অনুসরণকারী

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬

বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস

বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস(কবির শেখ)

......

প্রাচীন যুগ

পুলিশের একটি দীর্ঘ এবং অনেক পুরোনো ইতিহাস আছে। ইতিহাসের একটা গবেষণা দেখায় যে পুলিশ ছিল পুরাতন সভ্যতা হিসাবে। রোম শহরে পুলিশ দেশ সম্পর্কে অগাস্টাস সময়ে ওঠে মুষ্টি শতাব্দীর খ্রিস্টপূর্বাব্দে এর মধ্য প্রতি একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান, পুলিশি ইতিহাস বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও খুব পুরানো।[৩]
মানুসংগীতা, চিত্রলিপিতে সম্রাট অশোক, এবং প্রখ্যাত ভ্রমণকারীরা আমাদের ইতিহাস রচনার মূল উৎস। এই সূত্র থেকেই এই দ্বার এবং বাংলাদেশ পুলিশের খণ্ডিত ইতিহাস রচিত হয়। অর্থশাস্ত্র এর মধ্যে কৌতিল্য দ্বারা, নয়টি গুপ্ত চর ধরন উল্লেখ করা হয়। এই সময় পুলিশি বুদ্ধিমত্তা সংগ্রহ করার জন্য বিরোধী কার্যক্রম এবং সরকারী প্রতিবন্ধক সমাজের মধ্যে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা সীমাবদ্ধ ছিল। গুপ্ত চর দায়িত্ব এমনভাবে যে তারা সেনাবাহিনী, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা কার্যকলাপের উপর নজরদারি বাড়ানো আচার ব্যবহার করা হয়। এই জন্য লোভ এবং উসকানি সব অর্থ ব্যবহার করা হয়। অনুসন্ধান কৌশল এবং তদন্ত কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে তথ্য অর্থশাস্ত্র মধ্যে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। শাস্তি প্রক্রিয়ার অভিযুক্ত এই বইয়ে পাওয়া যায়। তাই এটি ছিল অধিকৃত যে স্বশাসিত স্থানীয় নিয়মের অধীন সেখানে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় পুলিশ এক ধরনের হতে পারে।[৪]

মধ্যযুগীয় সময়কাল

মধ্যযুগীয় সময়ে পুলিশি কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। মহান সুলতানদের সময়ে একটি সরকারী পুলিশি স্থর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যেতে পারে। মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত, মহান সম্রাট আকবরের সময়কালে এই ব্যবস্থা আরও সংগঠিত হয়। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো (সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি) মীর আদাল এবং কাজী (বিচার বিভাগ প্রধান) এবং কোতোয়াল (প্রধান বড় শহরে পুলিশ কর্মকর্তা) এই তিন ভাগে ভাগ করেন। এই ব্যবস্থা শহরের আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর হিসাবে পরিগনিত হয়। কোতোয়ালী পুলিশ ব্যবস্থা ঢাকা শহরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অনেক জেলা সদর পুলিশ স্টেশনকে এখনও বলা হয় কোতোয়ালী থানা। মোঘল আমলে কোতোয়াল একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আবির্ভূত হয়।
একজন ফৌজদার সরকারের প্রশাসনিক ইউনিট (জেলা) প্রধান পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিছু ফৌজদারের অধীনে কামান এবং অশ্বারোহী সৈন্য বাহিনীও ছিল। থানাদার পদাদিকারীরা ছোট জায়গার মধ্যে পরগনা বিভাজক হিসাবে নিযুক্ত হতেন। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেম প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্টিত ছিল মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়ে এখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল।[৪]

ব্রিটিশ সময়কাল[সম্পাদনা]

শিল্প বিপ্লবের কারনে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর অভাব অনুভব করেন। ১৮২৯ সালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল আনেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় লন্ডন মেট্রো পুলিশ। অপরাধ দমনে বা প্রতিরোধে এর সাফল্য শুধু ইউরোপ নয় সাড়া ফেলে আমেরিকায়ও। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরনে গঠিত হয় নিয়ইয়র্ক সিটি নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়।[৩]
১৮৫৬ সালে ভারত শাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট হতে বৃটিশ সরকার গ্রহণ করে। পিলস অ্যাক্ট ১৮২৯ এর অধীনে গঠিত লন্ডন পুলিশের সাফল্য ভারতে স্বতন্ত্র পুলিশ ফোস গঠনে বৃটিশ সরকারকে অনুপ্রানিত করে। ১৮৬১ সালে the commission of the Police Act (Act V of 1861) বৃটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। বৃটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে।[৩]

পাকিস্তান সময়কাল[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বাংলাদেশের পুলিশের নাম প্রথমে ইষ্ট বেঙ্গল পুলিশ রাখা হয়। পরবর্তীতে এটি পরিবর্তিত হয়ে ইষ্ট পাকিস্থান পুলিশ নাম ধারণ করে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই নামে পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকে।[৪]

বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্থানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল .৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্থানী হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাস জুড়ে দেশব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং পাকিস্থানী সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত ঝিনাইদহের তত্কালীন সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্টান শেষে ঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন।[৫]

বাংলাদেশ সময়কাল[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদরিত্ব দিয়ে অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। ঘুষ দুনীর্তির কারনে একসময়ে অভিযুক্ত এই বাহিনী তার পেশাদরিত্ব আর জনগনের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে জনগনের গর্বের বাহিনীতে পরিনত হয়েছেন।[৩]

বাংলাদেশ পুলিশ সংগঠন[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান হলেন মহা পুলিশ পরিদর্শক (Inspector General of Police) (IGP)। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ সংগঠন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত।

শাখা[সম্পাদনা]

  • রেঞ্জ পুলিশ
  • স্পেশাল ব্রাঞ্জ (এসবি)
  • ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)
  • রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)
  • হাইওয়ে পুলিশ
  • ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ
  • পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)
  • স্পেশাল সিকিউরিটি অব প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন)
  • আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)
  • এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এএপি)
  • র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)
  • নৌপুলিশ
  • পর্যটন পুলিশ

রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ[সম্পাদনা]

  • রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটান শহর গুলো ছাড়া সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে পৃথক পৃথক রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি রেঞ্জের নেতৃত্বে আছেন একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)। তিনি তার অধীনস্থ জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তা। বর্তমানে সাতটি প্রশাসনিক বিভাগে সাতটি রেঞ্জ এবং রেলওয়ে ও হাইওয়ে পুলিশ নামে দুটি স্বতন্ত্র রেঞ্জ আছে।
  • জেলা পুলিশের অধিকর্তা হলেন সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ (এসপি)।
  • প্রতিটি জেলায় সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশকে সহযোগিতার জন্য এক বা একাধিক অতিরিক্ত সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ পদায়ন করা হয়।
  • প্রত্যেকটি পুলিশ ডিষ্ট্রিক্ট এক বা একাধিক সার্কেলে বিভক্ত থাকে। সার্কেলের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে একজন সহকারী সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন।
  • প্রত্যেকটি পুলিশ সার্কেল কয়েকটি থানার সমন্বয়ে গঠিত। একজন পুলিশ পরিদর্শক থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার অধীনে বেম কজন সাব-ইন্সপেক্টর পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশী আইনে একমাত্র সাব-ইন্সপেক্টর পদধারী অফিসার কারও বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করতে পারেন।
  • প্রত্যেকটি রেঞ্জের অধীনে নিজস্ব রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স(আরআরএফ) এবং জেলা পুলিশের অধীনে নিজস্ব স্পেশাল আর্মড ফোর্স(এসএএফ) জরুরী অবস্থা, বেআইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা মোকাবেলার জন্য মেইনটেইন করে থাকেন। এরা পুলিশ সুপার অথবা তদোর্ধ কর্মকর্তার নির্দেশে মোতায়েন হয়। সশস্ত্র কনস্টবলদের এই বাহিনী সাধারন পুলিশি কর্মকান্ড পরচালনায় ব্যবহৃত হয় না। তাদের ভিআইপি দের নিরাপত্তা রক্ষা সংক্রান্ত কর্তব্য, মেলা, উৎসব, খেলাধুলোর ঘটনা, নির্বাচন, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোতায়েন করা হয়। ছাত্র বা শ্রমিক অসন্তোষ, সংগঠিত অপরাধ, এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কী গার্ড পোস্ট বজায় রাখা এবং বিরোধী সন্ত্রাসী অভিযানেও এদের ব্যবহার কার হয়।
        আট বিভাগে আটটি পুলিশ রেঞ্জের নামঃ
    • ঢাকা রেঞ্জ
    • চট্টগ্রাম রেঞ্জ
    • খুলনা রেঞ্জ
    • রাজশাহী রেঞ্জ
    • সিলেট রেঞ্জ
    • বরিশাল রেঞ্জ
    • রংপুর রেঞ্জ
    • ময়মনসিংহ  রেঞ্জ
অন্যান্য রেঞ্জঃ
    • রেলওয়ে রেঞ্জ
    • হাইওয়ে রেঞ্জ

মেট্রোপলিটন পুলিশ[সম্পাদনা]

মেট্রোপলিটন আইনের অধীনে পুলিশ কমিশনারেট সিষ্টেম অনুসারে ছয়টি বিভাগীয় শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে প্রথম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত হয়। পরবর্তীতে ছয়টি বিভাগীয় শহরে আরো ছয়টি পৃথক মেট্রোপলিটন পুলিশ ফোর্স গঠিত হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান হলেন পুলিশ কমিশনার।
মেট্রোপলিটান পুলিশের তালিকা

গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)[সম্পাদনা]

গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট। এটি অত্যন্ত দক্ষ, বাস্তবধর্মী ও প্রযুক্তি নির্ভর শাখা। প্রত্যেক মেট্রোপিলটন পুলিশ এবং জেলা পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা শাখা আছে।

বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি (SWAT)[সম্পাদনা]

Special Weapons And Tactics (বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের একটি অভিজাত শাখা। ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে এটি গঠন করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের গোয়েন্দা শাখার অধীনে সোয়াত কাজ করে। সোয়াত ইউনিটের সদস্যরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। এদের দেশে এবং বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জরুরী প্রয়োজন এবং সংকট ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ, জিম্মি উদ্ধার ইত্যাদি অপরাধ মোকাবিলায় সোয়াত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

ট্রাফিক পুলিশ[সম্পাদনা]

ট্রাফিক পুলিশ ছোট শহরগুলিতে জেলা পুলিশের অধীনে এবং বড় শহরগুলিতে মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে কাজ করে। ট্রাফিক পুলিশ ট্রাফিক আইনকানুন মেনে চলতে যানবাহনগুলোর ড্রাইভারদের বাধ্য করে এবং অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে।

বিশেষ শাখা (এসবি)[সম্পাদনা]

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করে পুলিশের বিশেষ শাখা।[৬]

ইমিগ্রেশন পুলিশ[সম্পাদনা]

বিদেশ হতে বাংলাদেশে আগত এবং বিদেশের উদ্দেশ্যে গমনরত বাংলাদেশী ও বিদেশী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিসেবা প্রদান করে। ইমিগ্রেশন সেবা বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা দ্বারা প্রদান করা হয়। [৭]

অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগ (সিআইডি)[সম্পাদনা]

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সন্ত্রাসবাদ, খুন ও অর্গানাইজড ক্রাইম মোকাবেলা, তদন্তের কাজ করে থাকে। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজনে সিআইডি তাদের ফরেনসিক সমর্থন দেয়। সিআইডির সদর দপ্তর ঢাকার মালিবাগে। সিআইডি ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল এবং ফরেনসিক ট্রেনিং স্কুল নামে দুটি প্রশিক্ষন প্রতিষ্টান পরিচালনা করে।

রেলওয়ে পুলিশ (GRP)[সম্পাদনা]

রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ রেলওয়ের সীমানায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কাজ করে। তারা রেল ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মের শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রেন ভ্রমণরত যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব পালন করে। রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলে তারা এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করে। রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জের প্রধান হলেন একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (রেলওয়ে পুলিশ) পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা। রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জের অধীনে দুইটি রেল জেলা আছে, এর একটি হল সৈয়দপুর অন্যটি চট্টগ্রাম। একজন রেলওয়ে পুলিশ একটি সুপারিনটেনডেন্ট(SRP) রেল জেলা পুলিশের সকলপ্রকার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়।

হাইওয়ে পুলিশ[সম্পাদনা]

মহাসড়ক নিরাপদ করা এবং যানজটমুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার হাইওয়ে পুলিশ গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলে ২০০৫ সালে হাইওয়ে পুলিশ তার যাত্রা শুরু করে। [৮] হাইওয়ে পুলিশ রেঞ্জের প্রধান কর্মকর্তা জলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (হাইওয়ে পুলিশ)। হাইওয়ে পুলিশ রেঞ্জের অধীনে দুটি হাইওয়ে পুলিশ উইং আছে। ইস্টার্ন উইং এর সদর দফতর কুমিল্লায় এবং ওয়েষ্টার্ন উইং এর সদর দফতর বগুড়ায় অবস্থিত। প্রতিটি উইং এর নেতৃত্বে আছেন একজন সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (হাইওয়ে)। অপর্যাপ্ত জনবল আর যানবাহন সংকটের কারনে দেশব্যাপী বিস্তৃত মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতি খুব সন্তোষজনক নয়।

শিল্পকৌশল পুলিশ[সম্পাদনা]

শ্রম আইন, ২০০৬ বাস্তবায়নে এবং শিল্প এলাকায় অশান্তি প্রতিরোধ কল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক সম্ভাব্য শ্রম অসন্তোষ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালের ৩১ শে অক্টোবর শিল্প পুলিশ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এই ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ২৯৯০ জন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের চার কার্য অঞ্চল-
  • ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-১, আশুলিয়া, ঢাকা।
  • ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-২, গাজীপুর
  • ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম
  • ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-৪, নারায়নগঞ্জ

বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (SSF)[সম্পাদনা]

২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ভ্রমনরত বিদেশী রাষ্ট্রিয় অতিথিদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন নামে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট প্রতিষ্টা করা হয়। এপিবিএনের প্রধান অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিয়ন্ত্রনে একজন উপ মহা পরিদর্শক এই বাহিনী পরিচালনা করে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে দুটি প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন দিয়ে এই বাহিনী যাত্রা শুরু করেছে।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (APBn)[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একটি এলিট ইউনিট হচ্ছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(এপিবিএন)।একটি মহিলা ব্যাটেলিয়ন সহ সর্বমোট এগারোটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে। একজ়ন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এর প্রধান।
বিভিন্ন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অবস্থান নিম্নে দেয়া হল:
১ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন উত্তরা, ঢাকা ২য় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ ৩য় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন খুলনা ৪র্থ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বগুড়া ৫ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন উত্তরা, ঢাকা ৬ষ্ঠ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি ৭ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আশুলিয়া, ঢাকা ৮ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সিলেট ,(বর্তমানে ঢাকা বিমানবন্দর অবস্থান) ৯ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন চট্টগ্রাম ১০ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বরিশাল ১১শ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (মহিলা) উত্তরা, ঢাকা

বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ (AAP)[সম্পাদনা]

এপিবিএনের একটি বিশেষায়িত ইউনিট বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ (AAP) হিসাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে নিয়োজিত আছে। বর্তমানে অষ্টম এপিবিএন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকার নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত আছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এএপি) ঢাকা, বাংলাদেশের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইন প্রয়োগের জন্য দায়ীত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ ইউনিট। এএপি বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (APBn) একটি ব্যাটেলিয়ন । সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (APBn) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রেফতার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশের ধারা ৬ অনুযায়ী সরকার কর্তৃক উপর অন্বিত অস্ত্র ও বিস্ফোরক, এবং অন্য কোন দায়িত্ব পুনরুদ্ধার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় এয়ারপোর্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা দায়িত্ব নিতে সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্থাপন, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ আরো কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে তাদের অধিক্ষেত্র মধ্যে তার দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য ১জুন ২০১১ থেকে মোতায়েন করা হয়, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ভাল সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিট, বিমান পরিবহন সংস্থা এবং অন্যান্য অপারেটরদের অনুরূপ সংস্থা সহ বিমানবন্দর অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে. (100 মহিলা সদস্য সহ) 1100 কর্মিবৃন্দ মোট বাংলাদেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর নিরাপত্তা দায়িত্ব সম্পাদন করা হয়েছে. বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ যথা এয়ারপোর্ট সুরক্ষিত করার জন্য দলের চার ধরনের আছে:
ইউনিফর্ম পরিহিত গার্ড এবং চেক টিম গোয়েন্দা টিম ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন টিম দায়িত্ব ফোন [2] [সম্পাদনা] বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ স্বাধীনভাবে এয়ারপোর্ট সুরক্ষিত দায়িত্ব সম্পাদন করে. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন ও বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ অনুযায়ী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সাধারণত নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করে থাকে:
বিমানবন্দরে বিধ্বংসী আইন কোনো ধরনের প্রতিরোধ অবাঞ্ছিত ও অননুমোদিত ব্যক্তি অবৈধ অনধিকার প্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য, / স্টপ হরণ বা যাত্রী লটবহর চুরি হিসাবে ভাল হিসাবে এয়ারপোর্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত যাত্রী বাঁধন হয়রানি প্রতিরোধ. আগমনের, দুর্ভিক্ষ, পার্কিং এলাকা, পরিবাহক বেল্ট, বিমান থাকিবার স্থান, পিচ এলাকা সহ এয়ারপোর্ট ভিতরে বিভিন্ন এলাকায় ভিডিও প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে তথ্য ও সম্ভাব্য অপরাধীদের সনাক্তকরণ সংগ্রহ. অনুসন্ধান এবং সব থেকে এ এবং এয়ারপোর্ট ভিতরে সাধারণ পরীক্ষণ এবং সন্দেহজনক ব্যক্তি / যাত্রী ভ্রমণ নথি, লটবহর বা শরীরের অনুসন্ধান. ইত্যাদি লটবহর চুরি / হরণ, চোরাচালান, বেওয়ারিশ লটবহর, যাত্রী হয়রানি সংক্রান্ত কোনো ঘটনার তদন্ত পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ বিধ্বংসী আইন বা অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নিরাপত্তা ও সমন্বয় সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য জঙ্গি আক্রমণ এবং সংগ্রহ রোধ করা.

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান(র‌্যাব)[সম্পাদনা]

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন বা র‌্যাব (RAB) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে। [৯] বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, আনসার ও সিভিল প্রশাসনের সদস্যদের নিয়ে র‌্যাব গঠিত হয়। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের নিয়ন্ত্রনে মহাপরিচালক র‌্যাব এই বাহিনী পরিচালনা করেন। র‌্যাবের অন্যতম সাফল্য হল জঙ্গি দমন বিশেষত জামায়াতুল মুজাহিদিন(জেএমবি) রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠার আগেই র‌্যাব তাদের সমস্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংশ করে দেয়।

নৌপুলিশ[সম্পাদনা]

পর্যটন পুলিশ[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাবেলা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনরত স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে গঠিত হয় পর্যটন পুলিশ।[১০] খুব শিগগির পর্যটন পুলিশের কলেবর বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় এর নিরাপত্তা বিধান কার্যক্রমের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে। পর্যটন পুলিশ জেলা পুলিশের অধীনে কাজ করছে।

পুলিশ অভ্যন্তরীণ ওভারসাইট (PIO)[সম্পাদনা]

সারাদেশে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নজরদারী করতে ও তাদের উপর গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পুলিশ অভ্যান্তরীন ওবারসাইট নামে একটি বিশেষায়িত বিভাগ কাজ করে। ২০০৭ সালে এই বিভাগটি প্রতিষ্টিত হয়। সদর দপ্তরের একজন সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক এই বিভাগের প্রধান এবং তিনি সরাসরি মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিকট রিপোর্ট দাখিল করেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পুলিশ ইউনিট পিআইও এর সরাসরি নজরদারির আওতাধীন। পিআইওর এজেন্টরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পিআইওর ইউনিট এর সরাসরি তত্বাবধানে সারাদেশে ছড়িয়ে আছেন।

পুলিশ ইউনিট[সম্পাদনা]

রেঞ্জ পুলিশ
  • পুলিশ রেঞ্জ
  • পুলিশ জেলা
  • সার্কেল
  • থানা
  • তদন্ত কেন্দ্র/পুলিশ ফাড়ি/পুলিশ ক্যাম্প
মেট্রোপলিটন পুলিশ
  • বিভাগ
  • অঞ্চল
  • থানা
  • পুলিশ ফাড়ি/পুলিশ ক্যাম্প

পুলিশ স্তর[সম্পাদনা]

সুপেরিয়র কর্মকর্তাগণ[সম্পাদনা]

জাতীয় পুলিশ পদস্তর বিন্যাস
  • মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)
  • অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক
  • উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক
  • অতিরিক্ত উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক
  • পুলিশ সুপার/সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক(সদরদপ্তর)/বিশেষ পুলিশ সুপার(এসএস)(এসবি)(সিআইডি)/পুলিশ সুপার (রেলওয়ে)/পুলিশ সুপার (হাইওয়ে)
  • অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
  • জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার
  • সহকারী পুলিশ সুপার
মেট্রোপলিটন পুলিশ পদস্তর বিন্যাস
  • পুলিশ কমিশনার
  • অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার
  • যুগ্ম পুলিশ কমিশনার
  • উপ পুলিশ কমিশনার
  • অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার
  • জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার
  • সহকারী পুলিশ কমিশনার
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশ/ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন পদস্তর বিন্যাস
  • মহাপরিচালক
  • অতিরিক্ত মহা পরিচালক
  • পরিচালক
  • উপ পরিচালক
  • জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক
  • সহকারী পরিচালক
সুপেরিয়র অফিসারদের পদ মর্যাদার স্থর বিন্যাস
আইজিপিঅতিঃ আইজিপিডিআইজিঅতিঃ ডিআইজিএসপিঅতিঃ এসপিজ্যেষ্ট এএসপিএএসপি
[[File:Senior

অধস্তন অফিসার[সম্পাদনা]

নিরস্ত্র শাখা
  • পুলিশ পরিদর্শক
  • উপ-পরিদর্শক (SI) / শহর উপ-পরিদর্শক (TSI)
  • সহকারী উপ-পরিদর্শক (ASI) / সহকারী শহর উপ-পরিদর্শক (ATSI)
  • কন্সটেবল
সশস্ত্র শাখা
  • সশস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক
  • সশস্ত্র (Armed SI)
  • সশস্ত্র সহকারী উপ-পরিদর্শক (Armed ASI)
  • নায়েক
  • কন্সটেবল
ইন্ড্রস্টিয়াল পুলিশ
  • উপ-সহকারী পরিচালক (DAD)
  • সার্কেল কমান্ডার (Sub-Inspector)
  • সহকারী উপ-পরিদর্শক (ASI)
  • নায়েক
  • কন্সটেবল
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন
  • উপ-সহকারী পরিচালক (DAD)
  • সার্জেন্ট / উপ-পরিদর্শক (SI)
  • সহকারী উপ-পরিদর্শক (ASI)
  • নায়েক
  • কন্সটেবল
ট্রাফিক বিভাগ
  • ট্রাফিক পরিদর্শক (TI)
  • সার্জেন্ট / উপ-পরিদর্শক (TSI)
  • সহকারী উপ-পরিদর্শক (ASI) / সহকারী শহর উপ-পরিদর্শক (ATSI)
  • ট্রাফিক কন্সটেবল
অধস্তন অফিসারদের পদমর্যাদার স্থর বিন্যাস
পরিদর্শকউপ-পরিদর্শকসার্জেন্টএএসআইনায়েককন্সটেবল
[[File:Sub-

মহা পুলিশ পরিদর্শক[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান হলেন মহা পুলিশ পরিদর্শক। এটি বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র তিন তারকা পদ। ১৯৭১ সাল হতে যারা মহা পুলিশ পরিদর্শক পদে দয়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেনঃ
}

ক্ষমতা[সম্পাদনা]

২০১৪ জুলাই মাসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে পুলিশে কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯২১টি পদ রয়েছে । বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিপরীতে পুলিশ সদস্যের অনুপাত ১:১১৩৩।

কমিউনিটি পুলিশি বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

কৌশলগত অংশীদারিত্ব

বাস্তবায়ন অংশীদারিত্ব

বিট ​​পুলিশি

বাংলাদেশ পুলিশ নারী

নির্বাচন এবং প্রশিক্ষণ

সহকারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি)

সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)[সম্পাদনা]

সার্জেন্ট

পুলিশ কন্সটেবল

প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, চারঘাট
দেশের একমাত্র পুলিশ একাডেমী চারঘাট উপজেলা সদর দপ্তর থেকে এক মাইল দূরে পদ্মার পাড়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সরদহতে অবস্থিত। তৎকালীন বৃটিশ ভারতে মেজর এইচ. চ্যমেই নামে একজন সামরিক অফিসার এই একাডেমীর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি একাডেমীর স্থান অনুসন্ধানের জন্য পদ্মা নদী দিয়ে স্টিমারে যাবার সময় চারঘাটে স্টিমার থামান। এখানকার পারিপার্শ্বিক মনোরম পরিবেশে বিশেষ করে বিশাল আম বাগান, সু-উচ্চ বড় বড় কড়ই গাছ ও প্রমত্তা পদ্মার বিশালতা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। এরপর ফিরে গিয়েই তিনি এখানে পুলিশ একাডেমীর স্থান নির্ধারণের জন্য বৃটিশ সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করেন। বৃটিশ সরকার তার সুপারিশ গ্রহণ করেন এবং ১৯১২ সালের জুলাই মাসে সরদহতে পুলিশ একাডেমী উদ্ধোধন করা হয়। বর্তমানে এই পুলিশ একাডেমী দেশের পুলিশ প্রশাসনকে গতিশীল ও সচল রাখার জন্য সমসাময়িক ধ্যান ধারনায় বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন।
পুলিশ স্টাফ কলেজ ২০০০ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র স্টাফ কলেজ প্রতিষ্টিত হয়।
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা, নোয়াখালিতে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার অবস্থিত।
গোয়েন্দা প্রশিক্ষন স্কুল ১৯৬২ সালে ঢাকায় গোয়েন্দা প্রশিক্ষন স্কুল প্রতিষ্টা করা হয়।

প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তালিকা[সম্পাদনা]

  • পুলিশ স্টাফ কলেজ
  • বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহী
  • পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, টাঙ্গাইল
  • পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, রংপুর
  • পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, খুলনা
  • পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালি
  • ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস), রাজারবাগ, ঢাকা
  • ফরেনসিক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, মালিবাগ, ঢাকা
  • স্পেশাল ব্রাঞ্চ ট্রেনিং স্কুল, মালিবাগ, ঢাকা
  • পুলিশ পীসকিপারস ট্রেনিং স্কুল, রাজারবাগ, ঢাকা
  • পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং স্কুল, বেতবুনিয়া, রাঙ্গামাটি
  • ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুল, মিল ব্যারাক, ঢাকা
  • মটর ড্রাইভার টেনিং স্কুল, জামালপুর
  • টেলিকমিউনিকেশনস ট্রেনিং সেন্টার, রাজারবাগ, ঢাকা
  • ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি, রাজারবাগ, ঢাকা
  • র্যা পিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ফোর্সেস ট্রেনিং স্কুল, গাজীপুর, ঢাকা
  • আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ট্রেনিং স্কুল
এগুলো ছাড়াও প্রতি জেলায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আছে।

পুলিশ পদক

বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)

  • বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)
  • বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল - সার্ভিস (বিপিএম)

প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)]

  • প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম)
  • প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল - সার্ভিস (পিপিএম)

যানবাহন

বাংলাদেশ পুলিশ বিভিন্ন রকম যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল এবং পিকআপ ভ্যান বেশি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া পেট্রোল কার, ট্রাক, বাসও তাদের বহরে আছে। এগুলো ছাড়া হেলিকপ্টার, কমান্ড ভেহিকেলস, ক্রাইম সীন ভেহিকেলস, এপিসি, রায়ট কার, জল কামান, এভিডেন্স কালেকশন ভ্যান ও পুলিশ বহরে যুক্ত। হাইওয়ে পুলিশ নিশান পেট্রোল, নিশান সানি, হুন্দাই সোনাটা এবং আরো অনেক রকম যান ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া প্রয়োজনে পুলিশ জনসাধারনের গাড়ি রিকুইজিশন করে জন নিরাপত্তা বিধানে ব্যবহার করে থাকে।

অস্ত্র

বাংলাদেশ পুলিশ যে সব অস্ত্র ব্যবহার করে থাকেঃ
  • নাইন এম এম পিস্তল
  • এল এম জি
  • এম এম জি
  • .৩৮ স্মিত এন্ড ওয়েলসন
  • শটগান (১২ বোর)
  • ৭.৬২ এমএম চায়নিজ রাইফেল
  • ৭.৬২ x ৫১ জি৩ রাইফেল
  • একে ৪৭
  • টিয়ার শেল গ্যাস গান
  • ৭.৬২ সাব মেশিনগান
  • গ্যাস গ্রেনেড
  • পিপার স্প্রে
নিরস্ত্র পুলিশ লাঠি ব্যবহার করে।

সমালোচনা

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যাবলীতে অবদান

১৯৮৯ সালে নামিবিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম জাতিসংঘের সান্তি মিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্র হিসেবে কাজ করে। এরপর থেকে যথাক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা আইভরি কোষ্ট, সুদান, দারফুর, লাইবেরিয়া, কসাবো, পূর্ব তিমুর, ডি আর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতিসহ অন্যান্য মিশনে কাজ করে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন আইভরি কোষ্টে প্রথম সন্নিবেশিত পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) কাজ শুরু করে। শান্তিরক্ষী মিশনে সবোর্চ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি বাংলাদেশের।বর্তমানে পৃথিবীর ছয়টি দেশে চলমান সাতটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দুইটি নারী পুলিশ সদস্যের সমন্বিত এফপিইউ সহ (যার একটি কঙ্গোতে অন্যটি হাইতি তে) সর্বমোট ২০৫০ জন কর্মরত আছেন।[১২]
অতীতে সমাপ্ত এবং বর্তমানে চলমান UNPOL এবং FPU শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহন:[১৩]
নামসময়কাল
এ. খালেকএপ্রিল ১৭, ১৯৭১ – এপ্রিল ২৩, ১৯৭৩ (মুজিবনগর সরকারের সময় হতে)
এম.এ.কে চৌধুরীমে ১৮, ১৯৭১ - ডিসেম্বর ১৩, ১৯৭১
এ. রহিমএপ্রিল ২৩, ১৯৭৩ - ডিসেম্বর ৩১, ১৯৭৩
এ.এইচ.এম. নুরুল ইসলামডিসেম্বর ৩১, ১৯৭৩ - নভেম্বর ২১, ১৯৭৫
হোসেন আহমেদনভেম্বর ২১, ১৯৭৫ - আগষ্ট ২৬, ১৯৭৮
এ.বি.এম.জি কিবরিয়াআগষ্ট ২৬, ১৯৭৮ - ফেব্রুয়ারি ০৭, ১৯৮২
এ.এম.আর. খানফেব্রুয়ারি ৮, ১৯৮২ -জানুয়ারি ৩১, ১৯৮৪
ই.এ. চৌধুরীফেব্রুয়ারি ০১, ১৯৮৪ - ডিসেম্বর ৩০, ১৯৮৫
মোঃ হাবিবুর রহমানজানুয়ারি ০১, ১৯৮৬ - জানুয়ারি ০৯, ১৯৮৬
এ. আর. খন্দকারজানুয়ারি ০৯, ১৯৮৬ - ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯৯০
তৈয়ব উদ্দিন আহমেদফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯৯০ - জানুয়ারি ০৮, ১৯৯১ এবং জুলাই ২০, ১৯৯১ - অক্টোবর ১৬, ১৯৯১
এ.এম চৌধুরীজানুয়ারি ০৮, ১৯৯১ – জুলাই ২০, ১৯৯১
এম ইনামুল হকঅক্টোবর ১৬, ১৯৯১ - জুলাই ০৮, ১৯৯২
এ.এস.এম শাহজাহানজুলাই ০৮, ১৯৯২ - এপ্রিল ২২, ১৯৯৬
এম আজিজুল হকজুলাই ২২, ১৯৯৬ - নভেম্বর ১৬, ১৯৯৭
মোঃ ইসমাইল হোসেইননভেম্বর ১৬, ১৯৯৭ - সেপ্টেম্বর ২৭, ১৯৯৮
এ. ওয়াই. বি সিদ্দিকীসেপ্টেম্বর ২৭, ১৯৯৮ - জুন ০৭, ২০০০
মোহাম্মদ নুরুল হুদাজুন ০৭, ২০০০ - নভেম্বর ০৬, ২০০১
মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী, pscনভেম্বর ১৬, ২০০১ - এপ্রিল ২২, ২০০৩
শহিদুল হকএপ্রিল ২২, ২০০৩ – ডিসেম্বর ১৫, ২০০৪
আশরাফুল হুদাডিসেম্বর ১৫, ২০০৪ - এপ্রিল ০৭, ২০০৫
মোহাম্মদ হারিস উদ্দিনএপ্রিল ০৭, ২০০৫ - মে ০৭, ২০০৫
আব্দুল কাইয়ুমমে ০৭, ২০০৫ – জুলাই ০৬, ২০০৬
আনোয়ারুল ইকবালজুলাই ০৬, ২০০৬ - নভেম্বর ০২, ২০০৬
খোদা বক্স চৌধুরীনভেম্বর ০২, ২০০৬ - জানুয়ারি ২৯, ২০০৭
নুর মোহাম্মদজানুয়ারি ২৯, ২০০৭ - আগষ্ট ৩১, ২০১০
হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিপিএম, পিপিএম, এনডিসিআগষ্ট ৩১, ২০১০ - ৩১ ডিসেম্ববর ২০১৪
এ কে এম শহীদুল হক,বিপিএম, পিপিএম১ লা জানুয়ারী, ২০১৫ - বর্তমান
ক্রমিক নংমিশনের নামদেশসময়কাল
UNTAGনামিবিয়া১৯৮৯-১৯৯০
UNTACকম্বোডিয়া১৯৯২-১৯৯৪
UNPROFORযুগশ্লাভিয়া১৯৯২-১৯৯৬
UNUMOZমোজাম্বিক১৯৯৩-১৯৯৪
UNAMIRরোয়ান্ডা১৯৯৩-১৯৯৫
UNMIHহাইতি১৯৯৪-১৯৯৫
UNAVEM – IIIঅ্যাঙ্গোলা১৯৯৫-১৯৯৯
UNTAESপুর্ব স্লোবেনিয়া১৯৯৬-১৯৯৮
UNMIBHবসনিয়া১৯৯৬-২০০২
১০UNMISET / UNMITপুর্ব তিমুর১৯৯৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত
১১UNMIKকসাভো১৯৯৯-২০০৯
১২UNAMSILসিয়েরা লিয়ন২০০০
১৩UNMILলাইবেরিয়া২০০৩ থেকে বর্তমান পর্যন্ত
১৪UNOCIআইভরি কোষ্ট২০০৪ থেকে বর্তমান পর্যন্ত
১৫UNMISসুদান২০০৫ থেকে বর্তমান পর্যন্ত
১৬MONUCডিআর কঙ্গো২০০৫ থেকে বর্তমান পর্যন্ত
১৭UNAMIDদারফুর২০০৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত
১৮UNAMAআফগানিস্থান২০০৮-২০১০

কোন মন্তব্য নেই:

কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...