অনুসরণকারী

সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬

পুলিশ সদস্য শের আলীর কান্না, কাঁদাচ্ছে সারাদেশকে













পাষাণ পৃথিবী, স্বার্থের জন্য ছুটছি সবাই। আজব দুনিয়া! প্রতিদিন হিংসা বিদ্বেষ বাড়ছে মায়ামমতা কমছে। চারিদিকে যেন রক্তের হলিখেলা। বাড়ছে শত্রুতা। স্বার্থের কাছে সবাই এক প্রকার অন্ধ! ব্যতিক্রমও যে নেই তা নয়, যেমন শের আলী। অন্যের জন্য কাঁদলেন, আর কাঁদালেন বুঝিয়ে দিলেন মানুষ মানুষের জন্য।

রবিবার (১১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর রশিদনগরে ইউনিক পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে গিয়ে ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ২৫ জনের বেশি। ওই বাসের নিচে চাপা পড়ে একটি ছোট্ট শিশু।

তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রক্তাক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে আনেন স্থানীয় বাসিন্দা শের আলী। উদ্ধার করা মাত্রই কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই রক্তাক্ত শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সর্ব শক্তি দিয়ে দৌঁড়ানো শুরু করেন শের আলী! দৌঁড়ানোর সাথে সাথে অপরিচিত এই শিশুটির জন্য চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। তার কান্নায় শোকে স্তব্ধ গোটা পরিবেশ সবাই অবাক। শিশুটির কষ্ট ও যন্ত্রণা দেখেই অঝোরে কেঁদেছেন তিনি যেন আপন কেউ। ওই সময় শের আলীর কান্না দেখে উপস্থিত জনতাও চোখের পানি আটকাতে পারেননি।

শের আলীর চরিত্রই আসল চরিত্র। এটাই হচ্ছে মানবতা। মানবিকতা ও উত্তম চরিত্রের উদাহরণ। সমাজে এই মানুষ গুলি হারিয়ে যাচ্ছে। তাকে মুল্যায়ন না করলে হয়তো অকৃতজ্ঞই থেকে যাবো আমরা। আসুন আমরা বদলাই, তাহলে বদলাবে সমাজ, বদলে যাবে প্রিয় দেশ।

উল্লেখ্য যে, পরে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশে কর্মরত শের আলী।

সংগ্রহেঃ.somoyerkonthosor নিউজ পেপার
এডিটিং- কবির .


#https://www.facebook.com/Nisadvinkabir/

কোন মন্তব্য নেই:

কিশোরগঞ্জের সাহেব আলী পাঠান

  সাহেব আলী পাঠান (পুলিশ সুপার) জনাব সাহেব আলী পাঠান ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলার পশ্চিম আবদুল্লাপুর গ্রামের এক সম...