোচনা করুন ?
অথবা
আত্মরক্ষার অধিকার কতটুকু পযর্ন্ত বিস্তৃত আলোচনা করুন ?
অথবা
কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মরক্ষা ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করা যায় না?
০২ নং প্রশ্নের উত্তর
উত্তরঃ দন্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার নিম্নলিখিত ক্ষেত্র গুলোতে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ চলে না বা প্রয়োগ করা যায় না । যথাঃ
১। আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু বল প্রয়োগ করা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করা যাবে কোন ক্রমেই তার চেয়ে অধিক বল প্রয়োগ করা যাবে না।
২। আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু ক্ষতি করা প্রয়োজন টিক ততটুকু ক্ষতি করা যাবে কোন ক্রমেই এর অধিক করা যাবে না।
৩। সরকারী কর্মচারী বা কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয় লাভের সুযোগ থাকলে সেই ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার চলবে না ।
৪। সরকারী কর্মচারীদের আইনসঙ্গত কাজের বিরুদ্ধে বা কর্তব্য সম্পাদন কালে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করা চলবে না। যদি না মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের আশঙ্খা সৃষ্টি নাকরে।
দণ্ডবিধিঃ ৯৯ ধারা ।




অভিমত সাক্ষ্যঃ-
ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,রসায়নবিদ,সার্ভেয়ার,শিল্পী,হস্তলেখা বিশারদ,আঙ্গুলাঙ্ক বিশারদ,পদচিহ্ন বিশারদ,আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদ,বৈজ্ঞানিক,দেশী বিদেশী আইন প্রণেতা ব্যক্তিবর্গগণ আদালতের কোন নিদিষ্ট বিষয়ে কোনো মতামত প্রদান করলে তাকে অভিমত সাক্ষ্য বলে।
সাক্ষ্য আইনের 45,46,47 ধারা।
পিআরবি 297 বিধি

https://www.facebook.com/Nisadvinkabir/



 (23)সুরতহাল রিপোর্টঃ- কোন ব্যক্তি আকস্মিকভাবে মৃত্যু বরন করলে বা আতœহত্যা করলে বা অন্য কোন কারনে মৃত্যু হলে ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসার হাজির হয়ে মৃত দেহের যে বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে সুরতহাল রিপোর্ট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৪ ধারা , পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম।



প্রশ্নঃ ০৪। হত্যামূলক ফাঁসি কাকে বলে ? এইরূপ ফাঁসির কোন কোন চিহ্ন দ্বারা অনুমান করা যায় যে,হত্যা করার পর ফাঁসিতে ঝুলানো হইয়াছে।
০৪ নং প্রশ্নের উত্তর
উত্তরঃ হত্যামূলক ফাঁসিঃ– কোন ব্যক্তিকে খুন বা হত্যা করে অপরাধ গোপন করার জন্য মৃত দেহ টি ফাঁসিতে ঝুলানো হইলে তাকে হত্যামূলক ফাঁসি বলে । {দণ্ডবিধিঃ ৩৪,১০৯,৩০০,৩০২ ধারা }
নিম্ন লিখিত চিহ্ন বলি দ্বারা অনুমান করা যায় যে, হত্যা করার পর মৃতদেহটি ফাঁসিতে ঝুলানো হইয়াছে।
১। মৃতদেহের গলায় দাগ সমন্তরাল বা বৃত্তাকার থাকে । যাহা গাঢ়ের নিছের দিকে পাওয়া যায় ।
২। হত্যামূলক ফাঁসির ক্ষেত্রে রশির গিট শক্ত , এক বা একাদিক পাওয়া যায় ।
৩। লাশের শরীরে দস্তাদস্তির চিহ্ন পাওয়া যাবে ।
৪। উক্ত লাশের মুখ দিয়ে লালা পড়ার চিহ্ন পাওয়া যাবে না।
৫। ঘরের ভিতর হলে দরজা জানালা খুলা থাকবে ।
৬। হত্যামূলক ফাঁসির ক্ষেত্রে হাত-পা এমন ভাবে বাধা থাকবে, যাহা উক্ত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব ছিল না।
৭। পূর্ব শত্রুতার জের , প্রতিহিংসা বা কোন উদ্দেশ্য সফল করার জন্য হতে পারে ।
উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো ছাড়াও আরো নানার ধরনের উপলক্ষ ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রতিয়মান হতে পারে।
দণ্ডবিধিঃ ৩৪,১০৯,৩০০,৩০২ ধারা।ফৌজদারী কার্য়বিধিঃ ১৭৪(৩) ধারা।পিআরবি ২৯৯,৩০৪,৩০৬,৩০৭বিধি।




পুলিশ আইনের ৩৪ ধারার শর্ত সংক্ষেপে 
পৌসপুজডিঅ ।
১।পৌর এলাকা বা যেখানে...।
২।সরকারি পোশাক পরিহিত....।
৩।পুলিশের সম্মুখে ....।
৪।জনসাধারনের অসুবিধার সৃষ্টি....।
৫।ডিউটিরত অবস্থায় থাকতে....।
৬।অপরাধটি পুলিশ আইনের অন্তর্ভুক্ত.....।


প্রশ্নঃ৩। কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পত্তি রক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায় ?
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারার মোতাবেক সম্পত্তি রক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে কারো মৃত্যু ঘাটালে কোন আপরাধ হবে না ।
দণ্ডবিধি আইন ৯৬ ও ৯৭ ধারা । পিআরবি ১৫৩ বিধি।
দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারার ক্ষেত্র সমূহ যেমনঃ
প্রথমতঃ দস্যুতা ।
দ্বিতীয়তঃ রত্রীকালে বেআইনীভাবে গৃহে প্রবেশ।
তৃতীয়ঃ কোন গৃহ, তাবু বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন।
চতুর্থঃ চুরি, অনিষ্ট কিংবা গৃহে অনধিকার প্রবেশ যতি পরিস্থিতি এমন হয় যে, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ না করলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত অনিবার্য । ন্যায়সঙ্গতভাবে এইরূপ আশঙ্খা সৃষ্টি হলে।
দণ্ডবিধি আইন ৯৬,৯৭,১০৩ ধারা।



আসামী কি তার ব্যক্তিগত মালামাল বহন করতে পারে? =এর উত্তর দুই রকম,যেমন পিআরবি-৩২৮(গ) মোতাবেক আসামী তাহার পরিধেয় বস্রাদি ব্যতীত কোন কিছু বহন করতে পারেনা,আসামীর মালামাল বহন করার জন্য একজন কুলি নিয়োগ করতে হবে ,অপর দিকে পিআরবি-721মতে আসামী তাহার ব্যক্তিগত মালামাল বহন করতে পারে যদি মালামাল বারো থেকে তেরো সেরের বেশি না হয়। এখন আপনারা বলেন সঠিক উত্তর কোনটি হবে?



কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার আসামিকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে? আলোচনা করুন।
উত্তর- যে সকল ক্ষেত্রে জামিনে মুক্তি দিতে পারে তা নিম্ন রুপঃ-
কাঃ বিঃ আইনের ৬৩ ধারার শর্ত মোতাবেক অত্র আইনের ৫৭(২).৫৯(৩).৭৬.১৬৯.১৭০.৪৯৬.৪৯৭ ধারা, পিআরবি ৩১৭ বিধি। শিশু আইন ৪৮ ধারা।


অনুসন্ধানঃ যখন কোন পুলিশ অফিসার কোন ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে নির্দেশিত পরোয়ানা নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২,১০৩, ১৫৩,১৬৫,১৬৬ ধারা অনুযায়ী বা অন্য কোন আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে চোরাইমাল, অপরাধজনক মালামাল, বা দলিল পত্রাদি উদ্ধার বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটনের রহস্য বা তথ্য উদঘাটনের জন্য যে তল্লাশী বা পরিদর্শন করা হয় তাকে অনুসন্ধান বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(ট) ধারা ,পিআরবিঃ ২৮০ নিয়ম ।

ময়না তদন্ত রিপোর্ট ঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪(৩) ধারা অনুযায়ী মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাবান ডাক্তারের নিকট প্রেরিত লাশের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত সম্মলীত রিপোর্টকে মযনা তদন্ত রিপোর্ট বলে।
সিঅারপিসি- ১৭৪ (৩) ধারা, পিআরবি ৩০৬ বিধি।


হুলিয়া ঃ কোন পলাতক বা ফেরারী আসামীকে একটি নিদিষ্ট তারিখ ও সময়ে নিদিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের সময় দিয়ে নির্ধারীত ফরমে ২ কপি ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত ঘোষনা পত্রকে হুলিয়া বলে।
ফৌঃ কাঃ ৮৭ ধারা, পিআরবিঃ ৪৭২ নিয়ম।
*** ক্রোক ঃ ফেরারী বা পলাতক আসামীকে আদালতে হাজির করার জন্য তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারী হেফাজতে নেওয়ার জন্য নির্ধারীত ফরমে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ১ কপিতে সীলমোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে ক্রোক বলে।ফৌঃ কাঃ ৮৮ ধারা,পিআরবিঃ ৪


কমান্ড সার্টিফিকেটঃ সাব-ইন্সপেক্টর পদের নিম্ন পদস্ত যে কোন পুলিশ কর্মচারীকে ডিউটিতে নিয়োজিত করার পূর্বে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০ নং বিপি ফরমে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত আদেশ নামাকে কমান্ড সার্টিফিকেট বলে।পিআরবিঃ ১৬৩,৯০৯ নিয়ম।
৭৪ নিয়ম।



অতিরিক্ত পুলিশ ঃ অতিরিক্ত পুলিশ হল নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর অংশ। কোন মিল ফ্যাক্টরী বা শিল্প কারখানায় শান্তিভঙ্গের সম্ভবনা দেখা দিলে তথায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বাথে কর্তৃপক্ষ মিল মালিক বা ম্যানেজার আইজিপি বা ডিআইজ বা পুলিশ সুপার নিকট উক্ত স্থানে পুলিশ নিয়োগের জন্য আবেদন করলে যে পুলিশ নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাকে অতিরিক্ত পুলিশ বলে।
পুলিশ আইনের ১৩,১৪,১৫ ধারা,পিআরবি ৬৬৭,৬৬৯,৬৭০,৬৭১ বিধি।

কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পত্তি রক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায় ?
উত্তর
দণ্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্ত সাপেক্ষে দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারার মোতাবেক সম্পত্তি রক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে কারো মৃত্যু ঘাটালে কোন আপরাধ হবে না ।
দণ্ডবিধি আইন ৯৬ ও ৯৭ ধারা । পিআরবি ১৫৩ বিধি। দণ্ডবিধি আইনের ১০৩ ধারার ক্ষেত্র সমূহ
যেমনঃ
প্রথমতঃ দস্যুতা ।
দ্বিতীয়তঃ রত্রীকালে বেআইনীভাবে গৃহে প্রবেশ ।
তৃতীয়ঃ কোন গৃহ, তাবু বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন।
চতুর্থঃ চুরি, অনিষ্ট কিংবা গৃহে অনধিকার প্রবেশ যতি পরিস্থিতি এমন হয় যে, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ না করলে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত অনিবার্য । ন্যায়সঙ্গতভাবে এইরূপ আশঙ্খা সৃষ্টি হলে। দণ্ডবিধি আইন ৯৬,৯৭,১০৩ ধারা।



চার্জশীটঃ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মামলা তদন্ত শেষে যখন জানতে পারে মামলার উল্লেখিত বিষয়টি সত্য তখন তিনি বিপিনং ৩৯ এ অভিযুক্ত আসামীদের প্রকাশ্যে আদালতে বিচারের জন্য এবং অভিযুক্ত নয় এমন আসামীদের অব্যাহতির বিবরণ দিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চার্জশীট বলে।
ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭২ নিয়ম।


চুড়ান্ত প্রতিবেদনঃ যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন।
ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।

অনুসন্ধান পত্র ঃ কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার, চোরাইমাল উদ্ধার বা অপহৃতকে উদ্ধার, আমাসীর নাম ঠিকানা ও স্বভাব চরিত্র যাচাই বাচাই করার জন্য এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট যে পত্র ইস্যূ করে থাকেন তাকে অনুসন্ধান পত্র বলে।
পিআরবি ৩৮৯ বিধি।



রাজসাক্ষীঃ দায়রা আদালতে বিচারযোগ্য কোনো অপরাধ এবং ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে দন্ডবিধি আইনের ২২১,২১৬(ক),৩৬৯,৪০১,৪৩৫ ধারা অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত আসামী ক্ষমা পাওয়ার আসায় অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে সহযোগী আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সম্পপূর্ণরুপে প্রকাশ করে রাষ্ট্রের পক্ষে হয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করলে তাকে রাজসাক্ষী বলে।
ফৌঃ কাঃ আইন ৩৩৭,৩৩৮ ধারা,পিআরবি ৪৫৯,৪৮৬ বিধি,সাক্ষ্য আইন ১৩৩ ধারা।

পুলিশী মামলা বা জি আর মামলাঃ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ও পিআরবি ২৪৩ বিধি মোতাবেক আমলযোগ্য অপরাধ বা আদালত গ্রাহ্য অপরাধ বা ধর্তব্য অপরাধ থানায় মামলা রুজুকৃত হওয়ার পর উক্ত এজাহার মামলা গুলো আদালতে প্রাপ্তির পর আদালতে জিআর মামলা হিসাবে অবহিত করে জিআর রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। তাকে জিআর মামলা পুলিশী মামলা বলা হয়।ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা , পিআরবি ২৪৩ বিধি। কপি করা



স্বীকারোক্তি কাকে বলে?
উত্তর- কোন ফৌজদারী মামলায় আসামী যদি কোন ক্ষমতাবান ব্যক্তির নিকট প্রলোভন, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশ্রুতি ছাড়া স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে তবে তাকে স্বীকারোক্তি বলে।
সাক্ষ্য আইনের ২৪ ধারা+ফৌজদারী আইনের ১৬৪ ধারা।


এজাহার কে লিপিবদ্ধ করতে পারেন?
উত্তর- এজাহার সাধারণত থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা লিপিবদ্ধ করিয়া থাকেন। থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকিলে
বা অন্য কোন অনিবার্য কারণে থানায়
উপস্থিত না থাকিলে, তাহার অধিনস্থ
পুলিশ অফিসার এজাহার লিপিবদ্ধ করিতে
পারেন। তবে সহকারী সাবইন্সপেক্টরের
নিচে কোন পুলিশ কর্মকর্তার এজাহার
লিপিবদ্ধ করিতে পারেন না। তবে পি আর
বি ২৩৯ নিয়মানুযায়ী কনস্টেবল থানার
ভারপ্রাপ্ত চার্জে থাকিয়া পি আর বি
২৪৩(ছ) অনুযায়ী লিখিত এজাহার গ্রহন
করিতে পারেন কিন্তু লিখিতে পারেন না।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা, পি আর
বি ২৪৩-নিয়ম।
এছাড়াও ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৫৫১
ধারা মোতাবেক এএসপি হতে উপরে
কর্মকর্তা থানার দায়িত্বে থাকাকালীন
সময় এজাহার লিপিব্ধ করতে পারেন। 




***জনসাধারণ কোন আইনের কত ধারা মোতাবেক বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে?
উত্তরঃ--------
জনসাধারণ নিম্মে বর্ণিত আইনের ধারা মোতাবেক বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে-----
যেকোন জনসাধারণ তার দৃ্ষ্টির মধ্যে জামিনের অযোগ্য ও আমলযোগ্য অপরাধী ব্যক্তিকে অথবা অপরাধী হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে।
কাঃবিঃ ৫৯(১)।
ক্ষমতাবান জুড়িশিয়াল বা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশবলে যেকোন ব্যক্তিকে জনসাধারণ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে।এরুপ ব্যক্তি হেফাজত হতে পলায়ন করলে কাঃ বিঃ ৬৬ ধারার অধীনে যেকোন স্থানে গমন এবং গ্রেফতারের জন্য অত্র আইনের ৬৭ ধারার বিধানে ৪৭,৪৮ ও ৪৯ ধারায় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কাঃ বিঃ ৬৫ ধারা।
কোন ব্যক্তি অস্ত্রের লাইসেন্সসহ বা লাইসেন্স ব্যতিত সন্দেহজনকভাবে অস্ত্র শস্ত্র বা গোলাবারুদ নিয়া োরাফেরা করলে যেকোন জনসাধারণ তাকে বিনা পরোয়ানায় ্গ্রেফতার করতে পারে।
অস্ত্র আইনের ১২ ধারা।
পুলিশ কর্মচারী বা রেলওয়ে কর্মচারী অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য জনসাধারণের সাহায্য আবেদন করলে যেকোন জনসাধারণ রেল ওয়ে আইনের অধীনে অপরাধীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে । রেল ওয়ে আইনের ১৩১,১৩২ ধারা।
কোন লোক যানবাহনে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করলে ঐ যানবাহনের কতৃপক্ষ জনসাধারণ হিসেবে উক্ত অপরাধীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে
বিস্ফোরক আইন ১৩ ধারা।
জনসাধারণ বিনা পরোয়নায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটক মালামাল নিকটবর্তী থানায় বা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট অর্পন করতে হবে।


প্রশ্নঃ- চার্জসীট কাকে বলে।
উত্তরঃ- কোন পুলিশ অফিসার একটি মামলা তদন্ত শেষ করে অভিযোগ সম্পর্কে ফৌজদারী কার্যবিধির-১৭৩ ধারানুযায়ী যে রিপোর্ট প্রদান করেন তাকে চার্জসীট বলা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধির-১৭৩ ধারা
এবং পিআরবি-২৭২।
প্রশ্নঃ- অনুসন্ধান কাকে বলে।
উত্তরঃ- যখন কোন পুলিশ অফিসার কোন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নির্দেশিত পরোয়ানা নিয়ে কিংবা পরোয়ানা ব্যতিত ফৌজদারী কার্যবিধির ১০২, ১০৩, ১৫৩, ১৬৫, ১৬৬ ধারানুযায়ী অথবা অন্য কোন আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কোন চোরাইমাল, অপরাধজনক মালামাল বা দলিল পত্রাদি উদ্ধার বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটনের রহস্য উদঘাটনের জন্য যে তল্লাশী বা পরিদর্শন করেন তখন তাকে অনুসন্ধান বলা হয়।
পিআরবি-২৮০।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪(ট) ধারা।



-সকলের জানা প্রয়োজন-----
তল্লাশির সময়ে কি করা হয়--
1- বাড়ির মালিক সহ সাক্ষীদের সাথে নিয়ে তল্লাশি করতে হবে (কাঃবিঃ ১০৩(১) ধারা)
2- পরোয়ানায় উল্লেখিত স্থান ব্যতিত অন্য কোন স্থানে তল্লাশি করা যােব না ( কাঃবিঃ ৯৭ ধারা)
3- তল্লাশি কালে কাউকে হয়রানী করা যাবে না ( পিআরবি ২৬০ বিধি)
4- তল্লাশি কৃত স্থানে কোন ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করা যাবে (কাঃবিঃ ১০২(৩) ধারা।)
5- তল্লাশিতে বাদি বা সংবাদ দাতাকে সাথে রাখা যাবে না।
--তল্লাশির পরে করনীয়ঃ
1- তল্লাশি তে উদ্ধারকৃত মালামালের বিবরন উল্লেখপূর্বক সাক্ষীর উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা তৈরি করতে হবে (কাঃবিঃ ১০৩(২) ধারা)
2- জব্দ তালিকার এক কপি বাড়ির মালিককে প্রদান করতে হবে (কাঃবিঃ ১০৩(৩) ধারা)
3- জব্দকৃত বস্তু বা মালামালের উপর মামলার সূত্র ও মালের নামের লেবেল লাগাতে হবে (কাঃবিঃ ১০৩(২) ধারা)
4- তল্লাশিকৃত মালামালের বিবরন থানার জিডিতে এন্ট্রি পূর্বক সম্পত্তি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে (পিআরবি ৩৭৭.৩৭৯বিধি)
5- জব্দ তালিকার এক কপি পুলিশ রিপোর্টের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট প্রেরণ করতে হবে (পুলিশ আইন ২৪ ধারা, পিআরবি ২১৩ বিধি।)



কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ নিকট স্বীকারোক্তির মূল্য আছে?
কোন আসামী পুলিশ অফিসারের নিকট স্বীকারোক্তি করলে ঐ স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে কোন চোরাইমাল বা অবৈধ মাল উদ্ধার করা হলে যতটুকু মালামাল উদ্ধার করা হবে ততটুকু আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে। সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারা।

কোন কোন অবস্থায় পুলিশ অফিসারের নিকট স্বীকারোক্তির কোন মূল্য নেই?
কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি করলে উক্ত স্বীকারোক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট গহণযোগ্য হবে না । কারণ আদালতের আইনজীবিগণ মনে করেন , পুলিশ অফিসার আসামীকে নির্যাতন করে , পীড়ন করে কিংবা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বীকারোক্তি আদায় করে থাকেন। সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারা ।
আসামী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে কোন স্বীকারোক্তি করলে তা যদি কোন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে না হয় তবে তা ঐ ব্যক্তির নিকট প্রমাণ করা যাবে না।
সাক্ষ্য আইনের ২৬ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম-২৮৩ (খ)।




মৃত্যুকালীন জবানবন্দি কাকে বলে? কে কে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করতে পারেন?
উত্তর-
আসন্ন মৃত্যুর সম্মুখীন কোন ব্যক্তি তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অথবা যেই ঘটনার ফলে তার মৃ্ত্যু ঘটিতেছে সে সম্পর্কে বা আদালতে বিচার্য কোন ঘটনার তার অবগতি সম্পর্কে তিনি যে বিবৃতি দিয়ে থাকেন তাকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি বলা হয়।
সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা । পি আর বি নিয়ম ২৬৬।
কোন ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার ডাক্তার এমনকি পুলিশের কনষ্টেবল যে কোন ব্যক্তি মৃত্যুকালীন জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করতে পারেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের- ১৬৪ ধারা।
যদি আর ধারা কারও জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।








https://www.facebook.com/Nisadvinkabir/

                           ধন্যবাদ

কবির শেখ......
কিশোরগঞ্জ সদর............ 
পুলিশ লাইন্স নেত্রকোণা(2014) ব্যাচ..........




কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...