অনুসরণকারী

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

রায় পড়তে গিয়ে কাঁদলেন বিচারক

রায় পড়তে গিয়ে কাঁদলেন বিচারক

৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত,ঢাকা।

রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে লোমহর্ষকভাবে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ লিটনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।


ঢাকা মহানগর ৭ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটায় রায় ঘোষণা শেষ করেন। রায় পড়ার সময় বিচারকের চোখও হয় অশ্রুসজল।


রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মামলার বাদি মুন্না রহমান উপস্থিত ছিলেন। আসামি রাকিব উদ্দিন কাঠগড়ায় ছিলেন। আদালতের বাম পাশে কাঠগড়ায় আসামি রাকিব উদ্দিন, সামনের বেঞ্চে আইনজীবী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পিনপতন নীরবতার মাধ্যমে বিচারক বিকেল ৪টা ২০মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় শেষ করেন ৫টা ৫০মিনিটে। রায়ে সাক্ষীদের বিবরণও পড়ার পর আসামির দোষ স্বীকারোক্তি পড়েন বিচারক।


আসামির ছেলে ফারহান উদ্দিনকে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে হত্যার সময় ফারহান বলে ওঠে, ‘বাবা তুমি কী আমাকে মেরে ফেলবে’? এ বর্ণনা পড়ার সময় কেঁদে ফেলেন বিচারক। রায় পড়তে পড়তে বিচারকের চোখ দিয়েও পানি পড়তে থাকে। দীর্ঘ ৩০ মিনিট ধরে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ঘটনার বিবরণ শুনতে থাকা আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনেককে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।


‘আদালতে এই হত্যার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি রাকিব উদ্দিন। হত্যার বিবরণে বলা হয়, প্রথমে স্ত্রী মুন্নীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং পরে গলা টিপে হত্যা করে। টিভি দেখার সময় রশি দিয়ে তিন বছরের মেয়ে লাইবার গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে। বারো বছরের ছেলে ফারহান উদ্দিন বিপ্লব অন্যরুমে ঘুমাচ্ছিল। রাকিব জুতার ফিতা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচানোর সময় ছেলে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। অনেক হাউমাউ করে কাঁদে। ছেলেটি বলে, ‘বাবা, তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে?’ তারপর জোর করে ছেলেটির গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে। ক্রমেই ছেলেটি নিস্তেজ হয়ে যায়।


মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সাথে সাথে আসামি রাকিব উদ্দিন কাঠগড়ায় সিজদা আদায় করেন। পরে আদালত থেকে বের হয়ে বলেন, ‘আমি রায়ে খুশি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার স্ত্রী সন্তান যেখানে আমি সেখানে চলে যেতে চাই। আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব না। আমি চাই দ্রুত রায় কার্যকর হোক।’


রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় ছটফট করতে থাকে আসামি রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ লিটন। রায়ের পর মামলার বাদি নিহত মুন্নির ভাই মুন্না রহমান বলেন, ‘আমার দুইবোনকে একই পরিবারে বিয়ে দিয়েছিলাম। ছোট বোন রাকিবকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। সংসারে সুখের অভাব ছিল না। কিন্তু রাকিব এক সময় মাদক ও জুয়া খেলায় জড়িত হয়ে যায়। যার পরিণতি পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। দুটি ফুটফুটে সন্তানকে কীভাবে সে হত্যা করেছিল। আমি চাই আর কোনো পরিবার এভাবে যেন ধ্বংস না হয়।’


রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। জুয়ার ছোবলে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পারায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩

কিভাবে আপনি আপনার স্মার্টফোন হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন?

 


স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হ্যাকারদের কাছেও মোবাইল লোভনীয় টার্গেট। তাই নিজের সুরক্ষায় যেসকল পদক্ষেপ আপনি নিতে পারেন :

১. মোবাইল থেকে অপ্রয়োজনীয় এপস এবং একাউন্ট রিমুভ করুন। মনে করুন, zoom এপসের কোন দুর্বলতা পাওয়া গেল এবং সেটা ব্যবহার করে হ্যাক করা বা তথ্য চুরি করা যাচ্ছে। আপনি আগে থেকেই অপ্রয়োজনীয় এপস এবং একাউন্ট মুছে ফেলায় অনেকটা নিরাপদ থাকবেন।

২. আপনার তথ্যের backup রাখার চেষ্টা করুন অন্য কোথাও। এতে করে - যদি কখনো আপনার মোবাইল চুরি হয় তাহলে গুগল একাউন্ট বা মোবাইলের একাউন্টের সাহায্যে, চুরি যাওয়া মোবাইলের ডাটা মুছে দেয়া যাবে। আবার ম্যালওয়ার আক্রমণের শিকার হলে ডাটা পুনরুদ্ধার নিয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগবে কম।

৩. অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা যাবে না। অপরিচিত কোন সাইট থেকে এপস নামানো যাবে না। জনপ্রিয় সাইট ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে কিছু ডাউনলোড না করাটাই ভাল। ভুয়া এপস বা সাইটের মাধ্যমে প্রচুর হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটছে সাম্প্রতিক সময়ে!

৪. এপসে ব্যবহৃত একাউন্ট গুলোতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা থাকলে সেটাও সচল রাখতে হবে। এছাড়াও এপস চালু করতে "পাসওয়ার্ড প্রটেকশন" দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে সেটাকেও সচল করুন। এতে করে physically কেউ আপনার মোবাইল ধরলেও, কম তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

৫. মোবাইল ডিভাইস এবং এপস - উভয়কেই নিয়মিত আপডেট রাখার চেষ্টা করুন। কেননা পুরাতন এপস বা মোবাইল সিস্টেম হ্যাক করা সহজ হয় কখনো কখনো।


হারানো মোবাইল খুজে পাবেন যে উপায়ে

 



আসসালামু আলাইকুম সবাইকে! আপনার মোবাইল টি হারিয়ে ফেলেছেন অথবা আপনার মোবাইল কেউ নিয়ে গেলো খুজে পচ্ছেন না আপনার মোবাইলটা সাইলেন্ট করা, আপনি কিভাবে বুঝবেন যে মোবাইল টা বর্তমানে কোথায় আছে। সহজ একটা মাধ্যমে কিন্তু যাচাই করতে পারবেন মোবাইল কোথায় আছে। হারিয়ে যাক অথবা কেউ নিয়ে যাক খুব সহজে বের করতে পারবেন। আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টটি পড়বেন, আপনি নিজে শিখবেন এবং অন্যকে ব্যক্তিকে শেখার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্ট  থেকে এখন যে জিনিস টা শিখবেন আপনার এখন কাজে নাও লাগতে পারে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময় ঠিকই কাজে লাগবে।

হারানো মোবাইল খুজে পাবেন যে উপায়ে

তো যে মোবাইল টা  হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে সে মোবাইল টা খুজে পাবার অন্য একটা স্মার্ট ফোন হাতে নিবেন আপনার বাসার বা বন্ধুদের কারও একটা স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে সরাসরি 

👉প্রথমে Google Play Store এ চলে আসবেন

👉এরপর সার্চ বক্সে google find my device লিখে সার্চ করবেন। 

👉সার্চ করার পর কিন্তু Apps টি পেয়ে যাবেন, এরপর Apps টি install করে নিবেন।

👉 install করার পর অ্যাপসটি ওপেন করবেন।

 ছোট্ট একটি অ্যাপলিকেশন, ওপেন হবার পর অ্যাপসটি কিবাবে সেটিংস করবেন সব দেখাবো। মজার বিষয় হলো আপনার হারানো ফোন যদি সাইলেন্ট থাকে তারপরও ফোনটি বেজে উঠবে অর্থাৎ রিং বেজে উঠবে এবং আপনি খুব সহজে ফোনটি খুজে পাবেন। এখন আপনাদের সব প্রসেস শিখিয়ে দিবো। 

👉এখন Apps টি Open এ ট্যাপ করার পর নিচে Sign in as guest এটাতে ক্লিক করবেন। 

👉এরপর দেখবেন একটা Gmail id দিতে বলবে। এখন কথা হচ্ছে আপনি এখানে কোন Gmail id দিবেন? এখানে আপনার ঐ হারানো মোবাইলে থাকা Gmail id দিতে হবে।

👉তো হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের Gmail id বক্সে দেওয়ার পরে Next এ ক্লিক করবেন। 

👉এরপর আপনার ঐ Gmail এর Password দিতে হবে। Password দিয়ে Next এ ক্লিক করবেন। 

👉 Next এ ক্লিক করার সাথে সাথে অ্যাপসটি ওপেন হয়ে যাবে এবং এখন আপনার মেইন কাজ শুরু হবে।

👉এখন যদি Permission চায় Allow করে দিবেন। এখন এখানে ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে, উপরে বামপাশে মোবাইলের আইকন দেখতে পাবেন এখানে যেটা আপনার হারানো ফোনের মডেল দেখতে পাবেন সেটাতে ক্লিক করবেন।

👉মোবাইল আইকনে টাচ করে দেওয়ার সাথে সাথে কিন্তু মোবাইল টি কোন ব্রান্ডের, কোন মডেল এখানে চলে আসবে এবং কত পারসেন্ট চার্জ আছে কয়টি সিম চালু আছে সব দেখা যাবে। 

👉এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি জানতে পারবেন, বুঝতে পারবেন যে আপনার মোবাইল বর্তমানে কোথায় আছে, অর্থাৎ আপনার সেই হারানো মোবাইলের লোকেশন শো করবে। আপনি টেনে টেনে জুম করে লোকেশনটা দেখবেন আপনার হারানো ফোনটি বর্তমান কোন জায়গায় আছে, কোন রোডে আছে, চোর ফোনটি কোথায় রেখেছে সব কিছু জানতে পারবেন।


👉সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে নিচে দেখবেন 

🔵 Play Sound

🔵 Secure device 

🔵 Erase device 

এই তিনটি অপশন আছে। এই তিনটি অপশনের বিস্তারিত জানুন।

Play Sound : আপনি যে মোবাইল খুজছেন বা যাচাই করছেন সেই মোবাইল যদি সাইলেন্ট থাকে তারপরও যদি এই Play Sound এ ক্লিক করলে সাথে সাথে সেই হারানো ফোনে রিং বাজবে অর্থাৎ সাউন্ড হবে। বাসায় হারালেও কিন্তু এভাবে খুজে বের করতে পারবেন। 

Secure Device : এখানে একটি বার্তা লিখতে হবে অর্থাৎ যোগাযোগের জন্য আপনার নাম্বার দিতে হবে তাহলে হবে কি আপনার ঐ হারানো ফোনে একটি ম্যাসেজ যাবে বা স্কিনে মেসেজ টি সো করবে, চোর ছাড়া যদি অন্য কোনো ভালো ব্যক্তি পেয়ে থাকে তাহলে আপনার দেওয়া ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে ফোনটি ফেরত দিতে পারবে।

Erase Device : এই অপশনে ক্লিক করলে আপনার হারানো ফোনের সকল ডাটা মুছে যাবে অর্থাৎ সব ডিলেট হয়ে যাবে। আপনার ফোনে যদি কোনো পারসোনাল ফটো, ভিডিও বা ডাটা থাকে আপনি যদি মনে করেন এটা অন্য কারো হাতে গেলে আমার সমস্যা হতে পারে তাহলে আপনি এই অপশনের দ্বারা আপনার ফোনের সব কিছু ডিজিট করে দিতে পারবেন। অর্থাৎ Erase device এ ক্লিক করলে ফোনের সকল ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে। 


তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হলো যে ফোনটি হারাবেন বা হারিয়েছেন বা চুরি হয়ে গেছে সেই ফোনের মধ্যে থাকা Gmail এর Email Address এবং Password কিন্তু আপনার মনে জানা থাকতে হবে তা না হলে কিন্তু এই উপায়ে মোবাইল খুজে পাবেন না। আর জানা থাকলে আপনার খুজে পেতে সহজ হবে।

মোবাইল হারিয়ে গেলে জিডি করার মাধ্যমে খুজে পাওয়া

আপনার ফোন হারিয়ে গেলে সরাসরি আপনার নিকটস্থ থানায় যাবেন। থানায় গিয়ে একটা জিডি করবেন, জিডিতে বিস্তারিত উল্লেখ করবেন। আপনার ফোনে যে নাম্বার গুলো ছিলো সে নাম্বার উল্লেখ করবেন, আপনার ফোনের মডেল উল্লেখ করবেন, ফোনের IMEI Number উল্লেখ করবেন। এখন বলতে পারেন যে IMEI নাম্বার কি বা এটা আমি কোথায় পাবো। প্রত্যেকটা ফোনের একটা IMEI Number থাকে, এটা আপনি ফোনের বক্সে পাবেন। সো অবশ্যই আপনাদের থানায় সে বক্স নিয়ে যেতে হবে বা EMEI Number নিয়ে যাবেন। EMEI Number থাকলে পুলিশ ফোনটি তারাতারি ট্রেস করতে পারবে বা তাদের ফোনটি পেতে সহজ হবে। 

এখন প্রশ্ন হলো পুলিশ এটাকে কিভাবে  উদ্ধার করবে?
হ্যা, তাদের কাছে এটাকে উদ্ধার করার জন্য বিশেষ একটি ডিভাইস রয়েছে যার মাধ্যমে পুলিশ মোবাইল যে কোনো স্থান থেকে খুজে বের করে। এক্ষেত্রে আপনার সিম যদি খুলে ফেলেও দেয় তাও কোন সমস্যা নেই, IMEI Number দিয়ে ফোন খুজে বের করবে।


তো বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে কিভাবে খুজে বের করবেন। বন্ধুরা পোস্টটি থেকে যদি কোনো উপকার হয় তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবে না এরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এতক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

কবির শেখ

আইসিটি শাখা

জেলা পুলিশ ,নেত্রকোণা

Gmail: nisadvinkabir@gmail.com

01731-880215 (WhatsApp)

কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...